*সমগ্র বিশ্বে মুসলিমরা আজ নিগৃহীত,তাদের সম্মান ভূলুন্ঠিত,তাদের কন্যা জায়াদের ইজ্জত আব্রু অরক্ষিত।তাদের ভূমি গুলো অধিকৃত,যার কারনে তারা নিজ ভূমিতেই আজ লাঞ্চিত্ ও বঞ্চিত।
প্রবল বিক্রমে বিশ্ব শাষন করা একসময়ের শাষকরা আজ শোষিত,তাদের ভয়ে কাঁপতে থাকা শেয়াল গুলো আজ উদ্ধত,বদর,খন্দকের উত্তরাধিকারা আজ পরাজিত!
হায়!একেই বোধ হয় বলে কপালের লিখনী।উত্থান আর পতন সব জাতিরই ছিল,কিন্তু ইতিহাস ঐতিহ্য ভুলে নিজেদের সব হারিয়ে এমন পতন!
যখন আমরা ছিলাম শাষক আর তারা ছিল শোষিত তখনও আমাদের শরীর থেকে রক্ত আর চক্ষু থেকে অশ্রু ঝরত,এখনও ঝরে যখন আমরা শোষিত আর তারা শাষক!!
কিন্তু,পার্থক্যটা কোথায়?
তখন ঝরত যুদ্ধের ময়দান আর শেষ রাতে রবের কাছে একান্ত গোপনালাপে,আর এখন ঝরে...
*সর্ব উত্তম আর সর্ব শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী বিজয়ী জাতির আজ কী করুন অবস্থা!যেন নরম কাঁদা মাটি,(কাঁদা মাটির সাথে তুলনা করা হয়েছে,কারণ বর্তমানে উম্মাহর অবস্থা কাঁদা মাটির চেয়ে কোন অংশে কম নয়।আর শায়েখ আনোয়ার আল আওলাকী রহিঃ তো প্রতিবন্দীর সাথে তুলনা করেছেন।) যেখানে সামান্য চাপেই লোহাও গেঁথে যায় আবার শুকনো কাঠিও গেঁথে যায়।
*এই করুণ অবস্থাতেও যাদের সম্পর্ক আল্লাহর সাথে গভীর,যারা দুনিয়ার মায়া ,মহব্বত,মোহ ত্যাগ করে অন্তরে তাওহীদ ও জিহাদকে আপন করে নিয়েছে,বিজয়ের ব্যাপারে তাদের রয়েছে প্রবল বিশ্বাস।তাদের মন সুদৃঢ়। তারা যানে যে, রাত শেষে প্রভাতের সূর্য উঠবেই,আর রাত যত গভীর হতে থাকে প্রভাতের সূর্য ততই নিকটে হতে থাকে।কারন তাদের কাছে তাদের রবের এ ঘোষনা পৌঁছেছে যে, (আর তোমরা নিরাশ হয়োনা ,এবং দুঃখ করোনা।যদি তোমরা মুমিন হও তবে তোমরাই হবে বিজয়ী ।>>আলে – ইমরান,১৩৯)(বাচ্চা কাঁদছে আর মা দু’হাত দ্বারা তার চোখ মুছে দিচ্ছে;এ চিত্রটি কল্পনা করে আয়াতটি আবার পড়ুন,আর দেখুন কেমন যেন অনাবিল একটা প্রশান্তি মন মগজকে আচ্ছন্ন করে নিয়েছে)
তারা যানে বিজয় ও সাহায্য কেবল মাত্র আল্লাহ্র থেকেই আসে।আল্লাহ তাআলা বলেন,(যদি আল্লাহ্ তোমাদের সহায়তা করেন,তাহলে কেউ তোমাদের পরাক্রান্ত করতে পারবেনা।>>আলে-ইমরান,১৬০)
আল্লাহর লেখা ব(আল্লাহ্ লিখে দিয়েছেনঃঅবশ্যই আমি ও আমার রাসূলগণই বিজয়ী হব।নিশ্চই আল্লাহ্ শক্তিধর ও পরাক্রমশালী>মুজাদালাহ-২১)
সেই প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে রবের নাযিল করা এ আয়াত গুলো আজও জীবন্ত,যা আলো হয়ে ইমানদারদের পথকে আলোকিত করে,মুমিনদের অন্তরকে আন্দোলিত করে,আর তাদের অন্তরে এনে দেয় প্রশান্তি আর ইয়াক্বীনের সুদৃঢ় মনোবল।
ইমারাতে ইসলামিয়ার বিজয় বস্তুবাদের পুজারীদেরকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে,বিজয় বাহ্যিক উপায় উপকরণের কারণে আসেনা,বরং বিজয় তো কেবল বিজয়দাতা মহান রবের পক্ষ থেকেই আসে।
সুতরাং দুশ্চিন্তা আর পেরেশানীর অতল গহবরে নিমজ্জিত থাকা উম্মাহর বিজয় নিয়ে শংকিত ব্যাক্তি গা ঝারা দিয়ে উঠুন,আলস্যের চাদর ছুঁরে ফেলে বন্দুকের নল,অশ্রু আর রক্ত দিয়ে ইতিহাস রচনাকারীদের দলে শামিল হোন।জান্নাতের স্ওদা কারীদের দলে নিজের নাম লিখিয়ে ক্ষমা,সন্তুষ্টি আর সফলতার সার্টিফিকিট নিয়ে নিন।সেই পথ চলুন যে পথে মৃত্যু নেই,যে পথের সাথে দুই কল্যাণের এক কল্যাণ লাভের ওয়াদা রয়েছে রবের পক্ষ থেকে।
ইমাম তাইমিয়া রহিঃ সুন্দর বলেছেন।“সকল মানুষ জীবনের পথে হেঁটে মৃত্যুর দিকে যায়;তবে মুজাহিদের ব্যাপারটা উল্টো,সে বরং মৃত্যুর পথে হেঁটে জীবনের দিকে যায়”
মহান রবের ঘোষনা শুনুন(হে ইমানদারগণ,আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের নির্দেশ মান্য কর,যখন তমাদেরকে সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়,যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন।>আনফাল-২৪)
“আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তোমরা তাঁদেরকে মৃত বলোনা।বরং তাঁরা তো জীবীত,কিন্তু তোমরা তা বুঝনা” (বাকারা-১৫৪)
“সুতরাং মৃতদের পথ ছেড়ে জীবীতদের পথে হাঁটুন,পরাজিকতার মানসিকতা,আর হীনম্মন্যতা ঝেঁরে ফেলে তরবারির ফলায় ইতিহাস আঁকতে শিখুন।“
... আর জেনে রাখুন বিজয় একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে...
প্রবল বিক্রমে বিশ্ব শাষন করা একসময়ের শাষকরা আজ শোষিত,তাদের ভয়ে কাঁপতে থাকা শেয়াল গুলো আজ উদ্ধত,বদর,খন্দকের উত্তরাধিকারা আজ পরাজিত!
হায়!একেই বোধ হয় বলে কপালের লিখনী।উত্থান আর পতন সব জাতিরই ছিল,কিন্তু ইতিহাস ঐতিহ্য ভুলে নিজেদের সব হারিয়ে এমন পতন!
যখন আমরা ছিলাম শাষক আর তারা ছিল শোষিত তখনও আমাদের শরীর থেকে রক্ত আর চক্ষু থেকে অশ্রু ঝরত,এখনও ঝরে যখন আমরা শোষিত আর তারা শাষক!!
কিন্তু,পার্থক্যটা কোথায়?
তখন ঝরত যুদ্ধের ময়দান আর শেষ রাতে রবের কাছে একান্ত গোপনালাপে,আর এখন ঝরে...
*সর্ব উত্তম আর সর্ব শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী বিজয়ী জাতির আজ কী করুন অবস্থা!যেন নরম কাঁদা মাটি,(কাঁদা মাটির সাথে তুলনা করা হয়েছে,কারণ বর্তমানে উম্মাহর অবস্থা কাঁদা মাটির চেয়ে কোন অংশে কম নয়।আর শায়েখ আনোয়ার আল আওলাকী রহিঃ তো প্রতিবন্দীর সাথে তুলনা করেছেন।) যেখানে সামান্য চাপেই লোহাও গেঁথে যায় আবার শুকনো কাঠিও গেঁথে যায়।
*এই করুণ অবস্থাতেও যাদের সম্পর্ক আল্লাহর সাথে গভীর,যারা দুনিয়ার মায়া ,মহব্বত,মোহ ত্যাগ করে অন্তরে তাওহীদ ও জিহাদকে আপন করে নিয়েছে,বিজয়ের ব্যাপারে তাদের রয়েছে প্রবল বিশ্বাস।তাদের মন সুদৃঢ়। তারা যানে যে, রাত শেষে প্রভাতের সূর্য উঠবেই,আর রাত যত গভীর হতে থাকে প্রভাতের সূর্য ততই নিকটে হতে থাকে।কারন তাদের কাছে তাদের রবের এ ঘোষনা পৌঁছেছে যে, (আর তোমরা নিরাশ হয়োনা ,এবং দুঃখ করোনা।যদি তোমরা মুমিন হও তবে তোমরাই হবে বিজয়ী ।>>আলে – ইমরান,১৩৯)(বাচ্চা কাঁদছে আর মা দু’হাত দ্বারা তার চোখ মুছে দিচ্ছে;এ চিত্রটি কল্পনা করে আয়াতটি আবার পড়ুন,আর দেখুন কেমন যেন অনাবিল একটা প্রশান্তি মন মগজকে আচ্ছন্ন করে নিয়েছে)
তারা যানে বিজয় ও সাহায্য কেবল মাত্র আল্লাহ্র থেকেই আসে।আল্লাহ তাআলা বলেন,(যদি আল্লাহ্ তোমাদের সহায়তা করেন,তাহলে কেউ তোমাদের পরাক্রান্ত করতে পারবেনা।>>আলে-ইমরান,১৬০)
আল্লাহর লেখা ব(আল্লাহ্ লিখে দিয়েছেনঃঅবশ্যই আমি ও আমার রাসূলগণই বিজয়ী হব।নিশ্চই আল্লাহ্ শক্তিধর ও পরাক্রমশালী>মুজাদালাহ-২১)
সেই প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে রবের নাযিল করা এ আয়াত গুলো আজও জীবন্ত,যা আলো হয়ে ইমানদারদের পথকে আলোকিত করে,মুমিনদের অন্তরকে আন্দোলিত করে,আর তাদের অন্তরে এনে দেয় প্রশান্তি আর ইয়াক্বীনের সুদৃঢ় মনোবল।
ইমারাতে ইসলামিয়ার বিজয় বস্তুবাদের পুজারীদেরকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে,বিজয় বাহ্যিক উপায় উপকরণের কারণে আসেনা,বরং বিজয় তো কেবল বিজয়দাতা মহান রবের পক্ষ থেকেই আসে।
সুতরাং দুশ্চিন্তা আর পেরেশানীর অতল গহবরে নিমজ্জিত থাকা উম্মাহর বিজয় নিয়ে শংকিত ব্যাক্তি গা ঝারা দিয়ে উঠুন,আলস্যের চাদর ছুঁরে ফেলে বন্দুকের নল,অশ্রু আর রক্ত দিয়ে ইতিহাস রচনাকারীদের দলে শামিল হোন।জান্নাতের স্ওদা কারীদের দলে নিজের নাম লিখিয়ে ক্ষমা,সন্তুষ্টি আর সফলতার সার্টিফিকিট নিয়ে নিন।সেই পথ চলুন যে পথে মৃত্যু নেই,যে পথের সাথে দুই কল্যাণের এক কল্যাণ লাভের ওয়াদা রয়েছে রবের পক্ষ থেকে।
ইমাম তাইমিয়া রহিঃ সুন্দর বলেছেন।“সকল মানুষ জীবনের পথে হেঁটে মৃত্যুর দিকে যায়;তবে মুজাহিদের ব্যাপারটা উল্টো,সে বরং মৃত্যুর পথে হেঁটে জীবনের দিকে যায়”
মহান রবের ঘোষনা শুনুন(হে ইমানদারগণ,আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের নির্দেশ মান্য কর,যখন তমাদেরকে সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়,যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন।>আনফাল-২৪)
“আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তোমরা তাঁদেরকে মৃত বলোনা।বরং তাঁরা তো জীবীত,কিন্তু তোমরা তা বুঝনা” (বাকারা-১৫৪)
“সুতরাং মৃতদের পথ ছেড়ে জীবীতদের পথে হাঁটুন,পরাজিকতার মানসিকতা,আর হীনম্মন্যতা ঝেঁরে ফেলে তরবারির ফলায় ইতিহাস আঁকতে শিখুন।“
... আর জেনে রাখুন বিজয় একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে...
Comment