আমরা যারা নিজেদের মুমিন বলে দাবি করি, আমাদের ইমান কতটা শক্তিশালী তা কি কখনো ভেবে দেখেছি? ইমান কাকে বলে, ইমানের প্রভাব বা দাবি কী, সেটা কি কভু চিন্তা করেছি? এই যে আমরা ইচ্ছে হলেই গুনাহে জড়াই, আল্লাহর অবাধ্যতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত হই, এটা কীভাবে ঘটে? অথচ আমরা মুখে বলি, আল্লাহ সবকিছু দেখছেন, তিনি সকল বিষয়ে পূর্ণ অবগত! তাহলে আমাদের মুখের দাবির সাথে কাজের মিল কতটুকু, সেটা নিয়ে কি কখনো চিন্তা করেছি?
আসলে না আমরা মুখে ইমানের দাবি করলেও অন্তর গুনাহের ময়লায় কালো হয়ে গিয়েছে। আর তাই প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয়ের কথা বললেও গোপনে শয়তানের তাঁবেদারিতেই মজা খুঁজে পাই। মুখে এক কথা, আর কাজে ভিন্ন রূপ, এটাকেই তো বলে নিফাক। সাহাবায়ে কিরামের যুগে এমন নিফাকযুক্ত ইমানদার অনেকেই ছিল; কিন্তু আল্লাহ তাআলা, তাঁর রাসুল সা. ও মুমিনদের দৃষ্টিতে তারা কখনো মুমিন বলে বিবেচিত হতো না। তাদেরকে বলা হতো মুনাফিক।
হঠাৎ কখনোসখনো গুনাহ হয়ে যাওয়া, আর নিয়মিত ভয়ডরহীনভাবে গুনাহ করে যাওয়া কখনো এক জিনিস নয়। প্রথমটা মুমিনদের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, আর এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাওবার ব্যবস্থা রেখেছেন। কিন্তু দ্বিতীয়টাকে কী বলা হবে? এটা কি মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে? লাগাতার গুনাহ করতে থাকা, আকণ্ঠ গুনাহে ডুবে থাকা_এটা কখনো মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। কেবল মুনাফিকদের জন্যই এটা সম্ভব। আমরা আসলে এখনো প্রকৃত মুমিন হতে পারছি না। আমরা এখনো মুনাফিকির গণ্ডি থেকে বের হতে পারছি না। এমন অবস্থায় সাধারণত তাওবাও নসিব হয় না। আর এভাবে মৃত্যু হয়ে গেলে আখিরাতে তার জন্য কী যে অপেক্ষা করছে, ভাবতেও শরীর শিহরিত হয়ে ওঠে।
বর্তমানে আমরা অধিকাংশই এমন নিফাকযুক্ত ইমান নিয়ে নিজেদের মুমিন বলে দাবি করছি; অথচ এ ইমান আমাদের নাজাতের জন্য যথেষ্ট নয়। ইমানের এ করুণ হাল সংশোধন না করলে দিনদিন এর অবনতি চলতেই থাকবে। গুনাহের পাল্লা ক্রমান্বয়ে কেবল ভারীই হতে থাকবে। আর এমনটা চলতে থাকলে একসময় অন্তর এমন কালো হয়ে যাবে, যখন আর তাওবা করতে মন চাইবে না, আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে অন্তর সায় দেবে না। এ এক কঠিন ও ভয়ংকর বিষয়, যে ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষ উদাসীন।
আল্লাহ আমাদের ইমান থেকে নিফাক দূর করে সত্যিকার ইমান ও আল্লাহর ভয় অর্জনের তাওফিক দান করুন। -সংগৃহীত
আসলে না আমরা মুখে ইমানের দাবি করলেও অন্তর গুনাহের ময়লায় কালো হয়ে গিয়েছে। আর তাই প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয়ের কথা বললেও গোপনে শয়তানের তাঁবেদারিতেই মজা খুঁজে পাই। মুখে এক কথা, আর কাজে ভিন্ন রূপ, এটাকেই তো বলে নিফাক। সাহাবায়ে কিরামের যুগে এমন নিফাকযুক্ত ইমানদার অনেকেই ছিল; কিন্তু আল্লাহ তাআলা, তাঁর রাসুল সা. ও মুমিনদের দৃষ্টিতে তারা কখনো মুমিন বলে বিবেচিত হতো না। তাদেরকে বলা হতো মুনাফিক।
হঠাৎ কখনোসখনো গুনাহ হয়ে যাওয়া, আর নিয়মিত ভয়ডরহীনভাবে গুনাহ করে যাওয়া কখনো এক জিনিস নয়। প্রথমটা মুমিনদের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, আর এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাওবার ব্যবস্থা রেখেছেন। কিন্তু দ্বিতীয়টাকে কী বলা হবে? এটা কি মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে? লাগাতার গুনাহ করতে থাকা, আকণ্ঠ গুনাহে ডুবে থাকা_এটা কখনো মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। কেবল মুনাফিকদের জন্যই এটা সম্ভব। আমরা আসলে এখনো প্রকৃত মুমিন হতে পারছি না। আমরা এখনো মুনাফিকির গণ্ডি থেকে বের হতে পারছি না। এমন অবস্থায় সাধারণত তাওবাও নসিব হয় না। আর এভাবে মৃত্যু হয়ে গেলে আখিরাতে তার জন্য কী যে অপেক্ষা করছে, ভাবতেও শরীর শিহরিত হয়ে ওঠে।
বর্তমানে আমরা অধিকাংশই এমন নিফাকযুক্ত ইমান নিয়ে নিজেদের মুমিন বলে দাবি করছি; অথচ এ ইমান আমাদের নাজাতের জন্য যথেষ্ট নয়। ইমানের এ করুণ হাল সংশোধন না করলে দিনদিন এর অবনতি চলতেই থাকবে। গুনাহের পাল্লা ক্রমান্বয়ে কেবল ভারীই হতে থাকবে। আর এমনটা চলতে থাকলে একসময় অন্তর এমন কালো হয়ে যাবে, যখন আর তাওবা করতে মন চাইবে না, আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে অন্তর সায় দেবে না। এ এক কঠিন ও ভয়ংকর বিষয়, যে ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষ উদাসীন।
আল্লাহ আমাদের ইমান থেকে নিফাক দূর করে সত্যিকার ইমান ও আল্লাহর ভয় অর্জনের তাওফিক দান করুন। -সংগৃহীত
Comment