যমুনা টেলিভিশন একটি রিপোর্ট করেছিল বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে। সেই রিপোর্টে হুজি-বি (হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ) এর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রাহিমাহুল্লাহ এর নাম বলা হয়েছে। শায়খুল হাদিস রাহিমাহুল্লাহ হুজি-বি এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না, এবং এর সদস্যও ছিলেন না। যমুনা টিভির এহেন মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যুক্তিসঙ্গত এবং উচিৎ বলে মনে করি। তবে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কওমি উলামায়ে কেরাম এবং তলাবা যেধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন তা অবাক হবার মতো। শুধু অবাক না, ব্যাথিত হবার মতো।
।
কথাটি মিথ্যা এবং মিথ্যাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, এটুকু ঠিক আছে। কিন্তু হুজি-বির প্রতিষ্ঠাতা বলা হচ্ছে, এটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বলা হচ্ছে, ‘জঘন্য অভিযোগ’, ‘ন্যাক্কারজনক অভিযোগ’ ‘ঘৃণ্য অভিযোগ’ – ইত্যাদি। যা থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে হুজি-বি এর নেতা হওয়া মনে হয় খুব নোংরা, খারাপ কোন কাজ। এ যেন চুরি করা, বা মদ খাওয়া বা আরো খারাপ কিছু। এমনভাবেও কথা বলা হচ্ছে যে হুজি-বি এক ফালতু সংগঠন, যাদের সাথে কওমি ঘরানায় আজকের যারা মুরুব্বী আছেন তাদের কারো মনে হয় কস্মিনকালে কোন সম্পর্ক ছিল না। তাঁরা মনে হয় শুরু থেকেই এই “গোমরাহ”, “জঙ্গি”, “সন্ত্রাসী”দের বিরুদ্ধে ছিলেন।
।
যমুনা টিভি মিথ্যাচার করেছে, এবং শয়তানী কোন উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। এটি আমিও মনে করি। এবং তাদের জন্য ঘৃণা ব্যাতীত অন্য কিছু আমার অন্তরে নেই। কিন্তু ইতিহাসের বিকৃতি আজ শুধু যমুনা টিভির দিক থেকে হচ্ছে না। যারা যমুনা টিভির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বলছেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের অনেকে নিজেরাও ইতিহাসকে বদলে দিচ্ছেন। আজকে যারা হুজির সাথে সম্পর্ককে ‘জঘন্য, ঘৃণ্য, ন্যাক্কারজনক’ ইত্যাদি মনে করেন তাঁদের অনেকের মুরুব্বিরাই একসময় হুজি-কে সমর্থন করেছেন। আর আজ যারা এমন কথা বলছেন তাদের অনেককে অল্প কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি হুজি-বি এর কথা বলে গর্ব করতে। জিহাদের ময়দানে নিজেদের অবদানের প্রমাণ হিসাবে যারা একসময় হুজির কথা বলতো আজকে তারাই এটা বেমালুম অস্বীকার করতে চাচ্ছে।
।
হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশ, ছিল মুহাজির ও আনসারদের একটি সংগঠন। যার নেতারা খোরাসানের মহাকাব্যিক ভূমিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন। আরাকানের পাহাড়ে মগ-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন, এবং বাংলাদেশেও কর্মকান্ড চালিয়েছেন। তাঁদের ভালো কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ভুলত্রুটিও ছিল। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল পাকিস্তানের আইএসআই এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীকে বিশ্বাস করা। এই মুরতাদরা বিভিন্ন প্রতারণা ও কূটকৌশলের মাধ্যমে তাঁদের আরাকানের জিহাদকে নষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু ভুলত্রুটি সত্ত্বেও এ কথা ভুলে যাবার এবং অস্বীকার করা সুযোগ নেই যে হরকাতুল জিহাদের নেতা ও সদস্যবৃন্দ মুসলিম, মুজাহিদ। তাঁরা বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার সন্তান। উলামা ও তলাবা। কিভাবে তাঁদের সাথে সম্পর্ক থাকা আজ হঠাৎ ঘৃণ্য বা ন্যাক্কারজনক কিছু হয়ে গেল?
।
বড় আফসোসের ব্যাপারে। কওমি অঙ্গনের অবস্থা আজ এমন পর্যায়ে এসে গেছে যে শুধু তাগুতের বদনজরে পড়া থেকে বাঁচার জন্য জিহাদের সকল নামগন্ধ তাঁরা শরীর থেকে মুছে ফেলতে পেরেশান হয়ে গেছেন। একটি জিহাদি দলের সাথে সম্পর্ক, এটাকে তাদের কাছে খুব নোংরা কিছু মনে হচ্ছে।
।
এই প্রবণতা পুরনো। তবে এখন অনেক তীব্র পর্যায়ে পৌছে গেছে। তাগুতের বদনজর থেকে বাঁচতে গিয়ে ‘কওমি মাদ্রাসায় জঙ্গি তৈরি হয় না’ এ কথাটা তো একরকম মন্ত্রের মতোই হয়ে গেছে। আর বড়রা এই মন্ত্র জপতে জপতে আজ ছোটদের এমন এক প্রজন্ম বের হয়েছে যারা এই স্পষ্ট ইতিহাসকে শুধু অস্বীকারই করছে না, বরং যে মুজাহিদদের প্রশংসা তাঁদের বড়রা করেছিলেন তাঁদেরকে ‘গোমরাহ’ থেকে শুরু করে অনেক কিছু বানিয়ে ফেলছেন। এই কারণে মনে হল, ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার। যারা ৯৬-২০০৬ এই সময় দেখেছেন তাঁরা তো ইতিমধ্যে জানবেন যে আমার কথা সত্য না মিথ্যা। কিন্তু যারা দেখেননি তাঁদের জন্য কিছু প্রমাণ দিচ্ছি।
।
হুজি-বির ব্যাপারে বাংলাদেশের অনেক মুরব্বির কিছু বক্তব্যের স্ক্রিনশট দিচ্ছি। এখানে কাদের কাদের নাম আছে এবং কী কী বলা হয়েছে সেটা পাঠক নিজেই যাচাই করে নিবেন। তারপর বিবেচনা করবেন যে সত্য ইতিহাস কোনটা। সাথে আরও চিন্তা করবেন কে, কোন উদ্দেশ্য নিয়ে, ইতিহাস বিকৃত করে। ভেবে দেখবেন, যমুনা টিভি কেন ইতিহাস বিকৃত করে, আর মূলধারার দাবিদারেরাও বা কেন ইতিহাস চাপা দিতে চায়।
।
নিচের ছবিগুলোর ব্যাপারে সংক্ষেপে বলি –
নিচের ছবিগুলো মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রকাশিত বিভিন্ন দলিল থেকে নেয়া। ২০০১ এর পর থেকে আফগানিস্তানে, পাকিস্তানে এবং অন্যান্য স্থানে বন্দী এবং শহীদ হওয়া মুজাহিদিনের কাছ থেকে মার্কিন সেনারা যেসব দলিলাদি যোগাড় করতে সমর্থ হয়েছে, সেগুলোর বেশ কিছু ২০০৫ এর পর থেকে তারা প্রকাশ করে। এগুলোর নাম দেওয়া হয় হারমনি ডকুমেন্টস (অনেকটা এবোটাবাদ ডকুমেন্টস এর মতো)।
।
এই হারমনি ডকুমেন্টের মধ্যে একটি ডকুমেন্টে দেখা আল-[কায়ে]দা এর নেতৃবৃন্দের কাছে হুজি-বি এর ব্যাপারে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম এর সাক্ষ্য পাঠানো হয়েছে (উল্লেখ্য এখানে শায়খ জালালুদ্দিন হাক্কানীসহ পাকিস্তানি ও আফগানী অন্যান্য মুজাহিদিনের প্রশংসাপত্রও আছে)। আমি সেখান থেকে অল্প কিছু স্ক্রিনশট দিলাম। এগুলোর ইংরেজি অনুবাদও আছে, আপাতত শুধু আরবীই দিলাম। এই ডকুমেন্টের নাম্বার [AFGP-2002-] 800928। সবগুলো ফাইল অনলাইনে পাওয়া যায়। যে কেউ নামিয়ে দেখতে পারেন। এখানে লিঙ্ক দিলাম না কারণ ফেবু আটকে দিতে পারে। আর হারমনি ডকুমেন্টের ব্যাপারে জানতে দেখুন - https://en.wikipedia.org/wiki/Combat..._Center।
।
বুঝদার পাঠক এগুলো পড়ে পরে সিদ্ধান্ত নিন, বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার উলামায়ে কেরাম কোন ইতিহাস স্বীকার করবেন আর কোন ইতিহাস অস্বীকার করবেন। কোন অতীত আলিঙ্গন করবেন, আর কোনটি লুকাবেন? সেই সাথে এই প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া দরকার যে গোমরাহ কে? হুজি যদি গোমরাহ-ই হয়, এবং যারা জিহাদ করা তাঁরা যদি গোমরাহই হয়, তাহলে যারা ছবির এ কথাগুলো বলেছিলেন তাঁরাও কি গোমরাহ? তাঁরা কি আগে গোমরাহ ছিলেন এখন হক হয়েছেন? নাকি আগে হক ছিলেন এখন গোমরাহ হয়েছেন?
।
হক্কানিয়াত ও গোমরাহির নতুন পার্থক্য রেখা কখন টানা হয়েছে?
৯/১১ ও ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ আমেরিকার যুদ্ধ ঘোষনার পর কি?
আজকে এড়িয়ে গেলেও মূলধারার দাবিদারদের একদিন এসব প্রশ্নের জবাব দিতেই হবে।
(সংগৃহীত)
।
কথাটি মিথ্যা এবং মিথ্যাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, এটুকু ঠিক আছে। কিন্তু হুজি-বির প্রতিষ্ঠাতা বলা হচ্ছে, এটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বলা হচ্ছে, ‘জঘন্য অভিযোগ’, ‘ন্যাক্কারজনক অভিযোগ’ ‘ঘৃণ্য অভিযোগ’ – ইত্যাদি। যা থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে হুজি-বি এর নেতা হওয়া মনে হয় খুব নোংরা, খারাপ কোন কাজ। এ যেন চুরি করা, বা মদ খাওয়া বা আরো খারাপ কিছু। এমনভাবেও কথা বলা হচ্ছে যে হুজি-বি এক ফালতু সংগঠন, যাদের সাথে কওমি ঘরানায় আজকের যারা মুরুব্বী আছেন তাদের কারো মনে হয় কস্মিনকালে কোন সম্পর্ক ছিল না। তাঁরা মনে হয় শুরু থেকেই এই “গোমরাহ”, “জঙ্গি”, “সন্ত্রাসী”দের বিরুদ্ধে ছিলেন।
।
যমুনা টিভি মিথ্যাচার করেছে, এবং শয়তানী কোন উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। এটি আমিও মনে করি। এবং তাদের জন্য ঘৃণা ব্যাতীত অন্য কিছু আমার অন্তরে নেই। কিন্তু ইতিহাসের বিকৃতি আজ শুধু যমুনা টিভির দিক থেকে হচ্ছে না। যারা যমুনা টিভির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বলছেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের অনেকে নিজেরাও ইতিহাসকে বদলে দিচ্ছেন। আজকে যারা হুজির সাথে সম্পর্ককে ‘জঘন্য, ঘৃণ্য, ন্যাক্কারজনক’ ইত্যাদি মনে করেন তাঁদের অনেকের মুরুব্বিরাই একসময় হুজি-কে সমর্থন করেছেন। আর আজ যারা এমন কথা বলছেন তাদের অনেককে অল্প কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি হুজি-বি এর কথা বলে গর্ব করতে। জিহাদের ময়দানে নিজেদের অবদানের প্রমাণ হিসাবে যারা একসময় হুজির কথা বলতো আজকে তারাই এটা বেমালুম অস্বীকার করতে চাচ্ছে।
।
হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশ, ছিল মুহাজির ও আনসারদের একটি সংগঠন। যার নেতারা খোরাসানের মহাকাব্যিক ভূমিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন। আরাকানের পাহাড়ে মগ-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন, এবং বাংলাদেশেও কর্মকান্ড চালিয়েছেন। তাঁদের ভালো কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ভুলত্রুটিও ছিল। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল পাকিস্তানের আইএসআই এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীকে বিশ্বাস করা। এই মুরতাদরা বিভিন্ন প্রতারণা ও কূটকৌশলের মাধ্যমে তাঁদের আরাকানের জিহাদকে নষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু ভুলত্রুটি সত্ত্বেও এ কথা ভুলে যাবার এবং অস্বীকার করা সুযোগ নেই যে হরকাতুল জিহাদের নেতা ও সদস্যবৃন্দ মুসলিম, মুজাহিদ। তাঁরা বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার সন্তান। উলামা ও তলাবা। কিভাবে তাঁদের সাথে সম্পর্ক থাকা আজ হঠাৎ ঘৃণ্য বা ন্যাক্কারজনক কিছু হয়ে গেল?
।
বড় আফসোসের ব্যাপারে। কওমি অঙ্গনের অবস্থা আজ এমন পর্যায়ে এসে গেছে যে শুধু তাগুতের বদনজরে পড়া থেকে বাঁচার জন্য জিহাদের সকল নামগন্ধ তাঁরা শরীর থেকে মুছে ফেলতে পেরেশান হয়ে গেছেন। একটি জিহাদি দলের সাথে সম্পর্ক, এটাকে তাদের কাছে খুব নোংরা কিছু মনে হচ্ছে।
।
এই প্রবণতা পুরনো। তবে এখন অনেক তীব্র পর্যায়ে পৌছে গেছে। তাগুতের বদনজর থেকে বাঁচতে গিয়ে ‘কওমি মাদ্রাসায় জঙ্গি তৈরি হয় না’ এ কথাটা তো একরকম মন্ত্রের মতোই হয়ে গেছে। আর বড়রা এই মন্ত্র জপতে জপতে আজ ছোটদের এমন এক প্রজন্ম বের হয়েছে যারা এই স্পষ্ট ইতিহাসকে শুধু অস্বীকারই করছে না, বরং যে মুজাহিদদের প্রশংসা তাঁদের বড়রা করেছিলেন তাঁদেরকে ‘গোমরাহ’ থেকে শুরু করে অনেক কিছু বানিয়ে ফেলছেন। এই কারণে মনে হল, ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার। যারা ৯৬-২০০৬ এই সময় দেখেছেন তাঁরা তো ইতিমধ্যে জানবেন যে আমার কথা সত্য না মিথ্যা। কিন্তু যারা দেখেননি তাঁদের জন্য কিছু প্রমাণ দিচ্ছি।
।
হুজি-বির ব্যাপারে বাংলাদেশের অনেক মুরব্বির কিছু বক্তব্যের স্ক্রিনশট দিচ্ছি। এখানে কাদের কাদের নাম আছে এবং কী কী বলা হয়েছে সেটা পাঠক নিজেই যাচাই করে নিবেন। তারপর বিবেচনা করবেন যে সত্য ইতিহাস কোনটা। সাথে আরও চিন্তা করবেন কে, কোন উদ্দেশ্য নিয়ে, ইতিহাস বিকৃত করে। ভেবে দেখবেন, যমুনা টিভি কেন ইতিহাস বিকৃত করে, আর মূলধারার দাবিদারেরাও বা কেন ইতিহাস চাপা দিতে চায়।
।
নিচের ছবিগুলোর ব্যাপারে সংক্ষেপে বলি –
নিচের ছবিগুলো মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রকাশিত বিভিন্ন দলিল থেকে নেয়া। ২০০১ এর পর থেকে আফগানিস্তানে, পাকিস্তানে এবং অন্যান্য স্থানে বন্দী এবং শহীদ হওয়া মুজাহিদিনের কাছ থেকে মার্কিন সেনারা যেসব দলিলাদি যোগাড় করতে সমর্থ হয়েছে, সেগুলোর বেশ কিছু ২০০৫ এর পর থেকে তারা প্রকাশ করে। এগুলোর নাম দেওয়া হয় হারমনি ডকুমেন্টস (অনেকটা এবোটাবাদ ডকুমেন্টস এর মতো)।
।
এই হারমনি ডকুমেন্টের মধ্যে একটি ডকুমেন্টে দেখা আল-[কায়ে]দা এর নেতৃবৃন্দের কাছে হুজি-বি এর ব্যাপারে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম এর সাক্ষ্য পাঠানো হয়েছে (উল্লেখ্য এখানে শায়খ জালালুদ্দিন হাক্কানীসহ পাকিস্তানি ও আফগানী অন্যান্য মুজাহিদিনের প্রশংসাপত্রও আছে)। আমি সেখান থেকে অল্প কিছু স্ক্রিনশট দিলাম। এগুলোর ইংরেজি অনুবাদও আছে, আপাতত শুধু আরবীই দিলাম। এই ডকুমেন্টের নাম্বার [AFGP-2002-] 800928। সবগুলো ফাইল অনলাইনে পাওয়া যায়। যে কেউ নামিয়ে দেখতে পারেন। এখানে লিঙ্ক দিলাম না কারণ ফেবু আটকে দিতে পারে। আর হারমনি ডকুমেন্টের ব্যাপারে জানতে দেখুন - https://en.wikipedia.org/wiki/Combat..._Center।
।
বুঝদার পাঠক এগুলো পড়ে পরে সিদ্ধান্ত নিন, বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার উলামায়ে কেরাম কোন ইতিহাস স্বীকার করবেন আর কোন ইতিহাস অস্বীকার করবেন। কোন অতীত আলিঙ্গন করবেন, আর কোনটি লুকাবেন? সেই সাথে এই প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া দরকার যে গোমরাহ কে? হুজি যদি গোমরাহ-ই হয়, এবং যারা জিহাদ করা তাঁরা যদি গোমরাহই হয়, তাহলে যারা ছবির এ কথাগুলো বলেছিলেন তাঁরাও কি গোমরাহ? তাঁরা কি আগে গোমরাহ ছিলেন এখন হক হয়েছেন? নাকি আগে হক ছিলেন এখন গোমরাহ হয়েছেন?
।
হক্কানিয়াত ও গোমরাহির নতুন পার্থক্য রেখা কখন টানা হয়েছে?
৯/১১ ও ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ আমেরিকার যুদ্ধ ঘোষনার পর কি?
আজকে এড়িয়ে গেলেও মূলধারার দাবিদারদের একদিন এসব প্রশ্নের জবাব দিতেই হবে।
(সংগৃহীত)
Comment