Announcement

Collapse
No announcement yet.

২০টি মিলিটারি ট্যাকটিকস;যা অবশ্যই আত্মস্থ করতে হবে

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ২০টি মিলিটারি ট্যাকটিকস;যা অবশ্যই আত্মস্থ করতে হবে

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমার পূর্বের আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম ভারতবর্ষের ব্যাপারে নমুনা প্ল্যানের ব্যাপারে। অনেকেরই হয়তো এটা মনে আছে। সেই আইডিটির পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ায় এই নতুন আইডিতে আসা।

    তো সে যাই হোক, আজকে নিয়ে আসলাম খুবই সহজ কিন্তু প্রচণ্ড রকমের গুরুত্বপূর্ণ ২০টি ট্যাকটিক্স নিয়ে। এগুলো প্রত্যেকটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, এবং গুরুত্বপূর্ণ এগুলো নিজেদের চাহিদা অনুসারে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার সক্ষমতাও। এখানে আমি যা লিখেছি তা যে পুঙ্ক্ষাণুপুঙ্ক্ষভাবে মানতে হবে এরকম কোন কথা নাই। আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক। মিডিয়ার ভাইয়েরা চাইলে এটিকে কপি করে পিডিএফ আকারে আপলোড দিতে পারেন।


    #১
    নিজেদেরকে গোপন রাখার জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় আত্মগোপন করা, কিংবা নির্জন স্থানে আশ্রয় নেওয়া, কিংবা কোনো বস্তু যেমন গাড়ি বা অন্যকিছুর আড়াল নেওয়া এগুলো সন্দেহজনক কাজ যা তাগুত বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজেদেরকে সাধার*ণ মানুষের সাথে মিশিয়ে ফেলতে হবে যা আলাদা করা না যায়। নিজেদেরকে সাধারণদের মত প্রকাশ্যে দেখিয়ে নিজের উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য কাজ করে যেতে হবে।

    #২
    শত্রু যখন খুবই শক্তিশালী থাকে যে তারা ডাইরেক্ট আক্রমণে সক্ষম, তখন আমাদেরকে তাদের সবচেয়ে সেন্সিটিভ জায়গায় হামলা চালাতে হবে। শত্রু যদি কোনো ক্যাম্পেইনে(দেশের দূরবর্তী অঞ্চলে অভিযান) থাকে, তবে তাদের হার্ট বা মূল শহর দুর্বলতায় থাকে, আমাদের সেখানে হামলা চালাতে হবে(মধ্যযুগে বেশি প্রযোজ্য ছিল, তবে একটু পরিবর্তন করলে এখনও এই ট্রিক্স থেকে উপকৃত হওয়া সম্ভব। যেমন থানার পুলিশ যদি অন্য কোথাও অভিযানে থাকে তবে সাধারণত থানা দুর্বল স্থানে পরিণত হয়)। কোন আর্মি যদি ফাস্ট হয়, তবে তার ব্যাগেজ অবশ্যই স্লো হয়, কোন আর্মি যদি ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয় তবে তার অর্থনৈতিক অবস্থায় টান পড়ে(এগুলো 'সাধারণত' ময়দানে বেশি কাজে দেয়)। সবসময় মনে রাখবেন শত্রুকে দেখতে যতোই অভেদ্য মনে হোক না কেন, তাদের ডিফেন্সে খুত থাকবেই।

    #৩
    যদি ডাইরেক্টলি শত্রুকে আঘাত করতে না পারেন তবে শত্রুর শত্রুকে আপনার শত্রুর বিরুদ্ধে কৌশলগতভাবে লেলিয়ে দিন। এতে শত্রুর যুদ্ধের খরচ বেড়ে যাবে, তারা দুর্বল হয়ে পড়বে।(এটি শারঈভাবে বৈধ কিনা তা বিবেচনা করতে হবে)

    #৪
    শত্রুদের সাথে ঠিক কোথায় সংঘর্ষে জড়াবেন তা ঠিক করা উচিত আপনার, মোটেই শত্রুকে ঠিক করতে দিবেন না। মনে রাখবেন আপনি যদি হিসাব করে সংঘর্ষের স্থান ঠিক করে রাখেন তবে আপনি জানবেন কখন কী পদক্ষেপ নিতে হবে, কিন্তু শত্রু জানবে না। চেষ্টা করুন কোনো ব্যাটল/গাযওয়ায় আপনার আক্রমণের পূর্বে যেন শত্রু তার শক্তি ক্ষয় করে ফেলে। অতঃপর তারা দুর্বল হলে আপনি ঝাপিয়ে পড়ুন।

    #৫
    শত্রুরা তাদের ভেতরে দুর্বল থাকলে তারা বাইরের সিদ্ধান্ত সহজে নিতে পারে না। তখনই আক্রমণ করার সময়। উদাহরণ হতে পারে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময়ে আক্রমণ করা। এতে শত্রুরা সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করবে, ততক্ষনে তারা শ্যাষ।

    #৬
    শত্রুকে ভুল ক্লু দিন। ভান করুন যে আপনি নিজেকে ডিফেন্স করার জন্য ব্যস্ত, কিন্তু ভেতরে ভেতরে আক্রমণের প্রস্তুতি নিন। এমনভাবে আক্রমণ করুন যেভাবে সে আশা করেনি।

    #৭
    আপনার আক্রমন পরিচালনা করুন একাধিক স্তরে। প্রথমবার বা পরপর দুইবার তাকে আক্রমণ করে তাদের শক্তি শেষ হতে দিন। অতঃপর আপনার আসল হামলা করুন। (সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

    #৮
    যদি হঠাৎ আক্রমন করে একবারে শত্রুকে খতম করে শেষ করে দিতে পারেন তবে তাই করুন, আক্রমনের মাঝে সময় গ্যাপ দিয়ে শত্রুকে পুনরায় গড়ে উঠতে দেওয়া বোকামী।

    #৯
    বড় সাফল্যের জন্য ছোট ছোট ব্যর্থতা স্বাভাবিক।

    #১০
    পুঙ্ক্ষাণুপুঙ্ক্ষভাবে প্রতিটি ছোটবড় সুযোগকে মাথায় রেখে প্ল্যান করুন। কোন কিছুই বাদ দিবেন না।

    #১১
    যদি শত্রুর ডিফেন্স বুঝতে সক্ষম না হন তখন ছোট হামলা দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করুন। এতে তার পরিকল্পনার কিছুটা হলেও ফাস হয়ে যাবে।

    #১২
    ভুলে যাওয়া অতীতের কোন ইস্যু যার সাথে মানুষের আবেগ জড়িত তাকে পুনরায় জাগিয়ে দিন। তারপর সেটাকে নিজেদের সুবিধামত কাজে লাগান।(এটি অবশ্য ম্যাস মাইন্ড কন্ট্রোলের স্ট্রাটেজি)

    #১৩
    শত্রুকে কখনই ডাইরেক্টলি হামলা করবেন না। আপনি ডাইরেক্টলি হামলা করবেন এই কথা ধরেই সে তার ডিফেন্স সাজিয়েছে। আপনি তার কল্পনার বাইরের জায়গা থেকে হামলা করবেন এবং চেষ্টা করবেন যেন শত্রু তার শক্তির সোর্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, হতে পারে সেটা সাপ্লাই, পানির উৎস বা বিদ্যুত উৎস কিম্বা তার মূল ঘাটি।

    #১৪
    আপনার শত্রুকে টোপ দেখিয়ে আপনার ফাদে টেনে আনুন। ময়দানে টোপ হতে পারে কোন এলাকা দখলের লোভ, পানির উৎস, বা অন্য কিছু। সিভিলিয়ান জীবনে শয়তানও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। সে সম্পদ, পরিবার, যশখ্যাতি এসবকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে।

    #১৫
    শত্রুর মস্তিষ্ককে আঘাত করুন। সেটা হল লিডার। সে শ্যাষ হয়ে গেলে বাকিগুলোর মনোবল ভেঙ্গে পড়বে।

    #১৬
    নিজেদের থেকে শক্তিশালি শত্রুকে বশে আনার জন্য তার শক্তির উৎসকে ধ্বংস করে দিন। যেমন কমিউনিকেশন সিস্টেম, বিদ্যুৎ, পানি ও খাবার সাপ্লাই।

    #১৭
    শত্রুকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন।

    #১৮
    ময়দানে আপনার শত্রু ছাড়াও তৃতীয় পক্ষ আছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

    #১৯
    শত্রুর নিকটে নিজেদেরকে দুর্বল হিসেবে উপস্থাপন করুন। এতে করে সে আপনার বিরুদ্ধে কম ডিফেন্স নিবে।

    #২০
    যদি আপনি শত্রুর সাথে পেরে না উঠেন, তবে আপনার কাছে তিনটি রাস্তা খুলা থাকে। শত্রুর কাছে সারেন্ডার করা, এটিকে মুসলিমরা ঘৃনা করে। শত্রুর সাথে চুক্তি করা, এটি কখনও জয় কখনও পরাজয়। তৃতীয়টি হলে ময়দান থেকে সাময়িকভাবে সরে আসা। শেষের দুটি থেকে যেটি উপযুক্ত সেটি বাছাই করা।




    প্রত্যেকটি টিপস মাথায় রেখে প্ল্যান করতে হবে।


    (36 strategies বইয়ের ভাবানুবাদ, যদিও খুব কমই মিল আছে। এছাড়া নিজের কথাও আছে)।

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সকলে শেয়ার করুন ইংশাআল্লাহ
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর টিপস।
      আল্লাহ তা‘আলা আপনার খেদমত কবুল করুন ও জাযা দান করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খায়রান

        Comment


        • #5
          আখি ফিল্লাহ! আপনার পূর্বের আইডি নাম কি ছিল? আগের পোষ্ট পুনরায় কপি করে নতুন করে পোষ্ট করলে আমাদের জন্য ভাল হতো।
          বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
          কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ আপনার কাজকে কবুল করুন আমীন। প্রিয় ভাই, আল শাবাব ভাইদের আক্রমনের উপর একটি পোস্ট দেওয়ার অনুরোধ। ভাইদের আক্রমণগুলো আপনার দেওয়া নিয়মগুলোকে অনুসরণ করে। আল শাবাব ভাইদের একটি আমালিয়্যাত দেখেছিলাম, ভাইয়েরা, খুব সহজেই ভারি সাজোওয়া যান ও হাব্বিগুলোকে ধংস করে ছিলো। গোপন উৎস থেকে রকেট ও সল্প দূরত্বের মিসাইল দিয়ে হাব্বিগুলোকে ধংস করে ছিলো। ভিডিওতে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছিলো। দেখা গেছে শত্রু শক্তিশালী হওয়া সত্যেও পালাতে বাধ্য হয়েছিলো!
            কয়েকটি ধাপে আক্রমণ করেছিলো।
            রকেট,
            মিসাইল।
            ৪৭ দিয়ে ফায়ারিং, ( শত্রুকে ফায়ারিংয়ের উপর রাখা)
            স্নাইপার, ( শত্রুর হাব্বির উপরে থাক করে থাকা স্নাইপারগুলোকে মুজাহিদ ভাইদের অতর্কিত স্নাইপার আঘাত করে ধংস করে দেওয়া।
            শত্রুর গারীর চাকা ধংস করে দেওয়া ও ড্রাইবারকে আগে হত্যা করা।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              এমন আরো টিপস চাই প্রিয়

              Comment


              • #8
                আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কবুল করুন
                فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                Comment

                Working...
                X