আচ্ছা, এক কিতালের প্রসঙ্গ আসলেই কি শুধু বলা হবে, অতি জযবা ভয়ংকর? অন্যান্য ক্ষেত্রে চর্চিত হবে ভিন্ন মূলনীতি? জযবার ঠেলায় কেউ যদি জিকির করতে করতে বাঁশের আগায় উঠে যায়, বলা হবে এটা হলো ইশকের বিষয় আর ইশক হলো প্রশংসনীয়। কোনো ছাত্র রাতে ঘুমায় না বা খুব অল্প ঘুমায়। বলা হবে মাশাআল্লাহ। ইলমের জন্য কত জযবা! অতি জযবা প্রশংসনীয়। কারণ, নিজের সর্বস্ব ইলমকে না দিলে ইলম তার আংশিকও কাউকে দেয় না। দাওয়াতের জন্য অতি জযবা প্রদর্শন করলে, এ পথে জান-মাল সব উজাড় করলে, সর্বপ্রকার কষ্ট ও ত্যাগ হাসিমুখে মাথা পেতে নিলে বলা হবে, সে তো সিদ্দিকে আকবারের আদর্শ জিন্দা করেছে। নিজের সব সম্পদ এনে দীনের পথে উজাড় করে দিয়েছে। এমন জযবা তো অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
আপনাদের মাহফিলগুলোতে বৃষ্টির সময়ে ভিজে ভিজে মানুষরা কথা শুনলেও বলা হবে, মাশাআল্লাহ মারহাবা, দীনের জন্য কত জযবা। অতি জযবা প্রশংসনীয়। কোনো শিক্ষক তার দায়িত্বের বাইরেও অতি জযবা প্রদর্শন করে সারাদিন ছাত্রদের লেখাপড়ার পেছনে মেহনত করলে বলবেন, অমুক কতই না ভালো! এমন জযবা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আপনাদের কুফরি গণতন্ত্রের ইসলামি (!) ভার্সনের পেছনে কেউ দিনরাত শ্রম ব্যয় করলেও বলবেন, মানুষ একটা। জিহাদের (!) পথে এমন দু-চারজন অতি জযবাতি না থাকলে তো কাজে রুহ থাকে না। মেহনত গতি পায় না। কেউ অতি জযবা দেখিয়ে দিনের পর দিন রোজা রাখলে, রাতভর জেগে নামাজ পড়লে বা অধ্যয়ন চালালে, প্রতিবছর হজ ও উমরায় গেলে এই আপনারাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন।
সবক্ষেত্রেই অতি জযবার বড় কদর। কেউ সুন্নত নিয়ে অতি জযবা দেখালে তাকে বানিয়ে দেন মুহিউস সুন্নাহ। কেউ আপনাদের রাজনীতি নিয়ে অতি জযবা দেখালে তাকে বানিয়ে দেন জানবাজ মুজাহিদ ও ফেদায়ে মিল্লাত। একটা প্রসঙ্গ আসলেই শুধু শুরু হয় চুলকানি। এখানে অতি জযবা তো দূরের কথা, সাধারণ জযবাটুকুও কেউ সইতে পারে না। জযবা তো দূরের কথা, এর নামটা শুনলেও বাঁকা নজরে তাকায়। এর বইপত্র রাখা অপরাধ। এর জন্য যেকোনো ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ অপরাধ। এমনকি এ বিষয়ে দুঃখ জাহির করাও অপরাধ। সবই অপরাধ। অপরাধ নয় শুধু মুনাফিক সাজা। অপরাধ নয় শুধু ইসলাম থেকে একটা বিধান বাদ দিয়ে ফেলা।
____সংগ্রহীত
আপনাদের মাহফিলগুলোতে বৃষ্টির সময়ে ভিজে ভিজে মানুষরা কথা শুনলেও বলা হবে, মাশাআল্লাহ মারহাবা, দীনের জন্য কত জযবা। অতি জযবা প্রশংসনীয়। কোনো শিক্ষক তার দায়িত্বের বাইরেও অতি জযবা প্রদর্শন করে সারাদিন ছাত্রদের লেখাপড়ার পেছনে মেহনত করলে বলবেন, অমুক কতই না ভালো! এমন জযবা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আপনাদের কুফরি গণতন্ত্রের ইসলামি (!) ভার্সনের পেছনে কেউ দিনরাত শ্রম ব্যয় করলেও বলবেন, মানুষ একটা। জিহাদের (!) পথে এমন দু-চারজন অতি জযবাতি না থাকলে তো কাজে রুহ থাকে না। মেহনত গতি পায় না। কেউ অতি জযবা দেখিয়ে দিনের পর দিন রোজা রাখলে, রাতভর জেগে নামাজ পড়লে বা অধ্যয়ন চালালে, প্রতিবছর হজ ও উমরায় গেলে এই আপনারাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন।
সবক্ষেত্রেই অতি জযবার বড় কদর। কেউ সুন্নত নিয়ে অতি জযবা দেখালে তাকে বানিয়ে দেন মুহিউস সুন্নাহ। কেউ আপনাদের রাজনীতি নিয়ে অতি জযবা দেখালে তাকে বানিয়ে দেন জানবাজ মুজাহিদ ও ফেদায়ে মিল্লাত। একটা প্রসঙ্গ আসলেই শুধু শুরু হয় চুলকানি। এখানে অতি জযবা তো দূরের কথা, সাধারণ জযবাটুকুও কেউ সইতে পারে না। জযবা তো দূরের কথা, এর নামটা শুনলেও বাঁকা নজরে তাকায়। এর বইপত্র রাখা অপরাধ। এর জন্য যেকোনো ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ অপরাধ। এমনকি এ বিষয়ে দুঃখ জাহির করাও অপরাধ। সবই অপরাধ। অপরাধ নয় শুধু মুনাফিক সাজা। অপরাধ নয় শুধু ইসলাম থেকে একটা বিধান বাদ দিয়ে ফেলা।
____সংগ্রহীত
Comment