বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য। সালাম ও সালাত বর্ষিত হোক নবি মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও সাহাবাদের উপর।
যেসব ভাইয়েরা মাঠপর্যায়ে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত তাদের প্রতি ঘরে, বাইরে সবক্ষেত্রেই অসংখ্য অনুরোধ জমে আছে। সব নয়, তবে আজ তার কিছু বলবো।
.
গ্লোবাল জিহাদের প্রস্তুতিপর্বে বর্তমানে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাদেশ অনেকাংশেই পিছিয়ে আছে। সমর্থক ও লেখক বাড়লেও দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মীর বড়ই সংকট। কেননা তাওহিদের দাওয়াহ ও এর হাকিকত উপলব্ধি করা ব্যতীত জিহাদি চেতনা খুব একটা ফলপ্রসূ হয় না।
তাই, মুজাহিদ দায়ি ও আলিমদের প্রতি আমার আবেদন, আপনারা ঘরে ঘরে তাওহিদের দাওয়াহ পৌছে দিন যেন মানুষের অন্তরে এটি বদ্ধমূল হয়ে যায়। উসুলি আলোচনায় কি লাভ যদি অন্তরে তাওহিদের চিত্র অংকিত না হয়।
.
দ্বিতীয়ত, বিচ্ছিন্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুমিনদের অন্তরের হতাশা দূর করতে ও তাদের উৎসাহিত করতে কিতাল ও জিহাদের ময়দানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। ময়দানে অবস্থানরত ভাইদের ফেইসবুক ও টুইটারে অনলাইনভিত্তিক দাওয়াহর মাধ্যমেই তা সম্ভব। আপনারা দাওলার দিকেই লক্ষ্য করুন, তারা কিভাবে যুবকদের মিডিয়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করেছে। হ্যা, ত্রুটিপূর্ণ আকিদাহ ও ভুল পদক্ষেপের কারণে তারা প্রায় ধ্বংস হয়েছে কিন্তু মিডিয়ার কাজে তাদের রুচি, দক্ষতা ও কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আমার জানামতে, টর ব্যবহার করে বর্তমানে নতুনভাবে ফেইসবুক পেইজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ময়দানে অবস্থানরত ভাইরা দেশীয় তাগুতের হুমকি ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যার উর্ধ্বে। মিডিয়াতে তাদের ছোট ছোট উপদেশমালা মুমিনদের অন্তরকে নিঃসন্দেহে উজ্জীবিত ও শক্তিশালী করবে। পেইজের সুবিধা হলো, নিজেকে আড়ালে রাখা গেলে রিয়ার আশংকা থেকে মুক্ত থাকা যায়৷ ইনডিভিজুয়াল ফেইক আইডি ব্যবহারেও কিছু আশংকা থেকেই যায়।
.
তৃতীয়ত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অলসতা পরিহার করে নিজেরা আন্তরিক হোন এবং ঘরের নারীদের তালিম ও তারবিয়াত শিক্ষা দিন। ফেইসবুক আর্টিকেল, ইউটিউব ও বই ধরিয়ে না দিয়ে বরং, আপনারা নিজেরাই তাদের নিয়ে বসুন। সুন্দর কথার দ্বারা, সবরের সাথে তাদের তাওহিদের শিক্ষায় সুশিক্ষিত করুন। এতে করে আপনাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, ভালোবাসা ও বন্ধন আরো সুদৃঢ় ও মজবুত হবে৷
লক্ষণীয়, কেবল হাকিমিয়াহ-ই যথেষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ তাওহিদ নয়। নারীদের একটি বিরাট অংশ আসমা ওয়াস সিফাতের বিশুদ্ধ জ্ঞান রাখে না, রুবুবিয়াত ও উলুহিয়াতের স্বরুপ জানে না। ই'তিদাল, ইরতিদাদ, ইস্তিহলাল, ইরজা ও গুলুহ এসব আলোচনা তাদের কাছে রীতিমতো দুর্বোধ্য ঠেকে। অনেকেই বলেন তাদের পর্দা ও স্বামীর আনুগত্য শিখলেই চলবে, যেন ইলমচর্চা ও বিভিন্ন শ্রেণীর ইলমি আলোচনাগুলো শুধুই পুরুষদের জন্য। নারীদের এসবে কি ফায়দা। আসলেই কি তাই? তাহলে ভেবে দেখুন, আপনার অবর্তমানে তারা আপনার সন্তানদের কি শেখাবে? কিভাবে তাদের অন্তরে তাওহিদ প্রতিষ্ঠার ফিকির আসবে? কিভাবে তাদের কোলে নবির উত্তরসূরিরা বেড়ে উঠবে? নারীদের অজ্ঞতার ফলেই আজ দ্বীনি, বদদ্বীনি সবক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
.
মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী প্রত্যেকেই উম্মাহর সম্পদ। একজন শিক্ষিত নারীই পারে একটি বিজয়ী ও ইমানদীপ্ত প্রজন্ম উপহার দিতে। এই ক্রান্তিকালে নারীদের পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ ছাড়া উম্মাহ কিছুতেই এগোতে পারবে না। 'কেবল' পর্দাসংক্রান্ত ইলম নয়, বাবা, মা, ভাই কিংবা স্বামীর প্রতি আনুগত্যের ইলম নয় বরং এসবকিছুর পেছনে তাওহিদের যে নিগুঢ় রহস্য ও তত্ত্ব লুক্কায়িত, সেব্যাপারেও তাদের ইলম ও গভীর উপলব্ধি থাকতে হবে। তাদের কাছে ইলম ও দাওয়াহ পৌছে দেবার দায়িত্ব আপনাদেরই।
.
পাশাপাশি এই বাস্তবতা সম্পর্কেও তাদের বেখেয়াল করে রাখবেন না যে, এই তাওহিদের পথ সবর, অশ্রু ও রক্তে রচিত হয়। এই পথে আছে হারানোর ব্যথা ও নিদারুণ কষ্টের হাহাকার। আবার এ পথের শেষেই আছে মুক্তি ও চিরবিশ্রাম। উম্মাহ আজ এমন সময়ে উপনীত হয়েছে যেখানে আমাদের রাজকন্যাদের আর পুতুল নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এখন তাদেরকে নিজ পরিবারের জন্য, উম্মাহর জন্য কঠোর পরিশ্রম ও মেহনত করতে হবে। তাই তাওহিদ প্রতিষ্ঠার এই কাফিলায় তাদের মেধা ও কর্মশক্তিকে বিফলে যেতে দেবেন না। তাদের অলস ও অকর্মণ্য করে রাখবেন না। মিডিয়া ও অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়গুলোতে যত্নের সাথে আপনার নারীদের সম্পৃক্ত করুন। তাদের সাথে তাওহিদের আলোচনা করুন। তাওহিদ ও জিহাদের মজলিশগুলোতে পরোক্ষভাবে তাদেরকেও সাথী করে নিন। ফেমিনিজম, সেক্যুলারিজমের নীল বিষ থেকে বিরত রাখতে কিতাবুল্লাহর জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। তাওহিদই সবকিছুর মূলমন্ত্র। তাই তাদেরকে এর ইলম অর্জন ও বাস্তবায়নে উদ্ধুদ্ধ করুন।
.
চতুর্থত, অহংকার ও নিজেকে নাসিহার উর্দ্ধে মনে করা থেকে বেঁচে থাকুন। রহমানের বান্দা তারাই যারা জমিনে বিনয়ী হয়ে চলাফেরা করে, সালাত প্রতিষ্ঠা করে... খ্যাতি যেন আপনাদের মানদণ্ড না হয়। বিখ্যাতদের বিপরীতে অন্যরা যেন আপনাদের তাচ্ছিল্যের স্বীকার না হয়। সর্বদা মুহাসাবা ও ইস্তিগফারে লিপ্ত থাকুন।
.
পঞ্চমত, বাবা মা ও আত্মীয়স্বজনের হকের প্রতি যত্নশীল হোন। ফিতনার আশংকা না থাকলে অন্তত কিছুক্ষেত্রে সামাজিক সম্পৃক্ততা বজায় রাখুন। এতে আপনার দাওয়াহর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
আপাতত এতটুকুই। আল্লাহ আমাদের প্রতিটি সময়কে কাজে লাগানোর তাওফিক দিন। আমিন।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য। সালাম ও সালাত বর্ষিত হোক নবি মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও সাহাবাদের উপর।
যেসব ভাইয়েরা মাঠপর্যায়ে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত তাদের প্রতি ঘরে, বাইরে সবক্ষেত্রেই অসংখ্য অনুরোধ জমে আছে। সব নয়, তবে আজ তার কিছু বলবো।
.
গ্লোবাল জিহাদের প্রস্তুতিপর্বে বর্তমানে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাদেশ অনেকাংশেই পিছিয়ে আছে। সমর্থক ও লেখক বাড়লেও দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মীর বড়ই সংকট। কেননা তাওহিদের দাওয়াহ ও এর হাকিকত উপলব্ধি করা ব্যতীত জিহাদি চেতনা খুব একটা ফলপ্রসূ হয় না।
তাই, মুজাহিদ দায়ি ও আলিমদের প্রতি আমার আবেদন, আপনারা ঘরে ঘরে তাওহিদের দাওয়াহ পৌছে দিন যেন মানুষের অন্তরে এটি বদ্ধমূল হয়ে যায়। উসুলি আলোচনায় কি লাভ যদি অন্তরে তাওহিদের চিত্র অংকিত না হয়।
.
দ্বিতীয়ত, বিচ্ছিন্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুমিনদের অন্তরের হতাশা দূর করতে ও তাদের উৎসাহিত করতে কিতাল ও জিহাদের ময়দানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। ময়দানে অবস্থানরত ভাইদের ফেইসবুক ও টুইটারে অনলাইনভিত্তিক দাওয়াহর মাধ্যমেই তা সম্ভব। আপনারা দাওলার দিকেই লক্ষ্য করুন, তারা কিভাবে যুবকদের মিডিয়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করেছে। হ্যা, ত্রুটিপূর্ণ আকিদাহ ও ভুল পদক্ষেপের কারণে তারা প্রায় ধ্বংস হয়েছে কিন্তু মিডিয়ার কাজে তাদের রুচি, দক্ষতা ও কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আমার জানামতে, টর ব্যবহার করে বর্তমানে নতুনভাবে ফেইসবুক পেইজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ময়দানে অবস্থানরত ভাইরা দেশীয় তাগুতের হুমকি ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যার উর্ধ্বে। মিডিয়াতে তাদের ছোট ছোট উপদেশমালা মুমিনদের অন্তরকে নিঃসন্দেহে উজ্জীবিত ও শক্তিশালী করবে। পেইজের সুবিধা হলো, নিজেকে আড়ালে রাখা গেলে রিয়ার আশংকা থেকে মুক্ত থাকা যায়৷ ইনডিভিজুয়াল ফেইক আইডি ব্যবহারেও কিছু আশংকা থেকেই যায়।
.
তৃতীয়ত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অলসতা পরিহার করে নিজেরা আন্তরিক হোন এবং ঘরের নারীদের তালিম ও তারবিয়াত শিক্ষা দিন। ফেইসবুক আর্টিকেল, ইউটিউব ও বই ধরিয়ে না দিয়ে বরং, আপনারা নিজেরাই তাদের নিয়ে বসুন। সুন্দর কথার দ্বারা, সবরের সাথে তাদের তাওহিদের শিক্ষায় সুশিক্ষিত করুন। এতে করে আপনাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, ভালোবাসা ও বন্ধন আরো সুদৃঢ় ও মজবুত হবে৷
লক্ষণীয়, কেবল হাকিমিয়াহ-ই যথেষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ তাওহিদ নয়। নারীদের একটি বিরাট অংশ আসমা ওয়াস সিফাতের বিশুদ্ধ জ্ঞান রাখে না, রুবুবিয়াত ও উলুহিয়াতের স্বরুপ জানে না। ই'তিদাল, ইরতিদাদ, ইস্তিহলাল, ইরজা ও গুলুহ এসব আলোচনা তাদের কাছে রীতিমতো দুর্বোধ্য ঠেকে। অনেকেই বলেন তাদের পর্দা ও স্বামীর আনুগত্য শিখলেই চলবে, যেন ইলমচর্চা ও বিভিন্ন শ্রেণীর ইলমি আলোচনাগুলো শুধুই পুরুষদের জন্য। নারীদের এসবে কি ফায়দা। আসলেই কি তাই? তাহলে ভেবে দেখুন, আপনার অবর্তমানে তারা আপনার সন্তানদের কি শেখাবে? কিভাবে তাদের অন্তরে তাওহিদ প্রতিষ্ঠার ফিকির আসবে? কিভাবে তাদের কোলে নবির উত্তরসূরিরা বেড়ে উঠবে? নারীদের অজ্ঞতার ফলেই আজ দ্বীনি, বদদ্বীনি সবক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
.
মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী প্রত্যেকেই উম্মাহর সম্পদ। একজন শিক্ষিত নারীই পারে একটি বিজয়ী ও ইমানদীপ্ত প্রজন্ম উপহার দিতে। এই ক্রান্তিকালে নারীদের পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ ছাড়া উম্মাহ কিছুতেই এগোতে পারবে না। 'কেবল' পর্দাসংক্রান্ত ইলম নয়, বাবা, মা, ভাই কিংবা স্বামীর প্রতি আনুগত্যের ইলম নয় বরং এসবকিছুর পেছনে তাওহিদের যে নিগুঢ় রহস্য ও তত্ত্ব লুক্কায়িত, সেব্যাপারেও তাদের ইলম ও গভীর উপলব্ধি থাকতে হবে। তাদের কাছে ইলম ও দাওয়াহ পৌছে দেবার দায়িত্ব আপনাদেরই।
.
পাশাপাশি এই বাস্তবতা সম্পর্কেও তাদের বেখেয়াল করে রাখবেন না যে, এই তাওহিদের পথ সবর, অশ্রু ও রক্তে রচিত হয়। এই পথে আছে হারানোর ব্যথা ও নিদারুণ কষ্টের হাহাকার। আবার এ পথের শেষেই আছে মুক্তি ও চিরবিশ্রাম। উম্মাহ আজ এমন সময়ে উপনীত হয়েছে যেখানে আমাদের রাজকন্যাদের আর পুতুল নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এখন তাদেরকে নিজ পরিবারের জন্য, উম্মাহর জন্য কঠোর পরিশ্রম ও মেহনত করতে হবে। তাই তাওহিদ প্রতিষ্ঠার এই কাফিলায় তাদের মেধা ও কর্মশক্তিকে বিফলে যেতে দেবেন না। তাদের অলস ও অকর্মণ্য করে রাখবেন না। মিডিয়া ও অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়গুলোতে যত্নের সাথে আপনার নারীদের সম্পৃক্ত করুন। তাদের সাথে তাওহিদের আলোচনা করুন। তাওহিদ ও জিহাদের মজলিশগুলোতে পরোক্ষভাবে তাদেরকেও সাথী করে নিন। ফেমিনিজম, সেক্যুলারিজমের নীল বিষ থেকে বিরত রাখতে কিতাবুল্লাহর জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। তাওহিদই সবকিছুর মূলমন্ত্র। তাই তাদেরকে এর ইলম অর্জন ও বাস্তবায়নে উদ্ধুদ্ধ করুন।
.
চতুর্থত, অহংকার ও নিজেকে নাসিহার উর্দ্ধে মনে করা থেকে বেঁচে থাকুন। রহমানের বান্দা তারাই যারা জমিনে বিনয়ী হয়ে চলাফেরা করে, সালাত প্রতিষ্ঠা করে... খ্যাতি যেন আপনাদের মানদণ্ড না হয়। বিখ্যাতদের বিপরীতে অন্যরা যেন আপনাদের তাচ্ছিল্যের স্বীকার না হয়। সর্বদা মুহাসাবা ও ইস্তিগফারে লিপ্ত থাকুন।
.
পঞ্চমত, বাবা মা ও আত্মীয়স্বজনের হকের প্রতি যত্নশীল হোন। ফিতনার আশংকা না থাকলে অন্তত কিছুক্ষেত্রে সামাজিক সম্পৃক্ততা বজায় রাখুন। এতে আপনার দাওয়াহর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
আপাতত এতটুকুই। আল্লাহ আমাদের প্রতিটি সময়কে কাজে লাগানোর তাওফিক দিন। আমিন।
Comment