Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইসলাম প্রচারে তরবারীর ভূমিকা (পর্ব-১ ‘তলোয়ারে নয় উদারতায়’ শীর্ষক শ্লোগানের উৎপত্তি; সংক

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইসলাম প্রচারে তরবারীর ভূমিকা (পর্ব-১ ‘তলোয়ারে নয় উদারতায়’ শীর্ষক শ্লোগানের উৎপত্তি; সংক

    ইসলাম প্রচারে তরবারীর ভূমিকা

    ‘তলোয়ারে নয় উদারতায়’ শীর্ষক শ্লোগানের উৎপত্তি


    ১৪৯৩ সনে আন্দালুসে সর্বশেষ মুসলিম ভূখন্ড গ্রানাডার পতনের পর খৃষ্টান পাদ্রী আন্দালুসকে পর্তুগাল ও স্পেনের মাঝে ভাগ করে দেয়। এর অব্যব্যহিত পরেই পর্তুগালের রাজার নির্দেশে জলদস্যু ভাস্কো-দা-গামা মুসলিম ভূমির সমুদ্র পথ আবিষ্কারের জন্য বেরিয়ে পড়ে। সে যখন উত্তমাশা অন্তরীপ প্রদক্ষিণ করে ভারত সাগরে পৌঁছে তখন সে বলে উঠে “এই তো আমরা মুসলিম ভূমিসমূহের গলায় রশি পেঁচিয়ে ফেলেছি, এখন শুধু আমরা রশিতে টান দিবো তাহলেই তা শাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাবে।” পর্তুগালের পর বৃটেন, ফ্রান্স, হল্যান্ড, ইটালী ও ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্র মুসলিম *ভূমিসমূহ জবরদখলের জন্য নিজেদের মাঝে প্রতিযোগীতা শুরু করে। এমনকি উনবিংশ শতাব্দীতে এসে তারা প্রায় পুরো মুসলিম বিশ্ব দখল করে নেয়। (আলমুস্তাশরিকুনা ওয়াল ইসলাম, মুহাম্মদ কুতুব, পৃ: ৪৫ মাকতাবাতু ওয়াহবাহ, কাহেরা, প্রথম প্রকাশনা ১৪২০ হি.)

    কিন্তু মুসলমানদের জিহাদি জজবার কারণে তারা দুদণ্ড সুস্থির হয়ে দেশশাসন করতে ব্যর্থ হয়। স্থানীয় মুসলমানদের একের পর এক বিদ্রোহ তাদেরকে পেরেশান করে তোলে। মুসলমানদের জিহাদী কর্মকাণ্ড তাদেরকে কতটা বেকায়দায় ফেলেছিল সেটা নিম্নোক্ত বক্তব্য থেকে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠে। ১৮৮২ সালে মিসর দখলের পর বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন বৃটিশ পার্লামেন্টে কোন রাখঢাক না রেখেই বলে, “যতদিন মুসলমানদের হাতে কোরআন থাকবে ততদিন আমরা তাদের দেশে স্থায়ী হতে পারবো না।” লরেন্স ব্রাউন বলে, “আমাদেরে জন্য সবচেয়ে বড়ো আশংকা সুপ্ত রয়েছে ইসলামের প্রাণবন্ত জীবন ব্যবস্থায়, যা নিজ ভূখন্ডের সীমানা বিস্তৃত করতে ও (অন্য জাতিবর্গকে) নিজের অধীনস্থ বানাতে সক্ষম। ইসলামই হলো ইউরোপিয়ান উপনিবেশবাদের পথে একমাত্র বাঁধার প্রাচীর।(আলমুবাশশিরুনা ওয়াল মুস্তাশরিকুনা ফি মাওকিফিহিম মিনাল ইসলাম, মুহাম্মদ আলবাহীই, মাতবাআতুল আযহার, পৃ: ৬ আততাবশীর ওয়াল ইস্তে’মার, মুস্তফা খালিদী, পৃ: ১৮৪ আলমাকতাবাতুল আছারিয়্যাহ, বৈরুত, পঞ্চম প্রকাশনা, ১৯৭৩ ই. আলমুস্তাশরিকুনা ওয়াল ইসলাম, মুহাম্মদ কুতুব, পৃ: ১১)

    মুসলমানদের জিহাদী আকিদা-বিশ্বাস শুরু থেকেই তাদের ভয়ের কারণ ছিল, সময় সময় তারা এই ভীতি প্রকাশও করেছে, ইংরেজী পত্রিকা ‘ইসলামী বিশ্ব’ (The Muslim World) এর ১৯৩০ সালের জুন মাসের সংখ্যায় বলা হয়, “পশ্চিমা বিশ্বের (ইসলামের ব্যাপারে) কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত থাকাই উচিত। এ ভয়ের অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো, মক্কায় ইসলামের সূচনা থেকে শুরু করে ইসলাম কখনো সংখ্যায় কমেনি। বরং মুসলমানদের সংখ্যা সর্বদা বাড়ছে (এবং তাদের ভূমি) বিস্তৃত হচ্ছে। অধিকন্তু ইসলাম শুধু (কিছু আচারপ্রথা সর্বস্ব) দীন নয়, বরং এর অন্যতম বিধান হলো জিহাদ।” রবার্ট বেন বলে, “ইতোপূর্বে মুসলমানরা পুরো পৃথিবীর সাথে যুদ্ধ করেছে। হয়তো তারা পুনরায় তাই করবে।” কানাডিয়ান প্রাচ্যবিদ উইলফ্রেড স্মিথ বলে, “ইউরোপ কখনো কয়েক শতাব্দী ধরে বিরাজমান সেই ভয়ভীতির কথা ভুলতে পারে না, যখন মুসলমানরা পূর্ব-পশ্চিম ও দক্ষিণে রোমান সাম্রাজ্য ধ্বংস করার পর পুরো ইউরোপ দখলের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। (আলমুবাশশিরুনা ওয়াল মুস্তাশরিকুনা ফি মাওকিফিহিম মিনাল ইসলাম, পৃ: ৬ আলমুস্তাশরিকুনা ওয়াল ইসলাম, পৃ: ৭৬-৭৭ আলমুস্তাশরিকুনা ওয়াস সিরাতুন নাবাউয়্যাহ, ইমাদুদ্দিন খলিল, পৃ: ২২ দারু ইবনি কাসীর, দিমাশক, প্রথম প্রকাশনা ১৪২৬ হি.)

    তেমনিভাবে দীর্ঘ কয়েক শত বছর ধরে চলমান ক্রুসেড যুদ্ধের অভিজ্ঞতার আলোকেও তারা উপলব্ধি করে নেয় যে, মুসলমানদের জিহাদি জজবা মিটিয়ে ফেলা ব্যতীত তাদেরকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। অষ্টম ক্রুসেড যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ক্রুসেডরদের সম্মিলিত বাহিনীর প্রধান ফ্রান্সের বাদশাহ লুইস মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়। সে বন্দীদশা থেকে মুক্তির জন্য অনেক বড় অংকের মুক্তিপন ব্যায় করে। ফ্রান্সে ফিরে গিয়ে সে খৃষ্টানদের উপদেশ দিয়ে বলে, “শক্তির জোরে মুসলিমদের পরাজিত করা সম্ভব নয়। কেননা মুসলিমদের আকিদা-বিশ্বাস তাদেরকে মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা এবং তাদের ইজ্জত-সম্মান বাঁচানোর জন্য জিহাদ ও শাহাদাতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। মুসলিমরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের কারণে সর্বদাই জিহাদ করে শত্রুকে পরাস্ত করতে সক্ষম। তাই মুসলিমদের পরাজিত করার একটাই পদ্ধতি। তাদের ইসলামী চিন্তাদর্শকে পরিবর্তন করে ফেলা এবং স্নায়ু যুদ্ধ ও মনস্তাত্বিক লড়াইয়ের মাধ্যমে তাদেরকে দমিত করা। যার পদ্ধতি হবে ইউরোপীয়ান পন্ডিতরা ইসলামী সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করবে এবং এর মাধ্যমে মুসলমানদের আকিদা-বিশ্বাস দুর্বল করে দিবে, যে আকিদার বলে বলীয়ান হয়ে তারা জিহাদ ও শাহাদাতের প্রতি উব্ধুদ্ধ হয়।” (আসালিবুল গাযউইল ফিকরি, শায়েখ আলী মুহাম্মদ জুরাইশাহ, পৃ: ১৯ দারুল ওফা, তৃতীয় প্রকাশনা, ১৩৯৯ হি.)

    এ সব বিষয়কে সামনে রেখে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, যে কোনো মূ্ল্যে মুসলমানদের জিহাদি জজবা নিঃশেষ করে দিতে হবে। এবার এ কাজটাকে তারা নিজেদের লক্ষ্যে পরিণত করে। লক্ষ্য পূরণে তারা একাধিক কর্মসূচী হাতে নেয়। যেমন বিভিন্ন নামধারী আলেম জনসম্মুখে নিয়ে আসা যারা জিহাদের অর্থ বিকৃত করবে, দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদ হারাম, তাদের আনুগত্য করা ফরয ইত্যাদী ফতোয়া দিবে। মুসলিম সন্তানদের পাশ্চাত্যের আদলে শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে পাশ্চাত্যের ধ্যানধারণায় গড়ে তোলা, যেন তারা নামে মুসলিম হলেও মনমগজে হয় ইউরোপীয়ান। ফলে বস্তুবাদে বিশ্বাসী ভোগবিলাসে আকন্ঠ নিমজ্জিত এ নামধারী মুসলিমরা পাশ্চাত্যের বিপক্ষে জিহাদ করা, তাদের সাথে শত্রুতার পরিবর্তে ওদেরকে খাটি মুসলিমদের চেয়েও আপন মনে করবে। মোটকথা জিহাদি জজবা স্তিমিত করার সম্ভাব্য সবরকম প্রচেষ্টা তারা ব্যয় করতে শুরু করে দেয়।

    আমাদের আলোচ্য ব্যাপারটিও তাদের সেই কর্মসূচীর অতি উৎকৃষ্ট একটি নমুনা। এর উৎপত্তিটা লক্ষ করুন। প্রথমে কাফেরদের একপক্ষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রপাগান্ডা শুরু করে, “ইসলাম তরবারীর জোরে প্রচার হয়েছে।” তারা বারবার বিভিন্ন উপলক্ষে প্রচার করতে থাকে যে, “মুসলমানরা জোরপূর্বক মানুষকে মুসলমান বানানোর জন্যই যুদ্ধই করতো। এজন্যই তাদের ইতিহাস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে ভরপুর”। নাদান মুসলমানেরা তাদের এই অপবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা ইসলামকে বাঁচানোর জন্য বলতে থাকে, “না, না, ইসলাম তো শান্তির ধর্ম, ইসলাম উত্তম আচরণের মাধ্যমেই পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করেছে। ইসলামের মতো শান্তির ধর্ম তরবারী দ্বারা প্রচারিত হতেই পারে না। ইসলাম তো শুধু আত্মরক্ষার জন্য তরবারী উত্তোলন করতে বলে। ইসলাম প্রচারে তরবারীর কোন ভূমিকা নেই, ইত্যাদি।”

    একই সময়ে কাফেরদের অন্য একটা দল মুসলমানদের বন্ধু সেজে মঞ্চে আগমন করে। তারা ইসলামের প্রতি মেকী দরদ নিয়ে ইসলাম রক্ষায় প্রচেষ্টারত মুসলিমদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। প্রাচ্যবিদ টমাস আর্নল্ড ‘ইসলামের দিকে আহ্বান’ (The Preaching of Islam) নামে একটা বই লেখে। যাতে সে বিভিন্ন যয়ীফ-মওযু কেচ্ছাকাহিনী দ্বারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, ইসলাম প্রচারে তরবারীর কোনো ভূমিকা নেই। ইসলাম তো প্রচার হয়েছে কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতি এবং কুফরী শাসনব্যবস্থার সাথে ইসলামী শাসনব্যবস্থার ঐক্যের মাধ্যমে। প্রথমে ইসলামের উপর আক্রমণের পর যখন তাদেরই একপক্ষ বাহ্যত ইসলামের পক্ষ নিল তখন মুসলমানরা তাদেরকে নিজেদের পক্ষের লোক মনে করল এবং তারা সকলে মিলে প্রথমবার করা আপত্তির জবাব দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। জবাব দিতে দিতে তাদের গলদঘর্ম হবার জোগাড়। এর মধ্য দিয়ে তাদের অন্তরে নিজেদের অজান্তেই ‘ইসলাম প্রচারে তরবারীর ভূমিকা নেই’ এই ধারণাটি বদ্ধমূল হয়ে গেল। আক্রমণের জবাবে অতিরিক্ত ব্যস্ত হয়ে পড়ায় মূল ষড়যন্ত্রটি বোঝার সুযোগ আর তাদের হল না। এভাবে ইসলামের চূড়ান্ত দুশমন এই পাপিষ্ঠরা ‘সাপ হয়ে কাটা ওঝা হয়ে ঝাড়া’ র ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো এবং তাদের বড়সড় একটি লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়ে গেল। (আলমুস্তাশরিকুন ওয়াল ইসলাম, পৃ: ৭৮-৮০)

    কাফেরদের উপরোক্ত দ্বিতীয় পক্ষকে মুসলমানরা কতটা নিজেদের পক্ষীয় লোক মনে করেছে এবং তাদের বক্তব্যের সাথে কতটা ঐকমত্য পোষণ করেছে সেটা আপনারা নিম্নোক্ত ব্যাপারটি থেকে আঁচ করতে পারবেন। উপরোক্ত প্রাচ্যবিদ টমাস আর্নল্ডের ‘ইসলামের দিকে আহবান’ বইটা তিন তিনজন আরব মুসলিম আরবীতে ভাষান্তর করে। এমনকি তারা বইয়ের ভূমিকায় ওই নরাধমের প্রশংসায় খেই হারিয়ে ফেলে বলে, “এই বইয়ের লেখক এত বিদগ্ধ পন্ডিত ও ইতিহাসবিদ যার যথাযথ প্রশংসা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।” (আহাম্মিয়্যাতুল জিহাদ, আলী বিন নুফাঈ, পৃ: ২৪৪)

    যাইহোক, এভাবে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ আর জবাবদানের ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে প্রায় সকল মুসলমানের অন্তরে তারা উল্লিখিত ধারণাটি বসিয়ে দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু ইসলামের এ নাদান দোস্তদের শ্লোগানটির উল্টোপিঠ ভেবে দেখার সুযোগ হয়নি। তারা ভেবে দেখেনি, তরবারীর জোরে ইসলাম প্রচার হলে সমস্যা কি? একটা কাফের যে চিরস্থায়ী জাহান্নামের দিকে দ্রুতপদে এগিয়ে যাচ্ছে, তাকে জোর করে মুসলমান বানিয়ে চিরস্থায়ী জান্নাতের পথে নিয়ে আসা- কোনো কাফেরের প্রতি এর চেয়ে বড় অনুগ্রহ আর কি হতে পারে? যাইহোক, কাফেরদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মুসলমানরাও এই শ্লোগান প্রচার করতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে মুসলমানদের মধ্যে এই ধারণাটি বদ্ধমুল হয়ে যায়। অবস্থা আজ এতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে যে, ইসলামের সাথে তরবারীর যে কোনো ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারলেই যেন সেসব নাদান দোস্তরা তৃপ্তিবোধ করেন। ইসলামের মতো মহান ধর্ম থেকে এরকম কালিমা দূর করতে পেরে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন, দ্বীনের অনেক বড় খেদমত করে ফেলেছেন বলে মনে করেন। এভাবে নিজেদের অজান্তেই তারা শত্রুদের মানসিক দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়েন এবং তাদের খেলার ঘুঁটিতে পরিণত হন।

    ‘তরবারীর জোরে ইসলাম প্রচারিত হয়নি’ কথাটির অর্থ কী এবং সে অর্থ হিসেবে কথাটি ইসলামের সাথে কতটা সাংঘর্ষিক সেটাই এবার দেখব ইনশাআল্লাহ।

    তরবারীর জোরে বা শক্তিপ্রয়োগ করে মুসলমান বানানোর অর্থ:-
    তরবারীর জোরে মুসলমান বানানোর অর্থ দুটি: ১. কারো ঘাড়ে তরবারী ধরে তাকে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপপ্রয়োগ করা, বলাবাহুল্য ইসলামে এটি বৈধ নয়। আল্লাহ তায়ালার বাণী, لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّين (ধর্মগ্রহণের ক্ষেত্রে কোন জবরদস্তি নেই -সুরা বাকারা: আয়াত ২৫৬) এর মেসদাক-উদ্দেশ্য এটাই। ইতিহাসে কোন কাফেরকে এভাবে মুসলমান বানানো হয়নি। আর এভাবে মুসলমান বানালে সে আন্তরিকভাবে মুমিন হবেও না, জান বাঁচাতে মুখে কলেমা পড়ে নিলেও বাস্তবে হবে মুনাফিক ।

    ২. তরবারীর জোরে ইসলাম প্রচারের আরেকটি অর্থ হলো, প্রত্যক্ষভাবে ঘাড়ে তরবারী না ধরে পরোক্ষভাবে কৌশলে চাপপ্রয়োগ করা এবং এমন অবস্থা তৈরী করা যেন কাফেররা স্বতস্ফূর্তভাবেই মুসলমান হয়ে যায়। এ ধরনের চাপপ্রয়োগ ইসলামে শুধু আছে এতটুকুই নয় বরং এ ধরনের চাপপ্রয়োগ ইসলামী শরিয়তে ফরয করা হয়েছে। এরকম চাপপ্রয়োগের জন্যই ইসলামে আক্রমণাত্মক জিহাদ, জিযয়া ও কাফেরদের যুদ্ধবন্দী করে গোলাম বানানোর আদেশ দেওয়া আছে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে উলামায়ে উম্মত এ বিধানগুলোর যে হিকমত বর্ণণা করেছেন তা সামনে রাখলেই বিষয়গুলো আমাদের নিকট স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই কুরআন-সুন্নাহর উদ্ধৃতি সহ উলামায়ে উম্মতের বক্তব্য থেকে এ বিধানগুলোর হিকমত তুলে ধরার জন্যই আমাদের এই প্রবন্ধের অবতারণা। প্রবন্ধ দীর্ঘ হওয়ার কারণে এ পর্বে এতটুকুতেই শেষ করছি, আগামীতে প্রতিটি বিধানের হিকমত এক বা একাধিক পর্বে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

  • #2
    প্রবন্ধটা আরো দির্ঘ হলে ভাল হত ৷ কারণ এই সংসয়টা বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ব্যপক ভাবে ছড়ানো ৷ এমন কি কোন কওমি মাদ্রাসার ছাত্রকে বুঝাতে চাইলেও বুঝে না ৷
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      Originally posted by আলী ইবনুল মাদীনী View Post
      প্রবন্ধটা আরো দির্ঘ হলে ভাল হত ৷ কারণ এই সংসয়টা বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ব্যপক ভাবে ছড়ানো ৷ এমন কি কোন কওমি মাদ্রাসার ছাত্রকে বুঝাতে চাইলেও বুঝে না ৷
      জাযাকাল্লাহ, আখি, প্রবন্ধ তো অনেক দীর্ঘ, প্রায় পঞ্চাশ পৃষ্ঠা। এটা তো প্রথম পর্ব যা অনেকটা ভূমিকা স্বরুপ। মূল বিষয়গুলোর জন্য আরো কমপক্ষে তিন-চার পর্বের প্রয়োজন হবে ইনশাআল্লাহ।
      الجهاد محك الإيمان

      জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

      Comment


      • #4
        মাশা'আল্লাহ। চালিয়ে যান ভাই। আল্লাহ সুব. সহায় হোন। আমীন।
        বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
        কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

        Comment


        • #5
          ভাই আপনার সুপ্ত ইলমী প্রতিভা থেকে উপকৃত হয়ে অনেক খুশি লাগছে।
          জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
          পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ ভাই, চমৎকার আর্টিকেল। বাকী আর্টিকেলগুলো আশা করি দ্রুত পাব ইনশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              আখি! খুব উপকারী প্রবন্ধ ৷ অপেক্ষায় রইলাম ৷ আল্লাহ আপনার কাজে বারাকাহ দান করুক ৷
              আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
              আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

              Comment


              • #8
                Originally posted by আদনানমারুফ View Post
                মূল বিষয়গুলোর জন্য আরো কমপক্ষে তিন-চার পর্বের প্রয়োজন হবে ইনশাআল্লাহ।
                প্রিয় ভাই, আল্লাহ আপনার কলমে বারাকাহ দান করুন! লেখাটি দলিল সমৃদ্ধ হওয়ায় বেশী আকর্ষিত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!
                আশা করবো পর্ব পর্ব আকারে প্রকাশ করার পর পূর্ণ প্রবন্ধটির একটি মানসম্মত পিডিএফ প্রকাশ করবেন ইনশাআল্লাহ!
                আমরা হয়তো বাঁচি, নয়তো শহীদ হই!

                Comment


                • #9
                  প্রিয় ভাই, আল্লাহ আপনার কলমে বারাকাহ দান করুন! লেখাটি দলিল সমৃদ্ধ হওয়ায় বেশী আকর্ষিত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!
                  আশা করবো পর্ব পর্ব আকারে প্রকাশ করার পর পূর্ণ প্রবন্ধটির একটি মানসম্মত পিডিএফ প্রকাশ করবেন ইনশাআল্লাহ!
                  আমরা হয়তো বাঁচি, নয়তো শহীদ হই!

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Ibne Taimiya View Post
                    প্রিয় ভাই, আল্লাহ আপনার কলমে বারাকাহ দান করুন! লেখাটি দলিল সমৃদ্ধ হওয়ায় বেশী আকর্ষিত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!
                    আশা করবো পর্ব পর্ব আকারে প্রকাশ করার পর পূর্ণ প্রবন্ধটির একটি মানসম্মত পিডিএফ প্রকাশ করবেন ইনশাআল্লাহ!
                    জাযাকাল্লাহ আখি, আল্লাহ আমাদের সবার কাজে বরকত দান করুন। ইনশাআল্লাহ, শেষ করার পর পিডিএফ আকারে দিবো।
                    الجهاد محك الإيمان

                    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                    Comment


                    • #11
                      খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। জাযাকাল্লাহ ভাই। চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ।

                      Comment

                      Working...
                      X