প্রতি যুগেই বাতিল ফেরকার নেতৃত্ব দেয় একদল জ্ঞানপাপী। মুনাফিকদের নেতৃত্বও দিত আলিম ও পিররা। হাদিসে আমাদের জানানো হয়েছে, এই উম্মাহ পূর্ববর্তী জাতিগোষ্ঠীর অনুসরণ করবে। এ জন্য কুরআনের অসংখ্য জায়গায় পূর্ববর্তী জাতিগোষ্ঠীর অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে; যাতে উম্মাহ সেসব ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারে। এই উম্মাহর জাহিলরা পূর্ববর্তী জাহিলদের অনুসরণ করবে এবং এই উম্মাহর আলিমরা পূর্ববর্তী আলিমদের অনুসরণ করবে। পূর্ববর্তী আলিমদের গুণ ছিল সত্যকে গোপন করা ও শরিয়াহর বিধিবিধানের অপব্যাখ্যা করা। এই উম্মাহর অনেক আলিমের মধ্যেও সেই গুণের দেখা পাওয়া যায়।
আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদাররা, নিশ্চয়ই অধিকাংশ আলিম ও পির অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করে এবং মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে।’
আর জাহিলদের বৈশিষ্ট্য হলো, তারা নিজেদের খেয়ালখুশির অনুসরণে প্রবৃত্তিপূজারী আলিম ও পিরদের ভুলব্যাখ্যা ও অপব্যাখ্যা গ্রহণ করে। তারা জেনেবুঝে হকপন্থী আলিমদের নির্দেশ ও নির্দেশনা উপেক্ষা করে। এভাবে তারা প্রতিপালকের আনুগত্যের ক্ষেত্রে শিরক করে। আল্লাহ বলেন :
‘তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের আলিম ও পিরদের রব বানিয়ে নিয়েছে; অথচ তাদেরকে এক ইলাহের ইবাদত করার আদেশ করা হয়েছে। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তাদের শিরক থেকে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র।’
মুনাফিকদের আসল অজুহাত প্রকাশ পায় জিহাদের প্রসঙ্গ আসলে। একদল তো বিভিন্ন দীনি কাজকে জিহাদের সমকক্ষ বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু কিতালের সমকক্ষ তো আর কিছু হতে পারে না। রাসুলুল্লাহ সা.-কে এক ব্যক্তি জিহাদের সমকক্ষ আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘তোমরা তা পেরে উঠবে না।’ সাহাবিরাও এই সত্য জানতেন। যার কারণে আয়িশা রা. জিজ্ঞেসও করে বসলেন, ‘আমরা জিহাদকে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আমল হিসেবে বিবেচনা করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদ করব না?’ আল্লাহও বলেছেন, ‘তোমরা কি হাজিদের পানি পান করানো এবং মসজিদে হারাম নির্মাণকে ওই ব্যক্তির সমতুল্য বানিয়ে ফেলেছ, যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ইমান এনেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে?’ অন্যত্র বলেন, ‘কোনো (শরয়ি) ওজর ছাড়া ঘরে বসে থাকা মুমিন ব্যক্তি ও আল্লাহর পথের মুজাহিদরা কখনো সমান হবে না।…’
মুনাফিকরা এবং তাদের আলিম ও পিররা জিহাদের প্রসঙ্গ আসলে মাটি কামড়ে পড়ে থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদাররা, তোমাদের কী হলো! যখন তোমাদেরকে বলা হয়, তোমরা আল্লাহর পথে অভিযানে বেরিয়ে পড়ো, তখন তোমরা ভারাক্রান্ত হয়ে ভূমির সঙ্গে মিশে যাও। তোমরা কি আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে পড়েছ?’ তারা যে কখনোই জিহাদে বের হতে চায় না, তা নয়। বিজয় ও গনিমত কার অপছন্দ! কিন্তু তারা ঝুঁকি নিতে চায় না। এ পথে কষ্ট সইতে চায় না। আল্লাহ বলেন, ‘যদি পার্থিব সামগ্রী লাভের আশু সম্ভাবনা থাকত এবং সফর মাঝামাঝি ধরনের হতো, তাহলে তারা আপনাকে অনুসরণ করত। কিন্তু কষ্টকর পথ তাদের কাছে দূরবর্তী মনে হয়েছে। তারা আল্লাহর নামে কসম করে বলে, যদি আমাদের সামর্থ্য থাকত তাহলে অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়তাম। তারা নিজেদেরকে ধ্বংস করছে। আল্লাহ জানেন যে, তারা মুনাফিক।’
ঘরে বসে থাকা তো নারীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, ‘তারা পেছনে থেকে যাওয়া নারীদের সঙ্গে থাকাকে বেছে নিয়েছে। আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন।’ তারা গণতান্ত্রিক জিহাদে নেমেও নিজেদেরকে মুজাহিদ বাহিনী হিসেবে প্রচার করে। অথচ তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তোমরা কি আল্লাহর পথে অভিযানে বের হতে চাও না? তারা বলে, অবশ্যই আমরা চাই। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি বাস্তবে বের হতেই চাইত, তাহলে তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করত। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহ অপছন্দ করেছেন। তাই তাদেরকে আলস্যে পড়ে থাকতে দিলেন এবং বলে দেওয়া হলো, যারা (পঙ্গুত্বের কারণে) বসে আছে, তোমরাও তাদের সঙ্গে বসে থাকো।’
এ কথা শুনে তারা বলে, কে বলেছে আমাদের প্রস্তুতি নেই? এই যে ভোটযুদ্ধের জন্য চেষ্টা-সাধনাই তো আমাদের প্রস্তুতি। রাসুলুল্লাহ সা. লাগাতার তিনবার একই বাক্য উচ্চারণ করেন, ‘জেনে রেখো, “শক্তি” হচ্ছে নিক্ষেপ/ফায়ারিং।’ এটা তিনি আল্লাহ তাআলার আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন। আল্লাহ তার কিতাবে মুমিনদের আদেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা কুফফারদের জন্য সাধ্যমতো “শক্তি” প্রস্তুত করো।’
কখনো তারা সরাসরি অস্বীকৃতি না জানিয়ে অজুহাত পেশ করে। কুরআনে এসেছে, ‘তারা বলল, তোমরা গরমের মধ্যে অভিযানে বেরিয়ো না।’ এটা তো পার্থিব অজুহাত। কখনো তারা দীনি অজুহাতও উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। হে নবি, আমার ইমান এখনো দুর্বল। ইমানের মেহনত করে এখনো তা পরিপূর্ণ মজবুত করতে পারিনি। রোমান সুন্দরী নারীদের দেখলে আমি যৌন উত্তেজনা জাগার আশঙ্কা অনুভব করছি। যার ফলে জিহাদে বেরিয়েও আমার গোনাহে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের মধ্যে কেউ তো বলে, আমাকে অনুমতি দিন। আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। জেনে রেখো, তারা তো ফিতনায় পড়েই আছে। নিশ্চয়ই জাহান্নাম কাফিরদের পরিবেষ্টন করে আছে।’
যারা আল্লাহর পথে অভিযানে বের হতে সম্মত নয়, এমন বান্দারা পৃথিবীতে বাঁচার উপযুক্ত নয়। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না করো, তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আজাব দেবেন এবং তোমাদের পরিবর্তে অন্য কোনো জাতি আনয়ন করবেন। আর তোমরা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবেন।’ আল্লাহ এদেরকে সরিয়ে কাদেরকে আনবেন, তা-ও বলে দিয়েছেন। ‘এমন সম্প্রদায়কে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাকে ভালোবাসবে। যারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোনো নিন্দুকের নিন্দাকে পরোয়া করবে না।’
আল্লাহ জিহাদের বিধান দেওয়ার অন্যতম কারণ নিজেই উল্লেখ করেছেন, ‘যেন তিনি জানতে পারেন মুমিনদের এবং জানতে পারেন মুনাফিকদের।’ তারা যে শুধু এখন প্রস্তুতি গ্রহণ করছে না, বিষয়টা এতটুকুই নয়। বরং লড়াই শুরু হলেও তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, ‘যখন তাদেরকে বলা হয়, আসো, আল্লাহর পথে লড়াই করো, তারা বলে, আমরা যদি লড়াই জানতাম তাহলে অবশ্যই তোমাদের অনুসরণ করতাম।’ তারা নিজেরা তো বের হয়ই না; উপরন্তু শহিদদের ব্যাপারে মন্তব্য করে, ‘হায়, তারা যদি আমাদের কথা শুনত, তাহলে এভাবে নিহত হতো না।’
প্রতি যুগেই বাতিল ফেরকার নেতৃত্ব দেয় একদল জ্ঞানপাপী। মুনাফিকদের নেতৃত্বও দিত আলিম ও পিররা। হাদিসে আমাদের জানানো হয়েছে, এই উম্মাহ পূর্ববর্তী জাতিগোষ্ঠীর অনুসরণ করবে। এ জন্য কুরআনের অসংখ্য জায়গায় পূর্ববর্তী জাতিগোষ্ঠীর অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে; যাতে উম্মাহ সেসব ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারে। এই উম্মাহর জাহিলরা পূর্ববর্তী জাহিলদের অনুসরণ করবে এবং এই উম্মাহর আলিমরা পূর্ববর্তী আলিমদের অনুসরণ করবে। পূর্ববর্তী আলিমদের গুণ ছিল সত্যকে গোপন করা ও শরিয়াহর বিধিবিধানের অপব্যাখ্যা করা। এই উম্মাহর অনেক আলিমের মধ্যেও সেই গুণের দেখা পাওয়া যায়।
আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদাররা, নিশ্চয়ই অধিকাংশ আলিম ও পির অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করে এবং মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে।’
আর জাহিলদের বৈশিষ্ট্য হলো, তারা নিজেদের খেয়ালখুশির অনুসরণে প্রবৃত্তিপূজারী আলিম ও পিরদের ভুলব্যাখ্যা ও অপব্যাখ্যা গ্রহণ করে। তারা জেনেবুঝে হকপন্থী আলিমদের নির্দেশ ও নির্দেশনা উপেক্ষা করে। এভাবে তারা প্রতিপালকের আনুগত্যের ক্ষেত্রে শিরক করে। আল্লাহ বলেন :
‘তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের আলিম ও পিরদের রব বানিয়ে নিয়েছে; অথচ তাদেরকে এক ইলাহের ইবাদত করার আদেশ করা হয়েছে। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তাদের শিরক থেকে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র।’
মুনাফিকদের আসল অজুহাত প্রকাশ পায় জিহাদের প্রসঙ্গ আসলে। একদল তো বিভিন্ন দীনি কাজকে জিহাদের সমকক্ষ বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু কিতালের সমকক্ষ তো আর কিছু হতে পারে না। রাসুলুল্লাহ সা.-কে এক ব্যক্তি জিহাদের সমকক্ষ আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘তোমরা তা পেরে উঠবে না।’ সাহাবিরাও এই সত্য জানতেন। যার কারণে আয়িশা রা. জিজ্ঞেসও করে বসলেন, ‘আমরা জিহাদকে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আমল হিসেবে বিবেচনা করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদ করব না?’ আল্লাহও বলেছেন, ‘তোমরা কি হাজিদের পানি পান করানো এবং মসজিদে হারাম নির্মাণকে ওই ব্যক্তির সমতুল্য বানিয়ে ফেলেছ, যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ইমান এনেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে?’ অন্যত্র বলেন, ‘কোনো (শরয়ি) ওজর ছাড়া ঘরে বসে থাকা মুমিন ব্যক্তি ও আল্লাহর পথের মুজাহিদরা কখনো সমান হবে না।…’
মুনাফিকরা এবং তাদের আলিম ও পিররা জিহাদের প্রসঙ্গ আসলে মাটি কামড়ে পড়ে থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদাররা, তোমাদের কী হলো! যখন তোমাদেরকে বলা হয়, তোমরা আল্লাহর পথে অভিযানে বেরিয়ে পড়ো, তখন তোমরা ভারাক্রান্ত হয়ে ভূমির সঙ্গে মিশে যাও। তোমরা কি আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে পড়েছ?’ তারা যে কখনোই জিহাদে বের হতে চায় না, তা নয়। বিজয় ও গনিমত কার অপছন্দ! কিন্তু তারা ঝুঁকি নিতে চায় না। এ পথে কষ্ট সইতে চায় না। আল্লাহ বলেন, ‘যদি পার্থিব সামগ্রী লাভের আশু সম্ভাবনা থাকত এবং সফর মাঝামাঝি ধরনের হতো, তাহলে তারা আপনাকে অনুসরণ করত। কিন্তু কষ্টকর পথ তাদের কাছে দূরবর্তী মনে হয়েছে। তারা আল্লাহর নামে কসম করে বলে, যদি আমাদের সামর্থ্য থাকত তাহলে অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়তাম। তারা নিজেদেরকে ধ্বংস করছে। আল্লাহ জানেন যে, তারা মুনাফিক।’
ঘরে বসে থাকা তো নারীদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, ‘তারা পেছনে থেকে যাওয়া নারীদের সঙ্গে থাকাকে বেছে নিয়েছে। আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন।’ তারা গণতান্ত্রিক জিহাদে নেমেও নিজেদেরকে মুজাহিদ বাহিনী হিসেবে প্রচার করে। অথচ তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তোমরা কি আল্লাহর পথে অভিযানে বের হতে চাও না? তারা বলে, অবশ্যই আমরা চাই। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি বাস্তবে বের হতেই চাইত, তাহলে তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করত। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহ অপছন্দ করেছেন। তাই তাদেরকে আলস্যে পড়ে থাকতে দিলেন এবং বলে দেওয়া হলো, যারা (পঙ্গুত্বের কারণে) বসে আছে, তোমরাও তাদের সঙ্গে বসে থাকো।’
এ কথা শুনে তারা বলে, কে বলেছে আমাদের প্রস্তুতি নেই? এই যে ভোটযুদ্ধের জন্য চেষ্টা-সাধনাই তো আমাদের প্রস্তুতি। রাসুলুল্লাহ সা. লাগাতার তিনবার একই বাক্য উচ্চারণ করেন, ‘জেনে রেখো, “শক্তি” হচ্ছে নিক্ষেপ/ফায়ারিং।’ এটা তিনি আল্লাহ তাআলার আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন। আল্লাহ তার কিতাবে মুমিনদের আদেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা কুফফারদের জন্য সাধ্যমতো “শক্তি” প্রস্তুত করো।’
কখনো তারা সরাসরি অস্বীকৃতি না জানিয়ে অজুহাত পেশ করে। কুরআনে এসেছে, ‘তারা বলল, তোমরা গরমের মধ্যে অভিযানে বেরিয়ো না।’ এটা তো পার্থিব অজুহাত। কখনো তারা দীনি অজুহাতও উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। হে নবি, আমার ইমান এখনো দুর্বল। ইমানের মেহনত করে এখনো তা পরিপূর্ণ মজবুত করতে পারিনি। রোমান সুন্দরী নারীদের দেখলে আমি যৌন উত্তেজনা জাগার আশঙ্কা অনুভব করছি। যার ফলে জিহাদে বেরিয়েও আমার গোনাহে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের মধ্যে কেউ তো বলে, আমাকে অনুমতি দিন। আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। জেনে রেখো, তারা তো ফিতনায় পড়েই আছে। নিশ্চয়ই জাহান্নাম কাফিরদের পরিবেষ্টন করে আছে।’
যারা আল্লাহর পথে অভিযানে বের হতে সম্মত নয়, এমন বান্দারা পৃথিবীতে বাঁচার উপযুক্ত নয়। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না করো, তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আজাব দেবেন এবং তোমাদের পরিবর্তে অন্য কোনো জাতি আনয়ন করবেন। আর তোমরা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবেন।’ আল্লাহ এদেরকে সরিয়ে কাদেরকে আনবেন, তা-ও বলে দিয়েছেন। ‘এমন সম্প্রদায়কে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাকে ভালোবাসবে। যারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোনো নিন্দুকের নিন্দাকে পরোয়া করবে না।’
আল্লাহ জিহাদের বিধান দেওয়ার অন্যতম কারণ নিজেই উল্লেখ করেছেন, ‘যেন তিনি জানতে পারেন মুমিনদের এবং জানতে পারেন মুনাফিকদের।’ তারা যে শুধু এখন প্রস্তুতি গ্রহণ করছে না, বিষয়টা এতটুকুই নয়। বরং লড়াই শুরু হলেও তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, ‘যখন তাদেরকে বলা হয়, আসো, আল্লাহর পথে লড়াই করো, তারা বলে, আমরা যদি লড়াই জানতাম তাহলে অবশ্যই তোমাদের অনুসরণ করতাম।’ তারা নিজেরা তো বের হয়ই না; উপরন্তু শহিদদের ব্যাপারে মন্তব্য করে, ‘হায়, তারা যদি আমাদের কথা শুনত, তাহলে এভাবে নিহত হতো না।’
(সংগ্রহিত)
Comment