★★জিহাদ তরক করার কারণে ফাসাদ সৃষ্টিকারী লোকদের প্রভাব বিস্তার লাভ করে।★★
আল্লামা আশরাফ আলী থানভী রাহি. উনার প্রসিদ্ধ তাফসির গ্রন্থ বয়ামুল কুরআনে নিম্নোক্ত আয়াতের এক তাফসিরে বলেন-
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَشَاقُّوا الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الهُدَى لَن يَضُرُّوا اللَّهَ شَيْئًا وَسَيُحْبِطُ أَعْمَالَهُمْ
নিশ্চয় যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং নিজেদের জন্যে সৎপথ ব্যক্ত হওয়ার পর রসূলের (সঃ) বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং তিনি ব্যর্থ করে দিবেন তাদের কর্মসমূহকে
(সূরা মুহাম্মাদ
এই আয়াতে জিহাদের হুকুমের প্রতি গুরাত্বারোপ করা হয়েছে এবং জিহাদ আবর্জনকারীকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে, জিহাদ ছেড়ে দেয়ার মাঝে বাহ্যিকভাবে দুনিয়াবি ক্ষতিও রয়েছে। যদি জিহাদ তরক করা হয়,তাহলে ফাসাদ সৃষ্টিকারী লোকদের প্রভাব বিস্তার লাভ করবে এবং কোন ধরণের কল্যাণকর ব্যবস্থাপনা টিকে থাকবে না। আর যখনই এই ধরণের ব্যবস্থাপনা থাকবে না, তখন পৃথিবীতে ফাসাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে এবং সব ধরণের অধিকার বিনষ্ট হতে থাকবে। যদিও কোন কোন অজ্ঞ লোক এ কথা বলে বেড়ায় যে, যেহেতু লড়াই-যুদ্ধ নেই, তাই পৃথিবীতে নিরাপত্তা বাকী আছে। অথচ যেখানে সব ধরণের অধিকার বিনষ্ট হয়, সেখানে নিরাপত্তা কীভাবে বাকী থাকে?
বুঝা গেল জিহাদের মধ্যে দুনিয়াবি উপকারিতাও বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং এত উপকারী আমলকে ছেড়ে দেওয়া এবং তা থেকে পিছিয়ে থাকা বড় আশ্চর্যের বিষয়।
(বায়ানুল কুরআন, সূরা মুহাম্মদ আয়াত-৩২)
★★জিহাদে বের হলেই মৃত্যু অনিবার্য নয়★★
কোনো কোনো মুনাফিক মনে করত, জিহাদে বের হওয়া মানেই মৃত্যু ডেকে আনা। তাদের বিশ্বাস ছিল জিহাদ মৃত্যুর পথ, আর জিহাদে না যাওয়া জীবন ফিরে পাওয়ার পথ। যখন মুসলমানগণ বাহ্যিক পরাজয় বরণ করতো এবং শাহাদাতের সৌভাগ্য করত, তখন তারা তাদের ক পক্ষে এভাবে দলিল পেশ করতো যে, দেখো, তারা জিহাদে অংশগ্রহণ করেছে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে।সুতরাং এ থেকেই বুঝা যায়, জিহাদে বের হলেই মৃত্যু অনিবার্য। অথচ মুসলমানগণ যখন বিজয় লাভ করতেন এবং তারা গাজী হয়ে, সুস্থ অবস্থায় ফিরে এসে মুনাফিকদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেন এই বলে যে, আচ্ছা বলো তো, যদি জিহাদে বের হলেই মৃত্যু অনিবার্য হয়, তাহলে আমরা কীভাবে জীবিত ফিরে আসলাম? মুনাফিকরা তখন কোনো যুক্তিসঙ্গত উত্তর না পেয়ে বলতো, তোমরা ঘটনাক্রমে বেঁচে গেছ, নতুবা তোমাদের মৃত্যুর পথে তো কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না।
(বয়ানুল কুরআন, সূরা আল-ইমরান, আয়াত- ৮৭)
আমি একটু বাড়িয়ে বলতে চাই, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ঘোষণা- "যাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় হত্যা করা হয়, ( অর্থাৎ যারা আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হোন) তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পার না। সূরা বাকারা।
অন্য এক আয়াতে আছে বরং তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিকপ্রাপ্ত।
★★আখেরাত অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হলো জিহাদ★★
আপনি বলে দিন-দুনিয়ার, ভোগ-বিলাস শুধু কয়েক দিনের, তাই আখিরাতই সব দিক থেকে উত্তম। আর আখিরাত অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হলো জিহাদ।
(বয়ানুল কুরআন, সূরা নিসা, আয়াত-৭৭)
চলবে→→→
আল্লামা আশরাফ আলী থানভী রাহি. উনার প্রসিদ্ধ তাফসির গ্রন্থ বয়ামুল কুরআনে নিম্নোক্ত আয়াতের এক তাফসিরে বলেন-
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَشَاقُّوا الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الهُدَى لَن يَضُرُّوا اللَّهَ شَيْئًا وَسَيُحْبِطُ أَعْمَالَهُمْ
নিশ্চয় যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং নিজেদের জন্যে সৎপথ ব্যক্ত হওয়ার পর রসূলের (সঃ) বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং তিনি ব্যর্থ করে দিবেন তাদের কর্মসমূহকে
(সূরা মুহাম্মাদ
এই আয়াতে জিহাদের হুকুমের প্রতি গুরাত্বারোপ করা হয়েছে এবং জিহাদ আবর্জনকারীকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে, জিহাদ ছেড়ে দেয়ার মাঝে বাহ্যিকভাবে দুনিয়াবি ক্ষতিও রয়েছে। যদি জিহাদ তরক করা হয়,তাহলে ফাসাদ সৃষ্টিকারী লোকদের প্রভাব বিস্তার লাভ করবে এবং কোন ধরণের কল্যাণকর ব্যবস্থাপনা টিকে থাকবে না। আর যখনই এই ধরণের ব্যবস্থাপনা থাকবে না, তখন পৃথিবীতে ফাসাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে এবং সব ধরণের অধিকার বিনষ্ট হতে থাকবে। যদিও কোন কোন অজ্ঞ লোক এ কথা বলে বেড়ায় যে, যেহেতু লড়াই-যুদ্ধ নেই, তাই পৃথিবীতে নিরাপত্তা বাকী আছে। অথচ যেখানে সব ধরণের অধিকার বিনষ্ট হয়, সেখানে নিরাপত্তা কীভাবে বাকী থাকে?
বুঝা গেল জিহাদের মধ্যে দুনিয়াবি উপকারিতাও বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং এত উপকারী আমলকে ছেড়ে দেওয়া এবং তা থেকে পিছিয়ে থাকা বড় আশ্চর্যের বিষয়।
(বায়ানুল কুরআন, সূরা মুহাম্মদ আয়াত-৩২)
★★জিহাদে বের হলেই মৃত্যু অনিবার্য নয়★★
কোনো কোনো মুনাফিক মনে করত, জিহাদে বের হওয়া মানেই মৃত্যু ডেকে আনা। তাদের বিশ্বাস ছিল জিহাদ মৃত্যুর পথ, আর জিহাদে না যাওয়া জীবন ফিরে পাওয়ার পথ। যখন মুসলমানগণ বাহ্যিক পরাজয় বরণ করতো এবং শাহাদাতের সৌভাগ্য করত, তখন তারা তাদের ক পক্ষে এভাবে দলিল পেশ করতো যে, দেখো, তারা জিহাদে অংশগ্রহণ করেছে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে।সুতরাং এ থেকেই বুঝা যায়, জিহাদে বের হলেই মৃত্যু অনিবার্য। অথচ মুসলমানগণ যখন বিজয় লাভ করতেন এবং তারা গাজী হয়ে, সুস্থ অবস্থায় ফিরে এসে মুনাফিকদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেন এই বলে যে, আচ্ছা বলো তো, যদি জিহাদে বের হলেই মৃত্যু অনিবার্য হয়, তাহলে আমরা কীভাবে জীবিত ফিরে আসলাম? মুনাফিকরা তখন কোনো যুক্তিসঙ্গত উত্তর না পেয়ে বলতো, তোমরা ঘটনাক্রমে বেঁচে গেছ, নতুবা তোমাদের মৃত্যুর পথে তো কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না।
(বয়ানুল কুরআন, সূরা আল-ইমরান, আয়াত- ৮৭)
আমি একটু বাড়িয়ে বলতে চাই, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ঘোষণা- "যাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় হত্যা করা হয়, ( অর্থাৎ যারা আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হোন) তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পার না। সূরা বাকারা।
অন্য এক আয়াতে আছে বরং তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিকপ্রাপ্ত।
★★আখেরাত অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হলো জিহাদ★★
আপনি বলে দিন-দুনিয়ার, ভোগ-বিলাস শুধু কয়েক দিনের, তাই আখিরাতই সব দিক থেকে উত্তম। আর আখিরাত অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হলো জিহাদ।
(বয়ানুল কুরআন, সূরা নিসা, আয়াত-৭৭)
চলবে→→→
Comment