Tweet
السلام عليكم- بسم الله و الحمد لله وحده والصلاة والسلام علي من لا نبي بعده وعلي آله وأصحابه أجمعين . أما بعد.
যাঁরা প্রথম পর্ব পড়েননি তাঁদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি আগে প্রথম পর্ব পড়েন তারপর দ্বিতীয় পর্ব পড়েন।
দাজ্জালের সাথে চূড়ান্ত যুদ্ধ আপনার দ্বারপ্রান্তে!!! অপনি কি এখনো সন্ধিহান??? (দলীলসমূহ ও বিশ্লেষণ ) পর্ব- ১
৪। সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যাক্তিকে একশ’ দ্বীনার দেওয়া সত্ত্বেও সে অসন্তুষ্ট থাকবে:
বর্তমান বিশ্বে দৃষ্টি দিলেই একটি বিষয় স্পষ্ট দেখা যায় যে মানুষ যন্ত্রের মত ছুটছে। সবার যেন একটাই উদ্দেশ্য কি করে আরো সম্পদশালী হওয়া যায়।কি করে অন্যের থেকে বেশি সম্পদ কামাই করা যায়। আজ থেকে একশত বছর আগের পৃথিবী কেমন ছিল, আর এখন কেমন আছে! বিশেষ করে আরব ভূ-খন্ডে দৃষ্টি দিলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হওয়া যায়। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখি যে, চতুর্থ আলামতসম্পদের প্রাচুর্য কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
---- ، ثُمَّ اسْتِفَاضَةُ الْمَالِ حَتَّى يُعْطَى الرَّجُلُ مِائَةَ دِينَارٍ فَيَظَلُّ سَاخِطًا، ----
----- তারপর সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যাক্তিকে একশ’ দ্বীনার দেওয়া সত্ত্বেও সে অসন্তুষ্ট থাকবে।----
[সহীহ বুখারী (ইফাঃ) ২৯৫২ , ৩১৭৬ ; (সুনানে ইবনে মাজাহ: কলহ-বিপর্যয় নং ৪০৪২)]
অর্থাৎ সম্পদের প্রাচুর্য এতো পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যে, একশত দীনার মানুষের কাছে কিছু মনে হবে না। একশত দীনার পেয়েও সন্তষ্ট থাকবে না।
বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি দেশের জিডিপি (GDP) -র পরিমানের সাথে বিগত কয়েক যুগের জিডিপি (GDP) -র সাথে তুলনা করে দেখলে আশাকরি আপনাদের কাছে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
পাঠকের সুবিধার জন্য বিগত ২ হাজার(১-২০০০) বছরের দেশ ভিত্তিক জিডিপির(PPP) পরিমাণ দেখান হল।
[IMG]
[/IMG]
আশাকরি আপনারা একটি বিষয় খেয়াল করেছেন যে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সবথেকে বেশি হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। এই সময় সম্পদের প্রাচুর্য এত বৃদ্ধি হয়েছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
এখন আপনাদের সামনে একটি চার্ট উপস্থাপন করছি,যেখানে বর্তমান সময়ে(২০১৭,২০১৮,২০১৯ সাল) বিভিন্ন দেশের জিডিপি (GDP) -র পরিমান দাওয়া আছে।
[IMG]
[/IMG]
এছাড়ও যে আরবে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদﷺ জন্ম নিয়েছেন এবং আল্লাহ তাআলা যে ভূমিকে ইসলামের জন্য প্রথমে কবুল করেছেন, চলেন সেই আরব ভূখন্ডের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখি।
[IMG]
[/IMG]
উপরে উল্লেখিত অর্থের পরিমাণ শুধুমাত্র সরকারি অর্থ। এখানে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সম্পদ উল্ল্যেখ করা হয়নি। তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন যে যদি সকল মানুষের, সকল প্রতিষ্ঠানের ও সরকারের অর্থ একত্রে হিসাব করা যেত তাহলে অর্থের পরিমাণ কি হতো!
এতক্ষন আমরা যে তথ্য দিলাম তা বিশ্বব্যাংক, অর্থনীতি বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ও উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া।
এতক্ষণ তো রিপোর্ট দেখলাম, চলুন কিছু বাস্তব চিত্র দেখি।
[IMG]
[/IMG]
[IMG]
[/IMG]
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে কিয়ামতের আলামত বিষয়ে বর্ণিত আছে যে,
----আর তুমি নগ্নপদ, বস্ত্রহীন ও দরিদ্র ছাগলের রাখালদেরকে অট্টালিকা নির্মাণের কাজে পরস্পর গর্ব করতে দেখবে।--
[রিয়াযুস স্বা-লিহীন: অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ (كتاب المقدمات), হাদিস নং ৬১]
----যখন মেষপালের রাখালেরা সুরম্য অট্টালিকায় বসবাস করবে। ----
[সুনানে ইবনে মাজাহ: অধ্যায়ঃ ৩০/ কলহ-বিপর্যয় (كتاب الفتن),হাদিস নং ৪০৪৪]
রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সাহাবীরা নগ্নপদ, বস্ত্রহীন ও রাখাল বলতে তিঁনি কাদের বুঝাচ্ছেন এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিঁনি বলেন "আরব জাতি"। [মুসনাদে আহমদ( ভাষ্য; মহাপ্রলয়- আব্দুর রহমান আরিফী পৃ: ৫৭)]
তাহলে চলুন আরব জাতির কিছু বাস্তব চিত্র দেখে আসি,
[IMG]
[/IMG]
[IMG]
[/IMG]
[IMG]
[/IMG]
----আর যখন দেখবে, মেষপালক বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত, ---
[সহীহ মুসলিম (ইফাঃ): অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) হাদিস নং ৭]
বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচু বিল্ডিং[ "মক্কা রয়্যাল ক্লক টাওয়ার হোটেল "
[IMG]
[/IMG]
[IMG]
[/IMG]
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বুর্জ আল-খলীফা,২৭১৭ ফুট। যা আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত (উইকিপিডিয়া)।
অপর দিকে সৌদি আরব ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে যে, তারা ৩৩০০ ফুট বিশিষ্ট বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং "জেদ্দা টাওয়ার" তৈরি করবে( ঢাকাটাইমস২৪.কম)
সুতরাং সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করে আমরা বলতে পারি যে, সম্পদের প্রাচুর্যের যে চতুর্থ আলামতের কথা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন তা বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন দেখার বিষয় বাকি দুটি আলামতের কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে আর কতটুকু বাকি আছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেনোনা বাকি দুটি আলামাতের সাথে দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইনশা-আল্লাহ সামনের পর্বে আমরা বাকি দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
(আপনাদের মতামত, পরামর্শ , দলীল সহকারে সহযোগিতা ও দোয়া আশাকরি)
মুজাহিদদের জন্য দোয়া করতে অবহেলা করেন না(অনুরোধ)।
যাঁরা প্রথম পর্ব পড়েননি তাঁদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি আগে প্রথম পর্ব পড়েন তারপর দ্বিতীয় পর্ব পড়েন।
দাজ্জালের সাথে চূড়ান্ত যুদ্ধ আপনার দ্বারপ্রান্তে!!! অপনি কি এখনো সন্ধিহান??? (দলীলসমূহ ও বিশ্লেষণ ) পর্ব- ১
৪। সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যাক্তিকে একশ’ দ্বীনার দেওয়া সত্ত্বেও সে অসন্তুষ্ট থাকবে:
বর্তমান বিশ্বে দৃষ্টি দিলেই একটি বিষয় স্পষ্ট দেখা যায় যে মানুষ যন্ত্রের মত ছুটছে। সবার যেন একটাই উদ্দেশ্য কি করে আরো সম্পদশালী হওয়া যায়।কি করে অন্যের থেকে বেশি সম্পদ কামাই করা যায়। আজ থেকে একশত বছর আগের পৃথিবী কেমন ছিল, আর এখন কেমন আছে! বিশেষ করে আরব ভূ-খন্ডে দৃষ্টি দিলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হওয়া যায়। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখি যে, চতুর্থ আলামতসম্পদের প্রাচুর্য কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
---- ، ثُمَّ اسْتِفَاضَةُ الْمَالِ حَتَّى يُعْطَى الرَّجُلُ مِائَةَ دِينَارٍ فَيَظَلُّ سَاخِطًا، ----
----- তারপর সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যাক্তিকে একশ’ দ্বীনার দেওয়া সত্ত্বেও সে অসন্তুষ্ট থাকবে।----
[সহীহ বুখারী (ইফাঃ) ২৯৫২ , ৩১৭৬ ; (সুনানে ইবনে মাজাহ: কলহ-বিপর্যয় নং ৪০৪২)]
অর্থাৎ সম্পদের প্রাচুর্য এতো পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যে, একশত দীনার মানুষের কাছে কিছু মনে হবে না। একশত দীনার পেয়েও সন্তষ্ট থাকবে না।
বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি দেশের জিডিপি (GDP) -র পরিমানের সাথে বিগত কয়েক যুগের জিডিপি (GDP) -র সাথে তুলনা করে দেখলে আশাকরি আপনাদের কাছে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
পাঠকের সুবিধার জন্য বিগত ২ হাজার(১-২০০০) বছরের দেশ ভিত্তিক জিডিপির(PPP) পরিমাণ দেখান হল।
[IMG]
[/IMG]আশাকরি আপনারা একটি বিষয় খেয়াল করেছেন যে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সবথেকে বেশি হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। এই সময় সম্পদের প্রাচুর্য এত বৃদ্ধি হয়েছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
এখন আপনাদের সামনে একটি চার্ট উপস্থাপন করছি,যেখানে বর্তমান সময়ে(২০১৭,২০১৮,২০১৯ সাল) বিভিন্ন দেশের জিডিপি (GDP) -র পরিমান দাওয়া আছে।
[IMG]
[/IMG]এছাড়ও যে আরবে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদﷺ জন্ম নিয়েছেন এবং আল্লাহ তাআলা যে ভূমিকে ইসলামের জন্য প্রথমে কবুল করেছেন, চলেন সেই আরব ভূখন্ডের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখি।
[IMG]
[/IMG]উপরে উল্লেখিত অর্থের পরিমাণ শুধুমাত্র সরকারি অর্থ। এখানে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সম্পদ উল্ল্যেখ করা হয়নি। তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন যে যদি সকল মানুষের, সকল প্রতিষ্ঠানের ও সরকারের অর্থ একত্রে হিসাব করা যেত তাহলে অর্থের পরিমাণ কি হতো!
এতক্ষন আমরা যে তথ্য দিলাম তা বিশ্বব্যাংক, অর্থনীতি বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ও উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া।
এতক্ষণ তো রিপোর্ট দেখলাম, চলুন কিছু বাস্তব চিত্র দেখি।
[IMG]
[/IMG][IMG]
[/IMG]রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে কিয়ামতের আলামত বিষয়ে বর্ণিত আছে যে,
----আর তুমি নগ্নপদ, বস্ত্রহীন ও দরিদ্র ছাগলের রাখালদেরকে অট্টালিকা নির্মাণের কাজে পরস্পর গর্ব করতে দেখবে।--
[রিয়াযুস স্বা-লিহীন: অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ (كتاب المقدمات), হাদিস নং ৬১]
----যখন মেষপালের রাখালেরা সুরম্য অট্টালিকায় বসবাস করবে। ----
[সুনানে ইবনে মাজাহ: অধ্যায়ঃ ৩০/ কলহ-বিপর্যয় (كتاب الفتن),হাদিস নং ৪০৪৪]
রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সাহাবীরা নগ্নপদ, বস্ত্রহীন ও রাখাল বলতে তিঁনি কাদের বুঝাচ্ছেন এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিঁনি বলেন "আরব জাতি"। [মুসনাদে আহমদ( ভাষ্য; মহাপ্রলয়- আব্দুর রহমান আরিফী পৃ: ৫৭)]
তাহলে চলুন আরব জাতির কিছু বাস্তব চিত্র দেখে আসি,
[IMG]
[/IMG][IMG]
[/IMG][IMG]
[/IMG]----আর যখন দেখবে, মেষপালক বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত, ---
[সহীহ মুসলিম (ইফাঃ): অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) হাদিস নং ৭]
বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচু বিল্ডিং[ "মক্কা রয়্যাল ক্লক টাওয়ার হোটেল "
[IMG]
[/IMG][IMG]
[/IMG]বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বুর্জ আল-খলীফা,২৭১৭ ফুট। যা আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত (উইকিপিডিয়া)।
অপর দিকে সৌদি আরব ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে যে, তারা ৩৩০০ ফুট বিশিষ্ট বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং "জেদ্দা টাওয়ার" তৈরি করবে( ঢাকাটাইমস২৪.কম)
সুতরাং সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করে আমরা বলতে পারি যে, সম্পদের প্রাচুর্যের যে চতুর্থ আলামতের কথা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন তা বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন দেখার বিষয় বাকি দুটি আলামতের কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে আর কতটুকু বাকি আছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেনোনা বাকি দুটি আলামাতের সাথে দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইনশা-আল্লাহ সামনের পর্বে আমরা বাকি দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
(আপনাদের মতামত, পরামর্শ , দলীল সহকারে সহযোগিতা ও দোয়া আশাকরি)
মুজাহিদদের জন্য দোয়া করতে অবহেলা করেন না(অনুরোধ)।
Comment