★بسم الله الرحمٰن الرحيم
পর্ব-২
★তাক্বওয়ার দোহাই দিয়ে জিহাদ বর্জন করা নিফাকের আলামত★
জাদ বিন কইস ছিল একজন মুনাফিক, সে বাহানা পেশ করতো যে, আমি সুন্দরিদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি। আর রোমান মেয়েরা তো অত্যন্ত সুন্দরী হয়ে থাকে, তাই জিহাদে বের হলে আমার তাক্বওয়া ও দ্বীনের ক্ষতি হয়ে যাবে। এই জন্য আমি চাচ্ছি জিহাদে বের না হতে।
(বায়ানুল কুরআন, সূরা তাওবা, আয়াত-৪৯)
★নেককার কোনো ইমাম থাকা কিংবা অন্তর পরিশুদ্ধ হওয়া জিহাদ ফরজ হওয়ার জন্য কোনো শর্ত নয়★
"জিহাদ চলতে থাকবে প্রত্যেক নেককার এবং বদকারকে সঙ্গে নিয়েই।"
উল্লেখিত হাদীসের অংশটিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতির দিকে ইশারা রয়েছে, তা হলো, গ্রুপভিত্তিক পরিচালিত বিষয়গুলোতে, সদস্যদের অবস্থার প্রতি স্বতন্ত্রভাবে বিশেষ কোন দৃষ্টি দেওয়া হয় না। কেননা, সর্বদা সব গ্রুপেই সদস্যদের মাঝে ভাল-মন্দ থাকে। এমন গ্রুপ পাওয়াও তো অসম্ভব, যাতে শুধু ভালোরাই থাকবে। সুতরাং গ্রুপের সব সদস্যই ভাল হতে হবে, এই দোহাই দিয়ে যদি কাজ করা থেকে বিরত থাকা হয়, তাহলে তো অনেক কল্যাণকর কাজও আর হয়ে উঠবে না........
জিহাদ চলবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত এবং জিহাদ হয়ে থাকে গ্রুপ ভিত্তিক, এটা তো জানা বিষয় যে, সদাসর্বদা ভালো ব্যক্তিদেরকে পাওয়া যাওয়া অত সহজ নয়। তাই হয়তো একথা বলতে হবে যে, জিহাদ করার সময় শেষ হয়ে গেছে কিংবা ভাল-মন্দ ব্যক্তিদেরকে সঙ্গে নিয়েই জিহাদ চলবে....
মানুষের অবস্থা যাচাই-বাছাই করতে থাকা এবং মন্দ ব্যক্তিদের কারণে জিহাদ বিলম্ব করা মূলত কল্যাণকর বিষয়কে দূরে ঠেলে দেওয়ার মতই।
(আল্লামা কাশ্মিরী রাহিমাহুল্লাহ, আল্লাহ উনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন!)
★জিহাদে যাওয়ার জন্য আমল মজবুত হওয়া কোন শর্ত নয়★
التائبون العابدون الحامدون...
এর দ্বারা এইসব গুণাবলী উল্লেখ করার দ্বারা উদ্দেশ্য এই নয় যে, উক্ত গুণগুলো যদি না থাকে, তাহলে জিহাদের সওয়াব পাওয়া যাবে না। কেননা, এমন অনেক আয়াত ও হাদীস রয়েছে, যেগুলোতে শুধু জিহাদের উপরই সুসংবাদ এসেছে। তবে হ্যাঁ, জিহাদের জন্য ঈমানদার হওয়া শর্ত।
আর উক্ত আয়াতে এসব গুণাবলী উল্লেখ করার অর্থ হলো, কারো মাঝে যদি এসব গুণের সমাবেশ ঘটে, তাহলে তার সওয়াব ও ফজিলত বেশি হবে এবং ঈমানী শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এটাও উদ্দেশ্য যে, কেউ যেন শুধু জিহাদ করে বসে না থাকে, বরং এই ইবাদাত-গুলোও আদায় করতে থাকে।
(বায়ানুল কুরআন, সূরা তাওবা, আয়াত-১১২)
পর্ব-২
★তাক্বওয়ার দোহাই দিয়ে জিহাদ বর্জন করা নিফাকের আলামত★
জাদ বিন কইস ছিল একজন মুনাফিক, সে বাহানা পেশ করতো যে, আমি সুন্দরিদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি। আর রোমান মেয়েরা তো অত্যন্ত সুন্দরী হয়ে থাকে, তাই জিহাদে বের হলে আমার তাক্বওয়া ও দ্বীনের ক্ষতি হয়ে যাবে। এই জন্য আমি চাচ্ছি জিহাদে বের না হতে।
(বায়ানুল কুরআন, সূরা তাওবা, আয়াত-৪৯)
★নেককার কোনো ইমাম থাকা কিংবা অন্তর পরিশুদ্ধ হওয়া জিহাদ ফরজ হওয়ার জন্য কোনো শর্ত নয়★
"জিহাদ চলতে থাকবে প্রত্যেক নেককার এবং বদকারকে সঙ্গে নিয়েই।"
উল্লেখিত হাদীসের অংশটিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতির দিকে ইশারা রয়েছে, তা হলো, গ্রুপভিত্তিক পরিচালিত বিষয়গুলোতে, সদস্যদের অবস্থার প্রতি স্বতন্ত্রভাবে বিশেষ কোন দৃষ্টি দেওয়া হয় না। কেননা, সর্বদা সব গ্রুপেই সদস্যদের মাঝে ভাল-মন্দ থাকে। এমন গ্রুপ পাওয়াও তো অসম্ভব, যাতে শুধু ভালোরাই থাকবে। সুতরাং গ্রুপের সব সদস্যই ভাল হতে হবে, এই দোহাই দিয়ে যদি কাজ করা থেকে বিরত থাকা হয়, তাহলে তো অনেক কল্যাণকর কাজও আর হয়ে উঠবে না........
জিহাদ চলবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত এবং জিহাদ হয়ে থাকে গ্রুপ ভিত্তিক, এটা তো জানা বিষয় যে, সদাসর্বদা ভালো ব্যক্তিদেরকে পাওয়া যাওয়া অত সহজ নয়। তাই হয়তো একথা বলতে হবে যে, জিহাদ করার সময় শেষ হয়ে গেছে কিংবা ভাল-মন্দ ব্যক্তিদেরকে সঙ্গে নিয়েই জিহাদ চলবে....
মানুষের অবস্থা যাচাই-বাছাই করতে থাকা এবং মন্দ ব্যক্তিদের কারণে জিহাদ বিলম্ব করা মূলত কল্যাণকর বিষয়কে দূরে ঠেলে দেওয়ার মতই।
(আল্লামা কাশ্মিরী রাহিমাহুল্লাহ, আল্লাহ উনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন!)
★জিহাদে যাওয়ার জন্য আমল মজবুত হওয়া কোন শর্ত নয়★
التائبون العابدون الحامدون...
এর দ্বারা এইসব গুণাবলী উল্লেখ করার দ্বারা উদ্দেশ্য এই নয় যে, উক্ত গুণগুলো যদি না থাকে, তাহলে জিহাদের সওয়াব পাওয়া যাবে না। কেননা, এমন অনেক আয়াত ও হাদীস রয়েছে, যেগুলোতে শুধু জিহাদের উপরই সুসংবাদ এসেছে। তবে হ্যাঁ, জিহাদের জন্য ঈমানদার হওয়া শর্ত।
আর উক্ত আয়াতে এসব গুণাবলী উল্লেখ করার অর্থ হলো, কারো মাঝে যদি এসব গুণের সমাবেশ ঘটে, তাহলে তার সওয়াব ও ফজিলত বেশি হবে এবং ঈমানী শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এটাও উদ্দেশ্য যে, কেউ যেন শুধু জিহাদ করে বসে না থাকে, বরং এই ইবাদাত-গুলোও আদায় করতে থাকে।
(বায়ানুল কুরআন, সূরা তাওবা, আয়াত-১১২)
Comment