ক্বিতাল কি রহমত ? না বিপদ?
ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এটা মুসলমানদের জন্যও রহমত, আর কাফেরদের জন্যও রহমত।
প্রশ্ন ঃ কাদের জন্য কিভাবে রহমত?
উওর ঃ
★ (ক) মুসলমানদের জন্য এভাবে রহমত যে,
1) এর দ্বারা আল্লাহর ভালবাসা পাওয়া যায়। যথা
সূরা আস-সাফ (الصّفّ), আয়াত: ৪
إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِهِۦ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَٰنٌ مَّرْصُوصٌ
অর্থঃ আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।
2) সে এরদ্বারা হয়ত শহীদের হবে,
না হয় গাজি হবে।
3) সে মৃত্যুর যন্ত্রনা হতে বেচে যাবে।
4) রাসূল সাঃ এর কাঙ্খিত বস্ত অর্থাৎ শহীদি মৃত্যু পেয়ে যাবে।
রাসূল সাঃ বলেন
ثم احي ثم اقتل.عشر مرات
5) শহীদি মৃত্যু হল পিপিলিকার কামড়ের মত কষ্ট অনুভব হবে।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে
كقرصة النمل
অর্থাৎ পীপিলিকার কামড়ের মত।
6) আবু হুরাইরা রাঃ বলেন, আমরা মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম মানুষ। আমরা তাদেরকে শিকল বেঁধে ইসলামের দিকে নিয়ে আসব।
(অর্থাৎ এরপর তারা ইসলামের সৌন্দর্য দেখে মুসলমান হয়ে যাবে।)
★ (খ) কাফেরদের জন্য রহমত এভাবে যে,
1) মুসলমানদের বিজয়ের হলে সাধরণ কাফের তারা কোনটি সত্য কোনটি মিথ্যা যাচাইয়ের সুযোগ পাবে।
(2) মক্কায় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৩ বছর দাওয়াত দিয়েছেন, কিন্তু সাধারণ কাফেররা চিন্তা ফিকিরের সুযোগ পায়নি। কারন নেতাদের ভয়, মুসলমান হলে হয়তো বন্ধু বান্ধব হারাবে, না হয় শাস্তি ভোগ করবে, কিংবা জেল, জুলুম, নির্যাতন, বা কারাগার ঠিকানা হতে পারে অথবা মৃতু্দন্ড ও হতে পারে। একারণেই তারা মুসলমান হয়নি বরং তারা চিন্তা করার ও সুযোগ পায়নি।
( 3)মক্কা বিজয়ের পর, এদের থেকে ভয় দূর হয়ে গেছে। একারণে লোক দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করেছে।
আল্লাহ তাআ'লা বলেন
সূরা নাসর (النصر), আয়াত: ১
إِذَا جَآءَ نَصْرُ ٱللَّهِ وَٱلْفَتْحُ
অর্থঃ যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
সূরা নাসর (النصر), আয়াত: ২
وَرَأَيْتَ ٱلنَّاسَ يَدْخُلُونَ فِى دِينِ ٱللَّهِ أَفْوَاجًا
অর্থঃ এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
(4) মৃত্যুবরণ করলে বেশি শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে।
(5) বন্দি হলে মুসলমানদের আদব-আখলাক দেখে চিন্তা-ফিকির করার সুযোগ পাবে। এরপর সে মুসলমান হয়ে যাবে।
(6) আবু হুরাইরা রাঃ বলেন, আমরা মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম মানুষ। আমরা শিকল দিয়ে বেঁধে ইসলামের দিকে নিয়ে আসব।
বিঃদ্রঃ যুদ্ধ ছাড়া শিকল দিয়ে বেঁধে আনা সম্ভব না।
(তাফসিরে কুরতুবি)
আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সকলকে বুঝার ও তার উপর আমলের তাওফিক দান করুন। আমিন।
ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ এটা মুসলমানদের জন্যও রহমত, আর কাফেরদের জন্যও রহমত।
প্রশ্ন ঃ কাদের জন্য কিভাবে রহমত?
উওর ঃ
★ (ক) মুসলমানদের জন্য এভাবে রহমত যে,
1) এর দ্বারা আল্লাহর ভালবাসা পাওয়া যায়। যথা
সূরা আস-সাফ (الصّفّ), আয়াত: ৪
إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِهِۦ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَٰنٌ مَّرْصُوصٌ
অর্থঃ আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।
2) সে এরদ্বারা হয়ত শহীদের হবে,
না হয় গাজি হবে।
3) সে মৃত্যুর যন্ত্রনা হতে বেচে যাবে।
4) রাসূল সাঃ এর কাঙ্খিত বস্ত অর্থাৎ শহীদি মৃত্যু পেয়ে যাবে।
রাসূল সাঃ বলেন
ثم احي ثم اقتل.عشر مرات
5) শহীদি মৃত্যু হল পিপিলিকার কামড়ের মত কষ্ট অনুভব হবে।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে
كقرصة النمل
অর্থাৎ পীপিলিকার কামড়ের মত।
6) আবু হুরাইরা রাঃ বলেন, আমরা মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম মানুষ। আমরা তাদেরকে শিকল বেঁধে ইসলামের দিকে নিয়ে আসব।
(অর্থাৎ এরপর তারা ইসলামের সৌন্দর্য দেখে মুসলমান হয়ে যাবে।)
★ (খ) কাফেরদের জন্য রহমত এভাবে যে,
1) মুসলমানদের বিজয়ের হলে সাধরণ কাফের তারা কোনটি সত্য কোনটি মিথ্যা যাচাইয়ের সুযোগ পাবে।
(2) মক্কায় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৩ বছর দাওয়াত দিয়েছেন, কিন্তু সাধারণ কাফেররা চিন্তা ফিকিরের সুযোগ পায়নি। কারন নেতাদের ভয়, মুসলমান হলে হয়তো বন্ধু বান্ধব হারাবে, না হয় শাস্তি ভোগ করবে, কিংবা জেল, জুলুম, নির্যাতন, বা কারাগার ঠিকানা হতে পারে অথবা মৃতু্দন্ড ও হতে পারে। একারণেই তারা মুসলমান হয়নি বরং তারা চিন্তা করার ও সুযোগ পায়নি।
( 3)মক্কা বিজয়ের পর, এদের থেকে ভয় দূর হয়ে গেছে। একারণে লোক দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করেছে।
আল্লাহ তাআ'লা বলেন
সূরা নাসর (النصر), আয়াত: ১
إِذَا جَآءَ نَصْرُ ٱللَّهِ وَٱلْفَتْحُ
অর্থঃ যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
সূরা নাসর (النصر), আয়াত: ২
وَرَأَيْتَ ٱلنَّاسَ يَدْخُلُونَ فِى دِينِ ٱللَّهِ أَفْوَاجًا
অর্থঃ এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
(4) মৃত্যুবরণ করলে বেশি শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে।
(5) বন্দি হলে মুসলমানদের আদব-আখলাক দেখে চিন্তা-ফিকির করার সুযোগ পাবে। এরপর সে মুসলমান হয়ে যাবে।
(6) আবু হুরাইরা রাঃ বলেন, আমরা মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম মানুষ। আমরা শিকল দিয়ে বেঁধে ইসলামের দিকে নিয়ে আসব।
বিঃদ্রঃ যুদ্ধ ছাড়া শিকল দিয়ে বেঁধে আনা সম্ভব না।
(তাফসিরে কুরতুবি)
আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সকলকে বুঝার ও তার উপর আমলের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Comment