স্থুলকায় শরীর আর চর্বিজনিত সমস্যা নিয়ে কম-বেশ সবাই চিন্তিত। গর্ভসদৃশ ভুঁড়ি আকৃতি আর ঝুলে থাকা চর্বির জ্বালাতন বিশেষত পেটমোটাদের সারাক্ষণ ভাবিয়ে তুলছে। যুবক ছেলেপেলে এমনকি পিচ্ছিরা পর্যন্ত এ নিয়ে মহা ঝামেলার সম্মুখীন!
ঝোপ বুঝে কোপ মারার ন্যায় স্বার্থান্বেষী একদল চিকিৎসক আর এক শ্রেণীর স্পেশালিষ্টও এ নিয়ে বেশ চকচকে ঝকঝকে টকটকে বিশ্লেষণে বাজার মাতিয়ে তুলছেন। মুসলমানদের ন্যায় যুদ্ধবাজ জাতিও যে কাফেরদের এসব প্রোপাগান্ডা আর রঙ্গিন মগজ ধোলাইয়ের শিকার হবে, তা কি আপনারা কখনো ভেবে দেখেছেন? আফসুস! মুসলমানরাও মেদ-ভুড়ি আর বাড়তি চর্বির আস্তরণ নিয়েও চিন্তাগ্রস্ত হয়!!!
এরচেয়ে বড় প্রশ্ন, মুসলিমদের ন্যায় লড়াকু যোদ্ধাদের শরীরে মেদ কেন বাড়বে! কেন পড়বে শরীরে চর্বির আস্তরণ! আমাদের চিন্তার দৈন্য কোথায় দেখেছেন?
মূলত আমাদের চিন্তাপদ্ধতিতে মারাত্মক পর্যায়ের বিকৃতি ঘটেছে। অনুপ্রবেশ করেছে শয়তানি রং আর দুরাচারী কাফেরদের পরিকল্পিত বিষ। এ কারণেই অনেক সময় আমাদের মুখ দিয়ে এমন সব কথা ফুটে বেরোয়, এমন সব চেতনা ঘুরপাক খায়, আদৌ ইসলাম ও মুসলমানদের শান ও ঐতিহ্যের সাথে যা কোনভাবেই যায় না।
কেন এমন চিন্তা?
একটা সূক্ষ্মপ্রকৃতির সমস্যা আজ আপনাদের অবহিত করছি। আওয়ামদের কথা বাদ, খাওয়াসদের মাঝেও এটি মাত্রাতিরিক্ত পরিলক্ষিত হয়। নাস্তিকরা দেশব্যাপী হইচই শুরু করল। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিল। আর আমরা ফতওয়া দিয়ে দিলাম যে, "এখন যেহেতু খিলাফত ও ইসলামী সরকার নেই, তাই রাস্তা-ঘাটে তাদের হত্যা করা যাবে না। সরকারের কাছে আমরা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু আইন আমরা হাতে তুলে নেব না"।
তাহকীক ও শুদ্ধির বিচারে যাচ্ছি না। এ সব শিরোনামধারীদের বিজ্ঞজনোচিত! বক্তব্য দেখুন, এরা আপনাকে 'যেহেতু' নামক ধাঁধায় ফেলে সত্যভিন্ন পথে টেনে নিতে চাইবে। বলবে, হ্যাঁ, রাসূল অবনাননার শাস্তি জীবনদণ্ড। কিন্তু যেহেতু এখন খিলাফত নেই, তাই নিজেরা এগুলো করতে যাওয়া ফিতনা-ফাসাদ বৈ কিছুই নয়। কিন্তু আপনার সামনে তারা এ সত্য উপস্থাপন করবে না যে, 'কেন এমন হল', যেহেতু উত্তর হবে, 'খিলাফত না থাকার দরুন'। তখন কিন্তু সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। কারণ, সবারই সেসময় একটাই জিজ্ঞাসা থাকবে যে, যে খিলাফাহর অভাবে রাসূল অবমাননার চূড়ান্ত পরিণতির ন্যায় ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক বিষয়ের বাস্তবায়নের পথ স্তব্ধ ও অকেজো পড়ে রয়েছে, কেন আলেমরা তা পূণঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের ঐক্যবদ্ধ শ্রম ব্যয় করছেন না এবং আল্লাহর রাহে স্বীয় জানমাল দ্বারা লড়ায়ে উদ্বুদ্ধ করছেন না।
এই 'কেন' দিয়ে আপনার সামনে মাসায়েল ভাঙ্গবে না এবং তদনুযায়ী করণীয় বাতলে দেবে না। বরং শরীয়াহ প্রদত্ব করণীয়কে কাটছাট উপস্থাপন করে আপনাকে নিয়ে ফেলবে সুদূর এক ভ্রান্তিতে, খাইরুল কুরুনের সাথে যার আকিদা-আমলগত কোন মিল নেই।
একই কথা হুদুদ বাস্তবায়নে। তারা উক্তি করবে, 'এখন যেহেতু ইসলামি খেলাফত নেই, তাই চুরি-ডাকাতির শান্তি বাস্তবায়ন সম্ভবপর হচ্ছে না। নইলে আমরাও তো চাই'। প্রশ্ন হল, কেন তবে খেলাফাতে ইসলামিয়্যাহ অবিদ্যমান? এই 'কেন এমন হল' র আঙ্গিকে কেউ সংকট নিরসনকল্পে জিহাদের আওয়াজ দেবে না।
আজকের মুসলমানদের কল্পনাতীত বিলাসবহুল জীবন-যাপন আর মেদ-চর্বির বাজে চিন্তাও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়। এ নিয়ে এ যাবত কত গবেষক আর গবেষনার যে আমদানি হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই! কত রকমের ডায়েট— কিটো ডায়েট, কচু ডায়েট আর আলু ডায়েট সহ আরো নাম না জানা কত খাদ্যাভাসের যে উদ্ভব হয়েছে গুণে শেষ করা যাবে না। আবার অনেকের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে এক্সারসাইজ আর জিম-কারাতের শারিরীক কসরতের। কিন্তু 'কেন এমন হল' এ আলোচনা কেউ করছে না।
আশ্চর্য! মুসলমানদের স্বরণ থেকে 'ই'দাদ লিল জিহাদ' কোথায় উবে গেল!! বিষয়টি সর্বসংশ্লিষ্ট। অতএব সবারই এ নিয়ে ভাবা অত্যাবশ্যকীয়। বিশেষ করে সম্মানিত আলেমবৃন্দের উক্তি আর লিখনিতে বিষয়টি নিয়ে জোরদার ও গঠনমূলক আলোচনা অতিব জরুরী। এটা অনেক উত্তম যে, ডায়েট ও খাদ্যাভাস আর ব্যাক্তিগত ও স্বীয় আত্মরক্ষার নিমিত্তে শারিরীক কসরতেই সন্তুষ্ট থাকা।
দীর্ঘকাল পর্যন্ত আমরা মুসলিমরা স্বীয় আত্মরক্ষা আর পার্থিব স্বার্থের পিছনেই পড়ে রইলাম। অথচ 'দিফা' আনিল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন' র জন্যে যে আগেভাগেই আপন শরীরকে সুগঠিত করতে হয় তা আমরা বিস্মৃত হয়েই রইলাম! অতএব কোন ডায়েট-ফায়েট নয়, একমাত্র সমাধান 'আল ই'দাদ'। উম্মাহর ধ্যানমনে ঢুকিয়ে দিন এই চিন্তা। সমস্বরে আওয়াজ তুললে অসম্ভব নয় যে, এই মাটিই হয়ে উঠবে ই'দাদের এক জীবন্ত ভূমি।
ঝোপ বুঝে কোপ মারার ন্যায় স্বার্থান্বেষী একদল চিকিৎসক আর এক শ্রেণীর স্পেশালিষ্টও এ নিয়ে বেশ চকচকে ঝকঝকে টকটকে বিশ্লেষণে বাজার মাতিয়ে তুলছেন। মুসলমানদের ন্যায় যুদ্ধবাজ জাতিও যে কাফেরদের এসব প্রোপাগান্ডা আর রঙ্গিন মগজ ধোলাইয়ের শিকার হবে, তা কি আপনারা কখনো ভেবে দেখেছেন? আফসুস! মুসলমানরাও মেদ-ভুড়ি আর বাড়তি চর্বির আস্তরণ নিয়েও চিন্তাগ্রস্ত হয়!!!
এরচেয়ে বড় প্রশ্ন, মুসলিমদের ন্যায় লড়াকু যোদ্ধাদের শরীরে মেদ কেন বাড়বে! কেন পড়বে শরীরে চর্বির আস্তরণ! আমাদের চিন্তার দৈন্য কোথায় দেখেছেন?
মূলত আমাদের চিন্তাপদ্ধতিতে মারাত্মক পর্যায়ের বিকৃতি ঘটেছে। অনুপ্রবেশ করেছে শয়তানি রং আর দুরাচারী কাফেরদের পরিকল্পিত বিষ। এ কারণেই অনেক সময় আমাদের মুখ দিয়ে এমন সব কথা ফুটে বেরোয়, এমন সব চেতনা ঘুরপাক খায়, আদৌ ইসলাম ও মুসলমানদের শান ও ঐতিহ্যের সাথে যা কোনভাবেই যায় না।
কেন এমন চিন্তা?
একটা সূক্ষ্মপ্রকৃতির সমস্যা আজ আপনাদের অবহিত করছি। আওয়ামদের কথা বাদ, খাওয়াসদের মাঝেও এটি মাত্রাতিরিক্ত পরিলক্ষিত হয়। নাস্তিকরা দেশব্যাপী হইচই শুরু করল। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিল। আর আমরা ফতওয়া দিয়ে দিলাম যে, "এখন যেহেতু খিলাফত ও ইসলামী সরকার নেই, তাই রাস্তা-ঘাটে তাদের হত্যা করা যাবে না। সরকারের কাছে আমরা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু আইন আমরা হাতে তুলে নেব না"।
তাহকীক ও শুদ্ধির বিচারে যাচ্ছি না। এ সব শিরোনামধারীদের বিজ্ঞজনোচিত! বক্তব্য দেখুন, এরা আপনাকে 'যেহেতু' নামক ধাঁধায় ফেলে সত্যভিন্ন পথে টেনে নিতে চাইবে। বলবে, হ্যাঁ, রাসূল অবনাননার শাস্তি জীবনদণ্ড। কিন্তু যেহেতু এখন খিলাফত নেই, তাই নিজেরা এগুলো করতে যাওয়া ফিতনা-ফাসাদ বৈ কিছুই নয়। কিন্তু আপনার সামনে তারা এ সত্য উপস্থাপন করবে না যে, 'কেন এমন হল', যেহেতু উত্তর হবে, 'খিলাফত না থাকার দরুন'। তখন কিন্তু সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। কারণ, সবারই সেসময় একটাই জিজ্ঞাসা থাকবে যে, যে খিলাফাহর অভাবে রাসূল অবমাননার চূড়ান্ত পরিণতির ন্যায় ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক বিষয়ের বাস্তবায়নের পথ স্তব্ধ ও অকেজো পড়ে রয়েছে, কেন আলেমরা তা পূণঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের ঐক্যবদ্ধ শ্রম ব্যয় করছেন না এবং আল্লাহর রাহে স্বীয় জানমাল দ্বারা লড়ায়ে উদ্বুদ্ধ করছেন না।
এই 'কেন' দিয়ে আপনার সামনে মাসায়েল ভাঙ্গবে না এবং তদনুযায়ী করণীয় বাতলে দেবে না। বরং শরীয়াহ প্রদত্ব করণীয়কে কাটছাট উপস্থাপন করে আপনাকে নিয়ে ফেলবে সুদূর এক ভ্রান্তিতে, খাইরুল কুরুনের সাথে যার আকিদা-আমলগত কোন মিল নেই।
একই কথা হুদুদ বাস্তবায়নে। তারা উক্তি করবে, 'এখন যেহেতু ইসলামি খেলাফত নেই, তাই চুরি-ডাকাতির শান্তি বাস্তবায়ন সম্ভবপর হচ্ছে না। নইলে আমরাও তো চাই'। প্রশ্ন হল, কেন তবে খেলাফাতে ইসলামিয়্যাহ অবিদ্যমান? এই 'কেন এমন হল' র আঙ্গিকে কেউ সংকট নিরসনকল্পে জিহাদের আওয়াজ দেবে না।
আজকের মুসলমানদের কল্পনাতীত বিলাসবহুল জীবন-যাপন আর মেদ-চর্বির বাজে চিন্তাও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়। এ নিয়ে এ যাবত কত গবেষক আর গবেষনার যে আমদানি হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই! কত রকমের ডায়েট— কিটো ডায়েট, কচু ডায়েট আর আলু ডায়েট সহ আরো নাম না জানা কত খাদ্যাভাসের যে উদ্ভব হয়েছে গুণে শেষ করা যাবে না। আবার অনেকের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে এক্সারসাইজ আর জিম-কারাতের শারিরীক কসরতের। কিন্তু 'কেন এমন হল' এ আলোচনা কেউ করছে না।
আশ্চর্য! মুসলমানদের স্বরণ থেকে 'ই'দাদ লিল জিহাদ' কোথায় উবে গেল!! বিষয়টি সর্বসংশ্লিষ্ট। অতএব সবারই এ নিয়ে ভাবা অত্যাবশ্যকীয়। বিশেষ করে সম্মানিত আলেমবৃন্দের উক্তি আর লিখনিতে বিষয়টি নিয়ে জোরদার ও গঠনমূলক আলোচনা অতিব জরুরী। এটা অনেক উত্তম যে, ডায়েট ও খাদ্যাভাস আর ব্যাক্তিগত ও স্বীয় আত্মরক্ষার নিমিত্তে শারিরীক কসরতেই সন্তুষ্ট থাকা।
দীর্ঘকাল পর্যন্ত আমরা মুসলিমরা স্বীয় আত্মরক্ষা আর পার্থিব স্বার্থের পিছনেই পড়ে রইলাম। অথচ 'দিফা' আনিল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন' র জন্যে যে আগেভাগেই আপন শরীরকে সুগঠিত করতে হয় তা আমরা বিস্মৃত হয়েই রইলাম! অতএব কোন ডায়েট-ফায়েট নয়, একমাত্র সমাধান 'আল ই'দাদ'। উম্মাহর ধ্যানমনে ঢুকিয়ে দিন এই চিন্তা। সমস্বরে আওয়াজ তুললে অসম্ভব নয় যে, এই মাটিই হয়ে উঠবে ই'দাদের এক জীবন্ত ভূমি।
Comment