বিশ্বযুদ্ধ ও গাজওয়ায়ে হিন্দের জন্য আধ্যাত্মিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক প্রস্তুতি❗❗❗
-------------------------------------------------------------হয়তো তখন ইন্টারনেট সিস্টেম হাতের নাগালে থাকবে না তাই আজই পোস্টটা প্রিন্ট করে বাসায় ঝুলিয়ে রাখুন।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে পরার সম্ভাবনা কম আবার উড়িয়েও দেওয়া যায় না। কারণ চিন ও ভারত উভয়ই চায় বাংলাদেশ ব্যবহার করে পরস্পরকে আক্রমণ করতে।এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে চিন অথবা ভারত,যে কোন এক দেশের পক্ষ নিতে হবে।এছাড়া বিশ্বযুদ্ধ বাদ দিলেও সামনে রয়েছে গাজওয়াতুল হিন্দ।যা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মযুদ্ধ। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে জ্ঞান রাখা উচিত।
বিশ্বযুদ্ধ এবং গাজওয়ায়ে হিন্দ এর প্রস্তুতি:
-----------------------------------------------------------------
বর্তমান সারা বিশ্বে মুসলমান নির্যাতিত। অসহায়ের মত মার খাচ্ছে। যা থেকে প্রতীয়মান হয়, আমরা খুব তাড়াতাড়িই সেই প্রতিশ্রুত মালহামা ও গাজওয়ায়ে হিন্দের দিকেই যাচ্ছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী করা এই ২টি যুদ্ধে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বিলুপ্ত হবার আশংকা রয়েছে। তাই ধরে নিবেন আপনিও তাদের মধ্যে একজন হতেও পারেন। আর যদি বেঁচেও যান, তবুও নিচের প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। আশা করি কল্যাণের পথে ধাবিত হবেন। মনে রাখবেন, সবাই কিন্তু যুদ্ধে যাওয়ার মোট সামর্থ্য রাখে না। তাই বলে তারা কি বেঁচে থাকবে না? সুতরাং এই ফিতনা পূর্ণ যুদ্ধে বেঁচে থাকারও প্রয়োজন। গত কয়েকদিন আগে আপনারা জেনেছেন রাশিয়া তার দেশের প্রায় ৪ কোটি নাগরিকদের ট্রেনিং করিয়েছে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধে কিভাবে নিজেকে সেফ করে রাখবে এবং তাদের জন্য মাথা পিছু খাদ্যও বরাদ্দ করা আছে। তলে তলে পরাশক্তি গুলো ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, তাহলে আমরা অজ্ঞ থাকবো কোন ভরসায়? আমাদের উচিত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যুদ্ধের অপেক্ষা করা।
.
এই পোষ্ট তাদের জন্য নয়, যারা মনে করেনঃ
.
# আসহাবে কাহাফগণ কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই কেবল মাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে নগর থেকে বের হয়ে গিয়ে ছিলেন, অতঃপর আল্লাহই তাদের রক্ষা করেছেন।
# মূসা (আঃ) কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই তার অনুসারীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন, অতঃপর আল্লাহই তাদেরকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
.
সুতরাং ৩য় বিশ্ব যুদ্ধের জন্য এত চিন্তা গবেষণা বা পেরেশান, প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তাহলে দয়াকরে আপনারা বাকি অংশ টুকু পড়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
.
এই পোষ্ট তাদের জন্য, যারা মনে করেন:
.
# ইউসুফ (আঃ) দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করার জন্য ৭ বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। খাদ্য গুদামজাত করার ব্যবস্থা করেছেন।
# নূহ (আঃ) প্লাবনের আগেই নৌকা তৈরি করে রেখেছেন।
# রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাধ্যমত প্রস্তুতি নিয়েই বদরের ময়দানে হাজির হয়েছেন।
সুতরাং আমাদেরকেও সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিতে হবে।
.
একদিকে সিরিয়ায় শুরু হয়ে যাওয়া যুদ্ধ , যা ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ হয়ে, ক্রমান্বয়ে সারা পৃথিবীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। আবার ভৌগলিক ভাবে আমরা এমন একটি এলাকায় বসবাস করছি যারা মোকাবেলা করবো গাজওয়ায়ে হিন্দ। সুতরা আমাদের প্রস্তুতিটাও হতে হবে এই উভয় সংকট মাথায় রেখে। প্রস্তুতিটাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিলে বুঝতে ও পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে।
.
ক. আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি
খ. শারীরিক প্রস্তুতি
গ. মানসিক প্রস্তুতি
ঘ. অর্থনৈতিক ও খাদ্য প্রস্তুতি
ঙ. মূল জিহাদের প্রস্তুতি
.
# ক: আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি:
১। মুসলিম হওয়ার জন্য কোরআন হাদিসে যে সব শর্ত বা বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি মেনে চলার চেষ্টা করুন।
২। সকল ফরজ গুলোর ব্যাপারে কঠোর ও যত্নবান হোন।
৩। যতটুকু সম্ভব, কোরআন মুখস্থ করুন ।
( ন্যুন্যতম নামাজের জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয়, সাথে সূরা কাহাফ এর ১ম ও শেষ ১০ আয়াত এবং জরুরী দোয়া সমূহ।)
৪। সকলের সাথে পাওনা-দেনা মিটিয়ে ফেলুন।
৫। ভুল ত্রুটি বা কারো সাথে ঝগড়া মনোমালিন্য থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন। বেশী করে তাওবা, ইসতেগফার করুন।
৬। প্রতিদিন কোরআন হাদিস অধ্যয়ন করুন, যতটুকু সম্ভব।
৭। কোরআন, হাদিস, তাফছির সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বই এর হার্ড কপি নিজের কাছে, বাড়ির সবচেয়ে নিরাপদ এবং গোপন জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
৮। অশ্লীল সিনেমা, গান, নাটক, অসৎ সঙ্গ পরিহার করুন।
৯। আপনার পরিবার, নিকট আত্মীয়দের এসব ব্যাপারে সতর্ক করুন।
.
# খ) শারীরিক প্রস্তুতি:
.
১। সব রকমের GMO food পরিত্যাগ করুন।
২। এলোপ্যাথি ঔষধ বর্জন করুন।
৩। ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
৪। নিয়মিত শরীরচর্চা, বিশেষ করে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, ইত্যাদি করুন।
৫। কমন রোগ যেমন গ্যাস্ট্রিক, ডায়াবেটিস, জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি এসবের জন্য ভেষজ ঔষধগুলো বাড়িতে সংরক্ষণ করুন।
৬। বাড়িতে টিউবওয়েল বা চাপকল বসান, সাপ্লাই পানির উপর নির্ভরতা ১০০%
কমিয়ে ফেলুন।
৭। কমপক্ষে ২ বছরের জন্য সাবান, ব্যান্ডেজ, স্যাভলন, ব্লেড, সুই, সুতা, দিয়াশলাই, মোমবাতি, ব্যাটারি চালিত টর্চ লাইট ও ব্যাটারি ক্রয় করে রাখুন।
৮। জ্বালানী বিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার
৯। পরিবারের সবার জন্য কমপক্ষে ২ টি করে রেইন কোট, পর্যাপ্ত শীতের ভারি জামা ও জরুরী জামা কাপড় ক্রয় করে রাখুন। শূন্য ডিগ্রি বা মাইনাস তাপমাত্রার উপযোগী পোশাক সংগ্রহ করুন।
১০। পরিবারের সকলের জন্য ফিউম মাক্স বা গ্যাস মাক্স ১ টি করে এবং ডাস্ট মাক্স পর্যাপ্ত পরিমাণের সংগ্রহ করে রাখুন। বোম্বিং হলে যে গ্যাস নির্গত হবে তা থেকে রক্ষা পাবেন।
১১। বসবাস করার জন্য যে কোন শহর, বন্দর ত্যাগ করুন। যত অঁজো পাড়া গাঁ হবে ততই ভালো। উত্তম হবে পাহাড়ি এলাকা ও প্রাকৃতিক ঝর্না বা অধিক বৃষ্টি হয় এমন এলাকা। বেশী জনবসতি এলাকা পরিহার করুন। (ঢাকা-চিটাগাং সহ বিভাগীয় সিটির ভাই বোনদের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো)
১২। যারা একত্রে বসবাস করবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তার যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন ও হাতের কাছেই কোথাও লুকিয়ে রাখুন।
১৩। সকল পুরুষ সদস্য একত্রে ঘুমাতে বা কোথাও সফরে যাবেন না। গ্রুপ করে পালাক্রমে পাহারা দিন, ঘুমাতে যাবেন ও বাইরে যাবেন।
১৪। আশে পাশের জনপদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বাইসাইকেল সংগ্রহ করুন। দ্রুত যোগাযোগ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করুন।
১৫। ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করার অভ্যাস করুন।
১৬। মাটির নিচে ঘর তৈরি করুন, বাড়ি থেকে সহজে বের হওয়ার পথ তৈরি করে রাখুন।
১৭। তাঁবু তৈরি করার সরঞ্জাম ব্যবস্থা করুন।
১৮। আপনার এলাকার অবসর প্রাপ্ত বা কত্যর্বরত ডিফেন্স বাহিনীর সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
১৯। পাড়ায় পাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করার চেষ্টা করুন।
.
# গ) মানসিক প্রস্তুতি:-
.
১। এ যুদ্ধের শুরুতেই সারা পৃথিবীর ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হতে পারে। ফলে দেশে বিদেশে থাকা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এমন কি পরিবারের কেউ যদি প্রবাসে বা এলাকার বাইরে থাকে, তবে তার সাথেও চিরদিনের মতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে, তার জন্য প্রস্তুত হোন।
২। বৈদেশিক বাণিজ্য ও লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকৃত পণ্য, বিদেশে উৎপাদিত জরুরী ঔষধ ও যন্ত্রপাতি আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আপনার কাছের মানুষজন যারা ঐ সব ঔষধের উপর ডিপেন্ডেন্ট তারা চিকিৎসাহীনতায় ভুগবে এবং ইমারজেন্সি রোগীরা এক পর্যায় মারা যাবে, তার জন্যও প্রস্তুত হোন।
৩। চারিদিকে মৃত্যু, লাশ আর নানান ধরনের অঘটন শুনতে পাবেন, যা এখন কল্পনাতেও আসে না, এমন পরিস্থিতির জন্য মনকে শক্ত করুন।
৪। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সংকট শুরু হবে। চাল, ডাল, তেল, লবণ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। আপনার কাছে টাকা থাকবে হাজার হাজার কিন্তু ঐ টাকার বিনিময়েও আপনি জিনিসপত্র কিনতে পারবেন না। ফলে পারিবারিক খাদ্যসংকট কিভাবে সামাল দিবেন সে চিন্তা করুন । মনকে শক্ত রাখুন, কারণ এ সময় ভেঙ্গে পড়লে বাকিরাও টিকতে পারবে না।
৫। হয়তো নিজ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য মারা যাবে, আহত হবে, অসুস্থ হয়ে পড়বে, নিখোঁজ হয়ে যাবে, এসবের জন্যও মনকে প্রস্তুত রাখুন।
৬। এ জাতীয় যে কোন সমস্যাই আসুক না কেন আল্লাহর ইবাদত থেকে গাফেল হওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে এই দুনিয়াটাই পরীক্ষা ক্ষেত্র। এ ধরনের বিপদ আপদ দিয়ে আসলে আল্লাহ আমাদের যাচাই করছেন, আমরা জান্নাতের যোগ্য কি না।
৭। প্রচণ্ড অভাবের তাড়নায় আপনার বাড়িতে লুটপাট হতে পারে, হিংস্র হয়ে উঠতে পারে আশেপাশের মানুষ গুলো। তাই আসন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে আপনার প্রতিবেশীদের এখনি বোঝান। তাদের নিয়েই পরিকল্পনা করুন। যতটা সফল হবেন, পরবর্তীতে ততটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আত্মীয়-স্বজনরাও গ্রুপ ভাবে বসবাস শুরু করতে পারেন।
৮। ভৌগোলিক ভাবে আমরা বসবাস করছি গাজওয়ায়ে হিন্দের মাঝামাঝি এলাকায়, সুতরাং শত্রু পক্ষ থেকে আক্রান্ত হওয়া প্রায় নিশ্চিত। আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ করা সকল দেশে সকল ধর্মে সকল আইনেই বৈধ। সুতরাং প্রতিরোধ করার মতো মানসিক প্রস্তুতি নিন। দেশীয় অস্ত্র সংগ্রহ করে রাখুন।
৯। জরুরী প্রয়োজনে তাৎক্ষনিক ভাবে বাসস্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে, হিজরত করার দরকার পড়তে পারে, আবার এমনও হতে পারে অন্য এলাকা থেকে আপনার এলাকায় লোকজন নিরাপত্তা বা আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসতে পারে। সুতরাং মুহাজির বা আনসার দুটোর জন্যই আবু বকর (রা) এর মতো প্রস্তুত থাকুন।
.
# ঘ ) অর্থনৈতিক ও খাদ্যের প্রস্তুতি:
.
১। নিজের খাদ্য নিজেই উৎপাদন করুন, ধান, গম, আলু, শাক সবজি ইত্যাদি। কৃষিকাজের মাধ্যমে।
২। মাছ চাষ করুন।
৩। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: গবাদিপশু পালন করুন (গরু, ছাগল, ভেড়া) ইত্যাদি। (হাদিসে এর নির্দেশ রয়েছে)
৪। চাপ কল বা টিউবওয়েল মাটির অনেক গভীরে স্থাপন করুন। সাধারণত যতটুকু নীচ থেকে পানি উঠে তার চাইতে ৫০-১০০ ফুট নীচে।এ ছাড়াও নদী, পুকুর, ঝর্নার পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করার পদ্ধতি জেনে নিন। চাপ কলের যাবতীয় প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ সংগ্রহ করে রাখুন।
৫। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখুন। যেমন চিড়া, মুড়ি, শিম বা কুমড়ার বিচি, বাদাম, ছোলা, কিসমিস ইত্যাদি ।
৬। আপনার ব্যাংক একাউন্ট, ডিপোজিট বা এ জাতীয় খাতে যত টাকা আছে তা এক মুহূর্তও নিরাপদ নয়। দ্রুত তুলে ফেলুন। তা দিয়ে স্বর্ণ ক্রয় করুন বা গবাদি পশুতে পরিণত করুন। মনে রাখবেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস হলে ব্যাংকে টাকা থাকলেও তুলতে পারবেন না।
৭। বাসস্থানের আশেপাশে পর্যাপ্ত ফল গাছ রোপণ করুন।
৮। বাচ্চাদেরকে এখন থেকেই চিপস, চকোলেট, আইসক্রিম জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখার অভ্যাস করুন।
৯। শুকনো লাকড়ির ব্যবস্থা করে রাখুন।
# ঙ . মূল জিহাদের প্রস্তুতি:
.
১। ময়দানে দৈনিক/নিয়মিত গোসলের কোনও ব্যবস্থা থাকেনা, তাই মাসে ১/২/৩ বার গোসলের অভ্যাস করুন। না হয় ময়দান থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হবেন।
২। বেশী করে ‘কাঁচা মরিচ’ খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরী, যাতে আপনার রক্ত খেয়ে ডেংগু মশাটিও মারা যায় এবং আপনি ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে পারেন। ময়দানে ম্যালেরিয়া রোগীর চিকিৎসা খুবই কষ্টকর।
৩। পায়ের পাতায় ভর করে বেশী বেশী হাঁটার অভ্যাস করুন। ময়দানে পায়ের গোড়ালির চাইতে পায়ের পাতায় বেশী ভর দিয়ে চলতে হয়। পায়ের গোড়ালির চেয়ে পায়ের পাতার ব্যবহার বেশী হয়। তাই ভারী কোন জিনিস সহ প্রচুর দাড়িয়ে থাকার অভ্যাস করুন।
৪। সংক্ষিপ্ত ও শুকনো এবং পানি ছাড়া দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস করুন…
৫। ঠাণ্ডা ও গরম, উভয় মৌসুমে মোটা কাপড় ও মোটা চামড়ার উঁচু জুতা ব্যবহারের অভ্যাস করুন এবং সেই মোটা/ময়লা (কিন্তু পবিত্র) কাপড়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
৬। আলো ও প্রচণ্ড আওয়াজের মাঝে জুতা পায়ে কম ঘুমের অভ্যাস করে সুস্থ থাকার অভ্যাস করুন।
৭। প্রত্যেক ‘জিহাদ প্রিয়’ মুমিনদের মা বাবা সহ পরিবারকে নির্যাতিত মুসলিম বিশ্বের অবস্থা, জিহাদে আল্লাহ তায়ালার সরাসরি সাহায্যের কাহিনী এবং বিশ্বব্যাপী জিহাদি তৎপরতা-সফলতা তুলে ধরে – কৌশলে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা জরুরি।
(অন্যথায় পরবর্তীকালে আপনার পরিবার-পরিজনই হবে আপনার পথে প্রতিবন্ধক, আপনার শত্রু)
৮। জিহাদের জন্য অর্থ বা কাঁচা সোনা সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতে হবে যত বেশী সম্ভব। মুজাহিদদের অর্থ সংকট বেশী। যেহেতু কুফরি বিশ্ব তাদের সকল লেনদেনের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে, যাতে মুজাহিদরা ইন্টারন্যাশনাল ভাবে টাকা সংগ্রহ করতে না পারে।
এতক্ষণ যেসব প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে তা কেবল বেসিক ধারনা দেয়া হলো। এলাকা ভেদে তার থেকে কম বেশী প্রস্তুতি নিতে হতে পারে। তা নিজেই চিন্তা গবেষণা করে বের করুন। সব শেষে যে কথাটি বলে রাখতে চাই, তা এখনি বলে রাখি, প্রযুক্তি ধ্বংস হবার ফলে হয়তো উপযুক্ত সময়ে জানাতে পারবো না।
মনে রাখবেন, মহা যুদ্ধের পরপরই দাজ্জাল বের হবে, বের হবার ২-৩ বছর আগে পৃথিবীতে অনাবৃষ্টির ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে, শেষ বছর একেবারেই খাদ্য উৎপাদন হবে না, আর সে তখন রুটির পাহাড় বা ত্রাণ নিয়ে হাজির হবে,ঘরে ক্ষুধার্ত স্ত্রী সন্তান রেখে সে ত্রাণ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা বড়ই কঠিন পরীক্ষা, বড়ই কঠিন। আর এ মুহূর্তে যদি ধৈর্য ধরতে পারেন সুবহানআল্লাহ আপনাকে খাদ্য দেবে আলহামদুলিল্লাহ্* আপনাকে খাদ্য দেবে, আল্লাহু আকবার আপনাকে খাদ্য দেবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে তার রহমত এবং বরকতে ঢেকে রাখুন। আমাদেরকে পৌঁছে দিন চিরস্থায়ী জান্নাতে। আমিন।
হয়তো জানা অজানা আরো বহু ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তাই ধৈর্য হারাবেন না, অচিরেই সুদিন আসছে।
" যখনই কোন বিপদ আসে (মুমিনরা) বলেঃ “আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে," (বাকারাহ,আয়াত:১৫৬)
-------------------------------------------------------------হয়তো তখন ইন্টারনেট সিস্টেম হাতের নাগালে থাকবে না তাই আজই পোস্টটা প্রিন্ট করে বাসায় ঝুলিয়ে রাখুন।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে পরার সম্ভাবনা কম আবার উড়িয়েও দেওয়া যায় না। কারণ চিন ও ভারত উভয়ই চায় বাংলাদেশ ব্যবহার করে পরস্পরকে আক্রমণ করতে।এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে চিন অথবা ভারত,যে কোন এক দেশের পক্ষ নিতে হবে।এছাড়া বিশ্বযুদ্ধ বাদ দিলেও সামনে রয়েছে গাজওয়াতুল হিন্দ।যা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মযুদ্ধ। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে জ্ঞান রাখা উচিত।
বিশ্বযুদ্ধ এবং গাজওয়ায়ে হিন্দ এর প্রস্তুতি:
-----------------------------------------------------------------
বর্তমান সারা বিশ্বে মুসলমান নির্যাতিত। অসহায়ের মত মার খাচ্ছে। যা থেকে প্রতীয়মান হয়, আমরা খুব তাড়াতাড়িই সেই প্রতিশ্রুত মালহামা ও গাজওয়ায়ে হিন্দের দিকেই যাচ্ছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী করা এই ২টি যুদ্ধে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বিলুপ্ত হবার আশংকা রয়েছে। তাই ধরে নিবেন আপনিও তাদের মধ্যে একজন হতেও পারেন। আর যদি বেঁচেও যান, তবুও নিচের প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। আশা করি কল্যাণের পথে ধাবিত হবেন। মনে রাখবেন, সবাই কিন্তু যুদ্ধে যাওয়ার মোট সামর্থ্য রাখে না। তাই বলে তারা কি বেঁচে থাকবে না? সুতরাং এই ফিতনা পূর্ণ যুদ্ধে বেঁচে থাকারও প্রয়োজন। গত কয়েকদিন আগে আপনারা জেনেছেন রাশিয়া তার দেশের প্রায় ৪ কোটি নাগরিকদের ট্রেনিং করিয়েছে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধে কিভাবে নিজেকে সেফ করে রাখবে এবং তাদের জন্য মাথা পিছু খাদ্যও বরাদ্দ করা আছে। তলে তলে পরাশক্তি গুলো ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, তাহলে আমরা অজ্ঞ থাকবো কোন ভরসায়? আমাদের উচিত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যুদ্ধের অপেক্ষা করা।
.
এই পোষ্ট তাদের জন্য নয়, যারা মনে করেনঃ
.
# আসহাবে কাহাফগণ কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই কেবল মাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে নগর থেকে বের হয়ে গিয়ে ছিলেন, অতঃপর আল্লাহই তাদের রক্ষা করেছেন।
# মূসা (আঃ) কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই তার অনুসারীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন, অতঃপর আল্লাহই তাদেরকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
.
সুতরাং ৩য় বিশ্ব যুদ্ধের জন্য এত চিন্তা গবেষণা বা পেরেশান, প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তাহলে দয়াকরে আপনারা বাকি অংশ টুকু পড়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
.
এই পোষ্ট তাদের জন্য, যারা মনে করেন:
.
# ইউসুফ (আঃ) দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করার জন্য ৭ বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। খাদ্য গুদামজাত করার ব্যবস্থা করেছেন।
# নূহ (আঃ) প্লাবনের আগেই নৌকা তৈরি করে রেখেছেন।
# রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাধ্যমত প্রস্তুতি নিয়েই বদরের ময়দানে হাজির হয়েছেন।
সুতরাং আমাদেরকেও সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিতে হবে।
.
একদিকে সিরিয়ায় শুরু হয়ে যাওয়া যুদ্ধ , যা ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ হয়ে, ক্রমান্বয়ে সারা পৃথিবীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। আবার ভৌগলিক ভাবে আমরা এমন একটি এলাকায় বসবাস করছি যারা মোকাবেলা করবো গাজওয়ায়ে হিন্দ। সুতরা আমাদের প্রস্তুতিটাও হতে হবে এই উভয় সংকট মাথায় রেখে। প্রস্তুতিটাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিলে বুঝতে ও পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে।
.
ক. আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি
খ. শারীরিক প্রস্তুতি
গ. মানসিক প্রস্তুতি
ঘ. অর্থনৈতিক ও খাদ্য প্রস্তুতি
ঙ. মূল জিহাদের প্রস্তুতি
.
# ক: আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি:
১। মুসলিম হওয়ার জন্য কোরআন হাদিসে যে সব শর্ত বা বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি মেনে চলার চেষ্টা করুন।
২। সকল ফরজ গুলোর ব্যাপারে কঠোর ও যত্নবান হোন।
৩। যতটুকু সম্ভব, কোরআন মুখস্থ করুন ।
( ন্যুন্যতম নামাজের জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয়, সাথে সূরা কাহাফ এর ১ম ও শেষ ১০ আয়াত এবং জরুরী দোয়া সমূহ।)
৪। সকলের সাথে পাওনা-দেনা মিটিয়ে ফেলুন।
৫। ভুল ত্রুটি বা কারো সাথে ঝগড়া মনোমালিন্য থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন। বেশী করে তাওবা, ইসতেগফার করুন।
৬। প্রতিদিন কোরআন হাদিস অধ্যয়ন করুন, যতটুকু সম্ভব।
৭। কোরআন, হাদিস, তাফছির সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বই এর হার্ড কপি নিজের কাছে, বাড়ির সবচেয়ে নিরাপদ এবং গোপন জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
৮। অশ্লীল সিনেমা, গান, নাটক, অসৎ সঙ্গ পরিহার করুন।
৯। আপনার পরিবার, নিকট আত্মীয়দের এসব ব্যাপারে সতর্ক করুন।
.
# খ) শারীরিক প্রস্তুতি:
.
১। সব রকমের GMO food পরিত্যাগ করুন।
২। এলোপ্যাথি ঔষধ বর্জন করুন।
৩। ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
৪। নিয়মিত শরীরচর্চা, বিশেষ করে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, ইত্যাদি করুন।
৫। কমন রোগ যেমন গ্যাস্ট্রিক, ডায়াবেটিস, জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি এসবের জন্য ভেষজ ঔষধগুলো বাড়িতে সংরক্ষণ করুন।
৬। বাড়িতে টিউবওয়েল বা চাপকল বসান, সাপ্লাই পানির উপর নির্ভরতা ১০০%
কমিয়ে ফেলুন।
৭। কমপক্ষে ২ বছরের জন্য সাবান, ব্যান্ডেজ, স্যাভলন, ব্লেড, সুই, সুতা, দিয়াশলাই, মোমবাতি, ব্যাটারি চালিত টর্চ লাইট ও ব্যাটারি ক্রয় করে রাখুন।
৮। জ্বালানী বিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার
৯। পরিবারের সবার জন্য কমপক্ষে ২ টি করে রেইন কোট, পর্যাপ্ত শীতের ভারি জামা ও জরুরী জামা কাপড় ক্রয় করে রাখুন। শূন্য ডিগ্রি বা মাইনাস তাপমাত্রার উপযোগী পোশাক সংগ্রহ করুন।
১০। পরিবারের সকলের জন্য ফিউম মাক্স বা গ্যাস মাক্স ১ টি করে এবং ডাস্ট মাক্স পর্যাপ্ত পরিমাণের সংগ্রহ করে রাখুন। বোম্বিং হলে যে গ্যাস নির্গত হবে তা থেকে রক্ষা পাবেন।
১১। বসবাস করার জন্য যে কোন শহর, বন্দর ত্যাগ করুন। যত অঁজো পাড়া গাঁ হবে ততই ভালো। উত্তম হবে পাহাড়ি এলাকা ও প্রাকৃতিক ঝর্না বা অধিক বৃষ্টি হয় এমন এলাকা। বেশী জনবসতি এলাকা পরিহার করুন। (ঢাকা-চিটাগাং সহ বিভাগীয় সিটির ভাই বোনদের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো)
১২। যারা একত্রে বসবাস করবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তার যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন ও হাতের কাছেই কোথাও লুকিয়ে রাখুন।
১৩। সকল পুরুষ সদস্য একত্রে ঘুমাতে বা কোথাও সফরে যাবেন না। গ্রুপ করে পালাক্রমে পাহারা দিন, ঘুমাতে যাবেন ও বাইরে যাবেন।
১৪। আশে পাশের জনপদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বাইসাইকেল সংগ্রহ করুন। দ্রুত যোগাযোগ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করুন।
১৫। ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করার অভ্যাস করুন।
১৬। মাটির নিচে ঘর তৈরি করুন, বাড়ি থেকে সহজে বের হওয়ার পথ তৈরি করে রাখুন।
১৭। তাঁবু তৈরি করার সরঞ্জাম ব্যবস্থা করুন।
১৮। আপনার এলাকার অবসর প্রাপ্ত বা কত্যর্বরত ডিফেন্স বাহিনীর সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
১৯। পাড়ায় পাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করার চেষ্টা করুন।
.
# গ) মানসিক প্রস্তুতি:-
.
১। এ যুদ্ধের শুরুতেই সারা পৃথিবীর ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হতে পারে। ফলে দেশে বিদেশে থাকা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এমন কি পরিবারের কেউ যদি প্রবাসে বা এলাকার বাইরে থাকে, তবে তার সাথেও চিরদিনের মতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে, তার জন্য প্রস্তুত হোন।
২। বৈদেশিক বাণিজ্য ও লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকৃত পণ্য, বিদেশে উৎপাদিত জরুরী ঔষধ ও যন্ত্রপাতি আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আপনার কাছের মানুষজন যারা ঐ সব ঔষধের উপর ডিপেন্ডেন্ট তারা চিকিৎসাহীনতায় ভুগবে এবং ইমারজেন্সি রোগীরা এক পর্যায় মারা যাবে, তার জন্যও প্রস্তুত হোন।
৩। চারিদিকে মৃত্যু, লাশ আর নানান ধরনের অঘটন শুনতে পাবেন, যা এখন কল্পনাতেও আসে না, এমন পরিস্থিতির জন্য মনকে শক্ত করুন।
৪। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সংকট শুরু হবে। চাল, ডাল, তেল, লবণ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। আপনার কাছে টাকা থাকবে হাজার হাজার কিন্তু ঐ টাকার বিনিময়েও আপনি জিনিসপত্র কিনতে পারবেন না। ফলে পারিবারিক খাদ্যসংকট কিভাবে সামাল দিবেন সে চিন্তা করুন । মনকে শক্ত রাখুন, কারণ এ সময় ভেঙ্গে পড়লে বাকিরাও টিকতে পারবে না।
৫। হয়তো নিজ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য মারা যাবে, আহত হবে, অসুস্থ হয়ে পড়বে, নিখোঁজ হয়ে যাবে, এসবের জন্যও মনকে প্রস্তুত রাখুন।
৬। এ জাতীয় যে কোন সমস্যাই আসুক না কেন আল্লাহর ইবাদত থেকে গাফেল হওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে এই দুনিয়াটাই পরীক্ষা ক্ষেত্র। এ ধরনের বিপদ আপদ দিয়ে আসলে আল্লাহ আমাদের যাচাই করছেন, আমরা জান্নাতের যোগ্য কি না।
৭। প্রচণ্ড অভাবের তাড়নায় আপনার বাড়িতে লুটপাট হতে পারে, হিংস্র হয়ে উঠতে পারে আশেপাশের মানুষ গুলো। তাই আসন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে আপনার প্রতিবেশীদের এখনি বোঝান। তাদের নিয়েই পরিকল্পনা করুন। যতটা সফল হবেন, পরবর্তীতে ততটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আত্মীয়-স্বজনরাও গ্রুপ ভাবে বসবাস শুরু করতে পারেন।
৮। ভৌগোলিক ভাবে আমরা বসবাস করছি গাজওয়ায়ে হিন্দের মাঝামাঝি এলাকায়, সুতরাং শত্রু পক্ষ থেকে আক্রান্ত হওয়া প্রায় নিশ্চিত। আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ করা সকল দেশে সকল ধর্মে সকল আইনেই বৈধ। সুতরাং প্রতিরোধ করার মতো মানসিক প্রস্তুতি নিন। দেশীয় অস্ত্র সংগ্রহ করে রাখুন।
৯। জরুরী প্রয়োজনে তাৎক্ষনিক ভাবে বাসস্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে, হিজরত করার দরকার পড়তে পারে, আবার এমনও হতে পারে অন্য এলাকা থেকে আপনার এলাকায় লোকজন নিরাপত্তা বা আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসতে পারে। সুতরাং মুহাজির বা আনসার দুটোর জন্যই আবু বকর (রা) এর মতো প্রস্তুত থাকুন।
.
# ঘ ) অর্থনৈতিক ও খাদ্যের প্রস্তুতি:
.
১। নিজের খাদ্য নিজেই উৎপাদন করুন, ধান, গম, আলু, শাক সবজি ইত্যাদি। কৃষিকাজের মাধ্যমে।
২। মাছ চাষ করুন।
৩। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: গবাদিপশু পালন করুন (গরু, ছাগল, ভেড়া) ইত্যাদি। (হাদিসে এর নির্দেশ রয়েছে)
৪। চাপ কল বা টিউবওয়েল মাটির অনেক গভীরে স্থাপন করুন। সাধারণত যতটুকু নীচ থেকে পানি উঠে তার চাইতে ৫০-১০০ ফুট নীচে।এ ছাড়াও নদী, পুকুর, ঝর্নার পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করার পদ্ধতি জেনে নিন। চাপ কলের যাবতীয় প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ সংগ্রহ করে রাখুন।
৫। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখুন। যেমন চিড়া, মুড়ি, শিম বা কুমড়ার বিচি, বাদাম, ছোলা, কিসমিস ইত্যাদি ।
৬। আপনার ব্যাংক একাউন্ট, ডিপোজিট বা এ জাতীয় খাতে যত টাকা আছে তা এক মুহূর্তও নিরাপদ নয়। দ্রুত তুলে ফেলুন। তা দিয়ে স্বর্ণ ক্রয় করুন বা গবাদি পশুতে পরিণত করুন। মনে রাখবেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস হলে ব্যাংকে টাকা থাকলেও তুলতে পারবেন না।
৭। বাসস্থানের আশেপাশে পর্যাপ্ত ফল গাছ রোপণ করুন।
৮। বাচ্চাদেরকে এখন থেকেই চিপস, চকোলেট, আইসক্রিম জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখার অভ্যাস করুন।
৯। শুকনো লাকড়ির ব্যবস্থা করে রাখুন।
# ঙ . মূল জিহাদের প্রস্তুতি:
.
১। ময়দানে দৈনিক/নিয়মিত গোসলের কোনও ব্যবস্থা থাকেনা, তাই মাসে ১/২/৩ বার গোসলের অভ্যাস করুন। না হয় ময়দান থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হবেন।
২। বেশী করে ‘কাঁচা মরিচ’ খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরী, যাতে আপনার রক্ত খেয়ে ডেংগু মশাটিও মারা যায় এবং আপনি ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে পারেন। ময়দানে ম্যালেরিয়া রোগীর চিকিৎসা খুবই কষ্টকর।
৩। পায়ের পাতায় ভর করে বেশী বেশী হাঁটার অভ্যাস করুন। ময়দানে পায়ের গোড়ালির চাইতে পায়ের পাতায় বেশী ভর দিয়ে চলতে হয়। পায়ের গোড়ালির চেয়ে পায়ের পাতার ব্যবহার বেশী হয়। তাই ভারী কোন জিনিস সহ প্রচুর দাড়িয়ে থাকার অভ্যাস করুন।
৪। সংক্ষিপ্ত ও শুকনো এবং পানি ছাড়া দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস করুন…
৫। ঠাণ্ডা ও গরম, উভয় মৌসুমে মোটা কাপড় ও মোটা চামড়ার উঁচু জুতা ব্যবহারের অভ্যাস করুন এবং সেই মোটা/ময়লা (কিন্তু পবিত্র) কাপড়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
৬। আলো ও প্রচণ্ড আওয়াজের মাঝে জুতা পায়ে কম ঘুমের অভ্যাস করে সুস্থ থাকার অভ্যাস করুন।
৭। প্রত্যেক ‘জিহাদ প্রিয়’ মুমিনদের মা বাবা সহ পরিবারকে নির্যাতিত মুসলিম বিশ্বের অবস্থা, জিহাদে আল্লাহ তায়ালার সরাসরি সাহায্যের কাহিনী এবং বিশ্বব্যাপী জিহাদি তৎপরতা-সফলতা তুলে ধরে – কৌশলে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা জরুরি।
(অন্যথায় পরবর্তীকালে আপনার পরিবার-পরিজনই হবে আপনার পথে প্রতিবন্ধক, আপনার শত্রু)
৮। জিহাদের জন্য অর্থ বা কাঁচা সোনা সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতে হবে যত বেশী সম্ভব। মুজাহিদদের অর্থ সংকট বেশী। যেহেতু কুফরি বিশ্ব তাদের সকল লেনদেনের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে, যাতে মুজাহিদরা ইন্টারন্যাশনাল ভাবে টাকা সংগ্রহ করতে না পারে।
এতক্ষণ যেসব প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে তা কেবল বেসিক ধারনা দেয়া হলো। এলাকা ভেদে তার থেকে কম বেশী প্রস্তুতি নিতে হতে পারে। তা নিজেই চিন্তা গবেষণা করে বের করুন। সব শেষে যে কথাটি বলে রাখতে চাই, তা এখনি বলে রাখি, প্রযুক্তি ধ্বংস হবার ফলে হয়তো উপযুক্ত সময়ে জানাতে পারবো না।
মনে রাখবেন, মহা যুদ্ধের পরপরই দাজ্জাল বের হবে, বের হবার ২-৩ বছর আগে পৃথিবীতে অনাবৃষ্টির ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে, শেষ বছর একেবারেই খাদ্য উৎপাদন হবে না, আর সে তখন রুটির পাহাড় বা ত্রাণ নিয়ে হাজির হবে,ঘরে ক্ষুধার্ত স্ত্রী সন্তান রেখে সে ত্রাণ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা বড়ই কঠিন পরীক্ষা, বড়ই কঠিন। আর এ মুহূর্তে যদি ধৈর্য ধরতে পারেন সুবহানআল্লাহ আপনাকে খাদ্য দেবে আলহামদুলিল্লাহ্* আপনাকে খাদ্য দেবে, আল্লাহু আকবার আপনাকে খাদ্য দেবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে তার রহমত এবং বরকতে ঢেকে রাখুন। আমাদেরকে পৌঁছে দিন চিরস্থায়ী জান্নাতে। আমিন।
হয়তো জানা অজানা আরো বহু ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তাই ধৈর্য হারাবেন না, অচিরেই সুদিন আসছে।
" যখনই কোন বিপদ আসে (মুমিনরা) বলেঃ “আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে," (বাকারাহ,আয়াত:১৫৬)