মুসলিম দাবীদার বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাগুতের বাধ্য নাকি একান্ত অনুগত ?
পুলিশ বা র্যা ব বা সিভিল প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ বা বিচার বিভাগ বা সরকারের প্রায় সকল সদস্যই র্দুনীতিগ্রস্থ। এরা টাকার বিনিময়ে (ঘুষ) বা স্বজনপ্রীতির বশর্বতী হয়ে যেকোন অপরাধীকে ছেড়ে দিতে বা মামলা বা শাস্তি হতে বাঁচাতে কোন্ঠাবোধ করে না। হোক সে খুন, গুম, ধর্ষণ, জালিয়াতি, অর্থআত্নসাৎ, দুর্নীতি, চোরাকারবার বা অন্য যেকোন গুরুতর অপরাধে অপরাধী।
কিন্তু এরাই যখন কোন ইসলামপন্থী লোকের সামান্য কোন ত্রুটি (যা আল্লাহ তা’আলার আইনে ত্রুটি ত নয়ই বরং ইবাদত) পেয়ে যায় তখন ঐ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আল্লাহর বান্দাকে কোন প্রকার ছাড় না দিয়ে অত্যন্ত কঠোরতা ও নির্মমতার সঙ্গে স্বেচ্ছায় এবং সম্পূর্ণ সজ্ঞানে ইসলামের বিরোধিতায় সরকারের প্রতিটি আদেশ বর্বর ইসরাইলী সেনা সদস্যদের ন্যায় বাস্তবায়ন করে।
যেমন ধরুন- কোন আলেম বা তালেবে ইলম বা দাড়ি টুপি ওয়ালা কোন জেনারেল শিক্ষিত ভাই যদি অনলাইন বা অফলাইনে ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয় বা সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের সমালোচনা করে তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যরা তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা জাল বিছিয়ে দেয় এবং এক পর্যায়ে ইসলামের পক্ষে কথা বলার দায়ে ঐ ভাইকে জঙ্গী সাজিয়ে আমৃত্যু কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করে। যদিও প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে সরকার পতন আন্দোলনে লিপ্ত বিএনপি-জামাতের সদস্যদের ব্যাপারে তাদের এরকম কঠোরতা ও নির্মমতা কখনই পরিলক্ষিত হয় না। বরং বিএনপি-জামাতের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে চাপ থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনী বিএনপি-জামাতের দলীয় নেতা কর্মীদেরকে শক্ত ধারার দুর্বল মামলায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। আর যথারীতি তারা কয়েকেদিন পর জামিনে বেরিয়ে আসে। যদিও তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা শতাধিক। এই তো সেদিন ২০১৯ সালের নির্বাচনের পূর্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপি-জামাতের লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে সারা দেশে হাজার হাজার গায়েবী মামলা দায়ের করে এবং বিএনপি-জামাতের লক্ষাধিক নেতা কর্মীকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু নির্বাচনের পরপরই তাদের সকলেই জামিনে বেরিয়ে আসে। দূর্ভাগ্যক্রমে আমাদের কিছু ঘনিষ্ট আত্নীয়-স্বজন ও বন্ধূ-বান্ধবও এসব গায়েবী মামলার শিকারে পরিণত হয় এবং যথারীতি তারা নির্বাচনের পরপরই সকলেই জামিনে বেরিয়ে আসে। বেরিয়ে আসার পর তারা পুলিশকে ঘুষ দিয়ে তাদের নাম মামলার চার্জশীঠ থেকে বাদ দেওয়াতে সক্ষম হয়। এরকম ঘটনা আপনি যেখানে যাবেন সেখানেই পাবেন। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বা সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ইসলামপন্থীদের ব্যাপারে আপনি ভিন্ন কিছুই আবিস্কার করতে পারবেন। দেখবেন তাদেরকে এই একই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যরা এমন মামলায় ফাঁসাবে যার সর্বনিম্ন সাজা হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। আর জামিনের কথা ভাবছেন ! ৭ খুনের আসামী এদেশের বিচার বিভাগের কাছ থেকে জামিন পেলেও ইসলামপন্থীরা কেবল মৃত্যুর পরই জামিন পেয়ে থাকে।
আপনি হয়ত ভাবছেন এই ইসলামপন্থীরা তালেবান মুজাহিদদের মত জিহাদ করে সরকারের পতন ঘটিয়ে ফেলবে তাই বোধহয় প্রশাসনের লোকেরা তাদের প্রতি এমন হার্ড লাইনে আছে।(মূলত কোন মুসলমান যদি ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত থাকে তবুও কি কোন মুসলিম দাবীদার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্য ঐ মুসলিম ভাইকে ধরিয়ে দেওয়ার বা জেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে ? কখনই না। বরং পরিস্থিতির কারণে কোন সরকারী কর্মকর্তা- কর্মচারী বাধ্য হলেও চেষ্টা করবে কি করে এই মুসলিম ভাইকে ইসলাম বিরোধী তাগুত সরকারের নির্যাতন থেকে বাচাঁনো যায়। কিন্তু বাস্তবতা হল প্রায় সকল সরকারী কর্মকর্তা- কর্মচারীই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেদের ক্যারিয়ারের স্বার্থে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী তাগুত সরকারের নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করে।) কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। কারণ আপনি দেখবেন কোন জায়গায় শরীয়তের আইনে বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু সরকারী আইনে প্রাপ্তবয়স্ক নয় এমন কোন যুবক-যবতীর বিয়ের কোন সংবাদ পেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষনিকভাবে শরীয়েতের আইনে জায়েজ বা বৈধ উক্ত বিবাহকে পন্ড করতে হামলে পড়ে। শুধু তাই নয় এক্ষেত্রে বর কনের অভিভাবককে কোন সাজা না দিলেও দাড়ি টুপিওয়ালা কাজী সাহেবকে ঠিকই মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাজা দিয়ে দেয়। অথচ আমাদের চতুর্দিকে খুন, ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধ প্রতিনিয়ত ঘটে চললেও কখনই এসব ঘটনায় আপনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যদেরকে সময়মত পাবেন না। বরং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীর পক্ষের লোকেরা মানববন্ধন বা অন্য কোন আন্দোলন করে চাপ প্রয়োগ না করলে পুলিশ অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলাই নেয় না। অথচ ইসলামের পক্ষের একজন সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধে পান থেকে চুন খসলেই তারা খুন, ধর্ষণের ঘটনা থেকেও হাজারগুন বেশী তৎপর থাকে।
উপরোল্লিখিত বিশ্লেষণ থেকে আমরা কী বুঝব ?
বাংলাদেশের মুসলিম দাবীদার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যরা তাগুতের মিশন বাস্তবায়নে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য নাকি একান্ত অনুগত ?
পুলিশ বা র্যা ব বা সিভিল প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ বা বিচার বিভাগ বা সরকারের প্রায় সকল সদস্যই র্দুনীতিগ্রস্থ। এরা টাকার বিনিময়ে (ঘুষ) বা স্বজনপ্রীতির বশর্বতী হয়ে যেকোন অপরাধীকে ছেড়ে দিতে বা মামলা বা শাস্তি হতে বাঁচাতে কোন্ঠাবোধ করে না। হোক সে খুন, গুম, ধর্ষণ, জালিয়াতি, অর্থআত্নসাৎ, দুর্নীতি, চোরাকারবার বা অন্য যেকোন গুরুতর অপরাধে অপরাধী।
কিন্তু এরাই যখন কোন ইসলামপন্থী লোকের সামান্য কোন ত্রুটি (যা আল্লাহ তা’আলার আইনে ত্রুটি ত নয়ই বরং ইবাদত) পেয়ে যায় তখন ঐ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আল্লাহর বান্দাকে কোন প্রকার ছাড় না দিয়ে অত্যন্ত কঠোরতা ও নির্মমতার সঙ্গে স্বেচ্ছায় এবং সম্পূর্ণ সজ্ঞানে ইসলামের বিরোধিতায় সরকারের প্রতিটি আদেশ বর্বর ইসরাইলী সেনা সদস্যদের ন্যায় বাস্তবায়ন করে।
যেমন ধরুন- কোন আলেম বা তালেবে ইলম বা দাড়ি টুপি ওয়ালা কোন জেনারেল শিক্ষিত ভাই যদি অনলাইন বা অফলাইনে ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয় বা সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের সমালোচনা করে তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যরা তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা জাল বিছিয়ে দেয় এবং এক পর্যায়ে ইসলামের পক্ষে কথা বলার দায়ে ঐ ভাইকে জঙ্গী সাজিয়ে আমৃত্যু কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করে। যদিও প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে সরকার পতন আন্দোলনে লিপ্ত বিএনপি-জামাতের সদস্যদের ব্যাপারে তাদের এরকম কঠোরতা ও নির্মমতা কখনই পরিলক্ষিত হয় না। বরং বিএনপি-জামাতের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে চাপ থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনী বিএনপি-জামাতের দলীয় নেতা কর্মীদেরকে শক্ত ধারার দুর্বল মামলায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। আর যথারীতি তারা কয়েকেদিন পর জামিনে বেরিয়ে আসে। যদিও তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা শতাধিক। এই তো সেদিন ২০১৯ সালের নির্বাচনের পূর্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপি-জামাতের লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে সারা দেশে হাজার হাজার গায়েবী মামলা দায়ের করে এবং বিএনপি-জামাতের লক্ষাধিক নেতা কর্মীকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু নির্বাচনের পরপরই তাদের সকলেই জামিনে বেরিয়ে আসে। দূর্ভাগ্যক্রমে আমাদের কিছু ঘনিষ্ট আত্নীয়-স্বজন ও বন্ধূ-বান্ধবও এসব গায়েবী মামলার শিকারে পরিণত হয় এবং যথারীতি তারা নির্বাচনের পরপরই সকলেই জামিনে বেরিয়ে আসে। বেরিয়ে আসার পর তারা পুলিশকে ঘুষ দিয়ে তাদের নাম মামলার চার্জশীঠ থেকে বাদ দেওয়াতে সক্ষম হয়। এরকম ঘটনা আপনি যেখানে যাবেন সেখানেই পাবেন। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বা সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ইসলামপন্থীদের ব্যাপারে আপনি ভিন্ন কিছুই আবিস্কার করতে পারবেন। দেখবেন তাদেরকে এই একই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যরা এমন মামলায় ফাঁসাবে যার সর্বনিম্ন সাজা হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। আর জামিনের কথা ভাবছেন ! ৭ খুনের আসামী এদেশের বিচার বিভাগের কাছ থেকে জামিন পেলেও ইসলামপন্থীরা কেবল মৃত্যুর পরই জামিন পেয়ে থাকে।
আপনি হয়ত ভাবছেন এই ইসলামপন্থীরা তালেবান মুজাহিদদের মত জিহাদ করে সরকারের পতন ঘটিয়ে ফেলবে তাই বোধহয় প্রশাসনের লোকেরা তাদের প্রতি এমন হার্ড লাইনে আছে।(মূলত কোন মুসলমান যদি ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত থাকে তবুও কি কোন মুসলিম দাবীদার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্য ঐ মুসলিম ভাইকে ধরিয়ে দেওয়ার বা জেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে ? কখনই না। বরং পরিস্থিতির কারণে কোন সরকারী কর্মকর্তা- কর্মচারী বাধ্য হলেও চেষ্টা করবে কি করে এই মুসলিম ভাইকে ইসলাম বিরোধী তাগুত সরকারের নির্যাতন থেকে বাচাঁনো যায়। কিন্তু বাস্তবতা হল প্রায় সকল সরকারী কর্মকর্তা- কর্মচারীই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেদের ক্যারিয়ারের স্বার্থে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী তাগুত সরকারের নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করে।) কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। কারণ আপনি দেখবেন কোন জায়গায় শরীয়তের আইনে বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু সরকারী আইনে প্রাপ্তবয়স্ক নয় এমন কোন যুবক-যবতীর বিয়ের কোন সংবাদ পেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষনিকভাবে শরীয়েতের আইনে জায়েজ বা বৈধ উক্ত বিবাহকে পন্ড করতে হামলে পড়ে। শুধু তাই নয় এক্ষেত্রে বর কনের অভিভাবককে কোন সাজা না দিলেও দাড়ি টুপিওয়ালা কাজী সাহেবকে ঠিকই মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাজা দিয়ে দেয়। অথচ আমাদের চতুর্দিকে খুন, ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধ প্রতিনিয়ত ঘটে চললেও কখনই এসব ঘটনায় আপনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যদেরকে সময়মত পাবেন না। বরং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীর পক্ষের লোকেরা মানববন্ধন বা অন্য কোন আন্দোলন করে চাপ প্রয়োগ না করলে পুলিশ অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলাই নেয় না। অথচ ইসলামের পক্ষের একজন সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধে পান থেকে চুন খসলেই তারা খুন, ধর্ষণের ঘটনা থেকেও হাজারগুন বেশী তৎপর থাকে।
উপরোল্লিখিত বিশ্লেষণ থেকে আমরা কী বুঝব ?
বাংলাদেশের মুসলিম দাবীদার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিাহিনীর সদস্যরা তাগুতের মিশন বাস্তবায়নে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য নাকি একান্ত অনুগত ?