Announcement

Collapse
No announcement yet.

রিবাতের ফজিলত

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রিবাতের ফজিলত

    রিবাতের ফজিলত
    রিবাত বলা হয় ইসলাম মুসলিমদের নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত পাহারা[1]

    হাদিসে এসেছে,

    كُلُّ مَيِّتٍ يُخْتَمُ عَلَى عَمَلِهِ إِلَّا الَّذِي مَاتَ مُرَابِطًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَإِنَّهُ يُنْمَى لَهُ عَمَلُهُ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ، وَيَأْمَنُ مِنْ فِتْنَةِ القَبْرِ. ... حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ. -سنن الترمذي ت شاكر (4/ 165): 1621
    মৃত্যুর পর সকলের আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে আল্লাহর রাস্তায় মুরাবিত তথা সীমান্ত পাহারায় রত অবস্থায় যে মারা যাবে তার বিষয়টি ভিন্ন তার আমল কেয়ামত পর্যন্ত বাড়ানো হতে থাকবে এবং পাশাপাশি সে কবরের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে -সুনানে তিরমিযি ১৬২১

    রিবাতের অনেক ফজিলত এসেছে হাদিসে দুটি বিশেষ ফজিলত বলা হয়েছে,

    . আমল বাড়ানো হতে থাকবে অর্থাৎ কোনো মুসলিমের নিয়ত যদি এমন হয়, ‘যতদিন বেঁচে থাকবো রিবাতের কাজ করে যাবোতাহলে রিবাতরত অবস্থায় মারা গেলে, সে কেয়ামত পর্যন্ত হায়াত পেলে এবং কিয়ামত অবধি রিবাত করে যেতে থাকলে যে সওয়াব পেতো, সে সওয়াব পেতে থাকবে[2] অর্থাৎ মরার পরেও তাকে ধরা হবে সে রিবাত করে যাচ্ছে

    কিন্তু অন্যান্য আমল এমন নয় কোনো ব্যক্তি দশ বৎসর নামায পড়ার পর মারা গেলে দশ বৎসর নামাযের সওয়াবই পাবে, অতিরিক্ত পাবে না মরার পরও সে নামায পড়ে যাচ্ছে ধরা হবে না

    তবে সাদাকায়ে জারিয়া, ইলমে নাফে নেক সন্তানের সওয়াব মৃত্যুর পরও পেতে থাকে তবে সেখানে মূলত মৃত ব্যক্তির নিজের আমল বাড়ানো হয় না, অন্যদের আমলের কারণে সেও সওয়াব পেতে থাকে যেমন মসজিদ রেখে গেছে, যতদিন নামায হতে থাকবে সওয়াব পেতে থাকবে; মৃত ব্যক্তি নামায পড়ছে ধরা হবে না পক্ষান্তরে মুরাবিতকে ধরা হবে যেন সে কেয়ামত পর্যন্ত রিবাত করে যাচ্ছে[3] -বাজলুল মাজহুদ /৪৭


    . কবরের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে অর্থাৎ কবরের আযাব হবে না মুনকার নাকির হয়তো তাকে কোনো সুওয়ালই করবে না, কিংবা করলেও কষ্ট হয় মতো কিছু বলবে না, করবে না

    ইমাম সারাখসি রহ. বলেন,

    ومعنى هذا الوعد في حق من مات مرابطا والله أعلم أنه في حياته كان يؤمن المسلمين بعمله فيجازى في قبره بالأمن مما يخاف منه. أو لما اختار في حياته المقام في أرض الخوف والوحشة لإعزاز الدين يجازى بدفع الخوف والوحشة عنه في القبر. –شرح السير الكبير (ص: 9)
    মুরাবিত অবস্থায় মারা গেলে কবরে নিরাপদ থাকার ওয়াদা জন্য দেয়া হয়েছে যে, . জীবদ্দশায় নিজের আমলের দ্বারা সে মুসলিমদের নিরাপত্তা বিধান করতো, প্রতিদানে কবরের ভয়-ভীতি থেকে তাকে নিরাপদ রাখা হবে; . কিংবা দ্বীনের বিজয়ের জন্য জীবদ্দশায় সে ভীতিসংকুল ভূমিতে অবস্থান করা বেছে নিয়েছিল, প্রতিদানে কবরের ভীতি-সংকুলতা থেকে তাকে নিরাপত্তা দেয়া হবে -শারহুস সিয়ার, পৃষ্ঠা
    ***



    [1]
    والمرابطة المذكورة في الحديث عبارة عن المقام في ثغر العدو لإعزاز الدين، ودفع شر المشركين عن المسلمين. -شرح السير الكبير (ص: 7)

    [2] قال السرخسي وقوله: «أجري عليه عمله» نمى له عمله، وذلك في كتاب الله تعالى - {ومن يخرج من بيته مهاجرا إلى الله ورسوله ثم يدركه الموت فقد وقع أجره على الله} [النساء: 100]- وقال - عليه الصلاة والسلام - «من مات في طريق الحج كتب له حجة مبرورة في كل سنة» فهذا هو المراد أيضا في كل من مات مرابطا أنه يجعل بمنزلة المرابط إلى فناء الدنيا فيما يجرى له من الثواب؛ لأن نيته استدامة الرباط لو بقي حيا إلى فناء الدنيا والثواب بحسب النية. اهـ. -الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (4/ 121)


    [3] والأحسن عندي في الجواب أن يقال: إن ازدياد الأجر والثواب على نوعين: أحدهما: أن يزداد الأجر بواسطة عمل إنسان آخر من الانتفاع بصدقته، كالبئر إذا شرب منه، والمسجد إذا صلَّى فيه، أو بواسطة دعاء ولد صالح أو غيره.
    وثانيهما: أن يزداد أجره بنمو عمله من غير واسطة إنسان آخر، فالمرابط على النوع الثاني، وما سواه فهو على النوع الأول، فلا تعارض بينهما، والله تعالى أعلم. -بذل المجهود في حل سنن أبي داود (9/ 47)




Working...
X