যেসব কারণে আমাদের দুয়া কবুল হচ্ছে না :
আমরা মনে মনে ভাবছি দেশের সকল মুরুব্বী উলামায়ে কেরাম, দেশের সকল মাদরাসার আসাতিযায়ে কেরাম, তালেবে ইলম, পীর-মাশায়েখগণ, বুর্জুগানে দ্বীনসহ দেশের সর্বস্তরের মুমিন মুসলমানগণ প্রতিনিয়ত মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দুয়া করা সত্ত্বেও আমাদের মুসীবত কেন দূর হচ্ছে না ? আসলে আমাদের কোন দুয়াই মহান রবের দরবারে কবুল হচ্ছে না। ফলে মুসীবতও দূর হচ্ছে না। আর আমাদের দুয়া কবুল হচ্ছে না আমাদের বড় বড় শিরকী ও কবিরা গুনাহ/অপরাধের কারণে যা আমরা প্রতিনিয়ত করে চলেছি। আমাদের অপরাধ কেবল শিরকী ও কবিরা গুনাহ/অপরাধ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং আমারা আমাদের কৃত অপরাধ হতে তাওবা না করে উল্টো এসকল অপরাধকে বৈধ সাব্যস্ত করতে পর্যন্ত কুণ্ঠাবোধ করছি না। আমাদের বড় বড় কিছু শিরকী ও কবিরা গুনাহ/অপরাধের সংক্ষিপ্ত তালিকা পাঠকের বিবেচনার জন্য নিম্নে পেশ করছি :
I. রাষ্ট্রীয় সংবিধান থেকে শর’য়ী বিধান সমূহকে রহিত করে মানব রচিত সংবিধান দ্বারা দেশ পরিচালনা করা ও আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক প্রদত্ত হালালগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অবৈধ ঘোষণা করে আর হারামগুলোকে বৈধ সাব্যস্ত করে ইসলামী শরীয়াতের উপর ভিন্ন মতবাদকে প্রাধান্য দান করার পরও এই মুরতাদ সরকারের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা বা মুরতাদ সরকারকে এ সকল ঈমান বিধ্বংসী/খোদাদ্রোহী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা বা সাধারণ মুমিন মুসলমানগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক না করা।
ii. শাতিমে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শানে কটুক্তিকরীদের বিরুদ্ধে শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় শাস্তি কার্যকর না করা ও উলামা-তুলাবা ও সাধারণ মুমিন মুসলমানগণের সামনে শরীয়তের এই বিধানকে পরিষ্কার না করা।
iii. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শানে কটুক্তিকরীদের বিরুদ্ধে বা অন্য সকল বিষয়ে মহান আল্লাহ তা’আলার বিধান বাদ দিয়ে তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থনা করা ।
iv. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শানে কটুক্তিকরীদের বিরুদ্ধে উম্মাহর সিংহ বীর মুজাহিদগণ শরীয়তের বিধান মোতাবেক ঐসব কুলাঙ্গারদের (থাবা বাবা গং) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কারণে মুরতাদ তাগুত বাংলাদেশ সরকার উম্মাহর সিংহ এই বীর মুজাহিদগণের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। কিন্তু দেশে হাজার হাজার মাদরাসা, লক্ষ লক্ষ আলেম, তালেবে ইলম, ইমাম, মুয়াজ্জিন, বড় বড় মুফতি, মুফাসসির, শাইখুল হাদীস, বাতিলের বিরুদ্ধে তথাকথিত বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বা তথাকথিত বাতিলের আতংকরা থাকা সত্ত্বেও কেউ শাতিমে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দের বিরুদ্ধে প্রকৃত নায়েবে রাসূল মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা (রাঃ) তথা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর মত কোন পদক্ষেপ না নেওয়া এবং তাগুতের কারাগারে আটক ওদের ঘোষিত সাজার দণ্ডপ্রাপ্ত উম্মাহর বীর মুজাহিদগণসহ বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারকৃত অন্যান্য মাজলুম মুজাহিদগণের মুক্তির ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া । (কিন্তু অপরদিকে এই সকল উলামায়ে কেরাম কর্তৃক তাদের রাজনৈতিক দলের বা গ্রুপের বা কোন ওয়ায়েজ বা কোন মাদরাসার শিক্ষককে গ্রেফতার করলে মিছিল, মিটিং, বিবৃতি, মানব-বন্ধনসহ হাজারো কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামা।)
আর বিস্তারিত লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না। মুহতারাম প্রিয় ভাই ও বোনেরা উপরোল্লিখিত ৪ টি বড় বড় শিরকী ও কবিরা গুনাহ/অপরাধ হতে মুক্ত হয়ে প্রকৃত তাওবা করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার ও মাজলুম মুসলিম ভাই বোনদের উদ্ধারে সুন্নাহ অনুমোদিত পন্থায় পা না বাড়ালে কি আমাদের বা আমাদের মুরুব্বী উলামায়ে কেরাম, দেশের সকল মাদরাসার আসাতিযায়ে কেরাম, তালেবে ইলম, পীর-মাশায়েখগণ, বুর্জুগানে দ্বীনসহ কারো কোন দুয়া কি কবুল হবে ?
আমরা মনে মনে ভাবছি দেশের সকল মুরুব্বী উলামায়ে কেরাম, দেশের সকল মাদরাসার আসাতিযায়ে কেরাম, তালেবে ইলম, পীর-মাশায়েখগণ, বুর্জুগানে দ্বীনসহ দেশের সর্বস্তরের মুমিন মুসলমানগণ প্রতিনিয়ত মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দুয়া করা সত্ত্বেও আমাদের মুসীবত কেন দূর হচ্ছে না ? আসলে আমাদের কোন দুয়াই মহান রবের দরবারে কবুল হচ্ছে না। ফলে মুসীবতও দূর হচ্ছে না। আর আমাদের দুয়া কবুল হচ্ছে না আমাদের বড় বড় শিরকী ও কবিরা গুনাহ/অপরাধের কারণে যা আমরা প্রতিনিয়ত করে চলেছি। আমাদের অপরাধ কেবল শিরকী ও কবিরা গুনাহ/অপরাধ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং আমারা আমাদের কৃত অপরাধ হতে তাওবা না করে উল্টো এসকল অপরাধকে বৈধ সাব্যস্ত করতে পর্যন্ত কুণ্ঠাবোধ করছি না। আমাদের বড় বড় কিছু শিরকী ও কবিরা গুনাহ/অপরাধের সংক্ষিপ্ত তালিকা পাঠকের বিবেচনার জন্য নিম্নে পেশ করছি :
I. রাষ্ট্রীয় সংবিধান থেকে শর’য়ী বিধান সমূহকে রহিত করে মানব রচিত সংবিধান দ্বারা দেশ পরিচালনা করা ও আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক প্রদত্ত হালালগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অবৈধ ঘোষণা করে আর হারামগুলোকে বৈধ সাব্যস্ত করে ইসলামী শরীয়াতের উপর ভিন্ন মতবাদকে প্রাধান্য দান করার পরও এই মুরতাদ সরকারের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা বা মুরতাদ সরকারকে এ সকল ঈমান বিধ্বংসী/খোদাদ্রোহী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা বা সাধারণ মুমিন মুসলমানগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক না করা।
ii. শাতিমে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শানে কটুক্তিকরীদের বিরুদ্ধে শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় শাস্তি কার্যকর না করা ও উলামা-তুলাবা ও সাধারণ মুমিন মুসলমানগণের সামনে শরীয়তের এই বিধানকে পরিষ্কার না করা।
iii. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শানে কটুক্তিকরীদের বিরুদ্ধে বা অন্য সকল বিষয়ে মহান আল্লাহ তা’আলার বিধান বাদ দিয়ে তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থনা করা ।
iv. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শানে কটুক্তিকরীদের বিরুদ্ধে উম্মাহর সিংহ বীর মুজাহিদগণ শরীয়তের বিধান মোতাবেক ঐসব কুলাঙ্গারদের (থাবা বাবা গং) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কারণে মুরতাদ তাগুত বাংলাদেশ সরকার উম্মাহর সিংহ এই বীর মুজাহিদগণের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। কিন্তু দেশে হাজার হাজার মাদরাসা, লক্ষ লক্ষ আলেম, তালেবে ইলম, ইমাম, মুয়াজ্জিন, বড় বড় মুফতি, মুফাসসির, শাইখুল হাদীস, বাতিলের বিরুদ্ধে তথাকথিত বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বা তথাকথিত বাতিলের আতংকরা থাকা সত্ত্বেও কেউ শাতিমে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দের বিরুদ্ধে প্রকৃত নায়েবে রাসূল মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা (রাঃ) তথা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর মত কোন পদক্ষেপ না নেওয়া এবং তাগুতের কারাগারে আটক ওদের ঘোষিত সাজার দণ্ডপ্রাপ্ত উম্মাহর বীর মুজাহিদগণসহ বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারকৃত অন্যান্য মাজলুম মুজাহিদগণের মুক্তির ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া । (কিন্তু অপরদিকে এই সকল উলামায়ে কেরাম কর্তৃক তাদের রাজনৈতিক দলের বা গ্রুপের বা কোন ওয়ায়েজ বা কোন মাদরাসার শিক্ষককে গ্রেফতার করলে মিছিল, মিটিং, বিবৃতি, মানব-বন্ধনসহ হাজারো কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামা।)
আর বিস্তারিত লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না। মুহতারাম প্রিয় ভাই ও বোনেরা উপরোল্লিখিত ৪ টি বড় বড় শিরকী ও কবিরা গুনাহ/অপরাধ হতে মুক্ত হয়ে প্রকৃত তাওবা করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার ও মাজলুম মুসলিম ভাই বোনদের উদ্ধারে সুন্নাহ অনুমোদিত পন্থায় পা না বাড়ালে কি আমাদের বা আমাদের মুরুব্বী উলামায়ে কেরাম, দেশের সকল মাদরাসার আসাতিযায়ে কেরাম, তালেবে ইলম, পীর-মাশায়েখগণ, বুর্জুগানে দ্বীনসহ কারো কোন দুয়া কি কবুল হবে ?
Comment