ইংলিশে একটি প্রবাদ আছে, "Strike while the Iron is Hot." যার বাংলা অর্থ অনেকটা এমন যে, সৃষ্ট পরিস্থিতিকে উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে কোন কাজ সমাধা করা।
২০১৬ সালের পর থেকে 'খতমে মুলহেদিন আন্দোলন'-এর সকল কার্যক্রম স্থগিত আছে। শুধু এবিটি কেন, বাংলাদেশের সকল জিহাদি তানজিমের কার্যক্রম স্থগিত। আইএস-এর ছেলেরা যাও দুই একটা বোমা ফাটিয়েছে তাও ছিল ভুল টার্গেটে। এতে সাধারণ জনগণ জিহাদের প্রতি আরো ব্রিতশ্রদ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসন যখন দেখছে অপারেশনাল কার্যক্রম নেয়, তখন সময়ের সাথে সাথে তাদের স্পর্ধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অপারেশনাল কাজ হয়েছে, একের পর এক আল্লাহর শত্রুদের হালাক (হত্যা) করা হয়েছে তখন নিজের জানের ভয়ে হোক আর কৌশলগত কারণেই হোক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা যায়নি। এমন কি সংসদে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তাদেরই বিপক্ষে আওয়াজ উঠেছিল।
কিন্তু আজ, ফেইসবুকে সামান্য লাইকের জন্য কমপক্ষে বছরখানেক জেল খাটতে হচ্ছে। সামাজিকভাবে জিহাদ সাপোর্টকারী ভাইদের বয়কট করা হচ্ছে। জঙ্গি ট্যাগ থেকে বাচার জন্য প্রকাশ্যে ফায়েসার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো, কিতাল তথা অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করা।
এটা ঠিক, বাংলার মাটিতে অপারেশন কাজ করা হবে কিনা? হলে তা কিভাবে হবে - এই সিদ্ধান্ত প্রদান করার দায়িত্ব বড়দের (আমির, শায়খ ও নীতি নির্ধারকদের)।
কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্ট হয়েছে তাও শুধু বসে বসে পর্যবেক্ষণ করার মত না। এটা কাজের পরিস্থিতি৷ এটা আমাদের উপস্থিতির জানান দেওয়ার পরিস্থিতি।
বলা হচ্ছে না আসুন, অপারেশন করি। কিন্তু অন্ততপক্ষে, মেজর জিয়াউল হক (حفظه الله) এর একটি বার্তার প্রয়োজনীয়তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তার বার্তাই বর্তমানে একটি অপারেশনের সমান।
সম্মানিত সাইয়্যিদ, আপনার উচিত জিদাহের দিক নির্দেশনা নিয়ে উম্মাহর সামনে উপস্থিত হওয়া। আপনার বার্তা হবে আমাদের ভীত আনসার পরিবারদের সাহস দেওয়া জন্য, আমাদের ঝিমিয়ে পরা ভাইদের নতুন উদ্দাম দেওয়া জন্য, পাগল প্রায় বাবাকে জানানো জন্য 'কেন তার ছেলে জেল জীবন বেছে নিয়েছে', শোকার্থ মাকে বলার জন্য 'কেন তার সন্তানরা হাসি মুখে ফাসির দড়ি গলায় নিয়েছে'। আপনার প্রতিটি বাক্য বাংলার শোষিত মুসলিমকে একটি নতুন আশা দিতে পারে।
আপনার বার্তা হবে সেই আয়াতের জবাব, যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেন,
এইতো গেল উম্মাহর প্রতি আপনার সম্মান প্রদর্শনের বিষয়। কিন্তু একবার চিন্তা করুন, এই মুহুর্তে আপনার পক্ষ থেকে একটি বার্তা কাউন্টার টেররিজম, এন্টি টেররিজম, ডিবি, ডিজিএফআই এর মুখে কতই না তীব্র চোপটাঘাত করবে? এমন এক সময় আপনার উপস্তিতি শুধু যে বাংলার প্রশাসনকে বিব্রত করবে তা নয়; বরং ভারত সরকার যারা - জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য তোড়জোড় করেছে, যারা নিরাপত্তার নাম বলে কোয়াড চুক্তি করছে, যারা আমেরিকা ও পশ্চিমা এজেন্ডা বাংলাদেশে কায়েম করতে চাচ্ছে তাদের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। আর আমাদের প্রধান শত্রু আমেরিকার অপমানের কথাতো বাদই দিলাম।
দৃষ্টির অগোচরে থেকে জনগণকে উজ্জীবিত করা, তাদের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করে দেওয়া ইতিহাস নতুন কোন বিষয় না।
ইরান থেকে বহিষ্কৃত আয়াতোল্লাহ ইরাক ও ফ্রান্সে বসে তার জনগণের উদ্দেশ্যে একের পর এক বক্তব্য দিতে থাকেন। তার আপোষহীন এবং জোরালো সব নির্দেশনার কারণে দ্রুত সারা দেশে শাহ বিরোধী আন্দোলন 'ইসলামী বিপ্লব'র রূপধারণ করে।
তাই সাইয়্যিদ সাহেব, পরিশেষে এইটুকু বলবো,
২০১৬ সালের পর থেকে 'খতমে মুলহেদিন আন্দোলন'-এর সকল কার্যক্রম স্থগিত আছে। শুধু এবিটি কেন, বাংলাদেশের সকল জিহাদি তানজিমের কার্যক্রম স্থগিত। আইএস-এর ছেলেরা যাও দুই একটা বোমা ফাটিয়েছে তাও ছিল ভুল টার্গেটে। এতে সাধারণ জনগণ জিহাদের প্রতি আরো ব্রিতশ্রদ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসন যখন দেখছে অপারেশনাল কার্যক্রম নেয়, তখন সময়ের সাথে সাথে তাদের স্পর্ধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অপারেশনাল কাজ হয়েছে, একের পর এক আল্লাহর শত্রুদের হালাক (হত্যা) করা হয়েছে তখন নিজের জানের ভয়ে হোক আর কৌশলগত কারণেই হোক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা যায়নি। এমন কি সংসদে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তাদেরই বিপক্ষে আওয়াজ উঠেছিল।
কিন্তু আজ, ফেইসবুকে সামান্য লাইকের জন্য কমপক্ষে বছরখানেক জেল খাটতে হচ্ছে। সামাজিকভাবে জিহাদ সাপোর্টকারী ভাইদের বয়কট করা হচ্ছে। জঙ্গি ট্যাগ থেকে বাচার জন্য প্রকাশ্যে ফায়েসার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো, কিতাল তথা অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করা।
এটা ঠিক, বাংলার মাটিতে অপারেশন কাজ করা হবে কিনা? হলে তা কিভাবে হবে - এই সিদ্ধান্ত প্রদান করার দায়িত্ব বড়দের (আমির, শায়খ ও নীতি নির্ধারকদের)।
কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্ট হয়েছে তাও শুধু বসে বসে পর্যবেক্ষণ করার মত না। এটা কাজের পরিস্থিতি৷ এটা আমাদের উপস্থিতির জানান দেওয়ার পরিস্থিতি।
বলা হচ্ছে না আসুন, অপারেশন করি। কিন্তু অন্ততপক্ষে, মেজর জিয়াউল হক (حفظه الله) এর একটি বার্তার প্রয়োজনীয়তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তার বার্তাই বর্তমানে একটি অপারেশনের সমান।
সম্মানিত সাইয়্যিদ, আপনার উচিত জিদাহের দিক নির্দেশনা নিয়ে উম্মাহর সামনে উপস্থিত হওয়া। আপনার বার্তা হবে আমাদের ভীত আনসার পরিবারদের সাহস দেওয়া জন্য, আমাদের ঝিমিয়ে পরা ভাইদের নতুন উদ্দাম দেওয়া জন্য, পাগল প্রায় বাবাকে জানানো জন্য 'কেন তার ছেলে জেল জীবন বেছে নিয়েছে', শোকার্থ মাকে বলার জন্য 'কেন তার সন্তানরা হাসি মুখে ফাসির দড়ি গলায় নিয়েছে'। আপনার প্রতিটি বাক্য বাংলার শোষিত মুসলিমকে একটি নতুন আশা দিতে পারে।
আপনার বার্তা হবে সেই আয়াতের জবাব, যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেন,
وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَہۡلُہَا ۚ وَ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا অর্থঃ আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা যুদ্ধ করবে না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নরনারী এবং শিশুদের জন্য, যারা বলে, ‘হে আমাদের রব! এ জনপদ - - -যার অধিবাসী যালিম, তা- - -থেকে আমাদেরকে বের করুন; আর আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে কাউকে অভিভাবক করুন এবং আপনার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের সহায় করুন।’ [সূরা নিসা; ৪ঃ৭৫]
দৃষ্টির অগোচরে থেকে জনগণকে উজ্জীবিত করা, তাদের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করে দেওয়া ইতিহাস নতুন কোন বিষয় না।
ইরান থেকে বহিষ্কৃত আয়াতোল্লাহ ইরাক ও ফ্রান্সে বসে তার জনগণের উদ্দেশ্যে একের পর এক বক্তব্য দিতে থাকেন। তার আপোষহীন এবং জোরালো সব নির্দেশনার কারণে দ্রুত সারা দেশে শাহ বিরোধী আন্দোলন 'ইসলামী বিপ্লব'র রূপধারণ করে।
তাই সাইয়্যিদ সাহেব, পরিশেষে এইটুকু বলবো,
আপনার আওয়াজ আমাদের জন্য শক্তি; আর আল্লাহর শত্রুদের জন্য অপমান।।
Comment