দ্বীন কায়েম ও দ্বীন হেফাজতের পন্থাবলম্বনে আমরা কি বিদআতের দিকে ধাবিত হচ্ছি ?
দ্বীন কায়েম ও দ্বীন হেফাজতের পন্থা সম্বন্ধে আমাদের অজ্ঞতা এবং একইসাথে বিপথগামীতা এ অঞ্চলে দ্বীন কায়েমের পথে অন্যতম বড় বাধা। কেউ তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীন কায়েম করতে চান। কেউ আবার পীর-মুরিদী ফরমুলার মাধ্যমে। কেউ কেউ আবার ইকামতে দ্বীনের দোহাই দিয়ে কাফেরদের ল্যাবে আবিস্কৃত মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিনষ্টকারী রাজনৈতিক দল নামক ভাইরাসের মাধ্যমে কুফরী গণতান্ত্রিক পন্থায় দ্বীন কায়েমের অলীক স্বপ্ন দেখছে এবং দেখাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল আমরা সব ক্ষেত্রেই মুখে এটা স্বীকার করি যে সাহাবায়ে কেরাম হচ্ছেন সত্যের মানদন্ড অথচ দ্বীন কায়েমের ক্ষেত্রে তাঁরা কি পন্থা অনুসরণ করেছিলেন কোন এক অজানা কারণে তা আমরা মোটেই আলোচনা করতে রাজী নই । সম্মানিত পাঠক লক্ষ্য করুন আমরা যারা নিজেদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বলে দাবী করি তাদের কাছে সব ইবাদতের পন্থাই একেবারে পরিস্কার (দ্বীন বা দ্বীনের কোন বিধান কায়েমের পন্থা ছাড়া) ।এক্ষেত্রে কারো আমল বা আকিদা সাহাবায়ে কিরামগণের (রাঃ) আমল বা আকিদার সাথে না মিললে বা কেউ চুল পরিমান হেরফের করলেই বাহাস, মোনাযারা এবং সবশেষে সংশ্লিষ্টকে বাতেল, ভন্ড, বেদাতি, মাজার পূজারীসহ আরো অসংখ্য উপাধী লাগিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু দ্বীন কায়েম বা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা বা প্রতিরক্ষার পন্থার ব্যাপারে আমাদের অবস্থা কি ? এক্ষেত্রে আমরা কোন পন্থা অবলম্বন করছি ? এ বিষয়ে আমরা কয়টা বাহাস বা মোনাযারা করেছি ? কাকে কাকে বেদাতি বা বাতেল বা গোমরাহ ঘোষণা করেছি ? আবার যেমন মিলাদ, উরস, মাজারে মান্নত, শির্ণী ইত্যাদি দেখলেই আমরা বলে দিতে পারি এগুলো বেদাত। আর ক্বিয়াম, মাজারে সমাধিস্ত মৃত ব্যক্তির কাছে কোন কিছু চাওয়া, মাজারে বা পীরকে সেজদা ইত্যাদি দেখলেই আমরা বলে দিতে পারি এগুলো শিরক। ঠিক একইভাবে দ্বীন কায়েমের ক্ষেত্রে কি কি উপসর্গ দেখলে কাউকে বাতেল, গোমরাহ বা বেদাতি বা মুশরিক বলা যাবে বলে মনে করছি ? মূলত এ বিষয়ে আমাদের তেমন কোন গবেষণা এমনকি আলোচনা পর্যন্ত নেই। এখন শরীয়তের বিধান সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে যে অপরাধে আমরা বেদাতিদেরকে বেদাতি বলছি সেই একই অপরাধে কি আমরাও অপরাধী হব ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ হব । কারণ দ্বীন কায়েম ও দ্বীন হেফাজতের একমাত্র পন্থা হচ্ছে জিহাদ ফিসাবিলিল্লাহ । আর এই পন্থা অবলম্বন করেই হুজুর আকরাম (সা এর ইন্তেকালের পর মাত্র ১৩ বছর সময়ের মধ্যে (হযরত উমর রা: এর খিলাফতকালে) সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) অর্ধেক পৃথিবীতে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করেছিলেন । নববী এই পন্থার বাইরে অন্য কোন বজুর্গ বা ওলী বা মুরুব্বী বা নেতা বা শাইখ বা আকাবীর নামধারী যেই দ্বীন কায়েম ও দ্বীন হেফাজতের ব্যাপরে যে পন্থাই আবিস্কার করুক না কেন নিশ্চিতভাবেই তা বিদআত বা গোমরাহী।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে নববী আকিদা ও মানহাজ অনুযায়ী দ্বীনের সকল বিষয় বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
দ্বীন কায়েম ও দ্বীন হেফাজতের পন্থা সম্বন্ধে আমাদের অজ্ঞতা এবং একইসাথে বিপথগামীতা এ অঞ্চলে দ্বীন কায়েমের পথে অন্যতম বড় বাধা। কেউ তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীন কায়েম করতে চান। কেউ আবার পীর-মুরিদী ফরমুলার মাধ্যমে। কেউ কেউ আবার ইকামতে দ্বীনের দোহাই দিয়ে কাফেরদের ল্যাবে আবিস্কৃত মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিনষ্টকারী রাজনৈতিক দল নামক ভাইরাসের মাধ্যমে কুফরী গণতান্ত্রিক পন্থায় দ্বীন কায়েমের অলীক স্বপ্ন দেখছে এবং দেখাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল আমরা সব ক্ষেত্রেই মুখে এটা স্বীকার করি যে সাহাবায়ে কেরাম হচ্ছেন সত্যের মানদন্ড অথচ দ্বীন কায়েমের ক্ষেত্রে তাঁরা কি পন্থা অনুসরণ করেছিলেন কোন এক অজানা কারণে তা আমরা মোটেই আলোচনা করতে রাজী নই । সম্মানিত পাঠক লক্ষ্য করুন আমরা যারা নিজেদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বলে দাবী করি তাদের কাছে সব ইবাদতের পন্থাই একেবারে পরিস্কার (দ্বীন বা দ্বীনের কোন বিধান কায়েমের পন্থা ছাড়া) ।এক্ষেত্রে কারো আমল বা আকিদা সাহাবায়ে কিরামগণের (রাঃ) আমল বা আকিদার সাথে না মিললে বা কেউ চুল পরিমান হেরফের করলেই বাহাস, মোনাযারা এবং সবশেষে সংশ্লিষ্টকে বাতেল, ভন্ড, বেদাতি, মাজার পূজারীসহ আরো অসংখ্য উপাধী লাগিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু দ্বীন কায়েম বা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা বা প্রতিরক্ষার পন্থার ব্যাপারে আমাদের অবস্থা কি ? এক্ষেত্রে আমরা কোন পন্থা অবলম্বন করছি ? এ বিষয়ে আমরা কয়টা বাহাস বা মোনাযারা করেছি ? কাকে কাকে বেদাতি বা বাতেল বা গোমরাহ ঘোষণা করেছি ? আবার যেমন মিলাদ, উরস, মাজারে মান্নত, শির্ণী ইত্যাদি দেখলেই আমরা বলে দিতে পারি এগুলো বেদাত। আর ক্বিয়াম, মাজারে সমাধিস্ত মৃত ব্যক্তির কাছে কোন কিছু চাওয়া, মাজারে বা পীরকে সেজদা ইত্যাদি দেখলেই আমরা বলে দিতে পারি এগুলো শিরক। ঠিক একইভাবে দ্বীন কায়েমের ক্ষেত্রে কি কি উপসর্গ দেখলে কাউকে বাতেল, গোমরাহ বা বেদাতি বা মুশরিক বলা যাবে বলে মনে করছি ? মূলত এ বিষয়ে আমাদের তেমন কোন গবেষণা এমনকি আলোচনা পর্যন্ত নেই। এখন শরীয়তের বিধান সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে যে অপরাধে আমরা বেদাতিদেরকে বেদাতি বলছি সেই একই অপরাধে কি আমরাও অপরাধী হব ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ হব । কারণ দ্বীন কায়েম ও দ্বীন হেফাজতের একমাত্র পন্থা হচ্ছে জিহাদ ফিসাবিলিল্লাহ । আর এই পন্থা অবলম্বন করেই হুজুর আকরাম (সা এর ইন্তেকালের পর মাত্র ১৩ বছর সময়ের মধ্যে (হযরত উমর রা: এর খিলাফতকালে) সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) অর্ধেক পৃথিবীতে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করেছিলেন । নববী এই পন্থার বাইরে অন্য কোন বজুর্গ বা ওলী বা মুরুব্বী বা নেতা বা শাইখ বা আকাবীর নামধারী যেই দ্বীন কায়েম ও দ্বীন হেফাজতের ব্যাপরে যে পন্থাই আবিস্কার করুক না কেন নিশ্চিতভাবেই তা বিদআত বা গোমরাহী।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে নববী আকিদা ও মানহাজ অনুযায়ী দ্বীনের সকল বিষয় বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
Comment