Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিমদের জিহাদ কখনোই সন্ত্রাসবাদ হতে পারে না

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিমদের জিহাদ কখনোই সন্ত্রাসবাদ হতে পারে না

    মানুষ সাধারণত সঠিক জিনিস টি নিয়ে বেঁচে থাকে এবং মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সর্বদা সঠিক জিনিসটির প্রয়োজন হয় তাই মানুষ সর্বদা সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে সঠিক জিনিসকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চেষ্টা করে এবং ইসলামই হল একমাত্র পথ যার মাধ্যমে মানুষ দুনিয়া এবং আখেরাতের মাঝে সঠিক নিয়মে বেঁচে থাকতে পারে সুতরাং মুসলিম উম্মাহ এটিকে সঠিক পথ বলে বিশ্বাস করে তাই এটিকে জীবন দিয়ে তারা আঁকড়ে ধরে রেখেছে এখন কেউ যদি এর থেকে তাদেরকে জোর করে স্মরিয়ে দিতে চায় তাহলে ইহা মুসলিমদের দৃষ্টিতে মুসলিমদেরকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিচ্ছে বলে বিবেচিত হবে তাই তারা নিজেদেরকে ধ্বংস এর মুখ থেকে বাঁচনোর জন্য জিহাদ করলে পৃথিবীর কোন বিবেকবান ব্যক্তি বলতে পারে না যে জিহাদ হল সন্ত্রাসবাদ কারণ পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীরই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং প্রতিটি প্রানীই তার নিজের আত্মরক্ষার জন্য অন্যের উপর আক্রমণ করে থাকে। কিন্তু এখানে যদি প্রশ্ন করা হয় যে কাফেরদের বিশ্বাসও তো তাদের দৃষ্টিতে তাহা মুক্তির পথ তাহলে মুসলিমরা কেন তাদের উপরআক্রমণান্তক জিহাদ পরিচালনা করে এর উত্তর হল সর্বযুকে ঈমান গ্রহনের ফলে সর্বপ্রথম কাফেররাই মুসলিমদের কে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছে এখন যখন কাফেরদের কাজই হল মুসলিমদের হত্যা করা তাহলে মুসলিমরা তাদের অগ্রীম আত্মরক্ষার পথ গ্রহন করে থাকলে ইহা কি ভাবে সন্ত্রাসবাদী হল আমার বুঝে আসে না কারণ প্রতিটি প্রাণীরই অগ্রীম আত্মরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহনের অধিকার রয়েছে এর উপর কাফেররা মুসলিমদের উপর বিজয়ী হলে সমানে মুসলিমদেরকে কচুকাটা কাটে এতে তারা নির্দয়তা এবং হিংস্রতার পরিচয় প্রধান করে আর মুসলিমরা বিজয় হলে শুধু মাত্র তাদের আত্মরক্ষার জন্য যাদেরকে রিস্ক মনে করে তাদেরকে হত্যা করে অর্থাৎ যারা সরাসরি মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করতে আসে তাহলে কারা মূলত সন্ত্রাসবাদী? আর যারা মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাসের উপর বিভিন্ন কটাক্ষ করে তাদের উপর আঘাত করে এতে একটি কথা বলা প্রয়োজন তা হল কাফেররা কেনই বা মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাসের উপর আঘাত করতে আসবে বরং এতে আঘাত করার অর্থ দাঁড়ায় তারা তাদের ন্যায়ের পথকে রুদ্ধ করে দেওয়া বা সঠিক জীবন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া যার কারণে ধ্বংস অনিবার্য তাই তারা তাদের নিজেদের জীবন ব্যবস্থাকে রক্ষা করা এবং নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য তাদেরকে হত্যা করতেই পারে এবং এটি ন্যায় সংগত কাজ এবং এই ধরনের আত্মরক্ষার অধিকার পৃথিবীতে সকল প্রনীরই রয়েছে তাই এটি কোন ভাবেই সন্ত্রাসবাদ হতে পারে না । এখন যদি এই প্রশ্ন করা হয় যে তাহলে মুসলিমরা কাফেরদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে সমালোচনা করে কেন এর উত্তর হলো একেতো মুসলিমরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সঠিক বিষয়টির অনুসন্ধানী তাই অন্য সঠিক বিষয় অনুসন্ধানের পাশাপাশি তারা আল্লাহর একাত্ববাদ এবং তার রসূলের জীবন ব্যবস্থাকে সঠিক জীবন ব্যবস্থা রূপে খুঁজে পেয়েছে তাই এটিকে আঁকড়ে ধরেছে এটি যখন দলিল প্রমাণের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে এতেতো মুসলিমদের কোন দোষ নেই কারণ মানুষ অন্যায় থেকে বেঁচে থাকে অথবা ক্ষতকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকে বা যে কোন বিপত্তি কর এবং খারাপ জিনিস থেকে বেঁচে থাকে দলিল প্রমাণের মাধ্যমে এতে দলীল প্রমাণ যদি কাফেরদের বিপরীতে চলে যায় এতে মুসলিমদেরতো কোন কিছু করার নেই বরং যখন কাফেরদের কাছে তাদের ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে কোন প্রমাণ না থাকায় তারাই মূলত ভ্রান্তি এবং ধ্বংসের মাঝে পরে রয়েছে এর জন্য তারা নিজেরাই দায়ি এখন যারা ভ্রান্তি এবং ধ্বংসের মাঝে পরে রয়েছে তাদের নিজেদের কারনেই যদি দলিল প্রমাণ তাদের বিরুদ্ধে চলে যায় এবং মুসলমানদের ধর্মবিশ্বাস তাদের বিরুদ্ধে চলে যায় এতে তো মুসলমানরা তাদের ধর্মের কোন কটাক্ষ করছে না বরং বাস্তবতা এবং ন্যায় তাদের ধর্মবিশ্বাসকে বাতেল বলছে এতে মুসলিমদের দোষ কোথায় এবং কোন মত বাতিলের বিরুদ্ধে চলে গেলে বতিলকে খুশি করার জন্য সে মতকে প্রত্যাখ্যান না করা কখনোই উগ্র বাদ হতে পারে না কারণ সঠিক নিয়মে বেঁচে থাকার জন্য এবং ধ্বংস থেকে বাঁচার জন্য যেমনটি ভাবে এর বিপরীত জিনিস গুলোকে প্রত্যাখ্যান করা স্বাভাবিক বিষয় তেমনি ভাবে ধ্বংসযোগ্য মতবাদও প্রত্যাখ্যান করা স্বাভাবিক বিষয় আর কোন স্বাভাবিক বিষয় কোন ভাবেই সন্ত্রাসবাদ বাদ হতে পারে না তবে মুসলিমরা কাফেরদের উপর জিযিয়া চাপিয়ে দিয়ে এতে তারা কোন ধরনের অন্যায় করে নি এর কয়েকটি কারণ থাকতে পারে ১) কাফেররা যেহেতু উগ্র স্বভাবের তাই তারা নিজেরাই সর্বদা আগ বাড়িয়ে মুসলিমদের হত্যা করতে আসে তাই তাদেরকে এর মাধ্যমে অন্য একটি কাজে ব্যস্ত করে রেখে এই হত্যাকাণ্ডের মন মানসিকতা থেকে ফিরিয়ে রাখা এটিতো কোন ভাবেই অন্যায় হতে পারে না কারণ প্রতিটি প্রনীরই নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য যে কোন ধরনের উপায় অবলম্বনের অধিকার রয়েছে ২) যেখানে কাফেররা মুসলিমদের উপর চড়াও হলে মুসলিমদেরকে কচুকাটা কেটে ধ্বংস যজ্ঞ চালায় সেখানে মুসলিমরা তাদের হত্যা না করে তাদেরকে নিরাপত্তা দান করে তাদের উপর জিযিয়ার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তাদের দৃষ্টিতে যেটি সঠিক সে জিনিসের দিকে ফিরিয়ে এনে দুনিয়া এবং আখেরাতের অনাবিল সুখ শান্তি দিতে চাইছে তাহলে ইহা কিভাবে সন্ত্রাসবাদ হল বরং তারা এমন নিয়োমে জিযিয়া চাপাচ্ছে এতে কারো উপর কোন রূপ জুলুম বা কষ্ট হচ্ছে না কারন একে বারে গরিবের উপর তারা কিছুই চাপাচ্ছে না এবং যারা নিম্ম পর্যায়ের ধনি তাদের উপর চাপাচ্ছে নিম্ম পর্যায়ের জিযিয়া আর যারা মধ্যম পর্যায়ের ধনি তাদের উপর চাপাচ্ছে মধ্যম ধরনের জিযিয়া এবং যারা উচ্চ মানের ধনী তাদের উপর চাপাচ্ছে উচ্চ মানের জিযিয়া এর উপর কোন বছরের জিযিয়া দিওয়া যদি বাকি থেকে যায় তাহলে এর হিসাব পরবর্তী বছর আসছে না এবং যারা জিযিয়া প্রধান করে তাদের কেউ যদি অসহায় নিঃস্ব হয়ে যায় তখন তাদের উত্তম ভরন পোষনের ভার মুসলিমদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার বহন করছে তাহলে এটি সন্ত্রাসবাদ হল কিভাবে আমাদের বুঝে আসে না এখন যদি এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে কাফেররা যেহেতু শুধু মাত্র মুসলিমদের ধর্ম বিশ্বাস পরিবর্তনের জন্য এত লড়াই করছে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে তাহলে এই ধর্ম বিশ্বাস পরিবর্তন করলেই তো পৃথিবীতে শান্তি চলে আসে এর উত্তর দুটি হতে পারে ১) সাধারণত মানুষ শান্তি শৃঙ্খলা , নিরাপত্তা এবং বেঁচে থাকার জন্য সঠিক জিনিস খুঁজে বের করে তা অবলম্বন করে থাকে কিন্তু কাফেররা যেহেতু এত বড় সত্য এবং ন্যায়কে প্রত্যাখ্যাত করেছে যার অর্থ দাঁড়ায় কাফেররা সকল শান্তি শৃঙ্খলা এবং বেঁচে থাকার পথকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাই যারা সকল শৃঙ্খলাকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাহলে তাদের সাথে এই ভাবে সমাজতা করা হবে নিরার্থক এর উপর ইহা হবে আল্লাহর হক নষ্ট করে চিরস্থায়ী জাহান্নামের কারণ ও মহা বিপর্যয়ের উৎস তা এটি কোন ভাবেই পালনীয় নয় বরং বিশৃঙ্খলা থেকে বাঁচতে নিজেরাই বিশৃঙ্খল হয়ে যাওয়া কি কখন যুক্তিযুক্ত বিষয় হতে পারে ২) মানুষ যখন বেঁচে থাকার জন্য সঠিক পথ অবলম্বন করে থাকে তখন কাফেররা যেহেতু সঠিক পথ থেকে স্মরে গিয়েছে তখন তারা অন্যান্য সঠিক পথ থেকে স্মরে যাওয়াটা তাদের জন্য স্বাভাবিক বিষয় এখন পৃথিবীতে বিপর্যয় রোধে যদি মুসলিমরা কাফেরদের ধর্ম বিশ্বাস অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে চায় তখন কাফেররা মুসলিমদের অন্যান্য বেঁচে থাকার সঠিক পথ গুলোকে প্রত্যাখ্যান করে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে কারণ কাফেরদের কাজই হল সঠিক বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করা তাই এতে কোন লাভ হবেনা বরং মুসলিমরা এতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি ডেকে আনবে এবং তাদের দুনিয়া ও আখেরাতকে বরবাদ করে দিবে তাই এটি হবে অত্যন্ত হত বুদ্ধিতা এবং ক্ষতির কারণ তাই কাফেরদের কোন মতই পালনীয় নয় এবং আমাদের জিহাদ হল সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করার জন্য আর তাদের লড়াই হল সন্ত্রাসবাদ বিস্তার করার জন্য.তাই ইসলামের সব কিছুই সঠিক এবং পালন যোগ্য

  • #2
    আল্লাহ আমাদের কে কবুল করুক আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।
    আল্লাহ হুম্মার যুকনি ফি সাবিলিক।

    Comment

    Working...
    X