৯/১১ এর পর ক্রুসেডার আমেরিকা যখন আফগানিস্তান দখল করে, তখন তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল মোল্লা ওমর(রহ)কে গ্রেপ্তার করা। মোল্লা ওমর(রহ)কে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আমেরিকা সে সময় ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, যা ছিল শাইখ উসামা বিন লাদেনে(রহ) এর পর সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
মোল্লা উমার মুজাহিদ(রহ) তালিবানের পতনের পর একজন তালিবান নেতার তত্বাবধানে একটি কুঠুরিতে অবস্থান করতেন। অথচ এই কুঠুরি ছিলো মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি থেকে অল্প কিছু দূরে!
[এ নিয়ে পরে লেখা হবে]
উনার সার্বক্ষণিক দেখভালের কাজে নিয়োজিত ছিলেন মোল্লা আব্দুল জব্বার(হাফি)।
আমিরুল মু'মীনিন মোল্লা ওমর(রহ) এর অধিকাংশ সময় কাটত কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে। কুরআন এবং হাদিস ছাড়া তিনি অন্য কোনো বই পড়তেন না। প্রায় সময়ই তিনি মোল্লা আব্দুল জাব্বারকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন, মোল্লা আব্দুল জব্বারও মুগ্ধ হয়ে আমিরুল মুমিনিনের তিলাওয়াত শুনতেন।
মোল্লা ওমর(রহ) এর কাছে একটি নকিয়া মোবাইল ফোন ছিল। নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি কোনো সিম কার্ড ব্যবহার করতেন না, কাউকে কলও করতেন না। মোবাইল ফোনটা তিনি ব্যবহার করতেন শুধু নিজের কুরআন তিলাওয়াত রেকর্ড করার জন্য। প্রায় সময় তিনি নিজেই বসে বসে নিজের তিলাওয়াত শুনতেন।
২০১৩ সালের শুরুর দিকে মোল্লা ওমর(রহ) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি মোল্লা আব্দুল জব্বারকে বলেন, এই অসুস্থতা থেকে তিনি আর ফিরে আসতে পারবেন না। তার রবের সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় এসে গেছে।
মোল্লা আব্দুল জব্বার তাকে তার প্রিয় শুরোয়া স্যুপ রান্না করে দিতেন, কিন্তু মোল্লা ওমর(রহ) সেটাও খেতে পারতেন না। মোল্লা আব্দুল জব্বার তার জন্য ডাক্তার নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন, আব্দুস সামাদ উস্তাদ চেয়েছিলেন তাকে গোপনে পাকিস্তানি বাহিনী ও মার্কিনীদের অগোচরে পাকিস্তানে নিয়ে শেষ চিকিৎসা করাতে।
কিন্তু মোল্লা ওমর(রহ) কোনোটাতেই রাজি হননি।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল মোল্লা ওমর(রহ) মৃত্যুবরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন।
মোল্লা আব্দুল জব্বার(হাফি) এর বর্ণনা অনুযায়ী, সেদিন শুষ্ক মরুময় আফগানিস্তানে যে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়েছিল, সেরকম ঝড় তিনি তার জীবদ্দশায় আফগানিস্তানে হতে দেখেননি।
আসলেই এই ঘটনা ছিলো আফগানিস্তানের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।
দীর্ঘদিন আফগানিস্তানে কাজ করা প্রখ্যাত ডাচ সাংবাদিক বেটে ড্যাম (Bette Dam) উল্লেখ করেন, তিনি প্রথমে মোল্লা আব্দুল জব্বারের কথা বিশ্বাস করেননি। কিন্তু পরবর্তীতে রেকর্ড ঘেঁটে তিনি আবিষ্কার করেন, সত্যিই সেদিন প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টিতে শুধু কান্দাহারেই মার্কিন ক্রুসেডার বাহিনীর ৮০টি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল।
[what happened in Afghanistan in 23 april 2013 লিখে গুগল সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।]
মোল্লা উমার মুজাহিদ(রহ) তালিবানের পতনের পর একজন তালিবান নেতার তত্বাবধানে একটি কুঠুরিতে অবস্থান করতেন। অথচ এই কুঠুরি ছিলো মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি থেকে অল্প কিছু দূরে!
[এ নিয়ে পরে লেখা হবে]
উনার সার্বক্ষণিক দেখভালের কাজে নিয়োজিত ছিলেন মোল্লা আব্দুল জব্বার(হাফি)।
আমিরুল মু'মীনিন মোল্লা ওমর(রহ) এর অধিকাংশ সময় কাটত কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে। কুরআন এবং হাদিস ছাড়া তিনি অন্য কোনো বই পড়তেন না। প্রায় সময়ই তিনি মোল্লা আব্দুল জাব্বারকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন, মোল্লা আব্দুল জব্বারও মুগ্ধ হয়ে আমিরুল মুমিনিনের তিলাওয়াত শুনতেন।
মোল্লা ওমর(রহ) এর কাছে একটি নকিয়া মোবাইল ফোন ছিল। নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি কোনো সিম কার্ড ব্যবহার করতেন না, কাউকে কলও করতেন না। মোবাইল ফোনটা তিনি ব্যবহার করতেন শুধু নিজের কুরআন তিলাওয়াত রেকর্ড করার জন্য। প্রায় সময় তিনি নিজেই বসে বসে নিজের তিলাওয়াত শুনতেন।
২০১৩ সালের শুরুর দিকে মোল্লা ওমর(রহ) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি মোল্লা আব্দুল জব্বারকে বলেন, এই অসুস্থতা থেকে তিনি আর ফিরে আসতে পারবেন না। তার রবের সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় এসে গেছে।
মোল্লা আব্দুল জব্বার তাকে তার প্রিয় শুরোয়া স্যুপ রান্না করে দিতেন, কিন্তু মোল্লা ওমর(রহ) সেটাও খেতে পারতেন না। মোল্লা আব্দুল জব্বার তার জন্য ডাক্তার নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন, আব্দুস সামাদ উস্তাদ চেয়েছিলেন তাকে গোপনে পাকিস্তানি বাহিনী ও মার্কিনীদের অগোচরে পাকিস্তানে নিয়ে শেষ চিকিৎসা করাতে।
কিন্তু মোল্লা ওমর(রহ) কোনোটাতেই রাজি হননি।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল মোল্লা ওমর(রহ) মৃত্যুবরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন।
মোল্লা আব্দুল জব্বার(হাফি) এর বর্ণনা অনুযায়ী, সেদিন শুষ্ক মরুময় আফগানিস্তানে যে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়েছিল, সেরকম ঝড় তিনি তার জীবদ্দশায় আফগানিস্তানে হতে দেখেননি।
আসলেই এই ঘটনা ছিলো আফগানিস্তানের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।
দীর্ঘদিন আফগানিস্তানে কাজ করা প্রখ্যাত ডাচ সাংবাদিক বেটে ড্যাম (Bette Dam) উল্লেখ করেন, তিনি প্রথমে মোল্লা আব্দুল জব্বারের কথা বিশ্বাস করেননি। কিন্তু পরবর্তীতে রেকর্ড ঘেঁটে তিনি আবিষ্কার করেন, সত্যিই সেদিন প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টিতে শুধু কান্দাহারেই মার্কিন ক্রুসেডার বাহিনীর ৮০টি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল।
[what happened in Afghanistan in 23 april 2013 লিখে গুগল সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।]
Comment