"মুমিনগণ! কেউ তোমাদের ধর্ম ত্যাগ করবে, তো আল্লাহ সত্বরই এমন এক জাতিসত্বার গোড়াপত্তন করবেন, যাদেরকে আল্লাহ স্বয়ং নিজে ভালবাসবেন এবং তাঁদেরও প্রিয়পাত্র হবেন আল্লাহ। যারা মুমিনদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে আর কাফেরদের প্রতি হবে কঠোর। এও যে, তাঁরা আল্লাহর রাহে জিহাদ করবে এবং কোনো তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীতু হবে না। এ আল্লাহর দান, তিনিই যাকে ইচ্ছা, দান করেন। আল্লাহ, সুপ্রশস্ত, অনেক অনেক বিজ্ঞ"। —(সুরা মায়েদা)
প্রিয় ভায়েরা, ব্যাখ্যা আরেকদিন, ইনশাআল্লাহ। আজ আমি আমার কিছু সহযাত্রীদের বুঝাতে এসেছি, যাদের কাছে জিহাদের এই পবিত্র কাফেলায় সংযুক্তি একেবারেই গুরুত্বহীন। কায়েদাতুল জিহাদের ন্যায় উম্মাহদরদী সংগঠনের সাথে কাজ করতে পারা যাদের কাছে কোনো মূল্যই রাখে না। (উদাহরণস্বরূপ)
ভাই আমার, আমি আপনাকে অত্যন্ত ভালবাসি! মনের একদম গহীন থেকে আজ আপনার রবের দেয়া এক নেয়ামতের কথা আপনাকে স্বরণ করাতে এসেছি। কোরআন আমাকে আদেশ দিয়েছে, ''বুঝাও', 'স্বরণ করিয়ে দাও', 'উপদেশ দাও', অনেক কাজে আসে'। তাই!
ভাই আমার, আপনি কি জানেন, আপনার মহানুভব পালনকর্তা আল্লাহ আপনাকে কত ভালবাসেন? যদি জানতেন, কাঁদতেন! জানেন, দয়াময় আল্লাহ আপনাকে ইতর পশু-পাখি না বানিয়ে মানুষ বানিয়েছেন? মানবের শ্রেষ্ঠত্ব কেমন, কলম তা লিখতে অক্ষম। অতঃপর বানিয়েছেন মু'মিন। এ একান্তই একমাত্র দয়াময় আল্লাহর এক খাছ অনুগ্রহ। না হয় আপনার কী এমন শ্রেষ্ঠত্ব, দক্ষতা ছিল যে, যার উপর ভিত্তি করে তিনি আপনাকে ঈমানের মহা দৌলত দান করবেন? এককালে আপনার তো নাম-নিশানা বলতে কিচ্ছুই ছিল না। আর এককালে ছিলেন না উল্লেখযোগ্য কিছু! আপনার সৃজনোপাদান কী? তা তো এক অপবিত্র শুক্রবিন্দু, স্ববেগে যা স্খলিত হয়েছে। কিন্তু তিনি আপনাকে স্বীয় অনুগ্রহে সুবিন্যস্ত ও সুষ্ঠু-সুষম করে মানুষ করেছেন। আমার কথা বিশ্বাস না হলে পড়ুন সুরা কিয়ামাহ'র শেষাংশ। উল্টিয়ে দেখুন সুরা দাহরের প্রথমাংশ।
এত তুচ্ছ, অপবিত্র ও নালায়েক হওয়া সত্বেও তিনি আপনার কচি অন্তরে ঈমান ও বিশ্বাসের পবিত্র বীজ বপন করেছেন। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, পৃথিবীতে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা'র যত অসংখ্য নিয়ামতরাজি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং আকাশ হতে যত দয়া ও অনুগ্রহের এ পৃথিবীর বুকে আগমন ঘটেছে, তন্মধ্যে সবচে' বিস্ময়কর ও মর্যাদাবান নিয়ামত টা কী? হ্যাঁ, ঈমান, বিশ্বাসের ঐশী নূর। এর চাইতে বড় কোনো দয়া ও নেয়ামত আছে কিনা আমার জানা নেই! কিন্তু প্রেমময় আল্লাহ কোনো বিনিময় ব্যতিতই তা আপনাকে দান করেছেন। কতো বড়ো এক মর্যাদায় আপনাকে তিনি ভূষিত করেছেন। তাহলে একটু চিন্তা করুন, আল্লাহ আপনাকে কত্তো ভালবাসেন! কতো ইহসান আল্লাহর আপনার প্রতি!!
এই মহৎ ইহসানের জন্য উচিত ছিল কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে সেজদায় পড়ে থাকা। তাঁর সন্তুষ্টিকল্পে লড়াই করতে করতে স্বীয় জীবন-সম্পদ তার রাহে কোরবান করে দেওয়া। কিন্তু কেমনে? ফিতনার এই কালচক্রে এর চাইতে অধিক কঠিন কর্ম তো আর নেই। কত মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে জিহাদ ও কিতালের এই বিষয়টি অনুধাবন করতে গিয়ে! কত লোক উদ্ভ্রান্ত হয়ে ফিরেছে এ মরুভূমির পানি পান করতে গিয়ে!! কিন্তু আল্লাহর কী শান! সঠিক ঠিকানায় পৌঁছুতে আল্লাহ আপনার পথ সহজ করে দিয়েছেন।
এমন এক দলের সন্ধান দিয়েছেন, যারা আল্লাহর বর্ণিত গুণাগুনের অধিকারী। যারা আল্লাহকে অনেক অনেক মহব্বত করেন, আর নিঃসন্দেহে আল্লাহও তাঁদের ভালবাসেন। এ দলের সদস্যরা উম্মাহকে মনেপ্রাণে ভালবাসে। নিজেরা বিলীন হয়ে যাক, কিন্তু উম্মাহর গায়ে সামান্য আচড়ও লাগতে দেয় না। পাশাপাশি কাফেরদের বিরুদ্ধে তারা অত্যন্ত কঠোর। দেখেন না, এরা জীবনভর কাফেরদের বিরুদ্ধে বদদোয়া ও অভিশাপ দিয়ে থাকে। আল্লাহর রাহে জিহাদ তো এদের প্রধান মিশন। মাল উজাড় করে জান হাতে নিয়ে অস্ত্র কাঁধে নিয়ে বরফের পথে আগুনের উত্তাল সমুদ্রে এরা ঝাপিয়ে পড়ে। পর্বতপ্রমান দৃঢ়তা, আকাশসম মনোবল ও তাকওয়ার পোষাকে এরা নিজেদের সজ্জিত করেছে, ফলে নিন্দাবাজদের তিরস্কার তাদের সংকল্পে সামান্য চিড় ধরাতে পারে না। এমন এক দলের সহযাত্রী আল্লাহ আপনাকে বানিয়েছেন। ভাই, আল্লাহর এ নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় কি আপনি করবেন না? আল্লাহ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা খুব পছন্দ করেন। দেখুন, আয়াতের শেষে লেখা আছে, এটা আল্লাহর একান্ত দান। আল্লাহ খুবই প্রাচুর্যময়। তিনি এ নিয়ামত দান করতে কার্পণ্য করবেন না। আবার যাকে তাকেও দেবেন না। বরং তিনি খুব ভালভাবেই জানেন, কে এ নিয়ামত লাভের অধিকতর যোগ্য। এ যাত্রায় আপনি এ মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়ে গেলেন হাজারো মানুষের ভিড়ে।
কত মুসলিম এমন আছে, যারা হাজারো কষ্ট-ইচ্ছা সত্বেও এমন পথ পায় নি। আমাদের সামনে কত শায়খ ও মুরব্বিরা রয়েছেন, যারা ইলমে, আমলে, প্রশিদ্ধিতে কত এগিয়ে! কিন্তু আল্লাহ তাঁদেরকে এ তাওফিক দেন নি। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন, যে কর্মস্থলে কাজ করেন, চোখ ফিরিয়ে দেখুন, আপনার কত সহপাঠীর ভিড়ে আপনিই শুধু একজন সত্যনিষ্ঠ পথের অনুসারী, অথচ এরা আপনার চেয়েও অনেক শক্তিশালী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ! কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে এ নিয়ামত দান করেন নি। শুধু আপনাকেই দিয়েছেন। এ নিতান্ত আল্লাহর অনুগ্রহ আপনার প্রতি! অতএব এর শুকরিয়া কি আদায় করবেন না???
কিভাবে করবেন কৃতজ্ঞতা স্বীকার? প্রথমতঃ এ মহানুভবতার গভীরতা বুঝুন। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বক্ষণ অন্তরে গেঁথে রাখুন। দ্বিতীয়তঃ এ নিয়ামতের হক আদায় করুন। এ দলে বাইয়াত দিয়ে আপনি আনুগত্যের যে শপথ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তা যথাযত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করুন। নিজের উপর যত দায়িত্ব-কর্তব্য আরোপিত হয়, তা আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ পরিশ্রম সহকারে নিষ্ঠার সাথে করে যান। কোনো ধরণের অলসতা, অবহেলা বা ত্রুটির উপস্থিতি যেন এতে পাওয়া না যায় নিজের পক্ষ হতে। যেভাবে নির্দেশ আসে, সবধরণের সংকীর্ণতা ঝেড়ে ফেলে তা আদায়ে তৈরি থাকুন।
তৃতীয়তঃ সেই দয়াবান আল্লাহর কাছে ঈমান ও জিহাদের এমন গুণধর নিয়ামতদ্বয়ের জন্যে বিনীত হৃদয়ে দোয়া করুন। কাঁদুন, যখন কেউ কাঁদে না। সেজদায় পড়ে থাকুন, যখন কেউ সেজদায় পড়ে থাকে না। আর দোয়া করুন, আপনার গুনাহ ও ত্রুটির কারণে আল্লাহ যেন আপনাকে এ থেকে পদস্খলনিত না করেন। তিনি যেন আপনাকে শাহাদাতের আগ পর্যন্ত এতে সাবেত কদম রাখেন এবং সর্বশেষ অনুগ্রহ শাহাদাত দিয়ে আপনাকে ভূষিত করেন।
সবশেষ এ কথা হৃদয়ে গেঁথে রাখুন যে, এ আল্লাহর দান। নিশ্চয়ই এ ব্যপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর হক কতটুকু আদায় করেছেন না করেছেন এ বিষয়ে আপনাকে কোনো একদিন কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, যার যথাযথ উত্তর না দিয়ে আপনি না এক কদম সামনে যেতে পারবেন না পশ্চাতে ফিরে আসতে পারবেন।
পরিশেষে দোয়া করছি, "ওহে পরওয়ারদিগার! আমাদের সকল পাপ আপনি মার্জনা করে দিন। এই জিহাদের কাজ করতে গিয়ে আমাদের যত বাড়াবাড়ি হয়ে যায়, স্বীয় দয়ায় আপনি তা ক্ষমা করে দিন। আমাদের পদযুগল আরো মজবুত করে দিন এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় দান করুন!" —(সুরা আলে ইমরান)
প্রিয় ভায়েরা, ব্যাখ্যা আরেকদিন, ইনশাআল্লাহ। আজ আমি আমার কিছু সহযাত্রীদের বুঝাতে এসেছি, যাদের কাছে জিহাদের এই পবিত্র কাফেলায় সংযুক্তি একেবারেই গুরুত্বহীন। কায়েদাতুল জিহাদের ন্যায় উম্মাহদরদী সংগঠনের সাথে কাজ করতে পারা যাদের কাছে কোনো মূল্যই রাখে না। (উদাহরণস্বরূপ)
ভাই আমার, আমি আপনাকে অত্যন্ত ভালবাসি! মনের একদম গহীন থেকে আজ আপনার রবের দেয়া এক নেয়ামতের কথা আপনাকে স্বরণ করাতে এসেছি। কোরআন আমাকে আদেশ দিয়েছে, ''বুঝাও', 'স্বরণ করিয়ে দাও', 'উপদেশ দাও', অনেক কাজে আসে'। তাই!
ভাই আমার, আপনি কি জানেন, আপনার মহানুভব পালনকর্তা আল্লাহ আপনাকে কত ভালবাসেন? যদি জানতেন, কাঁদতেন! জানেন, দয়াময় আল্লাহ আপনাকে ইতর পশু-পাখি না বানিয়ে মানুষ বানিয়েছেন? মানবের শ্রেষ্ঠত্ব কেমন, কলম তা লিখতে অক্ষম। অতঃপর বানিয়েছেন মু'মিন। এ একান্তই একমাত্র দয়াময় আল্লাহর এক খাছ অনুগ্রহ। না হয় আপনার কী এমন শ্রেষ্ঠত্ব, দক্ষতা ছিল যে, যার উপর ভিত্তি করে তিনি আপনাকে ঈমানের মহা দৌলত দান করবেন? এককালে আপনার তো নাম-নিশানা বলতে কিচ্ছুই ছিল না। আর এককালে ছিলেন না উল্লেখযোগ্য কিছু! আপনার সৃজনোপাদান কী? তা তো এক অপবিত্র শুক্রবিন্দু, স্ববেগে যা স্খলিত হয়েছে। কিন্তু তিনি আপনাকে স্বীয় অনুগ্রহে সুবিন্যস্ত ও সুষ্ঠু-সুষম করে মানুষ করেছেন। আমার কথা বিশ্বাস না হলে পড়ুন সুরা কিয়ামাহ'র শেষাংশ। উল্টিয়ে দেখুন সুরা দাহরের প্রথমাংশ।
এত তুচ্ছ, অপবিত্র ও নালায়েক হওয়া সত্বেও তিনি আপনার কচি অন্তরে ঈমান ও বিশ্বাসের পবিত্র বীজ বপন করেছেন। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, পৃথিবীতে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা'র যত অসংখ্য নিয়ামতরাজি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং আকাশ হতে যত দয়া ও অনুগ্রহের এ পৃথিবীর বুকে আগমন ঘটেছে, তন্মধ্যে সবচে' বিস্ময়কর ও মর্যাদাবান নিয়ামত টা কী? হ্যাঁ, ঈমান, বিশ্বাসের ঐশী নূর। এর চাইতে বড় কোনো দয়া ও নেয়ামত আছে কিনা আমার জানা নেই! কিন্তু প্রেমময় আল্লাহ কোনো বিনিময় ব্যতিতই তা আপনাকে দান করেছেন। কতো বড়ো এক মর্যাদায় আপনাকে তিনি ভূষিত করেছেন। তাহলে একটু চিন্তা করুন, আল্লাহ আপনাকে কত্তো ভালবাসেন! কতো ইহসান আল্লাহর আপনার প্রতি!!
এই মহৎ ইহসানের জন্য উচিত ছিল কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে সেজদায় পড়ে থাকা। তাঁর সন্তুষ্টিকল্পে লড়াই করতে করতে স্বীয় জীবন-সম্পদ তার রাহে কোরবান করে দেওয়া। কিন্তু কেমনে? ফিতনার এই কালচক্রে এর চাইতে অধিক কঠিন কর্ম তো আর নেই। কত মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে জিহাদ ও কিতালের এই বিষয়টি অনুধাবন করতে গিয়ে! কত লোক উদ্ভ্রান্ত হয়ে ফিরেছে এ মরুভূমির পানি পান করতে গিয়ে!! কিন্তু আল্লাহর কী শান! সঠিক ঠিকানায় পৌঁছুতে আল্লাহ আপনার পথ সহজ করে দিয়েছেন।
এমন এক দলের সন্ধান দিয়েছেন, যারা আল্লাহর বর্ণিত গুণাগুনের অধিকারী। যারা আল্লাহকে অনেক অনেক মহব্বত করেন, আর নিঃসন্দেহে আল্লাহও তাঁদের ভালবাসেন। এ দলের সদস্যরা উম্মাহকে মনেপ্রাণে ভালবাসে। নিজেরা বিলীন হয়ে যাক, কিন্তু উম্মাহর গায়ে সামান্য আচড়ও লাগতে দেয় না। পাশাপাশি কাফেরদের বিরুদ্ধে তারা অত্যন্ত কঠোর। দেখেন না, এরা জীবনভর কাফেরদের বিরুদ্ধে বদদোয়া ও অভিশাপ দিয়ে থাকে। আল্লাহর রাহে জিহাদ তো এদের প্রধান মিশন। মাল উজাড় করে জান হাতে নিয়ে অস্ত্র কাঁধে নিয়ে বরফের পথে আগুনের উত্তাল সমুদ্রে এরা ঝাপিয়ে পড়ে। পর্বতপ্রমান দৃঢ়তা, আকাশসম মনোবল ও তাকওয়ার পোষাকে এরা নিজেদের সজ্জিত করেছে, ফলে নিন্দাবাজদের তিরস্কার তাদের সংকল্পে সামান্য চিড় ধরাতে পারে না। এমন এক দলের সহযাত্রী আল্লাহ আপনাকে বানিয়েছেন। ভাই, আল্লাহর এ নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় কি আপনি করবেন না? আল্লাহ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা খুব পছন্দ করেন। দেখুন, আয়াতের শেষে লেখা আছে, এটা আল্লাহর একান্ত দান। আল্লাহ খুবই প্রাচুর্যময়। তিনি এ নিয়ামত দান করতে কার্পণ্য করবেন না। আবার যাকে তাকেও দেবেন না। বরং তিনি খুব ভালভাবেই জানেন, কে এ নিয়ামত লাভের অধিকতর যোগ্য। এ যাত্রায় আপনি এ মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়ে গেলেন হাজারো মানুষের ভিড়ে।
কত মুসলিম এমন আছে, যারা হাজারো কষ্ট-ইচ্ছা সত্বেও এমন পথ পায় নি। আমাদের সামনে কত শায়খ ও মুরব্বিরা রয়েছেন, যারা ইলমে, আমলে, প্রশিদ্ধিতে কত এগিয়ে! কিন্তু আল্লাহ তাঁদেরকে এ তাওফিক দেন নি। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন, যে কর্মস্থলে কাজ করেন, চোখ ফিরিয়ে দেখুন, আপনার কত সহপাঠীর ভিড়ে আপনিই শুধু একজন সত্যনিষ্ঠ পথের অনুসারী, অথচ এরা আপনার চেয়েও অনেক শক্তিশালী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ! কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে এ নিয়ামত দান করেন নি। শুধু আপনাকেই দিয়েছেন। এ নিতান্ত আল্লাহর অনুগ্রহ আপনার প্রতি! অতএব এর শুকরিয়া কি আদায় করবেন না???
কিভাবে করবেন কৃতজ্ঞতা স্বীকার? প্রথমতঃ এ মহানুভবতার গভীরতা বুঝুন। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বক্ষণ অন্তরে গেঁথে রাখুন। দ্বিতীয়তঃ এ নিয়ামতের হক আদায় করুন। এ দলে বাইয়াত দিয়ে আপনি আনুগত্যের যে শপথ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তা যথাযত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করুন। নিজের উপর যত দায়িত্ব-কর্তব্য আরোপিত হয়, তা আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ পরিশ্রম সহকারে নিষ্ঠার সাথে করে যান। কোনো ধরণের অলসতা, অবহেলা বা ত্রুটির উপস্থিতি যেন এতে পাওয়া না যায় নিজের পক্ষ হতে। যেভাবে নির্দেশ আসে, সবধরণের সংকীর্ণতা ঝেড়ে ফেলে তা আদায়ে তৈরি থাকুন।
তৃতীয়তঃ সেই দয়াবান আল্লাহর কাছে ঈমান ও জিহাদের এমন গুণধর নিয়ামতদ্বয়ের জন্যে বিনীত হৃদয়ে দোয়া করুন। কাঁদুন, যখন কেউ কাঁদে না। সেজদায় পড়ে থাকুন, যখন কেউ সেজদায় পড়ে থাকে না। আর দোয়া করুন, আপনার গুনাহ ও ত্রুটির কারণে আল্লাহ যেন আপনাকে এ থেকে পদস্খলনিত না করেন। তিনি যেন আপনাকে শাহাদাতের আগ পর্যন্ত এতে সাবেত কদম রাখেন এবং সর্বশেষ অনুগ্রহ শাহাদাত দিয়ে আপনাকে ভূষিত করেন।
সবশেষ এ কথা হৃদয়ে গেঁথে রাখুন যে, এ আল্লাহর দান। নিশ্চয়ই এ ব্যপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর হক কতটুকু আদায় করেছেন না করেছেন এ বিষয়ে আপনাকে কোনো একদিন কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, যার যথাযথ উত্তর না দিয়ে আপনি না এক কদম সামনে যেতে পারবেন না পশ্চাতে ফিরে আসতে পারবেন।
পরিশেষে দোয়া করছি, "ওহে পরওয়ারদিগার! আমাদের সকল পাপ আপনি মার্জনা করে দিন। এই জিহাদের কাজ করতে গিয়ে আমাদের যত বাড়াবাড়ি হয়ে যায়, স্বীয় দয়ায় আপনি তা ক্ষমা করে দিন। আমাদের পদযুগল আরো মজবুত করে দিন এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় দান করুন!" —(সুরা আলে ইমরান)
Comment