Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদের পথে পবিত্র ধূলিকণা এবং প্রকৃত বিপদের চিন্তা করুণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদের পথে পবিত্র ধূলিকণা এবং প্রকৃত বিপদের চিন্তা করুণ

    জিহাদের পথে পবিত্র ধূলিকণা :-
    ---------------------------------------------

    এক বর্ণনায় রয়েছে যে, নেককার আলেম মৃত্যু শয্যায় ছিলেন। তখন তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। অথচ তিনি তাকওয়া এবং ইলমে মানুষের মাঝে শেষ্ঠতর ব্যক্তি ছিলেন। তাকে জিজ্ঞেসা করা হলো, আপনি কেন কাঁদছেন? তখন তিনি তার পদযুগলের দিকে তাকিয়ে জবাব দিলেন, এজন্য কাঁদছি যে এই কদম কখনো আল্লাহর পথে ধুলো মলিন করিনি।

    নবী করীম সা. এর এই হাদিস মুবারক তো আপনারা জেনে থাকবেন,যার মাঝে তিনি বলেন

    যে বান্দার কদম আল্লাহর পথে ধুলোমলিন হবে, তাকে আগুন স্পর্শ করতে পারবেনা ( বুখারী)
    আল্লাহু আকবার! এটা এমন ইবাদত, যার শুধু ধুলো বালি আপনাকে আগুন থেকে মুক্তি দান করতে পারে! তাহলে সে ব্যক্তির মর্যাদা কেমন হবে, যে নিজের জীবন ও ধন-সম্পদ সব কিছু নিয়ে বের হয়েছে এবং সব কিছু এ পথেই কুরবানির করে দিয়েছে?

    প্রকৃত বিপদের চিন্তা করুণ ! :-
    -------------------------------------------
    নিঃসন্দেহে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ সর্বশেষ্ঠ আমল। সহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে রাসূল স. এর নিকট সর্বশেষ্ঠ আমলের ব্যপারে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বললেন,

    ​​​​​
    ​​​​​​رجل خرج یخا طر بنفسه وماله فلم یرجع بسی

    ঐ ব্যক্তির আমল সর্বশেষ্ঠ যে জিহাদ ফী সাবীলিল্লায় বের হয়েছে নিজের জীবন ও ধন সম্পদকে আশংকায় ফেলে দিয়েছে এবং কোন কিছুই নিয়ে ফিরে আসেনি ( বুখারী)
    আজকে আমাদের অধিকাংশ ভাই আমাদেরকে বিপদ - আপদের ভয় দেখায়। কিন্তু জেনে রাখুন! প্রকৃত বিপদ তো কবরে! প্রকৃত ভয় তো জীবনের হিসাবের এবং শেষ বিচার দিনের যা নিশ্চিত প্রতিষ্ঠিত হবে! এমন যেন না হয় যে, দুনিয়ার এই বিপদ- আপদ থেকে বাঁচতে গিয়ে আপনি ঐ দিনের বিপদের মাঝে পড়ে গেলেন! আপনার জীবনআয়ু শেষ হয়ে গেল! অথবা অহেতুক কথা র্বাতায় আপনার মূল্যবান সময় ফুরিয়ে গেল। দীনের সাহায্য করা আপনার ভাগ্য জুটল না।

    মহান আল্লাহ্‌ সুবাহুনাল্লাহু তায়ালা এর কসম! অবিশ্বাসীদের সন্ত্রাস ঠেকানোর রাস্তা হচ্ছে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা যেমনটি সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবাহুনাল্লাহু তায়ালা বলেছেন ঃ-

    اَمْ حَسِبْتُمْ اَنْ تُتْرَكُوْا وَلَـمَّا يَعْلَمِ اللّٰهُ الَّذِيْنَ جَاهَدُوْا مِنْكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلَا رَسُوْلِهٖ وَلَا الْمُؤْمِنِيْنَ وَلِيْجَةً ۗ وَا للّٰهُ خَبِيْرٌ بِۢمَا تَعْمَلُوْنَ


    "তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদেরকে এমনিই ছেড়ে দেয়া হবে যে পর্যন্ত আল্লাহ জেনে না নেবেন তোমাদের মধ্যে কারা তাঁর পথে জিহাদ করেছে, আর আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনদের ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন নি? তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ বিশেষভাবে অবহিত।"
    (সূরা তাওবাহ৯: আয়াত ১৬)

    فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَكُفَّ بَأْسَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ وَاللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنْكِيلًا
    সুতরাং হে মুহাম্মাদ! আল্লাহের রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন; আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য কারো জন্য জিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদের উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের (সামরিক) শক্তি খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তির দিক দিয়ে অধিক এবং কঠোর শাস্তিদাতা।) সুরা নিসা [৪:৮৪]

    "তোমরা সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াই কেন করবে না যারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, যারা রসূলকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল? প্রথমে তারাই তোমাদেরকে আক্রমণ করেছিল। তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? তোমরা যাকে ভয় করবে তার সবচেয়ে বেশি হকদার হলেন আল্লাহ যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক।"
    ( সুরা আত-তাওবাহ ৯: ১৩)


    قَا تِلُوْهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللّٰهُ بِاَ يْدِيْكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِيْنَ

    "তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, তোমাদের হাত দিয়েই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন, তাদেরকে অপমানিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করবেন আর মু’মিনদের প্রাণ ঠান্ডা করবেন।"
    (সূরা- তাওবাহ ৯ আয়াত১৪)

    -------------------------------------
    শাইখ ও-সা-মা বিন লা-দে-ন রাহিমাহুল্লাহ :-

    তারা আমাদের ভূমিতে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং একে দখল করেছে! এবং তারা মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। আর যখনই তারা বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে তখনই তারা একে জঙ্গিবাদ আখ্যায়িত করেছে।

  • #2
    জাযাকাল্লাহ খাইরান। চমৎকার হয়েছে আখি।

    Comment

    Working...
    X