নিজে বের হচ্ছিনা অন্যকেও বাধা দিচ্ছি !
----------------------------------------------------
আজকের সমস্যা গুলোর মাঝে একটি জটিল সমস্যা হল,অনেক লোক ভিত্তিহীন ওজর আপত্তি পেশ করে। মূলত শয়তানই তাদের মস্তিষ্কে এসব অনেক কল্পনা ঢেলে দেয় এবংসেগুলোকে সুসজ্জিত করে দেখায়। এ জাতীয় লোককে সব সময় আপনি এক ধরনের বাহানা পেশ করতে দেখবেন। যেমন কখনো আপনাকে বলবে, যদি সবাই জিহাদে বেরিয়ে যায় তাহলে দীনের অন্য কাজগুলো কে করবে! ফল স্বরুপ সাধারণ জনগণ এ সকল সংশয়ের শিকার হয়ে বসে থাকে। এ লোকেরা তাদের গুণাহের বোঝা বহন করেও মনে মনে ভাবতে থাকে যে, তারা নিজের উপর আরোপিত দ্বীনের নুসরাতের ফরজ দায়িত্ব আদায় করে ফেলেছে। অতএব, হে আল্লাহর বান্দা! জিহাদ থেকে পশ্চাতে বসে থাকার সাথে জিহাদের বাঁধা প্রদান এবং এ পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার গুনাহ থেকে সাবধান হোন। আল্লাহ তা'আলা বলেন -
قَدْ يَعْلَمُ اللّٰهُ الْمُعَوِّقِيْنَ مِنْكُمْ وَا لْقَآئِلِيْنَ لِاِ خْوَا نِهِمْ هَلُمَّ اِلَيْنَا ۚ وَلَا يَأْتُوْنَ الْبَأْسَ اِلَّا قَلِيْلًا
"আল্লাহ তোমাদের মধ্যে তাদেরকে নিশ্চিতই জানেন কারা (যুদ্ধে অংশগ্রহণে) বাধা সৃষ্টিকারী আর কারা নিজেদের ভাইদেরকে বলে- আমাদের কাছে এসো। যুদ্ধ তারা সামান্যই করে"
(সূরা - আহযাব-১৮)
সুতরাং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আ'লা আমাদের অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন। অতএব নিজের নফসের পরীক্ষা গ্রহন করুন! সে কোথাও আপনাকে ধোঁকা দিচ্ছেনা তো। যেমন সাইয়্যেদুনা কা'ব রাযি.এবং তার সাথীদের নফস তাদেরকে ধোকা দিয়েছিল।
হযরত কা'ব রাযি. বলেন, সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলারই জন্য যিনি আমাকে সত্যের দিকে পরিচালিত করেছেন এবং আমাকে এ অনুগ্রহ ভূষিত করছেন। ইসলাম গ্রহণের পর আমার প্রতি আল্লাহ তা'আলার সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ হল, আমি মিথ্যা থেকে বেঁচে গেছি। নতুবা আমিও সেসব লোকদের মত ধংস হয়ে যেতাম যারা মিথ্যা বলেছে এবং আল্লাহ তা'আলা তাদের নিন্দা বর্ণনায় এমন কঠোর শব্দ ব্যবহার করেছেন যা অন্য কারো ক্ষেত্রে করেন নি।
মিথ্যা বাহানা সৃষ্টি কারীদেরকে আল্লাহ তা'আলা অত্যন্ত কঠোর ভাবে শাস্তি দিয়ে থাকেন,
সুতরাং
ইরশাদ হয়েছে-
سَيَحْلِفُوْنَ بِا للّٰهِ لَـكُمْ اِذَا انْقَلَبْتُمْ اِلَيْهِمْ لِتُعْرِضُوْا عَنْهُمْ ۗ فَاَ عْرِضُوْا عَنْهُمْ ۗ اِنَّهُمْ رِجْسٌ ۙ وَّمَأْوٰٮهُمْ جَهَـنَّمُ ۚ جَزَآءً بِۢمَا كَا نُوْا يَكْسِبُوْنَ
يَحْلِفُوْنَ لَـكُمْ لِتَرْضَوْا عَنْهُمْ ۚ فَاِ نْ تَرْضَوْا عَنْهُمْ فَاِ نَّ اللّٰهَ لَا يَرْضٰى عَنِ الْقَوْمِ الْفٰسِقِيْنَ
"তোমরা তাদের কাছে ফিরে আসলে তারা তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে শপথ করবে যাতে তোমরা তাদেরকে উপেক্ষা কর। কাজেই তোমরা তাদেরকে উপেক্ষা কর, তারা অপবিত্র, তাদের বাসস্থান জাহান্নাম, তারা যা করেছে এটাই তার ন্যায্য প্রাপ্য।"
"তারা তোমাদের কাছে শপথ করবে যাতে তোমরা তাদের উপর খুশি হয়ে যাও, কিন্তু তোমরা তাদের উপর খুশি হলেও, আল্লাহ অবাধ্য সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না।"
( সূরা তাওবাহ - ৯৫-৯৬)
এই হাদীসে কা'ব বিন মালেক রাযি. নিজের ভুল স্বীকার করছেন। অতএব নিজেকে যাচাই করার এবং আত্ম সংশোধন করে সঠিক পথে ফিরে আসার ক্ষেত্রে তিনি আমাদের আর্দশ। তিনি আমাদের মাপকাঠি।
-------------------------------------
শাইখ ও-সা-মা বিন লা-দে-ন রাহিমাহুল্লাহ :-
তারা আমাদের ভূমিতে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং একে দখল করেছে! এবং তারা মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। আর যখনই তারা বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে তখনই তারা একে জঙ্গিবাদ আখ্যায়িত করেছে।
----------------------------------------------------
আজকের সমস্যা গুলোর মাঝে একটি জটিল সমস্যা হল,অনেক লোক ভিত্তিহীন ওজর আপত্তি পেশ করে। মূলত শয়তানই তাদের মস্তিষ্কে এসব অনেক কল্পনা ঢেলে দেয় এবংসেগুলোকে সুসজ্জিত করে দেখায়। এ জাতীয় লোককে সব সময় আপনি এক ধরনের বাহানা পেশ করতে দেখবেন। যেমন কখনো আপনাকে বলবে, যদি সবাই জিহাদে বেরিয়ে যায় তাহলে দীনের অন্য কাজগুলো কে করবে! ফল স্বরুপ সাধারণ জনগণ এ সকল সংশয়ের শিকার হয়ে বসে থাকে। এ লোকেরা তাদের গুণাহের বোঝা বহন করেও মনে মনে ভাবতে থাকে যে, তারা নিজের উপর আরোপিত দ্বীনের নুসরাতের ফরজ দায়িত্ব আদায় করে ফেলেছে। অতএব, হে আল্লাহর বান্দা! জিহাদ থেকে পশ্চাতে বসে থাকার সাথে জিহাদের বাঁধা প্রদান এবং এ পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার গুনাহ থেকে সাবধান হোন। আল্লাহ তা'আলা বলেন -
قَدْ يَعْلَمُ اللّٰهُ الْمُعَوِّقِيْنَ مِنْكُمْ وَا لْقَآئِلِيْنَ لِاِ خْوَا نِهِمْ هَلُمَّ اِلَيْنَا ۚ وَلَا يَأْتُوْنَ الْبَأْسَ اِلَّا قَلِيْلًا
"আল্লাহ তোমাদের মধ্যে তাদেরকে নিশ্চিতই জানেন কারা (যুদ্ধে অংশগ্রহণে) বাধা সৃষ্টিকারী আর কারা নিজেদের ভাইদেরকে বলে- আমাদের কাছে এসো। যুদ্ধ তারা সামান্যই করে"
(সূরা - আহযাব-১৮)
সুতরাং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আ'লা আমাদের অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন। অতএব নিজের নফসের পরীক্ষা গ্রহন করুন! সে কোথাও আপনাকে ধোঁকা দিচ্ছেনা তো। যেমন সাইয়্যেদুনা কা'ব রাযি.এবং তার সাথীদের নফস তাদেরকে ধোকা দিয়েছিল।
হযরত কা'ব রাযি. বলেন, সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলারই জন্য যিনি আমাকে সত্যের দিকে পরিচালিত করেছেন এবং আমাকে এ অনুগ্রহ ভূষিত করছেন। ইসলাম গ্রহণের পর আমার প্রতি আল্লাহ তা'আলার সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ হল, আমি মিথ্যা থেকে বেঁচে গেছি। নতুবা আমিও সেসব লোকদের মত ধংস হয়ে যেতাম যারা মিথ্যা বলেছে এবং আল্লাহ তা'আলা তাদের নিন্দা বর্ণনায় এমন কঠোর শব্দ ব্যবহার করেছেন যা অন্য কারো ক্ষেত্রে করেন নি।
মিথ্যা বাহানা সৃষ্টি কারীদেরকে আল্লাহ তা'আলা অত্যন্ত কঠোর ভাবে শাস্তি দিয়ে থাকেন,
সুতরাং
ইরশাদ হয়েছে-
سَيَحْلِفُوْنَ بِا للّٰهِ لَـكُمْ اِذَا انْقَلَبْتُمْ اِلَيْهِمْ لِتُعْرِضُوْا عَنْهُمْ ۗ فَاَ عْرِضُوْا عَنْهُمْ ۗ اِنَّهُمْ رِجْسٌ ۙ وَّمَأْوٰٮهُمْ جَهَـنَّمُ ۚ جَزَآءً بِۢمَا كَا نُوْا يَكْسِبُوْنَ
يَحْلِفُوْنَ لَـكُمْ لِتَرْضَوْا عَنْهُمْ ۚ فَاِ نْ تَرْضَوْا عَنْهُمْ فَاِ نَّ اللّٰهَ لَا يَرْضٰى عَنِ الْقَوْمِ الْفٰسِقِيْنَ
"তোমরা তাদের কাছে ফিরে আসলে তারা তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে শপথ করবে যাতে তোমরা তাদেরকে উপেক্ষা কর। কাজেই তোমরা তাদেরকে উপেক্ষা কর, তারা অপবিত্র, তাদের বাসস্থান জাহান্নাম, তারা যা করেছে এটাই তার ন্যায্য প্রাপ্য।"
"তারা তোমাদের কাছে শপথ করবে যাতে তোমরা তাদের উপর খুশি হয়ে যাও, কিন্তু তোমরা তাদের উপর খুশি হলেও, আল্লাহ অবাধ্য সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না।"
( সূরা তাওবাহ - ৯৫-৯৬)
এই হাদীসে কা'ব বিন মালেক রাযি. নিজের ভুল স্বীকার করছেন। অতএব নিজেকে যাচাই করার এবং আত্ম সংশোধন করে সঠিক পথে ফিরে আসার ক্ষেত্রে তিনি আমাদের আর্দশ। তিনি আমাদের মাপকাঠি।
-------------------------------------
শাইখ ও-সা-মা বিন লা-দে-ন রাহিমাহুল্লাহ :-
তারা আমাদের ভূমিতে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং একে দখল করেছে! এবং তারা মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। আর যখনই তারা বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে তখনই তারা একে জঙ্গিবাদ আখ্যায়িত করেছে।