অনেকেই জি হা দ করার ইচ্ছা রাখেন-
কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে যে প্রস্তুতি দরকার তা তাদের একদমই নেই -
তারা অপেক্ষায় বসে আছেন-
কেউ এসে তাকে প্রশিক্ষিত করবে-
তাকে অস্ত্র কিনে দিবে-
এরপর শুধু টুস টাস গুলি মেরে জি হা দ করবে..!
এই ধরনের চিন্তাধারা নিয়ে যারা বসে তাদের জন্য আফসুস।
. জি হা দে করার জন্য ৮০% প্রস্তুতি নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘরে বসেই নেয়া সম্ভব।
. এক. জি হা দের প্রথম শর্তই হলো ইলম অর্জন করা।
কারনে এটা ক্ষমতার জন্য কোনো যুদ্ধ না বরং আকিদা ও আদর্শের জন্য। আপনি কেন যুদ্ধ করবেন ?
এটা ক্লিয়ার থাকা জরুরি তাই জি হা দের জন্য প্রথম শর্তই হলো ইলম অর্জন করা।
বিশেষ করে বিশুদ্ধ আকিদা সম্পর্কে জানা পাশাপাশি সমান গুরুত্বপূর্ণ হলো- জি হা দের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা।
কখন জি হা দ ফরজ হয় ?
জি হা দের ফজিলত , জি হা দ পরিত্যাগ করার ক্ষতি, জি হা দ করতে গেলে আসন্ন বাধা ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
. দুই. জি হা দ মানে সশস্ত্র যুদ্ধ।
কিন্তু আপনার যুদ্ধ বিদ্যা সম্পর্কে কোনো জ্ঞানই নাই
তাহলে আপনি কিসের যুদ্ধ করবেন? তাই যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হাওয়া। এ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা
. তিন. যুদ্ধের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শারিরিক প্রস্তুতি।
আপনাকে অবশ্যই শারিরিক ভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। দীর্ঘ সময় হাটার অভ্যাস করতে হবে।
খুব দ্রুত দৌড়ানোর অভ্যাস থাকতে হবে। অল্পতে হাপিয়ে গেলে চলবে না।
ভারি বস্তু বহন করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।ভারি বস্তু কাধে নিয়ে দীর্ঘ পথ চলায় অভ্যস্ত হতে হবে।
এছাড়া শারিরিক ভাবে কষ্ট সৈয্য করার ক্ষমতা অর্জন, কুস্তি লড়াই শেখা ইত্যাদি প্রস্তুতিমুলক কাজগুলো করতে তো আর কোনো ক্যাম্পে যাওয়ার দরকার নেই।
বরং বাড়িতে বসেই এসব অর্জন করা সম্ভব।
. চার. যুদ্ধের জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষন জরুরি। উপরের তিনটা ধাপ শেষ করার পর অস্ত্র প্রশিক্ষন নিতে হবে। অস্ত্র প্রশিক্ষন বলতে শুধু Ak47 বুঝায় না।
আপনি কোন অঞ্চলে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক সেই অঞ্চলের পরিস্থিতি চিন্তা করেই আপনাকে অস্ত্র প্রশিক্ষন নিতে হবে।
ধরেন , আপনি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন!
সেখানে যুদ্ধের জন্য তো আর আপনাকে ট্যাংক চালানোর প্রশিক্ষন নেয়ার দরকার নেই।
বন্ধুক বা রাইফেল চালানোর আগে আপনাকে চাকু কিংবা দেশীয় অস্ত্র চালানোতে পারদর্শি হতে হবে।
বিশেষ করে জঙ্গল এলাকায় তীর ধনুকের ব্যবহার করা সম্ভব।
আপনি এ ব্যাপারেও দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। রাইফেল চালানোটা আপাদত স্কিপ রেখে বাকিগুলাতে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
. পাঁচ. একটা যুদ্ধ মানে অস্ত্র হাতে কয়েকজন সৈন্যের গোলাগুলির নাম না।আপনাকে আধুনিক যুদ্ধ বুজতে হবে! এই যুগে গুপ্ত হামলা করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাগিরিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একজন গোয়েন্দার সফলতার উপর নির্ভর করে অপারেশনের সফলতা।
আপনি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালান কিংবা কোনো ব্যক্তির উপর -
যে ধরনের হামলাই হোক না কেন তার ৮০% সফলতা নির্ভর করবে গোয়েন্দার উপর।
তার নির্ভুল তথ্য সংগ্রহই হামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
এই গোয়েন্দাগিরিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
. ছয়. যোদ্ধাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক পথপ্রদর্শক খোজা। বিশেষ করে বর্ডার ক্রোস করে হামলা করে নিরাপদে ফেরার জন্য পথ দেখানোর জন্য স্থানীয় লোক দরকার হয়।
কা শ্মী র জি হা দ ব্যর্থতার অন্যতম কারন হলো- নিজস্ব পথপ্রদর্শক ছিলো না।
আর যারা পথ দেখাতো তারা গাদ্দারি করতো।
.. তাই যুদ্ধের স্থানে নিজস্ব লোক তৈরি করা দরকার।
. সাত. যুদ্ধের জন্য আরেকটি দরকারি বস্তু হলো অর্থ
অস্ত্র ক্রয় করা, নিজের খাওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
আপনি যুদ্ধের ময়দানে গিয়া অন্যের অনুগ্রহে থাকবেন তাহলে এই সুযোগটা কম।
কারন নিজের খরচের পর আরেকজনের খরচ বহন করা প্রায় অসম্ভব।
তাই জি হা দের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে রাখা জরুরি।
. এভাবে চিন্তা করলে ইদাদ বা প্রস্তুতিমুলক কাজের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট কাজ নিজের এলাকায় বা বাড়িতে বসেই করতে হবে।
শুধু রাইফেল চালানোর জন্য কোনো প্রশিক্ষক দরকার হতে পারে-
কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটার অজুহাতে বাকি কাজও বন্ধ করে রেখেছে..!
. এভাবে যুদ্ধে যাওয়া যাবে না ব্রো.. যেখানে আছেন সেখান থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করা শুরু করুন..!
✍️ এক মুওয়াহিদ
Comment