Announcement

Collapse
No announcement yet.

যুগে যুগে যাদের দ্বারা দ্বীন কায়েম ও কুফরী শক্তি পরাজিত হয়েছে।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যুগে যুগে যাদের দ্বারা দ্বীন কায়েম ও কুফরী শক্তি পরাজিত হয়েছে।

    যুগে যুগে যাদের দ্বারা দ্বীন কায়েম ও কুফরী শক্তি পরাজিত হয়েছে।

    রাসূল সাঃ যখন পবিত্র মক্কা নগরীতে দিনের পর দিন দাওয়াত দেওয়ার পর যখন ভালো কোন ফলাফল পেলেন না তখন বড় আশা নিয়ে চলে গেলেন তায়েফবাসীকে দাওয়ার দেওয়ার জন্য। কারন তখন তায়েফবাসীর অবস্থান খুব ভালো ছিলো। কিন্তু রাসুল সাঃ যখন তাদের দাওয়াত দিলেন তখন তারা দাওয়াত কবুল না করে উল্টো রাসূল সাঃ কে অনেক কষ্ট দিলেন।চিন্তুা করুন তায়েফবাসীর নিকট স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাঃ গিয়ে দাওয়াত দেওয়ার পরেও তারা কবুল করে নি। অপরদিকে মদীনার লোকগুলো আল্লাহর রাসূল সাঃ এর দাওয়াত কবুল করে নিলেন।তাও রাসূল সাঃ সরাসরি গিয়ে দাওয়াত দেন নি। বরং মুসয়াব বিন ওমায়ের রাঃ গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন। ফলে ঘরে ঘরে দ্বীনের মুজাহিদ তৈরী হয়ে গেলো। তারা আল্লাহর রাসূল সাঃ এর জন্য গোটা পৃথিবীকে তাদের শত্রু বানিয়ে নিলো। এবং এই মদীনা বাসী জিহাদের মাধ্যমে গোটা পৃথিবীতে ইসলাম ছড়িয়ে দিলেন। এবার একটু ভেবে দেখুন মদীনাতে যখন ইসলাম পৌছায় তখন তাদের অবস্থান কি ছিলো? তারা আগ থেকে যুদ্বের মধ্যে লিপ্ত ছিলো। তারা তাদের উত্তরসুরী দের যুদ্বের জন্য ওসীয়ত করে মারা যেত।তারা তেমন শিক্ষিতও ছিলেন না। বদর যুদ্বে অনেক বন্ধীদের শিক্ষা দেওয়ার বিনিময়ে মুক্তি পেয়ে ছিলো। কিন্তু ইসলাম এসে মদীনাবাসীর এ যুদ্বের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।যে যুদ্ব তারা নিজেরা নিজেদের ভিতরে করতো সে যুদ্ব তারা নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে না করে গোটা কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে করেছে।আজ অনেকের চিন্তা চেতনা হলো খুুব ভালো শিক্ষিতদের দেখে দেখে দাওয়াত দিলে তাদের দ্বারা দ্বীনের অনেক কাজ হবে। হ্যা তাদের দ্বারা কাজ হবে এটা সত্য। কিন্তু অনেক উচু পরিবারের শিক্ষিত সন্তান ই আছে যারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে পারে না। কষ্ট কাকে বলে তারা জানে না। তারা কখন কষ্ট দেখে নি। বাবা মার থেকে সবসময় আদর পেয়েছে। এরকম দ্বীনদ্বাররা যখন সব কাজ একটু সহজে করতেই পছন্দ করে। ফলে তারা সহজ টা করতে গিয়ে কাজ আরও কঠিন হয়ে যায়।সব সময় শুধু লাভ লোকসানের হিসেব কসে। কোনটা করলে কি হবে এসব নিয়ে ভাবতে থাকে। আর তখন সাধারন দ্বীনদ্বাররা ইমামুদ্দিনের মত কাজ সেরে ফেলে।
    একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যে কিনা ছোট থেকে পরিশ্রম করে নি সে হঠাৎ পরিশ্রম করতে গিয়ে শুধু শরীর শক্ত করতেই তার অনেক সময় লাগে। অপরদিকে একজন ব্যক্তি যে কিনা ছোট থেকে কাজ করতে করতে বড় হয়েছে। যার শারীরিক শক্তি প্রচুর। যে গাছে উঠতে পারে। নদীতে সাতার কাটতে পারে। অন্ধকার রজনীতে নির্ভয়ে চলতে পারে। সেতো ওই নরম বডি ওয়ালা ব্যক্তির মত নয়। যারা ছোট থেকে কাজ করতে করতে বড় হয়েছে দেহও শক্তি শালী এদের মাথায় তেমন ইলম থাকে না। ফলে তাদেরকে নতুন করে যে জ্ঞান ই দেওয়া হয় তারা বিনা যুক্তিতে মেনে নেয় এবং এরাই পারে কুফরের ইমামদের হত্যা করতে। আর এরা যখন শিক্ষিত মানুষদের সংস্পর্শে আসে তখন এদের শক্তি ও সাহসের কারনে শিক্ষিতরাও সাহসী ও শক্তিশালী হয়ে উঠে। আর শিক্ষতদের জ্ঞানের কারনে এরাও আস্তে আস্তে জ্ঞানী হয়ে উঠে। সহজ কথায় একজনের গুন গুলো আরেক জনের ভিতরে ঢুকে পড়ে।
    তাতারীরা যখন মুসলিমদের উপর প্রবল ভাবে ঝাপিয়ে পড়ে তখন বাগদাদে জ্ঞানীলোকের অভাব ছিলো না। বরং তখন জ্ঞানী লোক অনেক বেশি ছিলো। যুদ্ব নীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি সবই তারা জানতো। কিন্তু তাতারীরা সব জ্ঞানীকে হত্যা করে। অপরদিকে মামুলুক রা ছিলো ক্রীতদাস। যারা দাস হিসেবে বিক্রি হয়ে মিশরে এসেছে এবং এরা প্রচুর কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে। ফলে এরাই তাতারীদের উপর প্রথম আক্রমন করেছে এবং তাদের অহংকার ও গর্বকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছে। এরপরে যারা তাতারীদের উপর আক্রমন করেছে তারাও ছিলো প্রবল কষ্টসহিষ্ণু। অর্থাৎ উসমানীয়দের প্রথমদিকে যারা ছিলো তারা ছিলো শক্তিশালী যুদ্বা ও কর্মঠ। এরপরে ইতিহাস পড়ে দেখুন স্পেন যারা বিজয় করেছে তারা কারা? তারাও হলো এক বর্বর জাতি ছিলো। যারা তারিক বিন যিয়াদের নেতৃত্বে স্পেন জয় করেছিলো। যারা ছিলো দুর্দান্ত সাহসী ও শক্তিশালী।
    এবার তাকিয়ে দেখুন নিকট অতীতের দিকে। আফগানীরা আগ থেকে প্রচুর কষ্টসহিষ্ণু ও শক্তিশালী মুমিন। যারা ছিলো সহজ সরল। দুনিয়াবী শিক্ষা কম। কিন্তু অন্তরটা আল্লাহর ভালোবাসায় ভরপুর। নিজের উপর আঘার করলে চুপ থাকে। কিন্তু দ্বীন ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বললেই তার আর রেহাই নাই।
    এরকম ইমানদ্বাররাই প্রথমে রাশিয়ান বিরুদ্ধে জিহাদ করে হাসিমুখে শহিদ হয়ে বিশ্বকে যখন তারা দেখিয়েছে যে,তারা সত্যিকারের জিহাদ করে। তাদের কারামত যখন বিশ্বের সামনে প্রকাশিত হলো তখন আরব মিশর, এশিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্ঞানী রা আসে তাদের জ্ঞান দিয়ে সাহায্য করতে লাগলো। অথচ তারা যখন যুদ্ব শুরু করেছে তখন তেমন কোন জ্ঞানী ছিলো না তাদের মাঝে। আলেমও কম ছিলো। কিন্তু পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন ঃ


    یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَنۡصُرُوا اللّٰہَ یَنۡصُرۡکُمۡ وَ یُثَبِّتۡ اَقۡدَامَکُمۡ ﴿۷﴾

    অনুবাদঃ
    হে মুমিনগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে আল্লাহও তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা সুদৃঢ় করে দেবেন।সূরা ৪৭. মুহাম্মাদ
    আয়াত নং ৭

    যখন আস্তে আস্তে দ্বীনি আলেম ও দুনিয়াবী জ্ঞানী রা এসে তাদের টেকনোলজি দিয়ে সাহায্য শুরু হলো তখন আফগানের মুজাহিদরাও আস্তে আস্তে জ্ঞানী হয়ে গেলো। আর আফগানীদের সাহস ও শক্তির স্পর্শে আরবের রাজপুত্ররাও হয়ে উঠে চরম সাহসী, শক্তিশালী ও উদ্যমী।

    আজ অনেকেই শুধু জ্ঞানী দেখে দাওয়াত দেন অথচ দ্বীনের বিজয়ের শুরুটা নিরীহ সহজ সরল মুমিনদের দ্বারাই শুরু হয়। কারন তারা আগ থেকে কষ্ট করতে অভ্যস্ত। শুধু তাদের অন্তরে ইমানের আলো জ্বেলে দিলেই হয়। তাদের শরীরের শক্তির সাথে ইমানের শক্তি যুক্ত হলে পৃথিবীর কেউ তাদের পরাজিত করতে পারে না।এদের কে শুধু কিছু আলেম নেতৃত্ব দিলেই হয়৷ এরা আনুগত্য অবহেলা করে না। আমি বলছি না যে, জ্ঞানী লোকের দরকার নাই বা যোগ্যতা সম্পূর্ন লোকের দরকার নাই। কিন্তু এটা সত্য যে দ্বীনের শুরুতে সহজ সরল লোকেরাই থাকে। এদের দ্বারা শুরু হয়। এদের দ্বারাই জ্ঞানীরা শারীরিক শক্তীশালী ও সাহসী এবং কর্মঠ হয়ে উঠে।মার্কিনীদের বুকের উপর নাইন ইলেভেনের হামলা যারা করেছে তারা অবশ্যই অনেক জ্ঞানী ও বিছক্ষন। কিন্তু এরকম জ্ঞানীরা ও বিচক্ষণরা হলো এমনিই এমনিই তৈরী হয় নি। বরং এরা আফগান সহজ সরল ইমানদ্বারদের কষ্টের ফসল। তারাই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে দেখিয়েছে যে,মুসলিম রা কখন পরাজিত নয়। তারা ইখলাসের সাথে নিয়ত করলে আল্লাহ তাদের দ্বারা অসম্ভব কে সম্ভব করে দেন।

    তাই এদের কখনই অবহেলা করা উচিত নয়। মায়াজ ও মুওয়াজ রাঃ এর মত কিশোর সাহাবীরা যদি আবু জাহেলকে হত্যা করতে পারে তাহলে আমরা কেন বর্তমান যুগের মায়াজ আর মুওয়াজদের অবহেলা করবো?
    জায়গাভেদে এমন লোকদের সংখ্যা বেশি থাকে। আর যারা ছোট থেকে কাজ কার্মের মধ্যে বড় হয়েছে তাদের আরেকটা ভালো দিক হলো এদের গুনাহের পরিমান কম থাকে। কারন তারা গুনাহ করার সুযোগ থাকে না তেমন। কিন্তু যারা অলসতা বা নানা ভোগবিলাসের মাঝে বড় হয় এরা নানা ধরনের গুনাহে লিপ্ত থাকে। বলা যায যে এরা বড় হয়ই গুনাহের মধ্য দিয়ে। তাই এদের অন্তরের অবস্থা ও খুব খারাপ থাকে।

  • #2
    প্রিয় মুহাতারাম আঁখি ,,
    পোষ্ট লিখা অথবা পাঠানোর সময়

    টেক্সট গুলোর লাইনগুলো
    একবারে একসাথে না লিখে

    এক লাইন ফাঁকা রেখে লিখলে লেখাগুলো সুন্দর দেখায়

    আর ইনশা-আল্লাহ,, সম্মানিত
    পাঠক ভাইয়েরা সাচ্ছন্দের সহিত ইনশা-আল্লাহ
    সুন্দর ভাবে পড়তে পারবে
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

    Comment

    Working...
    X