Announcement

Collapse
No announcement yet.

যে সকল ভাইরা কিতাল বাদ দিয়ে দ্বীনকায়েম করতে চান তাদের জন্য বদর যুদ্ব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যে সকল ভাইরা কিতাল বাদ দিয়ে দ্বীনকায়েম করতে চান তাদের জন্য বদর যুদ্ব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।

    মহান আল্লাহ কওমে লূতকে একজন ফেরেশতা দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। গোটা জাতিকে মাটি থেকে উপরে তুলে উল্টো করে ছেড়ে দিলেন। অথচ বদর যুদ্বে আল্লাহ পাঁচ হাজার ফেরেশতা পাঠলেন। একজন ফেরেশতা দিয়েই গোটা কাফেরদের ধ্বংস করে দিতে পারতেন। কিন্তু মহান আল্লাহ মুসলিমদে জানিয়ে দিলেন যে,জিহাদে আল্লাহ এত বেশি সাহায্য করেন যে, যেখানে ফেরেশতা একজন দিয়ে সব শেষ করে দেওয়া যেত সেখানে আল্লাহ পাঁচ হাজার ফেরেশতা দিলেন৷ এক হাদিসে বলা হয়েছেঃআবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ্‌র দায়িত্বে: আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদকারী, এমন মুকাতাব দাস (মালিককে নিজের মূল্য পরিশোধ করে স্বাধীন হতে ইচ্ছুক) যে পরিশোধ করতে ইচ্ছুক এবং এমন বিবাহকারী যে চরিত্র রক্ষা করতে ইচ্ছুক।"( তিরমিজি) [আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
    মহান আল্লাহ সকল ভালো কাজেই সাহায্য করেন, কোন নেক কাজ আল্লাহর সাহায্য ছাড়া করা সম্ভব নয়।কিন্তু এরপরেও মহান আল্লাহ এই তিন কাজের কথা বিশেষভাবে বলার দ্বারা বুঝা যায় আল্লাহ এ তিন ক্ষেত্রে খুব বেশি সাহায্য করেন। আর কত বেশি করেন? যেখানে একজন ফেরেশতাই যথেষ্ট ছিলো সেখানে ৫০০০ দিয়ে মহান আল্লাহ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিলেন যে,যেখানে এক গুন সাহায্য দরকার সেখানে আল্লাহ পাচ হাজার গুন সাহায্য করেছেন।

    তবে এ সাহায্য কখন করেছেন? যখন সাহাবীরা যুদ্বের প্রস্তুতি নিয়ে জিহাদের রনাঙ্গনে গেছেন তখন করেছেন, ইতিপূর্বে মুসলিমদের উপর বহু আঘাত এসেছিলো, কিন্তু তখনও আল্লাহ এভাবে হাজার হাজার ফেরেশতা দিয়ে সাহায্য করেন নি।
    এর দ্বারা বুঝা যায়, মিছিল মিঠিং যতই করা হোন, যতক্ষন না ময়দানে নামবে ততক্ষন পর্যন্ত এমন সাহায্য পাওয়া যাবে না।

    দ্বীতিয় আরেকটি বিষয় হলো একজন ফেরেশতাই ১০০০০ কাফেরকে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু সেখানে পাঁচ হাজার ফেরেশতা ও মুসলিম মুজাহিদরা মিলে একহাজারের মধ্যে মাত্র ৭০ জন কাফেরকে হত্যা করলেন। কেন এমনটা হলো?
    আসলে মহান আল্লাহ বিশ্ববাসী কে জানিয়ে দিলেন যে,সব কাফের মুশরিককে হত্যা করাই জিহাদের আসল উদ্দেশ্য নয়।
    বরং সমাজের এমন কিছু মানুষ থাকে যারা কখনই ইমান আনে না এবং অন্যকে বাঁধা সৃষ্টি করে। আর এরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন সাধারণ মানুষ দলে দলে ইমান আনতে পারবে না।

    এরাই সমাজের মানুষকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাড়াতে বাধ্য করে। বদর যুদ্বে বহু কাফির মুসলিমদের সাথে যুদ্ব করতে চায় নি।কিন্তু আবু জাহেলের কারনেই সবাই বাধ্য হয়েছে ।

    সুতরাং ইসলাম ও মুসলিমদের প্রধান বাঁধাই হলো এই কুফরের নেতারা। এদের যতদিন হত্যা করা না হবে ততদিন মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করতে পারবে না। এদের সাথে এক ছাদের নিচে বসে, পাশাপাশি বসে দ্বীন কায়েম করার স্বপ্ন দেখা সম্পূর্ন ভুল। মহান আল্লাহ বলেনঃ
    فَقَاتِلُوۡۤا اَئِمَّۃَ الۡکُفۡرِ
    তাহলে অবিশ্বাসীদের নেতৃবর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর।( সুরা তাওবা১২)
    এ আয়াতে মহান আল্লাহই বলে দিলেন কাদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে।তবুও কি আমরা কুফরের নেতাদের সাথে যুদ্ব না করে, তাদের হত্যা না করে তাদের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দ্বীন কায়েমের স্বপ্ন দেখবো?


  • #2
    وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللَّهُ أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُونَهُ فَلا يَسْتَجِيبُ لَكُمْ

    “যার হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ করে বলছি, তোমরা অবশ্যই ভালোকাজে মানুষদেরকে নির্দেশ প্রদান করবে এবং অবশ্যই অন্যায় থেকে মানুষদেরকে নিষেধ করবে। যদি তা না কর তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর তাঁর পক্ষ থেকে শাস্তি প্রেরণ করবেন। এরপর তোমরা তাঁর নিকট প্রার্থনা করলেও তিনি তা কবুল করবেন না।”
    [1أوحى الله إلى ملك من الملائكة أن اقلب مدينة كذا وكذا على أهلها، قال: فقال: يا رب إن فيها عبدا لم يعصك طرفة عين، قال: اقلبها عليه وعليهم، فإن وجهه لم يتمعر في ساعة قط।
    আল্লাহ্ তা’আলা ফেরেশতাদের মধ্য থেকে এক ফেরেশতার নিকট অহী করেন যে, অমুক অমুক শহরকে তুমি তার অধিবাসীদের উপরে উল্টিয়ে দাও। তিনি (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন তখন সে বললঃ হে আমার প্রতিপালক! সেখানে তো এক বান্দা রয়েছে যে এক পলকের জন্যও তোমার নাফারমানী করেনি। তখন আল্লাহ্ বললেনঃ তুমি শহরটিকে তার এবং তাদের উপর উল্টিয়ে দাও। কারণ তার চেহারা আমার জন্য এক মুহুর্তের জন্যও পরিবর্তিত হয়নি।
    عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: «يَغزُو جَيْشٌ الكَعْبَةَ فإذا كانوا بِبَيْدَاءَ من الأرضِ يُخْسَفُ بأَوَّلِهِم وَآخِرِهِم قالت: قلتُ: يا رسول الله، كيف يخسف بأولهم وآخرهم وفيهم أَسْوَاقُهُم وَمَنْ ليس منهم؟! قال: «يخسف بأولهم وآخرهم ثم يُبْعَثُونَ على نِيَّاتِهِم»
    আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “একটি বাহিনী কা‘বা ঘরের উপর আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে বের হবে। অতঃপর যখন তারা সমতল মরুপ্রান্তরে (বাইদা) পৌঁছবে তখন তাদের প্রথম থেকে শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত সকলকে যমীনে ধসিয়ে দেওয়া হবে। তিনি (আয়েশা) বলেন যে, আমি (এ কথা শুনে) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কেমন করে তাদের প্রথম থেকে শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত সকলকে ধসিয়ে দেওয়া হবে? অথচ তাদের মধ্যে তাদের বাজারের ব্যবসায়ী এবং এমন লোক থাকবে, যারা তাদের (আক্রমণকারীদের) অন্তর্ভুক্ত নয়। তিনি বললেন, তাদের প্রথম থেকে শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত সকলকে ধসিয়ে দেওয়া হবে। তারপর তাদেরকে তাদের নিয়ত অনুযায়ী পুনরুত্থিত করা হবে।”
    আল্লাহর আজাব আসলে গড়েপাতালে সবার উপর আসে তাই জিহাদ করে আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষা পাই তাই ভালো।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 06-23-2022, 04:26 PM.
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      مَا شَاءَ اللّٰهُ
      খুব সুন্দর আলোচনা
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ

        Comment

        Working...
        X