আমরা সকলেই অবগত আছি যে, সম্প্রতি গত ২৮ জুন মঙ্গলবার ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে জাহান্নামের কীট মালউন ‘কানহাইয়া লাল’ নামক এক গোস্তাখে রাসূল (সঃ) কে দু'জন মরদে মুজাহিদ ভাই দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেন আলহামদুলিল্লাহ।
এই যুগান্তকারী অপারেশনে রয়েছে আমাদের জন্য বহু শিক্ষা! তন্মধ্যে হতে এখানে আমরা কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
وما توفيقي إلا بالله
পুরো ঘটনাটি'কে আমরা দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ! (এক) শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে। (দুই) কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে।
এক. শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা বিবেচনা করি তাহলে -শাতিমে রাসূলের বিধান সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কম-বেশি জানা আছে আলহামদুলিল্লাহ, তাই এই পয়েন্টটি বেশি দীর্ঘায়িত করা কাম্য মনে করছিনা -তাছাড়া এবিষয়ে ফোরামে পর্যাপ্ত পরিমাণ লেখাও আছে বটে আলহামদুলিল্লাহ, -তারপরও স্বরণ করিয়ে দেয়ার জন্য সামান্য ইঙ্গিত দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।
রাসূল (সঃ) এর যুগ হতে নিয়ে আজ পর্যন্ত প্রত্যেক যুগের সকল আইম্মায়ে উম্মাহ এব্যাপারে একমত যে, শাতিমুর-রাসূলকে হত্যা করা উম্মাহর উপর ফরজ দায়িত্ব -তবে পুরো উম্মাহর পক্ষ থেকে এই দায়িত্ব পালন করবে ইসলামি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ -কিন্তু যদি ইসলামি রাষ্ট্র না থাকে তাহলে উম্মাহ নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার লক্ষ্যে নিজ হাতেই আইন তুলে নিবে এবং শাতিমের উচিত পাওনা মিটিয়ে দিবে অন্যথায় (রাসূলের ইজ্জত হেফাজত করতে না পারায়) সকলেই গুনাহগার হবে! আর এটাই সর্ব যুগের উলামায়ে হক্কানী রাব্বানীদের চুড়ান্ত ফাতওয়া।
অতএব আমরা সম্প্রতি দেখলাম যে, সেই শরয়ী ফাতওয়ার আলোকেই আমাদের দু'জন ভাই ভারতের মালউন নরাধম'কে জাহান্নামের গহ্বরে পাঠিয়ে আমাদের সকলের পক্ষ থেকে ফারিজা আদায় করেছেন আলহামদুলিল্লাহ -যদিও আমাদের উপর থেকে এই ফারিজা পুরোপুরি ভাবে খতম হয়ে যায়নি কারণ, অনেক শাতিমে রাসূল আজো ভূখণ্ডে নির্দ্বিধায় বিচরণ করছে!
(আল্লাহ পাক ভাইদের'কে পুরো উম্মাহর পক্ষ হতে জাযায়ে খায়ের দান করুন, আমিন!)
অতএব উম্মাহর দুই সিংহ এই নরপশু মালউন'কে হত্যার মাধ্যমে আমাদের পুরো উম্মাহ'কে যেনো এই মেসেজই দিলেন যে, আমরা দু'জন হয়ত (শাতিম'কে হত্যার মাধ্যমে ) একটি ফারিজা আদায় করে মহান রবের দরবারে চলে যাবো -কিন্তু তোমরা বাকি ফারিজাগুলো আদায়ের ব্যাপারে যত্নবান হবে, যেসব গোস্তাখে রাসূল কুলাঙ্গার আজো পৃথিবীর বুকে বিচরণ করছে অথবা ভবিষ্যতে যেকোনো সময় গজিয়ে উঠবে তোমরা তাদের উচিত পাওনা মিটিয়ে দিয়ে পুরো উম্মাহর পক্ষ হতে এই মুবারক ফারিজা আদায় করবে ইনশাআল্লাহ! সাথে সাথে মুহতারাম দুই ভাই আমাদের'কে এই বার্তাও দিয়ে গেলেন যে, আমরা কোন নিন্দুকের নিন্দার পরওয়া করিনি অতএব তোমরাও ভবিষ্যতে কোন নিন্দুকের নিন্দার পরওয়া করবেনা এবং কোন দরবারী উলামায়ে-সূ এর ঘৃন্য ফাতওয়ায় বিচলিত ও বিভ্রান্ত হবেনা -বরং তোমাদের জন্য যুগের উলামায়ে হক্ব সহ পূর্ববর্তী আসলাফ ও তাদের দেয়া কুরআন-সুন্নাহর সহীহ ব্যাখ্যাই যথেষ্ট, অন্য দিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।
দুই. তারপর কৌশলগত দিক থেকে যদি আমরা বিবেচনা করি তাহলে আমরা উপলব্ধি করতে পারবো যে, আমাদের এই দুই মরদে মুজাহিদ -যথাপযুক্ত ব্যাক্তিকে, যথাযথ সময়ে এবং যথার্থ পন্থায় হত্যা করেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
এই দুই নং আলোচনা'কে আমরা ৩টি পয়েন্টে বিভক্ত করবো ইনশাআল্লাহঃ
(ক) যথাপযুক্ত ব্যাক্তিঃ কৌশলগত দিক থেকে শত্রুদের (কাফির-মুরতাদদের) কোন শ্রেণি বৈশ্বিক গেরীলা মুজাহিদদের হত্যার সর্বাগ্রে উপযোগী? শহিদে মিল্লাত শায়েখ উসামা (রহঃ) এর (দীর্ঘ সময়ের ময়দানী অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ প্রাণপ্রিয়) তানজিম কায়েদাতুল জিহাদ এর দৃষ্টিভঙ্গিতে কুফ্ফার সম্প্রদায়ের মধ্য হতে ঐসব কুফ্ফার মুজাহিদদের হত্যার অধিক উপযোগী ও অগ্রগামী -যাদের কুফর ও রিদ্দাহ (পুরো উম্মাহর সামনে) সুস্পষ্ট, ঐসব লোক নয় যাদের কুফর বেশি -কিন্তু স্পষ্ট নয়!
সেই দৃষ্টিতে আমাদের মরদে মুজাহিদ ভাইগণ (উম্মাহর সামনে সুস্পষ্ট জঘন্য কুফরে লিপ্ত) এই নরাধম'কে হত্যার মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন!
(খ) যথাযথ সময়ঃ সম্প্রতি আরেক জাহান্নামের কীট "নূপুর স্বর্মা" কতৃক রাসূলকে কটুক্তির ইস্যুটা চলছিল -যার দরুন মাঠ-ময়দানও ছিল তুমুল উত্তপ্ত-গরম তার শাস্তির দাবিতে, আর নিহত এই মালউন এর প্রসঙ্গটাও নূপুর স্বর্মার সাথে জড়িত কারণ, সে নূপুর স্বর্মার বক্তব্য'কে সমর্থন করে ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়েছিল -যা সুস্পষ্ট রাসূল (সঃ) কে কটুক্তি করার নামান্তর।
গেরিলা সমরবিদের দৃষ্টিতে এসকল ঘটনা ইস্যুকে কেন্দ্র করে অপারেশন চালানোর দ্বারা ব্যাক্তি ও দল (যেই দলের পক্ষ হতে অপারেশন চালানো হয়) পুরো উম্মাহর সামনে প্রশংসনীয় হয় এবং ঐ দলকে জনগণ কতৃক সমার্থনের কারণ হয় -যার নজির সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের দেশে শাতিমে রাসূলদের'কে হত্যার মাধ্যমে এমনকি মাদ্রাসা থেকে শুরু করে কলেজ-ভার্সিটিতে পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ দাওয়াহ ছড়িয়েছে,, লিল্লাহিল হামদ!
নোটঃ এই প্রশংসা ও সমর্থন দুনিয়াবী কোন উদ্দেশ্যে নয় -বরং একমাত্র আল্লাহর জন্যই, কারণ এসব হত্যাকান্ডে তো (নাউজুবিল্লাহ) কারো ব্যাক্তিগত স্বার্থ নেই -বরং তারা যাষ্ট উম্মাহর পক্ষ হতে দায়িত্ব পালন করেছে উম্মাহ-ও তাদেরকে সমর্থন করেছে, তাই এখানে পুরো উম্মাহর (উখরুবী) স্বার্থই জড়িত...!
(গ) যথার্থ পন্থাঃ আমরা ভাইদেরই কতৃক ধারণ কৃত ভিডিওতে দেখলাম যে, তিনারা সাধারণ চাপাতী/তলোয়ারের মাধ্যমে এই গূ-মুত্র খোর পশুটাকে শায়েস্তা করেছেন, আমি অধমের জানা মতে কুফফাররা গুলি/ফায়ার ইত্যাদির চেয়েও জবাই'কে বেশি ভয় পায় (যেই চিত্র ফুটে উঠে আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ এর লিখনি হতে) -যার দরুন এই বরকতময় হত্যাকান্ডটি মালউন মুশরিক ও অন্যান্য শাতিমদের অন্তরে কম্পন সৃষ্টি করবে ইনশাআল্লাহ এবং সাথে সাথে ভাইয়েরা এই বার্তার প্রতিও ইঙ্গিত করে দিলেন যে, তোমাদের মত মালউনদের'কে শায়েস্তা করার জন্য লক্ষ কেটি টাকার ভারী অস্ত্রের প্রয়োজন নেই বরং কয়েকশত টাকার চাক্কুই আমাদের জন্য যথেষ্ট, কারণ আমরা হলাম মোহাম্মদ বিন মাসলামা ও শহিদ ইলমুদ্দীনদের উত্তরসূরী!
তাছাড়া মুহতারাম ভাইয়েরা দিবালোকে প্রকাশ্যে বরকতময় হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছেন -যা মুশরিকদের অন্তরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভয়-ভীতি সঞ্চার করবে ইনশাআল্লাহ -এমনকি পূর্ণ অভিযানটি দুঃসাহসিকতার সহিত ভিডিও ধারণ করেছেন এবং ভিডিওটির শেষের দিকে ঘুমন্ত অন্তরগুলো'কে জাগ্রতকারী কিছু বার্তাও দিয়েছেন যেখানে কুখ্যাত কশাই মুদী'কে পর্যন্ত হুমকি দেয়া হয়েছে -যেই ভিডিওটি মুসলিম উম্মাহর অম্তর'কে প্রশান্ত করবে আর কুফফারদের অন্তরে জালাতন ও ভয়-ভীতি সঞ্চার করবে ইনশাআল্লাহ -যার প্রমাণ আমরা নগদই দেখেতে পেলাম যে, সম্প্রতি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভিডিওটি শেয়ার করতে নিষেধ করা হয়েছে কারণ, এটি নাকি খুব ভয়াবহ লোমহর্ষক হত্যাকান্ড তাই!
বিঃদ্রঃ অভিজ্ঞদের মতে ভিডিও ধারণ ইত্যাদি প্রেক্ষাপট ও স্থান-কাল বুঝে করতে হবে, পরিস্থিতি ভেদে এসব না করাটাই অনেক ক্ষেত্রে মুজাহিদদের জন্য কল্যাণকর! কিন্তু উপরোক্ত ঘটনায় হয়তো কল্যাণকরই ছিল! ওয়াল্লাহু আ'লাম।।
অতএব শরয়ী ও কৌশলগত উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে শাতিমে রাসূলের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে আল্লাহর দুই সিংহ উম্মের ক্ষত-বিক্ষত অন্তরকে শীতল করেছেন এবং আগামী প্রজন্মকে এই সবক দিয়ে গিয়েছেন যে, শাতিমদের অভিভাবকদের নিকট বিচার নিয়ে যাওয়া ও মিছিল-সমাবেশ ইত্যাদি করা স্থায়ী সমাধান নয় বরং সমাধানের পথ একটাই তাহলো;
من سبّ نبيا فاقتلواه
~গোস্তাখে রাসূলদের একটাই সাজা
দেহ থেকে মাথা আলাদা~
অতএব শরয়ী এবং সিয়াসী উভয় দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তোমরা তোমাদের অপারেশন পরিচালনা করবে -তাহলেই আশা করা যায় বিজয় ও নুসরত তোমাদের পদ চুম্বন করবে ইনশাআল্লাহ।।
নোটঃ এখানে ভূল বুঝা-বুঝি কাম্য নয় যে, কারো রিদ্দাহ সুস্পষ্ট না হলে বা তার ব্যাপারে জনগণ উত্তেজিত না হলে তাকে হত্যা করা বৈধ নয় -বিষয়টি এরূপ নয়, কেননা ফুকাহায়ে কেরামের পরিভায় প্রত্যেক হরবী কুফফার সত্বাগতভাবে মুবাহুদ-দম (তথা তাদের মুসলিমদের জন্য রক্ত বৈধ) তাই কেউ কৌশলগত প্রেক্ষাপটের দিকে না তাকিয়ে কোন হত্যাকান্ড পরিচালনা করলে সেটা শরয়ী ভাবে অবৈধ হবেনা -বরং অধিক ফায়দা না হয়ে কম ফায়দা হবে -কিন্তু আমাদের তো প্রয়োজন উম্মাহর অধিক ফায়দা পৌঁছানো -সেজন্য কৌশলগত অবস্থা বিবেচনা করা অপরিহার্য, (যা রাসূল ও সাহাবিদের সীরাত থেকে স্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান) তাছাড়া উম্মাহর বিজয় শুধু কালক্ষেপণই করবে...!
আল্লাহ পাক আমাদের'কে শাতিমে রাসূল হত্যাকারীদের মোবারকময় কাফেলায় শরীক হওয়ার তাওফিক দান করুন এবং এই দুই মরদে মুজাহিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন, আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।।
گستاخ نبی کی ایک ہی سزا🗡️ سر گردن سے جدا
~গোস্তাখে রাসূলদের একটাই সাজা
দেহ থেকে মাথা আলাদা~
এই যুগান্তকারী অপারেশনে রয়েছে আমাদের জন্য বহু শিক্ষা! তন্মধ্যে হতে এখানে আমরা কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
وما توفيقي إلا بالله
পুরো ঘটনাটি'কে আমরা দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ! (এক) শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে। (দুই) কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে।
এক. শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা বিবেচনা করি তাহলে -শাতিমে রাসূলের বিধান সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কম-বেশি জানা আছে আলহামদুলিল্লাহ, তাই এই পয়েন্টটি বেশি দীর্ঘায়িত করা কাম্য মনে করছিনা -তাছাড়া এবিষয়ে ফোরামে পর্যাপ্ত পরিমাণ লেখাও আছে বটে আলহামদুলিল্লাহ, -তারপরও স্বরণ করিয়ে দেয়ার জন্য সামান্য ইঙ্গিত দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।
রাসূল (সঃ) এর যুগ হতে নিয়ে আজ পর্যন্ত প্রত্যেক যুগের সকল আইম্মায়ে উম্মাহ এব্যাপারে একমত যে, শাতিমুর-রাসূলকে হত্যা করা উম্মাহর উপর ফরজ দায়িত্ব -তবে পুরো উম্মাহর পক্ষ থেকে এই দায়িত্ব পালন করবে ইসলামি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ -কিন্তু যদি ইসলামি রাষ্ট্র না থাকে তাহলে উম্মাহ নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার লক্ষ্যে নিজ হাতেই আইন তুলে নিবে এবং শাতিমের উচিত পাওনা মিটিয়ে দিবে অন্যথায় (রাসূলের ইজ্জত হেফাজত করতে না পারায়) সকলেই গুনাহগার হবে! আর এটাই সর্ব যুগের উলামায়ে হক্কানী রাব্বানীদের চুড়ান্ত ফাতওয়া।
অতএব আমরা সম্প্রতি দেখলাম যে, সেই শরয়ী ফাতওয়ার আলোকেই আমাদের দু'জন ভাই ভারতের মালউন নরাধম'কে জাহান্নামের গহ্বরে পাঠিয়ে আমাদের সকলের পক্ষ থেকে ফারিজা আদায় করেছেন আলহামদুলিল্লাহ -যদিও আমাদের উপর থেকে এই ফারিজা পুরোপুরি ভাবে খতম হয়ে যায়নি কারণ, অনেক শাতিমে রাসূল আজো ভূখণ্ডে নির্দ্বিধায় বিচরণ করছে!
(আল্লাহ পাক ভাইদের'কে পুরো উম্মাহর পক্ষ হতে জাযায়ে খায়ের দান করুন, আমিন!)
অতএব উম্মাহর দুই সিংহ এই নরপশু মালউন'কে হত্যার মাধ্যমে আমাদের পুরো উম্মাহ'কে যেনো এই মেসেজই দিলেন যে, আমরা দু'জন হয়ত (শাতিম'কে হত্যার মাধ্যমে ) একটি ফারিজা আদায় করে মহান রবের দরবারে চলে যাবো -কিন্তু তোমরা বাকি ফারিজাগুলো আদায়ের ব্যাপারে যত্নবান হবে, যেসব গোস্তাখে রাসূল কুলাঙ্গার আজো পৃথিবীর বুকে বিচরণ করছে অথবা ভবিষ্যতে যেকোনো সময় গজিয়ে উঠবে তোমরা তাদের উচিত পাওনা মিটিয়ে দিয়ে পুরো উম্মাহর পক্ষ হতে এই মুবারক ফারিজা আদায় করবে ইনশাআল্লাহ! সাথে সাথে মুহতারাম দুই ভাই আমাদের'কে এই বার্তাও দিয়ে গেলেন যে, আমরা কোন নিন্দুকের নিন্দার পরওয়া করিনি অতএব তোমরাও ভবিষ্যতে কোন নিন্দুকের নিন্দার পরওয়া করবেনা এবং কোন দরবারী উলামায়ে-সূ এর ঘৃন্য ফাতওয়ায় বিচলিত ও বিভ্রান্ত হবেনা -বরং তোমাদের জন্য যুগের উলামায়ে হক্ব সহ পূর্ববর্তী আসলাফ ও তাদের দেয়া কুরআন-সুন্নাহর সহীহ ব্যাখ্যাই যথেষ্ট, অন্য দিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।
দুই. তারপর কৌশলগত দিক থেকে যদি আমরা বিবেচনা করি তাহলে আমরা উপলব্ধি করতে পারবো যে, আমাদের এই দুই মরদে মুজাহিদ -যথাপযুক্ত ব্যাক্তিকে, যথাযথ সময়ে এবং যথার্থ পন্থায় হত্যা করেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
এই দুই নং আলোচনা'কে আমরা ৩টি পয়েন্টে বিভক্ত করবো ইনশাআল্লাহঃ
(ক) যথাপযুক্ত ব্যাক্তিঃ কৌশলগত দিক থেকে শত্রুদের (কাফির-মুরতাদদের) কোন শ্রেণি বৈশ্বিক গেরীলা মুজাহিদদের হত্যার সর্বাগ্রে উপযোগী? শহিদে মিল্লাত শায়েখ উসামা (রহঃ) এর (দীর্ঘ সময়ের ময়দানী অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ প্রাণপ্রিয়) তানজিম কায়েদাতুল জিহাদ এর দৃষ্টিভঙ্গিতে কুফ্ফার সম্প্রদায়ের মধ্য হতে ঐসব কুফ্ফার মুজাহিদদের হত্যার অধিক উপযোগী ও অগ্রগামী -যাদের কুফর ও রিদ্দাহ (পুরো উম্মাহর সামনে) সুস্পষ্ট, ঐসব লোক নয় যাদের কুফর বেশি -কিন্তু স্পষ্ট নয়!
সেই দৃষ্টিতে আমাদের মরদে মুজাহিদ ভাইগণ (উম্মাহর সামনে সুস্পষ্ট জঘন্য কুফরে লিপ্ত) এই নরাধম'কে হত্যার মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন!
(খ) যথাযথ সময়ঃ সম্প্রতি আরেক জাহান্নামের কীট "নূপুর স্বর্মা" কতৃক রাসূলকে কটুক্তির ইস্যুটা চলছিল -যার দরুন মাঠ-ময়দানও ছিল তুমুল উত্তপ্ত-গরম তার শাস্তির দাবিতে, আর নিহত এই মালউন এর প্রসঙ্গটাও নূপুর স্বর্মার সাথে জড়িত কারণ, সে নূপুর স্বর্মার বক্তব্য'কে সমর্থন করে ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়েছিল -যা সুস্পষ্ট রাসূল (সঃ) কে কটুক্তি করার নামান্তর।
গেরিলা সমরবিদের দৃষ্টিতে এসকল ঘটনা ইস্যুকে কেন্দ্র করে অপারেশন চালানোর দ্বারা ব্যাক্তি ও দল (যেই দলের পক্ষ হতে অপারেশন চালানো হয়) পুরো উম্মাহর সামনে প্রশংসনীয় হয় এবং ঐ দলকে জনগণ কতৃক সমার্থনের কারণ হয় -যার নজির সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের দেশে শাতিমে রাসূলদের'কে হত্যার মাধ্যমে এমনকি মাদ্রাসা থেকে শুরু করে কলেজ-ভার্সিটিতে পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ দাওয়াহ ছড়িয়েছে,, লিল্লাহিল হামদ!
নোটঃ এই প্রশংসা ও সমর্থন দুনিয়াবী কোন উদ্দেশ্যে নয় -বরং একমাত্র আল্লাহর জন্যই, কারণ এসব হত্যাকান্ডে তো (নাউজুবিল্লাহ) কারো ব্যাক্তিগত স্বার্থ নেই -বরং তারা যাষ্ট উম্মাহর পক্ষ হতে দায়িত্ব পালন করেছে উম্মাহ-ও তাদেরকে সমর্থন করেছে, তাই এখানে পুরো উম্মাহর (উখরুবী) স্বার্থই জড়িত...!
(গ) যথার্থ পন্থাঃ আমরা ভাইদেরই কতৃক ধারণ কৃত ভিডিওতে দেখলাম যে, তিনারা সাধারণ চাপাতী/তলোয়ারের মাধ্যমে এই গূ-মুত্র খোর পশুটাকে শায়েস্তা করেছেন, আমি অধমের জানা মতে কুফফাররা গুলি/ফায়ার ইত্যাদির চেয়েও জবাই'কে বেশি ভয় পায় (যেই চিত্র ফুটে উঠে আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ এর লিখনি হতে) -যার দরুন এই বরকতময় হত্যাকান্ডটি মালউন মুশরিক ও অন্যান্য শাতিমদের অন্তরে কম্পন সৃষ্টি করবে ইনশাআল্লাহ এবং সাথে সাথে ভাইয়েরা এই বার্তার প্রতিও ইঙ্গিত করে দিলেন যে, তোমাদের মত মালউনদের'কে শায়েস্তা করার জন্য লক্ষ কেটি টাকার ভারী অস্ত্রের প্রয়োজন নেই বরং কয়েকশত টাকার চাক্কুই আমাদের জন্য যথেষ্ট, কারণ আমরা হলাম মোহাম্মদ বিন মাসলামা ও শহিদ ইলমুদ্দীনদের উত্তরসূরী!
তাছাড়া মুহতারাম ভাইয়েরা দিবালোকে প্রকাশ্যে বরকতময় হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছেন -যা মুশরিকদের অন্তরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভয়-ভীতি সঞ্চার করবে ইনশাআল্লাহ -এমনকি পূর্ণ অভিযানটি দুঃসাহসিকতার সহিত ভিডিও ধারণ করেছেন এবং ভিডিওটির শেষের দিকে ঘুমন্ত অন্তরগুলো'কে জাগ্রতকারী কিছু বার্তাও দিয়েছেন যেখানে কুখ্যাত কশাই মুদী'কে পর্যন্ত হুমকি দেয়া হয়েছে -যেই ভিডিওটি মুসলিম উম্মাহর অম্তর'কে প্রশান্ত করবে আর কুফফারদের অন্তরে জালাতন ও ভয়-ভীতি সঞ্চার করবে ইনশাআল্লাহ -যার প্রমাণ আমরা নগদই দেখেতে পেলাম যে, সম্প্রতি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভিডিওটি শেয়ার করতে নিষেধ করা হয়েছে কারণ, এটি নাকি খুব ভয়াবহ লোমহর্ষক হত্যাকান্ড তাই!
বিঃদ্রঃ অভিজ্ঞদের মতে ভিডিও ধারণ ইত্যাদি প্রেক্ষাপট ও স্থান-কাল বুঝে করতে হবে, পরিস্থিতি ভেদে এসব না করাটাই অনেক ক্ষেত্রে মুজাহিদদের জন্য কল্যাণকর! কিন্তু উপরোক্ত ঘটনায় হয়তো কল্যাণকরই ছিল! ওয়াল্লাহু আ'লাম।।
অতএব শরয়ী ও কৌশলগত উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে শাতিমে রাসূলের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে আল্লাহর দুই সিংহ উম্মের ক্ষত-বিক্ষত অন্তরকে শীতল করেছেন এবং আগামী প্রজন্মকে এই সবক দিয়ে গিয়েছেন যে, শাতিমদের অভিভাবকদের নিকট বিচার নিয়ে যাওয়া ও মিছিল-সমাবেশ ইত্যাদি করা স্থায়ী সমাধান নয় বরং সমাধানের পথ একটাই তাহলো;
من سبّ نبيا فاقتلواه
~গোস্তাখে রাসূলদের একটাই সাজা
দেহ থেকে মাথা আলাদা~
অতএব শরয়ী এবং সিয়াসী উভয় দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তোমরা তোমাদের অপারেশন পরিচালনা করবে -তাহলেই আশা করা যায় বিজয় ও নুসরত তোমাদের পদ চুম্বন করবে ইনশাআল্লাহ।।
নোটঃ এখানে ভূল বুঝা-বুঝি কাম্য নয় যে, কারো রিদ্দাহ সুস্পষ্ট না হলে বা তার ব্যাপারে জনগণ উত্তেজিত না হলে তাকে হত্যা করা বৈধ নয় -বিষয়টি এরূপ নয়, কেননা ফুকাহায়ে কেরামের পরিভায় প্রত্যেক হরবী কুফফার সত্বাগতভাবে মুবাহুদ-দম (তথা তাদের মুসলিমদের জন্য রক্ত বৈধ) তাই কেউ কৌশলগত প্রেক্ষাপটের দিকে না তাকিয়ে কোন হত্যাকান্ড পরিচালনা করলে সেটা শরয়ী ভাবে অবৈধ হবেনা -বরং অধিক ফায়দা না হয়ে কম ফায়দা হবে -কিন্তু আমাদের তো প্রয়োজন উম্মাহর অধিক ফায়দা পৌঁছানো -সেজন্য কৌশলগত অবস্থা বিবেচনা করা অপরিহার্য, (যা রাসূল ও সাহাবিদের সীরাত থেকে স্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান) তাছাড়া উম্মাহর বিজয় শুধু কালক্ষেপণই করবে...!
আল্লাহ পাক আমাদের'কে শাতিমে রাসূল হত্যাকারীদের মোবারকময় কাফেলায় শরীক হওয়ার তাওফিক দান করুন এবং এই দুই মরদে মুজাহিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন, আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।।
گستاخ نبی کی ایک ہی سزا🗡️ سر گردن سے جدا
~গোস্তাখে রাসূলদের একটাই সাজা
দেহ থেকে মাথা আলাদা~
Comment