___________________________
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ফটো রিলিজ হয়েছে যা দেখাচ্ছে
যে ইন্ডিয়ায় শাতিমে রাসূলের হত্যাকারী দুই ভাইয়ের একজন বি-জে-পির মাইনরিটি সেলে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
একটি ছবিতে ওই ভাইকে দেখা যাচ্ছে যিনি লাইভে মো-দিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
এই জিনিসটা আমার কাছে তাৎপর্যপূর্ন বলে মনে হচ্ছে।
. আমরা যদি "পূর্ববর্তীতে মোদির দলে যোগদানের চেষ্টা"
কিন্তু "পরবর্তীতে শাতিমকে হত্যা এবং মোদিকে হত্যার হুমকি" এই দুইটা ঘটনার সাথে যোগ সূত্র স্থাপন করতে গেলে একটা সমাধান বেরিয়ে আসে।
সেটা হলো:-
🔸 হয়তো এই ভাইটি বিজেপিতে যোগ দেয়ার মাধ্যমে বিজেপির ঊর্ধ্বতন নেতা যেমন মোদী বা যোগিকে হত্যা করার কোনো দীর্ঘমেয়াদি এবং কঠিন কোনো প্ল্যান নিয়ে আগাচ্ছিলেন।
কিন্তু এর মধ্যে শাতিমে রাসূলের ইস্যু এসে যাওয়ায় তারা এটাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং উম্মাহর পক্ষ থেকে সুবিশাল দায়িত্ব আদায় করেছেন।
🔸 . এটা হবার সম্ভাবনা প্রচুর কারণ খিলাফাহ এর পতনের পর মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে বহু মুসলিম যুবক ত্বাগুত বাহিনী ও দ্বীনের দুশমনদের ভিতরে ঢুকে এমন বরকতময় অপারেশন চালিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটা উদাহরণ দিলে স্পষ্ট হবে ইনশাল্লাহ।
.
১. নিদাল হাসান ছিলেন মুসলিমদের প্রধান শত্রু আমেরিকান বাহিনীর একজন দায়িত্বশীল সাইকিয়াট্রিস্ট। ওয়ার অন টেরর এর পুরস্কার তিনি পান। যদিও তিনি ইউএস আর্মির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন কিন্তু আদর্শগতভাবে তিনি জিহাদী আদর্শে উজ্জীবিত ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি আমেরিকার ফ্লোরিডায় ফোর্ট হুডে মার্কিন বাহিনীর অফিসারদের ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করেন ও ৩০ জনকে আহত করেন। মার্কিন মুলুকে এই ঘটনা পুরো আমেরিকাকে কাঁপিয়ে দেয়।
২. মোহাম্মাদ আল শামরানি ছিলেন সৌদি বিমানবাহিনীর ক্যাডেট। আরো অনেকের সাথে আমেরিকায় পাঠানো হয় যুদ্ধবিমান চালনায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে। ২১ বছর বয়স্ক এই পাইলট ন্যাভাস্কলা ন্যাভাল এয়ার স্টেশনে গুলি চালিয়ে ৩ আমেরিকানকে হত্যা ও ৮ জনকে আহত করেন। জানা যায় তিনি আল কায়েদা অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার সদস্য ছিলেন।
৩. মেভলুত মার্ত আলতিন্তাস ছিলেন তুর্কি পুলিশ যিনি রাশান রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে তিনি রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত মারকেজিকে ব্রিফিং চলাকালে হত্যা করেন, শামে রাশিয়ার গণহত্যার বদলাস্বরুপ। এই সরাসরি ভিডিও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। .
৪. খালিদ ইস্তাম্বুলি ছিলেন মিশরীয় সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ব্যাটালিয়নের একজন সদস্য। তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে ১৯৮২ সালে ১৫ এপ্রিল একটি প্যারেডে গাড়ি থামিয়ে গুলি করে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেন। এই ইহুদিবাদী প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ইসরায়েলের সাথে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করে এবং ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়।
৫. টুইন টাওয়ারে হামলা যারা করেন তাদের কয়জন কিন্তু পাইলট প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা দিন তারিখ বেছে নিয়ে প্রস্তুত হন নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার ধ্বংসকারী এই ঘটনা, গাজওয়াতুল ম্যানহাটন এর জন্য।
////// এরকম ভুরি ভুরি আরো বহু উদাহরণ পাওয়া যাবে মুসলিম বিশ্বে।
খিলাফাহ হারিয়ে যাওয়ার পরে মুসলিম যুবকদের এই পদক্ষেপগুলো মুসলিমদের হৃদয়ের ক্ষতে এনেছে সাময়িক উপশম। প্রশান্ত করেছে মুমিনদের হৃদয়কে।
. [সম্প্রতি এই ভাইয়ের বিjপিতে যোগদানের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে শাতিমে রাসূলের হত্যাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে কিছু পরাজিত মানসিকতার লোক।
যদিও তাদের যুক্তিগুলো পাটকাঠির ন্যায়ই ভঙ্গুর।
জেনে রাখবেন শাতিমে রসূলকে হত্যা হলো একদম হাই লেভেলের একটা কাজ। যা মুসলিম উম্মাহর ফারিজা।
এই দায়িত্ব যারা জীবনকে বিসর্জন দিয়ে উম্মাহর পক্ষ থেকে পালন করেছেন, তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর অধিকার আমাদের নেই।
আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিত যে অন্তত একটা শাতিমের উপরে হলেও আমাদের দায়মুক্ত করেছেন
কাজেই বদগুমানী ও খারাপ প্রচারণার মাধ্যমে নিজেদের গুনাহগার না করি। নিন্দুকদের প্রচারণায় কান না দিই]
📝 এক মুওয়াহিদ
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ফটো রিলিজ হয়েছে যা দেখাচ্ছে
যে ইন্ডিয়ায় শাতিমে রাসূলের হত্যাকারী দুই ভাইয়ের একজন বি-জে-পির মাইনরিটি সেলে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
একটি ছবিতে ওই ভাইকে দেখা যাচ্ছে যিনি লাইভে মো-দিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
এই জিনিসটা আমার কাছে তাৎপর্যপূর্ন বলে মনে হচ্ছে।
. আমরা যদি "পূর্ববর্তীতে মোদির দলে যোগদানের চেষ্টা"
কিন্তু "পরবর্তীতে শাতিমকে হত্যা এবং মোদিকে হত্যার হুমকি" এই দুইটা ঘটনার সাথে যোগ সূত্র স্থাপন করতে গেলে একটা সমাধান বেরিয়ে আসে।
সেটা হলো:-
🔸 হয়তো এই ভাইটি বিজেপিতে যোগ দেয়ার মাধ্যমে বিজেপির ঊর্ধ্বতন নেতা যেমন মোদী বা যোগিকে হত্যা করার কোনো দীর্ঘমেয়াদি এবং কঠিন কোনো প্ল্যান নিয়ে আগাচ্ছিলেন।
কিন্তু এর মধ্যে শাতিমে রাসূলের ইস্যু এসে যাওয়ায় তারা এটাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং উম্মাহর পক্ষ থেকে সুবিশাল দায়িত্ব আদায় করেছেন।
🔸 . এটা হবার সম্ভাবনা প্রচুর কারণ খিলাফাহ এর পতনের পর মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে বহু মুসলিম যুবক ত্বাগুত বাহিনী ও দ্বীনের দুশমনদের ভিতরে ঢুকে এমন বরকতময় অপারেশন চালিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটা উদাহরণ দিলে স্পষ্ট হবে ইনশাল্লাহ।
.
১. নিদাল হাসান ছিলেন মুসলিমদের প্রধান শত্রু আমেরিকান বাহিনীর একজন দায়িত্বশীল সাইকিয়াট্রিস্ট। ওয়ার অন টেরর এর পুরস্কার তিনি পান। যদিও তিনি ইউএস আর্মির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন কিন্তু আদর্শগতভাবে তিনি জিহাদী আদর্শে উজ্জীবিত ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি আমেরিকার ফ্লোরিডায় ফোর্ট হুডে মার্কিন বাহিনীর অফিসারদের ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করেন ও ৩০ জনকে আহত করেন। মার্কিন মুলুকে এই ঘটনা পুরো আমেরিকাকে কাঁপিয়ে দেয়।
২. মোহাম্মাদ আল শামরানি ছিলেন সৌদি বিমানবাহিনীর ক্যাডেট। আরো অনেকের সাথে আমেরিকায় পাঠানো হয় যুদ্ধবিমান চালনায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে। ২১ বছর বয়স্ক এই পাইলট ন্যাভাস্কলা ন্যাভাল এয়ার স্টেশনে গুলি চালিয়ে ৩ আমেরিকানকে হত্যা ও ৮ জনকে আহত করেন। জানা যায় তিনি আল কায়েদা অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার সদস্য ছিলেন।
৩. মেভলুত মার্ত আলতিন্তাস ছিলেন তুর্কি পুলিশ যিনি রাশান রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে তিনি রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত মারকেজিকে ব্রিফিং চলাকালে হত্যা করেন, শামে রাশিয়ার গণহত্যার বদলাস্বরুপ। এই সরাসরি ভিডিও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। .
৪. খালিদ ইস্তাম্বুলি ছিলেন মিশরীয় সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ব্যাটালিয়নের একজন সদস্য। তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে ১৯৮২ সালে ১৫ এপ্রিল একটি প্যারেডে গাড়ি থামিয়ে গুলি করে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেন। এই ইহুদিবাদী প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ইসরায়েলের সাথে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করে এবং ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়।
৫. টুইন টাওয়ারে হামলা যারা করেন তাদের কয়জন কিন্তু পাইলট প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা দিন তারিখ বেছে নিয়ে প্রস্তুত হন নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার ধ্বংসকারী এই ঘটনা, গাজওয়াতুল ম্যানহাটন এর জন্য।
////// এরকম ভুরি ভুরি আরো বহু উদাহরণ পাওয়া যাবে মুসলিম বিশ্বে।
খিলাফাহ হারিয়ে যাওয়ার পরে মুসলিম যুবকদের এই পদক্ষেপগুলো মুসলিমদের হৃদয়ের ক্ষতে এনেছে সাময়িক উপশম। প্রশান্ত করেছে মুমিনদের হৃদয়কে।
. [সম্প্রতি এই ভাইয়ের বিjপিতে যোগদানের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে শাতিমে রাসূলের হত্যাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে কিছু পরাজিত মানসিকতার লোক।
যদিও তাদের যুক্তিগুলো পাটকাঠির ন্যায়ই ভঙ্গুর।
জেনে রাখবেন শাতিমে রসূলকে হত্যা হলো একদম হাই লেভেলের একটা কাজ। যা মুসলিম উম্মাহর ফারিজা।
এই দায়িত্ব যারা জীবনকে বিসর্জন দিয়ে উম্মাহর পক্ষ থেকে পালন করেছেন, তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর অধিকার আমাদের নেই।
আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিত যে অন্তত একটা শাতিমের উপরে হলেও আমাদের দায়মুক্ত করেছেন
কাজেই বদগুমানী ও খারাপ প্রচারণার মাধ্যমে নিজেদের গুনাহগার না করি। নিন্দুকদের প্রচারণায় কান না দিই]
📝 এক মুওয়াহিদ
Comment