Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ নিয়ে কিছু প্রশ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ নিয়ে কিছু প্রশ

    আসসালামু আলাইকুম।
    ফিলিস্তিন এ মুসলিম ভাই দের উপর অত্যাচার, কাশ্মীর এ মুসলিম ভাই দের কতল এবং মুসলিম বোন দের সম্ভ্রমহানি, ভারতের মুসলিম দের উপর কষাই মোদির ব্যাপক নির্যাতন, ভারতের মা বোন দের অবাধ ধর্ষণ, সিরিয়ায় মুসলিম দের উপর নির্যাতন, উইঘুর এ নির্যাতন এবং সমস্ত মুসলিম উম্মাহ এর বর্তমান করুণ অবস্থা উপলব্ধি করে একজন মুসলিম যুবক হিসেবে জিহাদ কে আমার উপর ফরজ দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিয়ে আমি বেশ কিছুদিন ধরে জিহাদ এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি!
    প্রথমেই আল্লাহ এর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আমাকে জিহাদ নিয়ে উপলব্ধি এর সুযোগ দিয়েছেন।
    দাওয়াহ সাইট এও আমি সবে মাত্র যুক্ত হয়েছি।
    আমার বর্তমান মানসিক, শারীরিক অবস্থা এমন যে আমাকে যদি এই মুহুর্তেই জিহাদ এর ডাক দেওয়া হয় (ইনশাআল্লাহ) আমি যেতে প্রস্তুত আছি।
    তারই সাথে আমি আমার বাসায় বর্তমান মুসলিম বিশ্ব নিয়ে মা বাবা এর সাথে আলোচনাও করি টুকটাক। গতকাল আমার বাবা ভারতের দার্জিলিং এ যেতে চাইলে আমি প্রথমে কিছু না বললেও কিছুক্ষণ পরে সিদ্ধান্ত নেই যে কোনো তাগুত রাষ্ট্রে আমি যাবো না এবং আমার মা বাবা কে এটা বলি।
    আমার মা এটাকে বেশ সহজভাবেই নিছিলো। তবে আজকে কিছুক্ষণ আগেই, দুপুরের খাওয়া শেষে আমার মা আমাকে ডেকে বললেন যে
    ' দেখো বাবা। তুমি অনেক ইসলাম মানো এইটা ঠিক আছে। তবে ইসলাম এ কিন্তু জিহাদ নিয়ে বেশ কিছু বিষয় আছে। এগুলাতে কখনো যাবা না। নামাজ পড়বা, রোজা রাখবা। এটাই যথেষ্ট।'

    এই কথা শুনে আমার অস্থিরতা প্রকাশ করার মতো না। আমি আমার পুরা জীবন আল্লাহ এর রাস্তায় জিহাদ করে কাটিয়ে দিতে পারবো এবং তাই চাই। কিন্তু আমার প্রথম বাঁধাই হচ্ছে আমার মা!
    সামনে ইনশাআল্লাহ কখনো জিহাদ এর ডাক আসলেও আমার প্রথম বাঁধা হবে আমার মা!

    এরকম অস্থিতিশীল অবস্থায় দাওয়াহ সাইট এ প্রশ্ন না করে পারলাম না!
    আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
    ১. আমার এই চিন্তা ধারা আমি কেমনে আমার বাবা মা এর মধ্যেও সঞ্চালন করতে পারব?
    ২. কখনো জিহাদ এর সুযোগ পেলে যদি আমার পরিবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আমার করণীয় কি?
    Last edited by Ali Ibn Abi Talib; 07-12-2022, 07:47 PM.

  • #2
    সঠিক পথ চিনার তাওফিক যেমন দিয়েছেন, আল্লাহ তাআলা ভাইকে সঠিক পথে অবিচল থাকারও তাওফিক দান করুন। আমীন।

    জিহাদ বুঝে আসার পর প্রাথমিক দিনগুলো একটু নাজুক। এ সময় নিজেকে কন্ট্রোলে রাখা আবশ্যক। নইলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক না। আল্লাহ তাআলা ভাইকে আবেগ ও জযবা নিয়ন্ত্রণের তাওফিক দান করুন। আমীন।

    সব মুজাহিদ ভাইকে মনে রাখতে হবে, আপনি যেদিন থেকে জিহাদ বুঝেছেন, সেদিন থেকে আপনি একটি ঝুঁকিপূর্ণ পথে পা বাড়িয়েছেন। আল্লাহ তাআলা এ পথে পদে পদে আপনাকে সাহায্য করবেন। তবে প্রাথমিক দিনগুলোতে সব কিছু ঠিকঠাকমতো না বুঝে থাকার কারণে কিছুটা ঝামেলা বেঁধে যায়।

    বর্তমান সমাজে জিহাদের পথে সবচে’ বড় বাধা নিজ পরিবার। সব মারাহালা পার হওয়ার পর এ পরিবারের মারহালাটা সামলানো মুশকিল হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে সবর ও হিকমাহ অবলম্বন করতে হবে।

    প্রথমে মনে রাখতে হবে, আল্লাহ ও রাসূলের পর পিতামাতার হক সবচে’ বেশি। কোনো অবস্থাতেই পিতা মাতার সাথে দুর্ব্যবহার বা কটু আচরণ করা যাবে না। পিতা মাতা দুর্ব্যবহার করলেও না। বিষয়টা বলা সহজ, কিন্তু আমলে আনা সহজ না। এক্ষেত্রে অনেকেই নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না। ঝগড়া বাঁধিয়ে বসেন।

    মুহতারাম ভাইয়েরা, আপনার সচেতন মানুষ হওয়ার পরও জিহাদ বুঝেছেন কত বছরের মাথায়? পিতামাতার বিষয়টাও এভাবেই চিন্তা করুন। প্রথম দিনেই কি তারা আপনাকে সঙ্গ দিতে পারবে?

    আল্লাহ তাআলা যেন এ বিষয়টিই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন:
    {كَذَلِكَ كُنْتُمْ مِنْ قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ } [النساء: 94]
    “তোমরাও তো পূর্বে এ রকমই ছিল ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করলেন।” –নিসা: ৯৪

    কাজেই পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করুন। আপনার আচরণ ও খেদমত দিয়ে তাদের মুগ্ধ করুন। আপনি নিজেকে আস্তে আস্তে দ্বীনের উপর উঠান। সাথে সাথে পিতামাতাসহ পরিবারের অন্যদেরকেও উঠাতে চেষ্টা করুন।
    মনে রাখতে হবে, জিহাদ দ্বীনের একটা বিধান। দ্বীনের আরও শত বিধান রয়েছে। সবগুলোই ফরয। সবগুলোই আজ অবহেলিত। সেগুলোও জিন্দা করার প্রয়াস চালান। ক্রমে ক্রমে সহীহ জিহাদের ধারণাটাও অন্তরে বসাতে চেষ্টা করুন। এ ক্রম রক্ষার কাজটা আমরা অনেকেই করতে পারি না। প্রথম দিনেই সব গিলিয়ে দিতে চাই। গিলতে না পারলেই এন্টি বানিয়ে ফেলি। এটি আসলে ফিতরত ও সুন্নাহর খেলাফ ত্বরিকা।


    দ্বিতীয়ত: প্রথমদিকে জিহাদের যে তাসাব্বুর-ধারণাটা আমাদের থাকে: ‘কোথাও হিজরত করতে হবে কিংবা অন্তত সব ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হবে’। জিহাদের এ ধারণার সাথে পরিবার নিশ্চিত আমার বাধা।

    আসলে জিহাদের এ তাসাব্বুর সহীহ না। বর্তমান জিহাদের যে মারহালা চলছে, তাতে হিজরতও করতে হয় না, বাড়িঘরও ছাড়তে হয় না। যথাসম্ভব সব আপন জায়গায় ঠিক রেখেই কাজ করা যায় এবং করতে হয়। হ্যাঁ, হয়তো এক সময় একটা মারহালা আসবে, যখন হিজরত করতে হবে, কিংবা অবস্থান বদলাতে হবে। তখন পরিবার ম্যানেজ করার বিষয়টা ভাবতে হবে। এর আগ পর্যন্ত আপনি স্বাভাবিক কাজ করতে পারবেন। হয়তো একটু এদিক সেদিক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কিছু কথা বলতে হবে। কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে।

    আসলে বর্তমানে জিহাদ মানেই অস্ত্র হাতে নেমে পড়া নয়। এর আগে জিহাদের অনেক কাজ। সেগুলো সম্পন্ন না হলে অস্ত্র ধরার মারহালায় পৌঁছা সম্ভব না। আমাদের দেশে মৌলিকভাবে এখন সে কাজগুলোই চলছে। অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে এ মারহালার কাজের জন্য হিজরত করতে হয় না বা অবস্থান ছাড়তে হয় না।

    যদি আপনি জিহাদের এ বাস্তবতা বুঝতে পারেন, তাহলে পরিবারের বিষয়টা আপনার কাছে খুব একটা জটিল হবে না ইনশাআল্লাহ।
    ***

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আমাদের সকলকে জিহাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
      মুহতারাম ভাইকে এ পথে ইস্তিকামাত দান করুন। আমীন।
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        হে আমার ভাই ! আপনার জন্য আমার হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে দোয়া রইল । আপনার এমন হলতে তথা অবস্থায় আপনার পাশে বসে দু'টি কথা বলে শান্তনা দেওয়ার খুব অফসোস হচ্ছে । কিন্তু পরিস্থিতির জন্য লিখে লিখেই নিজেকে শান্তনা দিতে হচ্ছে । দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের সবাইকে হক্বের উপর একত্রিত করেন । আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন ।

        আমি নিজেও একজন অযোগ্য ব্যক্তি তারপরও ব্যথিত হৃদয়ের দু'এক ফোঁটা অশ্রু মুছে দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় কিছু অগোছানো কথা ...
        আমি একটি দীর্ঘ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একটি আর্টিকেল লিখার চিন্তা-ফিকির করছি । জানিনা সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার তাওফিক হয় কিনা । তো সেই আর্টিকেলে উল্লেখ করবো বলে চিন্তা করছিলাম এমন কিছু চিন্তাই আপনার সমীপে ...


        সমন্বয় করতে পারা অনেক বড় সিফত । সমন্বয় করে করে হাঁটি হাঁটি পায়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া অনেক, অনেক বড় সিফত । অভিযোজন মানে হচ্ছে মানিয়ে নেওয়া । কথার কথা হঠাৎ করে যদি কিং কোবরা আমাকে কামড় দিয়ে বসে তবে আমি তার বিষের সাথে মানিয়ে নিতে পারবো না । অর্থাৎ তার বিষের সাথে অভিযোজিত হতে পারবো না । যার ফলে আমার মৃত্যু হবে । কিন্তু আমি যদি নিয়মিত পর্যায়ক্রমে কম বিষধর সাপ থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে উচ্চ বিষধর সাপের কামড় নিতে থাকি তবে হঠাৎ কোনদিন যদি কিং কোবরা আমাকে কামড় দেয় তবে আমার কিছুই হবে না । কেননা আমি আস্তে আস্তে অভিযোজিত হয়ে গিয়েছি । এই বিষ আমার শরীরে ক্রিয়া করবে না । তো আমরা হঠাৎ করে কোনো নতুন বিষয়ে মানিয়ে নিতে পারি না বরং মানিয়ে নিতে বেশ সময় লাগে । অর্থাৎ ধৈর্যের সাথে সময়ের প্রয়োজন । এটাই স্বাভাবিক ।

        পবিত্র কালামে মাজীদের এক তৃতীয়াংশ জুড়ে কাহিনী রয়েছে । কাহিনীতে আমাদের জন্য শিক্ষা থাকে । তাই চাইলেই ইতিহাস ও কিচ্ছা-কাহিনীকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয় । হ্যাঁ তবে অবশ্যই সমাজে প্রচলিত বানোয়াটসব কিচ্ছা-কাহিনীর শক্ত বিরুধী আমি । একটি কাহিনী বলি - কাহিনীটি একটি ছেলের ও তার পরিবারের । এমনকি এমন কাহিনী সমাজে অহরহ আছে শুধু দৃষ্টিতে আনতে হয় ও অনুভব করতে জানতে হয় । তো যা বলছিলাম, ছেলেটির পরিবার খুব ধর্মভক্ত কিন্তু এমন ধর্মভক্ত ছিল যেটাকে আমার অনেকে সুন্নী বলে জেনে থাকি অর্থাৎ বেদাতপূর্ণ ধর্ম । তারা মাজারে যেত, বাতিল-বেদাতী পীরদের কাছে যেত । তবে আলহামদুলিল্লাহ তারা শিরক করেনি কখনও । এক সময় ছেলেটি এস.এস.সি পরীক্ষার সময় মসজিদে যাওয়া শুরু করল । আল্লাহকে বেশি সন্তুষ্ট করে ভাল রেজাল্ট পাওয়ার লক্ষ্যে তাবলীগের বিভিন্ন কাজে বসতে শুরু করল । না জেনে-শোনেই তাবলীগে বসা । এখানে শুধুই ধর্মানুবেগ । এক সময় তাবলীগের তাশকিলে এস.এস.সি পরীক্ষার পর এক চিল্লার নিয়ত করল । তাবলীগের ভাইদের তাশকিলের সামনে কে না করে থাকতে পারে । মুখ দিয়ে হ্যাঁ বলিয়েই ছাড়লো । এস.এস.সি পরীক্ষা হল, চিল্লায় যাওয়া হল, বাড়িতে আসলো । ঘরের লোকেরা দেখলো তাদের সন্তানের মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন । তাদের ছেলে বেদাতের বিরুধীতা করছে, কথিত পীরের বিরুধীতা করছে, পর্দার কথা বলছে, সলাতের কথা বলছে, খাঁটি ঈমানের কথা বলছে .... ইত্যাদি ইত্যাদি । আলহামদুলিল্লাহ, সেই ছেলেটির পরিবারে আস্তে আস্তে দ্বীন প্রবেশ করতে শুরু করল । আটটি বছর সময় লেগেছে । ও হ্যাঁ আর একটি কথা বলতে তো ভুলেই গিয়েছি স্কুল জীবনে তথাকথিত বানোয়াটসব মুক্তিযুদ্ধের গল্পে তার বেশ আকর্ষণ ছিল । আর এখন হায়াতুস সাহাবা তার প্রিয় কিতাবগুলোর মধ্য থেকে একটি । সীরাতে মুস্তফা যেন তার স্বপ্ন । যাই হউক, কলেজ জীবনেও তাবলীগী কাজ ব্যাপকভাবে করেছে । এক সময় যখন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হল তখন জীহাদের অপরিপূর্ণ দাওয়াত পেলে । নিজ প্রচেষ্টায় পড়োশোনা করে করে খুঁজে পেল আলকায়দাকে । যা একটি পরিপূর্ণ মানহাজ । এই পরিপূর্ণ মানহাজকে খুঁজে পেতে তার আরও সময় লেগেছে পাঁচ বছর । আলহামদুলিল্লাহ এই সময়ের ভিতর তার পরিবারেও বেশ পরিবর্তন এসে গিয়েছে ।

        চিন্তা করুন ভাই .....
        প্রথম ধাপঃ
        এক. মাজার
        দুই. উরশ
        তিন. বেদাত
        চার. তথাকথিত সুন্নী
        পাঁচ. তথাকথিত পীর

        দ্বিতীয় ধাপঃ
        এক. মুক্তিযুদ্ধের আবেগ
        দুই. গণতন্ত্র
        তিন. আওয়ামী প্রেম
        চার. বঙ্গুবন্ধু প্রেম
        পাঁচ. তথাকথিত স্বদেশ প্রেম

        তৃতীয় ধাপঃ
        এক. তথাকথিত দাওয়াত ও তাবলীগ

        চতুর্থ ধাপঃ
        এক. অপরিপূর্ণ জীহাদী দাওয়াত

        পঞ্চম ধাপঃ
        এক. পরিপূর্ণ জীহাদী দাওয়াত

        প্রথম ধাপ -> দ্বিতীয় ধাপ -> তৃতীয় ধাপ -> চতুর্থ ধাপ -> পঞ্চম ধাপ
        হক্বের দেখা একবারে সে পায়নি বরং আস্তে আস্তে, পরিবারে হঠাৎ কোন পরিবর্তন আসেনি বরং আস্তে আস্তে । সময় লেগেছে । পর্যাপ্ত সময় ছাড়া ফলও পাঁকে না । ছেলেটির বয়ষ এখন ত্রিশের উপর । প্রতিটি ধাপেই কি তার আবেগ ছিল না ? কম-বেশি অবশ্যই ছিল কিন্তু প্রতিটি ধাপেই তাকে তার তথাকথিত আবেগকে গলা টিপে হত্যা করতে হয়েছে । আবেগকে দূরে সরানো এত সহজ কাজ নয় , হে আমার ভাই ।


        আপনি কী রব শব্দটির অর্থ জানেন ?
        রব মানে প্রতিপালক । আর প্রতিপালক তাঁকে বলা হয়, যিনি কোনো ব্যক্তির বা বস্তুর মঙ্গলামঙ্গের প্রতি লক্ষ্য রেখে ধীরে ধীরে বা পর্যায়ক্রমে সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নতির চরম পর্যায়ে পৌঁছান ।

        আপনি কী সীরাত তথা রাস্তা শব্দটির আরবী ব্যাখ্যা জানেন ?
        হয়ত আপনি গিলে ফেলবেন অথবা আপনাকে গিলে ফেলা হবে, এটাই হচ্ছে রাস্তা । অর্থাৎ আপনি যদি রাস্তাটিকে চিনেন তবে তো আপনি রাস্তাটিকে গিলে ফেললেন, আর যদি না চিনেন তবে রাস্তা আপনাকে গিলে ফেলবে । আপনি অচেনা রাস্তায় যেকোন সময় হারিয়ে যাবেন, ধোঁকায় পড়ে যাবেন, বিভ্রান্ত হবেন .... আরও কত কি ! সুতরাং রাস্তাকে চিনতে হবে - জানতে হবে । অর্থাৎ ইলম অর্জন করতে হবে ।

        মাওলানা মাস্উদ আযহার রহ. বলেন -
        হে তালিবে ইলম ! তোমরা ইলেমের আঁচল ছেড়োনা । জিহাদের আঁচলও ছেড়োনা তোমাদের ইলম জিহাদের মাধ্যমে পরিপক্ব হবে । আর তোমাদের জিহাদ ইলমের মাধ্যমে মজবুত হবে । যদি ইলমের সাথে জিহাদ না থাকে, তবে সে ইলম সন্নাসীত্বে পরিণত হয়ে যায় । আর যদি জিহাদের সাথে ইলম না থাকে, তবে সে জিহাদ ফাসাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । তাই আলেমের হাতে কলমও থাকতে হবে, তরবারিও থাকতে হবে । তবেই কলম ও তরবারি উভয়ের মান অক্ষুণ্ন থাকবে ।
        আমি মনে করি "ইলম ও জিহাদ" ভাইয়ের নামখানি যথার্থ অর্থই বহন করে চলেছে । বারাকাল্লাহু ফীহী ।

        সমন্বয় করা, সময় নিয়ে হাঁটি হাঁটি পায়ে চলা, ধৈর্য ধারণ করা, চেষ্টা করা, ইলম অর্জন করা .... আর বিশেষভাবে অনুভব করার চেষ্টা করা । নিজে একজন বাবা হিসেবে চিন্তা করে সেই দিক থেকে ও সেই অবস্থান থেকে দেখুন, নিজে একজন মা হিসেবে চিন্তা করে সেই দিক থেকে ও সেই অবস্থান থেকে দেখুন, নিজে একজন বোন হিসেবে চিন্তা করে সেই দিক থেকে ও সেই অবস্থান থেকে দেখুন, নিজে একজন ভাই হিসেবে চিন্তা করে সেই দিক থেকে ও সেই অবস্থান থেকে দেখুন, নিজে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে চিন্তা করে সেই দিক থেকে ও সেই অবস্থান থেকে দেখুন, চিন্তা-ফিকির করুন, সমন্বয় করে ইলমের সাথে এগিয়ে যান .... আর আপনার পথ চলায় আমাদেরকে ভুলবেন না ।

        আপনার পরিবার দ্বীনের সাথে কতটুকু জরিত ? এই বিষয়টি অনুধাবন করে তাদের সাথে কথা বলুন । বয়সে ছোট থাকলেই কেবল মানুষ ছোট হয় না বরং ছোট হওয়ার ভিন্ন দিক রয়েছে, যেমন
        ইলমের দিক থেকে ছোট ।
        বোঝের দিক থেকে ছোট ।
        চিন্তা-ফিকিরের দিক থেকে ছোট ।
        দূরদর্শিতার দিক থেকে ছোট ।
        আমালের দিক থেকে ছোট ।
        সম্মানের দিক থেকে ছোট ।
        চরিত্রের দিক থেকে ছোট ।
        ইত্যাদি ... ইত্যাদি ... এবং ইত্যাদি ।

        হে আল্লাহর সিংহ নামধারনকারী ভাই ! আল্লাহ তাআলা আপনাকে তাঁর সিংহ হিসেবেই কবুল করুন । আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন ।

        আজ এই পর্যন্তই, আলহামদুলিল্লাহ । অন্য কোনদিন আবার কথা হবে ইনশাআল্লাহ । ওয়াস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু.
        হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

        Comment


        • #5
          আপনার কথাগুলোর কিছু পর্যালোচনা ও নাসীহাহ।
          :
          আসসালামু আলাইকুম।
          = ওয়া আলাইকুমুস্ সালা-ম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারকা-তুহু-

          প্রসঙ্গ-১
          ফিলিস্তিন এ মুসলিম ভাই দের উপর অত্যাচার, কাশ্মীর এ মুসলিম ভাই দের কতল এবং মুসলিম বোন দের সম্ভ্রমহানি, ভারতের মুসলিম দের উপর কষাই মোদির ব্যাপক নির্যাতন, ভারতের মা বোন দের অবাধ ধর্ষণ, সিরিয়ায় মুসলিম দের উপর নির্যাতন, উইঘুর এ নির্যাতন এবং সমস্ত মুসলিম উম্মাহ এর বর্তমান করুণ অবস্থা উপলব্ধি করে একজন মুসলিম যুবক হিসেবে জিহাদ কে আমার উপর ফরজ দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিয়ে আমি বেশ কিছুদিন ধরে জিহাদ এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি!
          প্রথমেই আল্লাহ এর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আমাকে জিহাদ নিয়ে উপলব্ধি এর সুযোগ দিয়েছেন।
          দাওয়াহ সাইট এও আমি সবে মাত্র যুক্ত হয়েছি।
          আমার বর্তমান মানসিক, শারীরিক অবস্থা এমন যে আমাকে যদি এই মুহুর্তেই জিহাদ এর ডাক দেওয়া হয় (ইনশাআল্লাহ) আমি যেতে প্রস্তুত আছি।

          = মা-শা-আল্ল-হ আপনি কতইনা চমৎকার মেধার অধিকারী এ সকল পরিস্থিতিতে হক্ব পথটিই বেছে নিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য হক্ব পথটি বুঝতে যেমন সহজ করেছেন, হক্ব পথের প্রতিটি অলিগলিও সঠিক ভাবে বুঝার তাওফিক দান করুন আমিন!

          আলহামদুলিল্লাহ আপনি মানসিক প্রস্তুতি ও সাথে সাথে সারিরিক প্রস্তুতিও নিচ্ছেন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পূর্ণ ক্ববুল করুন আমিন! তবে এখানে কিছু কথা আপনার ভাই হিসেবে আপনাকে জানানো জরুরী মনে করছি।
          ১। নিরাপত্তা বিষয়ক পড়াশোনা করবেন ও তা পূর্ণ 'আমল করবেন। ফোরামে এ ব্যাপারে অনেক লিখনি, অডিও ভিডিও আছে আলহামদুলিল্লাহ। অনলাইন অফলাইন উভয় পথেই নিরাপত্তা ১ম বিষয়, তাই খুব গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখবেন।

          ২। জিহাদ এর এ জামানায়, জিহাদ নিয়ে অনেক পড়াশোনা করতে হবে ভাইজান। জিহাদ ও ক্বিতাল এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। এবং এর পন্থা ও পদ্ধতি গুলোও বুঝতে হবে।

          আপনি বললেন "যদি ডাক দেয়া হয়" এ কথার অর্থ হলো আপনি কোন ব্যাপক আহ্বানের অপেক্ষায় আছেন, আমির সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যায়ন করতে হবে ভাইজান। সাথে সাথে এটা জানিয়ে দেয়া ভালো মনে করছি যে জিহাদের ডাক এসে গেছে। আপনি জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। তবে সেটা অবশ্যই বুঝে শুনে। এখানে আবারও বলছি জিহাদ ও ক্বিতালের পার্থক্য বুঝতে হবে। এবং জিহাদের পদ্ধতি জানতে হবে।

          ৩। আপনি জিহাদ বুঝেছেন আলহামদুলিল্লাহ, এখন কোন একটা সংগঠন এ যুক্ত হয়ে যান, আমি বলছিনা আল-কায়েদাতেই যুক্ত হতে হবে। বাকি, হক্ব জামাআত খুঁজে বের করুন। সারা বিশ্ব নিয়ে ফিকির করুন ও যারা সারাবিশ্ব নিয়ে ফিকির করে তাদের সাথে যুক্ত হোন! তাগুতের বেঁধে দেওয়া কাটাতারে সীমাবদ্ধ হবেননা। আমরা এক্ষেত্রে আলহামদুলিল্লাহ আল-কায়েদাকে সেরা পেয়েছি তাই তাদের সাথে যুক্ত হওয়াকে শ্রেয় মনে করছি। অফলাইনে ও অনলাইনে তাদের সাথে যুক্ত হতে চেষ্টা করুন! লোন ওলফ মেগাজিনটি পড়ুন। লোন ওলফ-১ লোন ওলফ-২ দুইটাই খুব গুরুতর সাথে পড়ুন। আচরণ বিধি বইটি পড়ুন। নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট এর মধ্যে ঢুকে, আক্বিদা অপশনের সব বই মানহাজ অপশনের সব বই পড়ুন। মোট কথা আপনি অনেক পড়াশোনা করতে হবে। এই ফিতনার জামানায় হক্ব পথ চিনতে ও অবিচল থাকতে ইলম এর বিকল্প নেই।



          প্রসঙ্গ-২
          তারই সাথে আমি আমার বাসায় বর্তমান মুসলিম বিশ্ব নিয়ে মা বাবা এর সাথে আলোচনাও করি টুকটাক। গতকাল আমার বাবা ভারতের দার্জিলিং এ যেতে চাইলে আমি প্রথমে কিছু না বললেও কিছুক্ষণ পরে সিদ্ধান্ত নেই যে কোনো তাগুত রাষ্ট্রে আমি যাবো না এবং আমার মা বাবা কে এটা বলি।
          আমার মা এটাকে বেশ সহজভাবেই নিছিলো।

          = আপনি ভারতকে তাগুত রাষ্ট্র মনে করলেন, কেন আপনার দেশটা কি তাগুতী দেশ নয়? দেশভ্রমণে আপনি তাদেরকে বারণ করার আগে ফোরামে এ প্রশ্নটা করতেন?! যাই হোক এটা ঠিক হয়নি৷ ভারতও আমাদের স্বপ্ন, সেখানে যেতে হবে সে রাষ্ট্র চিনতে হবে। সৌদি আরবও তাগুত রাষ্ট্র আপনি কি সেখানে যাবেননা?! ভাই! পুরু বিশ্বই এখন দারুল হারব সুতরাং এ বিষয়েও আরো পড়াশোনা করতে হবে। আমি আপনাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা নাসিহাহ করতে চাই তা হলো "আপনি খারেজীদের মত হয়ে যাবেননা, সব বিষয়ে ইসলামী শরীয়াহকে প্রাধান্য দিবেন, মনে হচ্ছে এমন তাই এমন বলে দিবেন বা করে ফেলবেন এ নীতি পরিবর্তন করুন! নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত সবর করুন! এই ফোরামে প্রশ্ন করুন, পরিচিত হক্ব ওলামায়ে কেরামকে প্রশ্ন করুন! সব মিলিয়ে অস্পষ্ট কোন বিষয়ে আপনি কোন রায় দিবেননা, এতে আপনার জিহাদের বদনাম হবে, ফলে চলার পথের বাঁধাটা নিজেই হয়ে যাবেন। আপনার প্রতি আমার এই নাসীহাহ থাকলো"
          জিহাদ বুঝেছেন এর অর্থ এই নয় যে, দ্বিন আপনি পুরা বুঝেগেছেন, আমি যে লিখছি, দ্বীন সম্পর্কে আমার অজ্ঞতাও অপরিসীম। তাই সকল বিষয়ে জেনেশুনে সীদ্ধান্ত নিবেন। পরিচিত আলিমদের স্মরণাপন্ন হবেন। আমাদের gazwa.net ভিজিট করবেন। ফোরামে প্রশ্ন করবেন। উত্তর পাওয়া পর্যন্ত সবর করবেন। তাহলে আপনি এ পথে অবিচল থাকতে পারবেন, মানসিক প্রশান্তিতে থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য সহজ করুন আমিন!

          প্রসঙ্গ-৩
          তবে আজকে কিছুক্ষণ আগেই, দুপুরের খাওয়া শেষে আমার মা আমাকে ডেকে বললেন যে
          ' দেখো বাবা। তুমি অনেক ইসলাম মানো এইটা ঠিক আছে। তবে ইসলাম এ কিন্তু জিহাদ নিয়ে বেশ কিছু বিষয় আছে। এগুলাতে কখনো যাবা না। নামাজ পড়বা, রোজা রাখবা। এটাই যথেষ্ট।'

          এই কথা শুনে আমার অস্থিরতা প্রকাশ করার মতো না। আমি আমার পুরা জীবন আল্লাহ এর রাস্তায় জিহাদ করে কাটিয়ে দিতে পারবো এবং তাই চাই। কিন্তু আমার প্রথম বাঁধাই হচ্ছে আমার মা!
          সামনে ইনশাআল্লাহ কখনো জিহাদ এর ডাক আসলেও আমার প্রথম বাঁধা হবে আমার মা!

          এরকম অস্থিতিশীল অবস্থায় দাওয়াহ সাইট এ প্রশ্ন না করে পারলাম না!
          আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
          ১. আমার এই চিন্তা ধারা আমি কেমনে আমার বাবা মা এর মধ্যেও সঞ্চালন করতে পারব?

          = ১। ঘরে ইসলাম নিয়ে কথা বলবেন, কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্স জেনে সেটা উল্লেখ করে করে ইসলামের সকল বিষয়ে আলোচনা করবেন। কেবল জিহাদ নিয়েই নয়। ইসলামের প্রতিটি বিষয়েই, চলার পথে যা সামনে আসবে তাই আগে আপনি দলিলভিত্তিক জানবেন, তারপর খুব দরদ নিয়ে নম্রতার সাথে মা-বাবা ও অন্যান্য সদস্যদের সামনে আলোচনা করবেন। জীহাদের বিষয় আসলে সেটাও খুব নম্রতা ও আদবের সাথে দলীল ভিত্তিক আলোচনা করবেন।

          ২। আপনি কৌশলী হোন! মা-বাবাকে এটা বইলেননা যে আপনি ঘরসংসার ছেড়ে চলে যাবেন। বরং বলুন সবাই একসাথে দ্বীনের পথে অবিচল থাকবেন। আর যতদিন মা-বাবার সঙ্গে আছেন তাদের খেদমত ও দায় দায়িত্ব পূর্ণ পালন করুন! কামাই রোজগার করুন। পাশাপাশি জিহাদের কাজ করুন! শুধুই জিহাদ নিয়ে পরে থাকলে হবেনা সব ফরজই আঞ্জাম দিতে হবে। তখন আপনার পরিবার আপনার প্রতি আস্বস্ত হবে ইনশাআল্লাহ।

          ৩। আবশ্যিক ভাবে আপনার ঘরে আপনি তালিমের ব্যাবস্থা চালু করুন!
          এখানে আপনি চালাক হতে হবে
          সীরাতের বই দিয়ে শুরু করুন! সীরাতে মুস্তফা ইদ্রিস কান্দলভী রহিমাহুল্লাহ এর কয়েকখন্ডের একটা বই আছে, কিনে আনুন! হেকায়াতে সাহাবা কিনে আনুন! ডেলিই কয়েকপৃষ্ঠা সবাইকে নিয়ে পড়ুন! মাঝে মাঝে ফোরামের কোন আর্টিকেল যা পরিবারের শুনা জরুরি সেগুলো শুনান। কেউ না বসলেও আপনি পড়ে যাবেনই। ঘুমানোর আগমুহূর্তে এটা করা গেলে বেশী ভালো হবে, সুযোগ না হলে দিনের যে কোন সময় এটা করুন।

          ৪। আপনি আমলি হোন! কোন ফরজ ছুটে যাওয়া এটাত অসম্ভব বা অকল্পনীয় বিষয় কোন নফলও যেন ছুটে না যায়। জামাতের সাথে ফরজ নামাজ গুলো আদায় করুন সুন্নাত ও নফল গুলো ঘরে আদায় করুন।

          ৫। দু'আ এ মনোযোগী হোন। তাহাজ্জুদ এ দু'আ করুন, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আজকার গুলো শেষ করে খাস ভাবে নিজে জন্য ও পরিবারের জন্য, সাথে সাথে মুজাহিদিন ও উম্মাহর জন্য দু'আ করুন।

          ৬। সবর করুন!



          প্রসঙ্গ -৪
          ২. কখনো জিহাদ এর সুযোগ পেলে যদি আমার পরিবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আমার করণীয় কি?
          = এটা আসলে আসার কথা নয়। বাকি আসতেও পারে... ঐ মারহালার কয়েকটা সুরত হতে পারে
          যেমন : আপনি কোন তানজিম এর সাথে যুক্ত হলেন তখন উনারা আপনাকে কোন কাজে নিয়ে গেলেন তখন আপনি বাড়িতে বিষয়টি গোপন রাখবেন ও তাওরিয়া দিয়ে কথা বলবেন। এখানে আরো অনেক কথা আছে, যখন ঐসব মারহালায় যাবেন তখন ফোরামে বা ফাতওয়া সাইটে জিগ্যেস করে নিবেন। আর ইনশাআল্লাহ তখন ঐ বিষয়গুলো বুঝারও ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

          আপাতত আপনি যদি কোন তানজিমের সাথে যুক্ত না থাকেন তাহলে আমাদের এই ফোরামের একক মাশওয়ারায় আপনি জিহাদ করতে ইচ্ছুক এ বিষয়ে পোস্ট করবেন, ইনশাআল্লাহ মডারেটর সাহেবগন আপনাকে কাজ দিবেন আপনার দক্ষতা হিসেবে। তো এ কাজ গুলো আপনি সব ঠিক রেখেই করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

          অগোছালো অনেক গুলো কথা বললাম, ভুল হলে মাফ করে দিবেন। উপকৃত হলে এ সব কৃতিত্ব আল্লাহ তায়ালার, এ অধমকে আপনার নেক দু'আয় শামিল রাখবেন। ওয়াস্ সালা-মু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারকা-তুহু-।
          Last edited by Munshi Abdur Rahman; 07-17-2022, 04:08 PM.
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment


          • #6
            জিহাদ নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করুন। মুজাহিদ উমারাদের লিখনি বেশি বেশি মুতলাআ করুন। আল কায়িদার আকিদা ও মানহায এবং আচরণবিধি ভালো করে কয়েকবার পড়ুন।
            আল্লাহর কাছে কায়মনো বাক্যে দুআ করুন। আল্লাহ আপনার জন্য সহজ করে দিবেন। ইনশাআল্লাহ
            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

            Comment


            • #7
              يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا إِنَّ مِن أَزوٰجِكُم وَأَولٰدِكُم عَدُوًّا لَكُم فَاحذَروهُم ۚ وَإِن تَعفوا وَتَصفَحوا وَتَغفِروا فَإِنَّ اللَّهَ غَفورٌ رَحيمٌ
              [14] হে মুমিনগণ, তোমাদের কোন কোন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের দুশমন। অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক। যদি মার্জনা কর, উপেক্ষা কর, এবং ক্ষমা কর, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়।وَاعلَموا أَنَّما أَموٰلُكُم وَأَولٰدُكُم فِتنَةٌ وَأَنَّ اللَّهَ عِندَهُ أَجرٌ عَظيمٌ
              [28] আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব।
              পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

              Comment

              Working...
              X