নফসের জিহাদ বড় জিহাদ: শায়খ ও ‘বেশিবুঝে’ যুবকের কথোপকথন
শায়খ: (ইসলাহি মজলিসে) শোনো! নফসের জিহাদ বড় জিহাদ। নফসের সাথে মুজাহাদা কর। তাহলেই তুমি বড় মুজাহিদ। মানুষের কলবের উপর মেহনত করে আল্লাহমুখী করার চেষ্টা কর। অস্ত্রের বলে কলব জয় করা যায় না।
‘বেশিবুঝে’ যুবক: শায়খ, এখানে আমার একটা প্রশ্ন।
শায়খ: তোমার আবার কি প্রশ্ন! বল।
‘বেশিবুঝে’ যুবক: শায়খ, কিতাবে পড়েছি, জিহাদ হচ্ছে ধ্বংসলীলা আর হত্যাযজ্ঞের নাম। এজন্যই এটি হাসান লিগাইরিহি। পক্ষান্তরে আপনি বলছেন, নফসের সাথে মুজাহাদা করার নাম জিহাদ। যদি তাই হয়, তাহলে তো জিহাদ হাসান লিআইনিহি হওয়ার কথা। যেমন রোযার মাধ্যমে নফস দমন হয়। এজন্য রোযা হাসান লিআইনিহি। তাহলে কি শায়খ কিতাবে ভুল লেখা আছে?
শায়খ: দেখো, এতো বেশি বুঝতে যেয়ো না। কিতাবের সব কথার মর্ম কি তুমি বুঝতে পারবে? যা বলেছি মেনে নাও। ‘আব তাকলিদ কর লো, ফের তাহকিক হু জায়ে গা’।
‘বেশিবুঝে’ যুবক: শায়খ, আরেকটা প্রশ্ন ছিল।
শায়খ: (অনেকটা বিরক্ত হয়ে) আবার কি প্রশ্ন! তোমরা সব সময় বেশিই বুঝ। বল দেখি।
‘বেশিবুঝে’ যুবক: শায়খ, কিতাবে লেখা আছে: মহিলা, গোলাম এবং লেংড়া, পঙ্গু, অন্ধ- এমন ধরনের অক্ষম ব্যক্তিদের উপর জিহাদ ফরয নয়। আপনি বলছেন, নাফসের সাথে মুজাহাদা করার নাম জিহাদ। তাহলে কি মহিলাদের উপর, গোলামদের উপর এবং অক্ষমদের উপর নাফসের মুজাহাদা ফরয নয়? তাদের কি আত্মশুদ্ধির দরকার নেই? কিন্তু আপনি তো প্রায়ই বলেন, আত্মশুদ্ধি সবার জরুরী। শায়খ, বিষয়টা মিলাতে পারছি না।
শায়খ: তুমি উঠে যাও। তুমি আমার মজলিসে আর এসো না। তোমরা এতো বেশি বুঝ তাহলে আমাদের কাছে আসার দরকার কি। যাও তুমি উঠে যাও। আর এসো না।
‘বেশিবুঝে’ যুবক: (লজ্জিত ও দুঃখিত হয়ে) জী শায়খ। আসসালামু আলাইকুম! (মাথা নিচু করে প্রস্থান)।
***
Comment