Download Links
https://archive.org/details/koto-soto-soto-dol
http://www.mediafire.com/file/pe0fxh...o_dol.pdf/file
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তারই সাহায্য কামনা করি, তার কাছেই ক্ষমা চাই এবং আমরা আমাদের নফসের সকল অনিষ্টতা ও সকল কৃতকর্মের ভুল-ভ্রান্তি থেকে তারই কাছে আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করেন তাকে কেউ গোমরাহ করতে পারে না। আর যাকে আল্লাহ গোমরাহিতে নিক্ষেপ করেন, কেউ তাকে হেদায়েত দান করতে পারে না আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রসূল।
বস্তুবাদে বিশ্বাসীরা সব সময় আধিক্যকে বিজয়ের মূল মন্ত্র মনে করে। যারা সংখ্যায় অনেক, অস্ত্রে বেশী, রণকৌশলে প্রাচুর্যের অবস্থানে এমনকি যারা টেকনোলজিতে এগিয়ে এদেরকে বস্তুবাদে বিশ্বাসীরা বিজয়ী বলে ঘোষণা দেয়, দিয়েছিল, নিকট অতীতেও তারা দিয়েছিল বর্তমানেও তারা এমন আশা ও বাহাদুরিতেই নিমজ্জিত আছে। আর এ বিশ্বাস তাদের থেকে আজ মুসলমানদের মধ্যেও ছড়িয়ে পরেছে। শয়তান চোখে দেখা বিষয়ের সাথে আরো রং যোগ করে তা বিশ্বাস করার জন্য অন্তরে বার বার কুমন্ত্রণা দেয় এবং একই সাথে এ বিশ্বাস জোরদার করার মাধ্যমে সে মুসলিমদেরকে ভয় দেখানোর পাশাপাশি তাদের যতটুকু ঈমান আছে তাও দুর্বল করার চেষ্টায় সদা তৎপর রয়েছে।
অথচ মুত্তাকী বান্দার প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে... (সূরা বাক্বারাহ ২:৩)। বেঈমান ও ঈমানদারদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হচ্ছে বিশ্বাসে পার্থক্য, আর মুমিনের এ বিশ্বাসের প্রথম ধাপ হচ্ছে পরাক্রমশালী আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করা। কিন্তু এটা না দেখে বিশ্বাস হলেও তা মুমিনের বাস্তব জীবনে সুখে দুঃখে বিভিন্ন পর্যায়ে এ না দেখে বিশ্বাস ফলাফলের পর্যালোচনায় বিচক্ষণদের জন্য দেখে বিশ্বাস করার মতই বাস্তব ও প্রমানভিত্তিক সত্য।
একটি কথা না বললেই নয় আজকাল এ আধুনিক যুগেও রাসায়নিক পরীক্ষাগারে এমন অনেক কিছুই আছে যা চোখে না দেখে শুধু পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে বস্তুটি আসলে কি তা সনাক্ত করা হয়। একটা সহজ উদাহরণে বোঝা যাবে ইনশাআল্লাহ, দুটি টেস্ট টিউব এর মধ্যে কোনটিতে অক্সিজেন এবং কোনটিতে কার্বনডাই অর্কিড আছে তা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে? পরীক্ষা শুধু এতটুকুই। বাহ্যিক ভাবে খালি চোখে দেখলে টেস্ট টিউব দুটিকে স্বচ্ছ দেখা যাবে এর জন্য সহজ পরীক্ষা হচ্ছে একটি দিয়াশালায়ের জ্বলন্ত কাঠি একটি টেস্টটিউবের মুখে ধরতে হবে যদি দেখা যায় আগুনের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে তা অক্সিজেন, আর যদি আগুন নিভে যায় তাহলে তা কার্বনডাই অর্কিড। আর সবার জানা আছে অক্সিজেন আগুন জ্বলতে সাহায্য করে আর যেখানে অক্সিজেন নেই শুধু কার্বন ডাই অক্রাইড শেখানে আগুন নিভবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্রাইড, মিথেন বা ইথেন কে ভিন্ন ভিন্ন টেস্টটিউবে যদি খালি চোখে দেখি তাহলে বাইরে থেকে একই রকম স্বচ্ছ দেখা যাবে অর্থাৎ চোখে দেখে নয় পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে এগুলো সনাক্ত করা সম্ভব। এরকম আরো আছে যা শুধু চোখে দেখার মাধ্যমে সম্ভব নয় একমাত্র পরীক্ষা পরবর্তী ফলাফলের উপর নির্ভর করে সনাক্ত করা হয়।
আসলে আমরা ঈমানদাররা মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করি না দেখে, আর এটাই বিশ্বাসের প্রথম স্তর তবে তা না দেখে হলেও প্রমানহীন নয় বরং প্রমাণ ভিত্তিক।
সেই বানী ইসরাইলের যুগে ত্বলুতের সাথে যালুতের বাহিনীর যুদ্ধ হয়েছিল। যালুত ছিল বেঈমান কিন্তু তার সৈন্য সংখ্যা ছিল অনেক এবং শক্তি সামর্থ্য ছিল যথেষ্ট সবল অপরদিকে ত্বলুত ছিল ঈমানদার আর তার বাহিনী ছিল যালুতের বাহিনীর তুলনায় অনেক কম। যার বর্ণনা আছে পবিত্র আল কুরআনের সূরা বাক্বারাহ এর ২৪৯ নম্বর আয়াতে। এর পরও বেঈমানদের সাথে ঈমানদারদের যখন যুদ্ধ শুরু হলো তখন ঈমানদাররা তাদের একমাত্র মালিক পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে ধৈর্য ও সাহায্য চেয়ে যখন যুদ্ধ শুরু করল তাতে বেঈমানরা যুদ্ধে পরাভূত হওয়ার সাথে সাথে তাদের নেতা যালুত নিহত হল। আর ঈমানদাররা তথা ত্বলূতের বাহিনী যুদ্ধে বিজয় লাভ করল সংখ্যায় কম হওয়া সত্যেও। যে ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন ,
كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ*ۗ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ [٢:٢٤٩]
''কত ছোট ছোট দল কত বড় বড় দলকে পরাজিত করেছে আল্লাহ্*র হুকুমে, আর আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন’’।
এরপর আসি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে বদরের যুদ্ধে যখন কাফিদের সংখ্যা ছিল তেরোশত (১০০০) অথচ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবারা ছিলেন তাদের তুলনায় অনেক কম ৩১৩ জন মাত্র। অথচ যুদ্ধ যখন শুরু হল তখন কাফির মুশরিকরা তাদের সংখ্যাধিক্য ও সাজ সরঞ্জামের ব্যাপক বাহাদুরী করা সত্যেও আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানরা এই যুদ্ধে বিশাল বিজয় লাভ করেন এমনকি এই যুদ্ধে কাফিরদের বিশাল বাহিনীর বিপরীতে শুধুমাত্র ১৪ জন সাহাবী (রাঃ) শাহাদাৎ বরণ করেন। এ বিজয় কিভাবে সম্ভব? এ ফলাফল কি বুদ্ধি বিচক্ষণতা সম্পন্ন মানুষকে ভাবতে উৎসাহিত করেনা?
এরকম শুধু একটি নয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ঈমানদারদের সাথে বেঈমানদের যত যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে সকল যুদ্ধেই ঈমানদাররা সংখ্যায় কম থাকা সত্যেও একমাত্র সাহায্যকারী আল্লাহর ইচ্ছায় ঈমানদাররা বিজয় লাভ করেন।
এর পর সাহাবাদের (রাঃ) যুগে বিশেষ করে খোলাফায়ে রাশেদার যুগে ঈমানদারদের সাথে বেঈমানদের যত যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সকল যুদ্ধেই মুসলমানরা সংখ্যায় কম অস্ত্রশস্ত্রে ঘাটতি ও কমতি থাকা সত্যেও ঈমানদাররাই বেঈমানদের উপর বিজয় লাভ করেন। যার স্পষ্ট ফলাফল হচ্ছে হযরত ওমর (রাঃ) খেজুর পাতার চাটায়ে বসে অর্ধবিশ্ব শাসন করেছিলেন।
এর পর আসি তারিক বিন যিয়াদ এর সময়কালে যখন স্পেনে খ্রিষ্টানদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তারিক বিন যিয়াদ স্পেনে প্রথমে সাত হাজার সৈন্য নিয়ে আগমন করেন এবং স্পেনের রাজার এক শক্তিশালী সেনাপতি তাদমীরের সাথে তাদের প্রথম *যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তাদমীরের বাহিনী ছিল সংখ্যায় বেশী, তারা সকলে অশ্বারোহী এবং অস্ত্রশস্ত্র ও লৌহ বর্মে সজ্জিত অপরদিকে মুসলিমরা সকলে ছিল পদাতিক এমনকি অনেকের কাছে তরবারি পর্যন্ত নেই লাঠি নিয়ে এসেছেন যুদ্ধ করার জন্য লৌহ বর্মের তো কল্পনাও করা যায়না। এ যুদ্ধেও মুসলমানরা বিশাল বিজয় লাভ করেন, পরবর্তীকালে অবশ্য মুসলমানদের আরো কিছু সৈন্য এসে তাদের সাথে যোগ দেয় তবুও রাজধানী টলেডো বিজয় করা পর্যন্ত যতবার খ্রিষ্টানদের সাথে যুদ্ধ হয়েছে ততবার মুসলিমরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্যেও বিজয় লাভ করেন। পরাজিত সৈন্যরা বলেছিল কোন বাহিনীর পক্ষে মুসলমানদের বিপরীতে যুদ্ধে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিল এদের পিছনে অদৃশ্য সাহায্য আছে। কিভাবে সংখ্যায় কম অস্ত্রশস্ত্রে কম হওয়া সত্যেও মুসলমানরা বিজয় লাভ করে? অথচ বাহ্যিক দৃষ্টিতে খৃষ্টানরা ছিল অত্যধিক শক্তিশালী। বুদ্ধিমানদের জন্য অবশ্যই এখানে চিন্তা করার অনেককিছু আছে।
এর পর আসি সালাউদ্দিন আইয়ূবীর সময়কালে একেবারে তার জীবনের শেষের দিকে। বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়ের পর সুলতান আইয়ুবীর বিরুদ্ধে খ্রিষ্টানরা জোট-বেধে উঠে পরে লাগে।
জার্মান সম্রাট ফ্রেডারিক দুই লক্ষ সৈন্য নিয়ে আসে *যুদ্ধ করার জন্য তিনি ভেবেছিলেন খ্রিষ্টান জোটের আগে তার বাহিনীই আইয়ুবীকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট অথচ সুলতান আইয়ুবীর সাথে পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধে শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরণ করে এ অবস্থায় তার এক লক্ষ আশি হাজার সৈন্য নিহত ও পলায়নে করে আর ফ্রেড্রারিক শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরন করেন।
এর কয়েকদিন পর ১১৮৯ সালের ৪ অক্টোবর সুলতান আইয়ুবী যখন খ্রিষ্টান জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন আর এ খ্রিষ্টান সামরিক জোটের মধ্যে ছিলেন ফ্রান্সের সম্রাট ফিলিপ আগস্টাস ও ইংল্যান্ডের সম্রাট রিচার্ড আরো বিভিন্ন রাষ্ট্রের খ্রিষ্টান সম্রাটগন এমন কি গে অব লুজিয়ান ও কাউন্ট অব লুজিয়ান ও ছিলেন এছাড়া ছোট ছোট খৃষ্টান সম্রাটরাও আইয়ুবীর বিরুদ্ধে এটাকে চূড়ান্ত যুদ্ধ গণ্য করে তাদের বাহিনী পাঠাতে গুরু করলেন। মোটামুটি হিসেবে সম্মিলিত ক্রসেড বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা দাড়ায় ছয় লক্ষ। বহুদিন যাবৎ যুদ্ধে ব্যাস্ত সময় অতিবাহিত হওয়ায় বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়ের পর এসময় সুলতান আইয়ুবীর অধিকাংশ সৈনিক ছুটিতে ছিলেন মাত্র বিশ হাজার সৈনিক নিয়ে সুলতান আইয়ূবী জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন। এ অসম *যুদ্ধ অনেক দিন যাবৎ চলে অথচ এত বিশাল বাহিনী থাকা সত্যেও ক্রসেড বাহিনী ধীরে ধীরে পরাজয় বরন করে আর বায়তুল মুকাদ্দাস আয়ুবীর দখলেই থাকে।
আজকের দিনেও সত্যের সাথে মিথ্যার লড়াই চলছে তার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত আফগানিস্তান। রাশিয়ান বাহিনী ১৪ বছর যুদ্ধ করে অবশেষে লেজ গুটিয়ে পলায়ন করতে বাধ্য হয়। রাশিয়ান বাহিনীর উন্নত সামরিক শক্তির কথা কে না জানে। তারা স্থল, জল ও আকাশ পথে আফগান মুসলিমদেরকে আক্রমণ করে। মুসলিমরা ঈমান ও ধৈর্যের সাথে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে এভাবে মুসলিমরা দুর্বল অস্ত্রহীন হওয়া সত্যেও আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করেন। এসব ফলাফল বিশ্লেষণ করে কি বোঝা যায় না, বিজয় কার নিয়ন্ত্রণে?....
এর পর আসে আমেরিকা তারা যুদ্ধ শুরুর আগেই অহংকারী ভাষণ দিতে থাকে, তারা নাকি এক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান দখল করে নিবে। অথচ যুদ্ধের ফলাফল সকলেরই জানা আজকে আমেরিকা তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়ে যাচ্ছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে এসে আমেরিকার অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড দুর্বল হয়ে গেছে, প্রতি বছর বিভিন্ন খাতে বাজেট কমিয়ে শুধু সামরিক খাতে বাজেট ঠিক রাখছে। গোটা দুনিয়া জেনে গেছে আফগান যুদ্ধে এসে আমেরিকার মত সুপার পাওয়ার কতিপয় দুর্বল, অনুন্নত মুসলিমদের কাছে পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। কোথায় বেঈমানদের অস্ত্রের বাহাদুরি, উন্নত আকাশযানের আর আধুনিক টেকনোলজির বাহাদুরি। তাদের অনেক জেনারেলরা আল্লাহর সাহায্যের বর্ণনা দিয়েছেন যা তারা যুদ্ধের ময়দানে সচক্ষে দেখেছেন।
অবশ্যই এসব ফলাফলে বুদ্ধিমানদের জন্য ভাবনার অনেক কিছু আছে। এসব ফলাফল থেকে মহান আল্লাহকে না দেখেও ‘দেখে বিশ্বাস’ করার মত প্রমাণ আছে। চোখ থাকলেই দেখা যায় না এ জন্য দরকার পর্যাপ্ত আলো, আসুন আল কুরআনের আলোতে এসব ফলাফল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। আর সত্য একবার স্পষ্ট হয়ে গেলে ঈমানদাররা সে বিষয়ে আর কখনো সন্দেহ পোষণ করে না। আর পরকালে তারা অবশ্যই তাদের রবকে দেখতে পাবে।
অতীতে মুসলিমরা সংখ্যায় কম ছিল বর্তমানেও কম, আগামীতেও কম থাকবে তাই বলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। বিপদে আপদে সবথেকে বড় অস্ত্র হচ্ছে ঈমান আর ধৈর্য এ দুটি সম্পদ যদি থাকে তবে আল্লাহর সাহায্য অতীতের মত আবার আসবে আর ঈমানদাররা ছোট দল হওয়া সত্যেও বড় বড় দলের বিপরীতে বিজয় লাভ করবেন, আল্লাহর সাহায্যে। তাই আসুন সময় শেষ হওয়ার আগেই সতর্ক হই।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে বুদ্ধি- বিচক্ষণতা দিয়ে তার নিদর্শনসমূহ অনুধাবন করার তাওফিক দান করুন। আমাদের ঈমান ও ধৈর্য কে বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করুন। আমীন....
হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও প্রার্থনা শ্রবণকারী।
দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর বান্দা ও তার রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি। আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন............
সমস্ত প্রশংসা অংশিদারমুক্ত এক আল্লাহ’র জন্য, আমি সাক্ষ্য *দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন কল্যাণ ও অকল্যাণ দাতা নেই তার কাছেই আমি তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
রচনায়ঃ-হুজাইফা
https://archive.org/details/koto-soto-soto-dol
http://www.mediafire.com/file/pe0fxh...o_dol.pdf/file
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তারই সাহায্য কামনা করি, তার কাছেই ক্ষমা চাই এবং আমরা আমাদের নফসের সকল অনিষ্টতা ও সকল কৃতকর্মের ভুল-ভ্রান্তি থেকে তারই কাছে আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করেন তাকে কেউ গোমরাহ করতে পারে না। আর যাকে আল্লাহ গোমরাহিতে নিক্ষেপ করেন, কেউ তাকে হেদায়েত দান করতে পারে না আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রসূল।
“কত ছোট ছোট দল কত বড় বড় দলকে পরাজিত করেছে আল্লাহর হুকুমে”
বস্তুবাদে বিশ্বাসীরা সব সময় আধিক্যকে বিজয়ের মূল মন্ত্র মনে করে। যারা সংখ্যায় অনেক, অস্ত্রে বেশী, রণকৌশলে প্রাচুর্যের অবস্থানে এমনকি যারা টেকনোলজিতে এগিয়ে এদেরকে বস্তুবাদে বিশ্বাসীরা বিজয়ী বলে ঘোষণা দেয়, দিয়েছিল, নিকট অতীতেও তারা দিয়েছিল বর্তমানেও তারা এমন আশা ও বাহাদুরিতেই নিমজ্জিত আছে। আর এ বিশ্বাস তাদের থেকে আজ মুসলমানদের মধ্যেও ছড়িয়ে পরেছে। শয়তান চোখে দেখা বিষয়ের সাথে আরো রং যোগ করে তা বিশ্বাস করার জন্য অন্তরে বার বার কুমন্ত্রণা দেয় এবং একই সাথে এ বিশ্বাস জোরদার করার মাধ্যমে সে মুসলিমদেরকে ভয় দেখানোর পাশাপাশি তাদের যতটুকু ঈমান আছে তাও দুর্বল করার চেষ্টায় সদা তৎপর রয়েছে।
অথচ মুত্তাকী বান্দার প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে... (সূরা বাক্বারাহ ২:৩)। বেঈমান ও ঈমানদারদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হচ্ছে বিশ্বাসে পার্থক্য, আর মুমিনের এ বিশ্বাসের প্রথম ধাপ হচ্ছে পরাক্রমশালী আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করা। কিন্তু এটা না দেখে বিশ্বাস হলেও তা মুমিনের বাস্তব জীবনে সুখে দুঃখে বিভিন্ন পর্যায়ে এ না দেখে বিশ্বাস ফলাফলের পর্যালোচনায় বিচক্ষণদের জন্য দেখে বিশ্বাস করার মতই বাস্তব ও প্রমানভিত্তিক সত্য।
একটি কথা না বললেই নয় আজকাল এ আধুনিক যুগেও রাসায়নিক পরীক্ষাগারে এমন অনেক কিছুই আছে যা চোখে না দেখে শুধু পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে বস্তুটি আসলে কি তা সনাক্ত করা হয়। একটা সহজ উদাহরণে বোঝা যাবে ইনশাআল্লাহ, দুটি টেস্ট টিউব এর মধ্যে কোনটিতে অক্সিজেন এবং কোনটিতে কার্বনডাই অর্কিড আছে তা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে? পরীক্ষা শুধু এতটুকুই। বাহ্যিক ভাবে খালি চোখে দেখলে টেস্ট টিউব দুটিকে স্বচ্ছ দেখা যাবে এর জন্য সহজ পরীক্ষা হচ্ছে একটি দিয়াশালায়ের জ্বলন্ত কাঠি একটি টেস্টটিউবের মুখে ধরতে হবে যদি দেখা যায় আগুনের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে তা অক্সিজেন, আর যদি আগুন নিভে যায় তাহলে তা কার্বনডাই অর্কিড। আর সবার জানা আছে অক্সিজেন আগুন জ্বলতে সাহায্য করে আর যেখানে অক্সিজেন নেই শুধু কার্বন ডাই অক্রাইড শেখানে আগুন নিভবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্রাইড, মিথেন বা ইথেন কে ভিন্ন ভিন্ন টেস্টটিউবে যদি খালি চোখে দেখি তাহলে বাইরে থেকে একই রকম স্বচ্ছ দেখা যাবে অর্থাৎ চোখে দেখে নয় পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে এগুলো সনাক্ত করা সম্ভব। এরকম আরো আছে যা শুধু চোখে দেখার মাধ্যমে সম্ভব নয় একমাত্র পরীক্ষা পরবর্তী ফলাফলের উপর নির্ভর করে সনাক্ত করা হয়।
আসলে আমরা ঈমানদাররা মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করি না দেখে, আর এটাই বিশ্বাসের প্রথম স্তর তবে তা না দেখে হলেও প্রমানহীন নয় বরং প্রমাণ ভিত্তিক।
সেই বানী ইসরাইলের যুগে ত্বলুতের সাথে যালুতের বাহিনীর যুদ্ধ হয়েছিল। যালুত ছিল বেঈমান কিন্তু তার সৈন্য সংখ্যা ছিল অনেক এবং শক্তি সামর্থ্য ছিল যথেষ্ট সবল অপরদিকে ত্বলুত ছিল ঈমানদার আর তার বাহিনী ছিল যালুতের বাহিনীর তুলনায় অনেক কম। যার বর্ণনা আছে পবিত্র আল কুরআনের সূরা বাক্বারাহ এর ২৪৯ নম্বর আয়াতে। এর পরও বেঈমানদের সাথে ঈমানদারদের যখন যুদ্ধ শুরু হলো তখন ঈমানদাররা তাদের একমাত্র মালিক পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে ধৈর্য ও সাহায্য চেয়ে যখন যুদ্ধ শুরু করল তাতে বেঈমানরা যুদ্ধে পরাভূত হওয়ার সাথে সাথে তাদের নেতা যালুত নিহত হল। আর ঈমানদাররা তথা ত্বলূতের বাহিনী যুদ্ধে বিজয় লাভ করল সংখ্যায় কম হওয়া সত্যেও। যে ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন ,
كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ*ۗ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ [٢:٢٤٩]
''কত ছোট ছোট দল কত বড় বড় দলকে পরাজিত করেছে আল্লাহ্*র হুকুমে, আর আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন’’।
এরপর আসি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে বদরের যুদ্ধে যখন কাফিদের সংখ্যা ছিল তেরোশত (১০০০) অথচ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবারা ছিলেন তাদের তুলনায় অনেক কম ৩১৩ জন মাত্র। অথচ যুদ্ধ যখন শুরু হল তখন কাফির মুশরিকরা তাদের সংখ্যাধিক্য ও সাজ সরঞ্জামের ব্যাপক বাহাদুরী করা সত্যেও আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানরা এই যুদ্ধে বিশাল বিজয় লাভ করেন এমনকি এই যুদ্ধে কাফিরদের বিশাল বাহিনীর বিপরীতে শুধুমাত্র ১৪ জন সাহাবী (রাঃ) শাহাদাৎ বরণ করেন। এ বিজয় কিভাবে সম্ভব? এ ফলাফল কি বুদ্ধি বিচক্ষণতা সম্পন্ন মানুষকে ভাবতে উৎসাহিত করেনা?
এরকম শুধু একটি নয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ঈমানদারদের সাথে বেঈমানদের যত যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে সকল যুদ্ধেই ঈমানদাররা সংখ্যায় কম থাকা সত্যেও একমাত্র সাহায্যকারী আল্লাহর ইচ্ছায় ঈমানদাররা বিজয় লাভ করেন।
এর পর সাহাবাদের (রাঃ) যুগে বিশেষ করে খোলাফায়ে রাশেদার যুগে ঈমানদারদের সাথে বেঈমানদের যত যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সকল যুদ্ধেই মুসলমানরা সংখ্যায় কম অস্ত্রশস্ত্রে ঘাটতি ও কমতি থাকা সত্যেও ঈমানদাররাই বেঈমানদের উপর বিজয় লাভ করেন। যার স্পষ্ট ফলাফল হচ্ছে হযরত ওমর (রাঃ) খেজুর পাতার চাটায়ে বসে অর্ধবিশ্ব শাসন করেছিলেন।
এর পর আসি তারিক বিন যিয়াদ এর সময়কালে যখন স্পেনে খ্রিষ্টানদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তারিক বিন যিয়াদ স্পেনে প্রথমে সাত হাজার সৈন্য নিয়ে আগমন করেন এবং স্পেনের রাজার এক শক্তিশালী সেনাপতি তাদমীরের সাথে তাদের প্রথম *যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তাদমীরের বাহিনী ছিল সংখ্যায় বেশী, তারা সকলে অশ্বারোহী এবং অস্ত্রশস্ত্র ও লৌহ বর্মে সজ্জিত অপরদিকে মুসলিমরা সকলে ছিল পদাতিক এমনকি অনেকের কাছে তরবারি পর্যন্ত নেই লাঠি নিয়ে এসেছেন যুদ্ধ করার জন্য লৌহ বর্মের তো কল্পনাও করা যায়না। এ যুদ্ধেও মুসলমানরা বিশাল বিজয় লাভ করেন, পরবর্তীকালে অবশ্য মুসলমানদের আরো কিছু সৈন্য এসে তাদের সাথে যোগ দেয় তবুও রাজধানী টলেডো বিজয় করা পর্যন্ত যতবার খ্রিষ্টানদের সাথে যুদ্ধ হয়েছে ততবার মুসলিমরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্যেও বিজয় লাভ করেন। পরাজিত সৈন্যরা বলেছিল কোন বাহিনীর পক্ষে মুসলমানদের বিপরীতে যুদ্ধে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিল এদের পিছনে অদৃশ্য সাহায্য আছে। কিভাবে সংখ্যায় কম অস্ত্রশস্ত্রে কম হওয়া সত্যেও মুসলমানরা বিজয় লাভ করে? অথচ বাহ্যিক দৃষ্টিতে খৃষ্টানরা ছিল অত্যধিক শক্তিশালী। বুদ্ধিমানদের জন্য অবশ্যই এখানে চিন্তা করার অনেককিছু আছে।
এর পর আসি সালাউদ্দিন আইয়ূবীর সময়কালে একেবারে তার জীবনের শেষের দিকে। বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়ের পর সুলতান আইয়ুবীর বিরুদ্ধে খ্রিষ্টানরা জোট-বেধে উঠে পরে লাগে।
জার্মান সম্রাট ফ্রেডারিক দুই লক্ষ সৈন্য নিয়ে আসে *যুদ্ধ করার জন্য তিনি ভেবেছিলেন খ্রিষ্টান জোটের আগে তার বাহিনীই আইয়ুবীকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট অথচ সুলতান আইয়ুবীর সাথে পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধে শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরণ করে এ অবস্থায় তার এক লক্ষ আশি হাজার সৈন্য নিহত ও পলায়নে করে আর ফ্রেড্রারিক শোচনীয় ভাবে পরাজয় বরন করেন।
এর কয়েকদিন পর ১১৮৯ সালের ৪ অক্টোবর সুলতান আইয়ুবী যখন খ্রিষ্টান জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন আর এ খ্রিষ্টান সামরিক জোটের মধ্যে ছিলেন ফ্রান্সের সম্রাট ফিলিপ আগস্টাস ও ইংল্যান্ডের সম্রাট রিচার্ড আরো বিভিন্ন রাষ্ট্রের খ্রিষ্টান সম্রাটগন এমন কি গে অব লুজিয়ান ও কাউন্ট অব লুজিয়ান ও ছিলেন এছাড়া ছোট ছোট খৃষ্টান সম্রাটরাও আইয়ুবীর বিরুদ্ধে এটাকে চূড়ান্ত যুদ্ধ গণ্য করে তাদের বাহিনী পাঠাতে গুরু করলেন। মোটামুটি হিসেবে সম্মিলিত ক্রসেড বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা দাড়ায় ছয় লক্ষ। বহুদিন যাবৎ যুদ্ধে ব্যাস্ত সময় অতিবাহিত হওয়ায় বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়ের পর এসময় সুলতান আইয়ুবীর অধিকাংশ সৈনিক ছুটিতে ছিলেন মাত্র বিশ হাজার সৈনিক নিয়ে সুলতান আইয়ূবী জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন। এ অসম *যুদ্ধ অনেক দিন যাবৎ চলে অথচ এত বিশাল বাহিনী থাকা সত্যেও ক্রসেড বাহিনী ধীরে ধীরে পরাজয় বরন করে আর বায়তুল মুকাদ্দাস আয়ুবীর দখলেই থাকে।
আজকের দিনেও সত্যের সাথে মিথ্যার লড়াই চলছে তার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত আফগানিস্তান। রাশিয়ান বাহিনী ১৪ বছর যুদ্ধ করে অবশেষে লেজ গুটিয়ে পলায়ন করতে বাধ্য হয়। রাশিয়ান বাহিনীর উন্নত সামরিক শক্তির কথা কে না জানে। তারা স্থল, জল ও আকাশ পথে আফগান মুসলিমদেরকে আক্রমণ করে। মুসলিমরা ঈমান ও ধৈর্যের সাথে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে এভাবে মুসলিমরা দুর্বল অস্ত্রহীন হওয়া সত্যেও আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করেন। এসব ফলাফল বিশ্লেষণ করে কি বোঝা যায় না, বিজয় কার নিয়ন্ত্রণে?....
এর পর আসে আমেরিকা তারা যুদ্ধ শুরুর আগেই অহংকারী ভাষণ দিতে থাকে, তারা নাকি এক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান দখল করে নিবে। অথচ যুদ্ধের ফলাফল সকলেরই জানা আজকে আমেরিকা তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়ে যাচ্ছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে এসে আমেরিকার অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড দুর্বল হয়ে গেছে, প্রতি বছর বিভিন্ন খাতে বাজেট কমিয়ে শুধু সামরিক খাতে বাজেট ঠিক রাখছে। গোটা দুনিয়া জেনে গেছে আফগান যুদ্ধে এসে আমেরিকার মত সুপার পাওয়ার কতিপয় দুর্বল, অনুন্নত মুসলিমদের কাছে পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। কোথায় বেঈমানদের অস্ত্রের বাহাদুরি, উন্নত আকাশযানের আর আধুনিক টেকনোলজির বাহাদুরি। তাদের অনেক জেনারেলরা আল্লাহর সাহায্যের বর্ণনা দিয়েছেন যা তারা যুদ্ধের ময়দানে সচক্ষে দেখেছেন।
অবশ্যই এসব ফলাফলে বুদ্ধিমানদের জন্য ভাবনার অনেক কিছু আছে। এসব ফলাফল থেকে মহান আল্লাহকে না দেখেও ‘দেখে বিশ্বাস’ করার মত প্রমাণ আছে। চোখ থাকলেই দেখা যায় না এ জন্য দরকার পর্যাপ্ত আলো, আসুন আল কুরআনের আলোতে এসব ফলাফল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। আর সত্য একবার স্পষ্ট হয়ে গেলে ঈমানদাররা সে বিষয়ে আর কখনো সন্দেহ পোষণ করে না। আর পরকালে তারা অবশ্যই তাদের রবকে দেখতে পাবে।
অতীতে মুসলিমরা সংখ্যায় কম ছিল বর্তমানেও কম, আগামীতেও কম থাকবে তাই বলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। বিপদে আপদে সবথেকে বড় অস্ত্র হচ্ছে ঈমান আর ধৈর্য এ দুটি সম্পদ যদি থাকে তবে আল্লাহর সাহায্য অতীতের মত আবার আসবে আর ঈমানদাররা ছোট দল হওয়া সত্যেও বড় বড় দলের বিপরীতে বিজয় লাভ করবেন, আল্লাহর সাহায্যে। তাই আসুন সময় শেষ হওয়ার আগেই সতর্ক হই।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে বুদ্ধি- বিচক্ষণতা দিয়ে তার নিদর্শনসমূহ অনুধাবন করার তাওফিক দান করুন। আমাদের ঈমান ও ধৈর্য কে বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করুন। আমীন....
হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও প্রার্থনা শ্রবণকারী।
দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর বান্দা ও তার রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি। আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন............
সমস্ত প্রশংসা অংশিদারমুক্ত এক আল্লাহ’র জন্য, আমি সাক্ষ্য *দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন কল্যাণ ও অকল্যাণ দাতা নেই তার কাছেই আমি তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
রচনায়ঃ-হুজাইফা
Comment