শহীদ হওয়ার ফজিলত সমূহ
মুল লেখক
মাওলানা মাসুদ আযহার (হাফিঃ)
অনুবাদক
মাওলানা আব্দুল্লাহ হুজাইফী (হাফিঃ)
পরিবেশনায়
খাব্বাব মিডিয়া সেন্টার
শহীদ হওয়ার ফজিলত সমূহ
والذين قتلوافي سبيل الله فلن يضل اعمالهم । যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।)সূরা মুহাম্মাদ-৪)
হযরত মুফাস্সীরে কেরামগ্ণ আয়াতের এই অংশের তাফসীরে শুহাদাকেরামদের কিছু ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
১.এই আয়াতের মাঝে এই বিষয় স্পষ্ট করেছেন যে , জিহাদের মাধ্যমে তোমাদের পরীক্ষা দেওয়ার সাথে সাথে তোমাদের বাম্পার পায়দা হবে। আল্লাহ্র রাস্তাই শহীদ হওয়ার দ্বারা শুধু পরীক্ষাই সতোমাদের বাম্পার পায়দা হবে। আল্লাহ্র রাস্তাই শহীদ হওয়ার দ্বারা শুধু পরীক্ষাই সফল হওয়ার মধ্যে খেন্ত্য থাকবেনা।বরং তাদের আমলের কারণে বড় বড় নিয়ামত সমূহ পাবে।শহিদী মর্যাদা দান করা হবে। (আনোয়ারুল বয়ান)
২.যদি কিছু লোক আল্লাহ্র রাস্তাই শহীদ হয়ে যায় তবে তোমরা এটা মনে করবেনা যে তাদের জিন্দেগী নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বরং বাস্তবে তারা তাদের জিন্দেগীর সফলতার সর্বোচ্ছ চূড়া অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।(মায়ারিফুল কুরআন কান্দেলুওয়াই)
৩.যদি ও তারা কোন গুণা করে তাদের গুনাহের প্রভাব নেক আমলের উপর পড়বেনা বরং তাদের নেক আমল এমন শক্তিশালী হবে যে, তা গুণা সমূহের কাফফারা হিসাবে যথেষ্ট হয়ে যাবে।(মায়ারিফুল কুরআন)
৪.মুজাহিদ্গণ যারা আল্লাহ্র রাস্তাই শহীদ হয়। আল্লাহ তায়ালা তাদের ভাল আমলকে নষ্ট করবেননা। বরং তাদের গুণা সমূহকে নেকি দ্বারা পরিপূর্ণ কড়ে দিবেন।(মাযহারী)
৫.আল্লাহ তায়ালা শুহাদাদের আমলকে নষ্ট করবেননা। বরং আমলকে বড় করবেন। তার মাঝে আরও কিছু যোগ করবেন এবং তা কয়েক গুন বাড়িয়ে দিবেন। শুহাদাদের মধ্যে কিছু শুহাদা ও আছেন যে, কবরের জিবনে ও তাদের আমল জারী থাকে এবং শহীদ হওয়ার পর ও তারা জিহাদ করার সাওয়াব পেতে থাকে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার সাওয়াব বাড়তে থাকে(ইবনে কাসীর)
শুহাদাদের ফজিলত সমূহ এখানে উল্লেখ করা হল
শাহাদাত আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী হওয়ার বড় একটি মাধ্যম ও আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় মাকাম ।
শাহাদাত হল বিশেষ শক্তি ও মজাদার ও এবং উঁচা জিন্দেগীর নাম। যা আল্লাহ তায়ালা কুরআনে পাকে মধ্যে সুন্দর
করে ইরশাদ করেছেন ।
১. শহিদগ্ণ জীবিত (সূরা বাকারা-১৫৪,সূরা আলে ইমরান-১৬৯ নাম্বার আয়াত)
২.শহিদদের কে মৃত বলবে না (সূরা বাকারা-১৫৪ নাম্বার আয়াত)
৩.শহিদদের কে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রিযিক মিলে (সূরা আলে ইমরান-১৬৯ নাম্বার আয়াত)
৪.শহিদদের কে মৃত ধারনা করোনা (সূরা আলে ইমরান-১৬৯ নাম্বার আয়াত)
৫.শহীদের আমল জারি থাকে অর্থাৎ শহিদ হওয়ার পর ও প্রতিদান পায় ও মর্যাদা বাড়তে থাক (সূরা মুহাম্মাদ-৪ নাম্বার আয়াত)
৬.শহীদরা জান্নাতে প্রবেশ হয় (সূরা মুহাম্মাদ-৬ নাম্বার আয়াত)
৭.কবর ও হাশরের প্রতেক্য মাঞ্জিলে শহীদদেরকে পথ প্রদর্শন করা হবে (সূরা মুহাম্মাদ-৫ নাম্বার আয়াত)
৮.শহীদরা আনন্দে থাকে (সূরা আলে ইমরান-১৭০ নাম্বার আয়াত)
৯.শহীদরা তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আনন্দের অপেক্ষা করে থাকে (সূরা আলে ইমরান-১৭০ নাম্বার আয়াত)
১০.শহীদরা আল্লাহ তায়ালার নিকট সঠিক ও সত্য (সূরা আহজাব-২৩ নাম্বার আয়াত)
১১.শহীদরা ওয়াদা করেছে ও তা পুরা করেছে (সূরা আহজাব-২৩ নাম্বার আয়াত)
১২.শহীদের জন্য নূর রয়েছে (সূরা হাদীদ-১৯ নাম্বার আয়াত)
১৩.আল্লাহ তায়ালার শহীদের অবস্থা ভাল করে দিবেন (সূরা মুহাম্মাদ-৫ নাম্বার আয়াত)
১৪.শহীদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা (সূরা আলে ইমরান-১৫৭ নাম্বার আয়াত)
১৫.শহীদের জন্যে রয়েছে রহমত (সূরা আলে ইমরান-১৫৭ নাম্বার আয়াত)
১৬.শহীদের জন্যে আল্লাহ তায়ালার নিকট রয়েছে নেয়ামত সমূহ (সূরা আলে ইমরান-১৭১ নাম্বার আয়াত)
১৭.শহীদের জন্যে আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে দয়া রয়েছে (সূরা আলে ইমরান-১৭১ নাম্বার আয়াত)
১৮.শহীদরা ভয় ও চিন্তা থেকে মুক্ত (সূরা আলে ইমরান-১৭০ নাম্বার আয়াত)
রাসূল সাঃ আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে শহীদের জন্য যে সব ফজিলত ও পুরস্কার রয়েছে তা হাদিসে স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন সে সব হাদিস গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল
১.শহিদ্গণ যে সময় শহীদ হয় তখন এমন ইহসাস ও অনুভূতি হয় যে জান্নাতে যাওয়ার পর দুনিয়ায় ফিরে এসে আরো দশবার শহীদ হতে চাই (বুখারী.মুসলিম.তিরমীযী)
২.শহিদী মৃতূ সমস্ত দুনিয়ার বাদশাহ হওয়ার চেয়ে ও অধিক উত্তম (নাসায়ী.আহমদ)
৩.ফেরেস্তারা রাসূল সাঃ কে সাথে নিয়ে গেলেন এবং শহীদের ঘর দেখালেন। রাসূল সাঃ বলেন আমি এর থেকে উত্তম ও সুন্দর ঘর আগে কখন দেখিনি (বুখারী)
৪.শহীদের উপর ফেরেশতাদের ছায়া থাকে (বুখারী.মুসলিম)
৫.ঋণ ব্যতিত শহীদের সমস্ত গুণা সমূহ কে ক্ষমা করে দেওয়া হয় (মুসলিম)
৬.শহীদের মরণের কোন যন্ত্রনা হয় না শুধু পিঁপড়ার কামড়ের ন্যায় অনূভব হয় (তিরমিযি.নাসায়ী.ইবনে মাযাহ)
৭.শুহাদাদেরর রুহকে পাখীর মধ্যে দেওয়া হয় (তিরমিযী)
৮.শুহাদাগ্ণ তার পরিবারের ৭০জন ব্যক্তির জন্য শুপারিশ করবে (আবু দাউদ,ইবনে হাব্বান)
৯.শুহাদাগ্ণ জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে (ইবনে হাব্বান)
১০.শুহাদাগ্ণকে কবরের আজাব থেকে নিরাপদ ও মুক্ত (বাইহাকী)
১১.শুহাদাদের বিশেষ ধরণের পোশাক পরিধান করানো হয় (বাইহাকী)
১২.শুহাদেরকে বিশেষ ধরণের মুকুট পরিধান করানো হয় যা সর্বদা তার মাথায় থাকবে (বাইহাকী)
১৩.শুহাদাদের জন্য আরশের নিচে নুরের বিশেষ মিম্বার রয়েছে (বাইহাকী)
১৪.শুহাদাগ্ণ বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে (তিবরানী)
১৫.শুহাদাদের সাথে আল্লাহ তায়ালা হাসবেন।যে এই নিয়ামত পাবে তার কোন হিসাব হবেনা (আহমাদ,আবু ইয়াআ’লী)
১৬.শুহাদাদের জন্য জান্নাতের উঁচু উঁচু দালান ও বালাখানা রয়েছে (আহমদ)
১৭.শুহাদাদেরকে ফেরেশতাদের থেকে স্মমান দেওয়া হবে (আল-ইসবাহানী)
১৮.রক্তের প্রথম ফোটা পরতেই শুহাদাদের সকল গুণা ক্ষমা করে দেওয়া হয় (মাসনাদে আহমদ)
১৯.সব থেকে বেশি সু সুন্দরী হুরদের সাথে শুহাদাদের বিবাহ হবে (মাসনাদে আহমদ)
২০.শুহাদাগ্ণ মাটিতে পরার সাথে সাথে জান্নাতে তার অবস্থান তাকে দেখিয়ে দেওয়া হয় (মাস্নাদে আহ্মদ)
২১.শুহাদাদের রক্তের ফোটা আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক প্রিয় (তিরমিযী)
২২.শুহাদাদেরকে স্বাগতম জানানোর জন্য হুরেরা যমিনে অবতরণ করে (তিব্রানী)
২৩.শুহাদাদের উঁচু মর্যাদা কিয়ামতের দিন অন্য লোকেরা তাদের গর্দান সমূহ উঠিয়ে উঠিয়ে দেখবে(তিরমিযী)
২৪.শুহাদাদের জন্য জান্নাতের দরজার নিকটে সমুদ্রের পাড়ে একটি ঘর আছে যেখানে সকাল-সন্ধ্যা তারা বিশেষ ধরণের রিযিক পায় (আহমদ,ইবনে হাব্বান)
২৫.শুহাদাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাওসের উঁচু রয়েছে (বুখারী)
২৬.শুহাদাদের মাথার কাছে তরবারি চমকাইতে থাকে এটাই কবরের ফিতনার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় (নাসাঈ)
২৭.শুহাদাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ভালবাসেন (তিব্রানী)
২৮.শুহাদারা এমন খুশি হয় যে তারা আসা করে বলে হে আল্লাহ আমাদের অবস্থা সংবাদ পরবর্তী সকলদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েন (আবু দাউদ)
২৯.আল্লাহ তায়ালা শুহাদাদের উপর সন্তুষ্ট শুহাদারা ও আল্লাহ তায়ালার উপর সন্তুষ্ট (বুখারী)
৩০.যখন সিংগা ফুক দেওয়া হবে তখন শহীদরা বেহুঁশ হবেনা (মুস্তাদরেকে হাকেম)
আপনাদের নেক দুয়াই আমাদের শরিক রাখবেন।ইনশাআল্লাহ
file dawnload link
https://archive.org/download/20220713_202207/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%20%E0%A6%B9%E 0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AB%E0% A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A4%20%E0%A6%B8%E0%A6 %AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%20%20.docx
মুল লেখক
মাওলানা মাসুদ আযহার (হাফিঃ)
অনুবাদক
মাওলানা আব্দুল্লাহ হুজাইফী (হাফিঃ)
পরিবেশনায়
খাব্বাব মিডিয়া সেন্টার
শহীদ হওয়ার ফজিলত সমূহ
والذين قتلوافي سبيل الله فلن يضل اعمالهم । যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।)সূরা মুহাম্মাদ-৪)
হযরত মুফাস্সীরে কেরামগ্ণ আয়াতের এই অংশের তাফসীরে শুহাদাকেরামদের কিছু ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
১.এই আয়াতের মাঝে এই বিষয় স্পষ্ট করেছেন যে , জিহাদের মাধ্যমে তোমাদের পরীক্ষা দেওয়ার সাথে সাথে তোমাদের বাম্পার পায়দা হবে। আল্লাহ্র রাস্তাই শহীদ হওয়ার দ্বারা শুধু পরীক্ষাই সতোমাদের বাম্পার পায়দা হবে। আল্লাহ্র রাস্তাই শহীদ হওয়ার দ্বারা শুধু পরীক্ষাই সফল হওয়ার মধ্যে খেন্ত্য থাকবেনা।বরং তাদের আমলের কারণে বড় বড় নিয়ামত সমূহ পাবে।শহিদী মর্যাদা দান করা হবে। (আনোয়ারুল বয়ান)
২.যদি কিছু লোক আল্লাহ্র রাস্তাই শহীদ হয়ে যায় তবে তোমরা এটা মনে করবেনা যে তাদের জিন্দেগী নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বরং বাস্তবে তারা তাদের জিন্দেগীর সফলতার সর্বোচ্ছ চূড়া অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।(মায়ারিফুল কুরআন কান্দেলুওয়াই)
৩.যদি ও তারা কোন গুণা করে তাদের গুনাহের প্রভাব নেক আমলের উপর পড়বেনা বরং তাদের নেক আমল এমন শক্তিশালী হবে যে, তা গুণা সমূহের কাফফারা হিসাবে যথেষ্ট হয়ে যাবে।(মায়ারিফুল কুরআন)
৪.মুজাহিদ্গণ যারা আল্লাহ্র রাস্তাই শহীদ হয়। আল্লাহ তায়ালা তাদের ভাল আমলকে নষ্ট করবেননা। বরং তাদের গুণা সমূহকে নেকি দ্বারা পরিপূর্ণ কড়ে দিবেন।(মাযহারী)
শুহাদাদের ফজিলত সমূহ এখানে উল্লেখ করা হল
শাহাদাত আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী হওয়ার বড় একটি মাধ্যম ও আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় মাকাম ।
শাহাদাত হল বিশেষ শক্তি ও মজাদার ও এবং উঁচা জিন্দেগীর নাম। যা আল্লাহ তায়ালা কুরআনে পাকে মধ্যে সুন্দর
করে ইরশাদ করেছেন ।
১. শহিদগ্ণ জীবিত (সূরা বাকারা-১৫৪,সূরা আলে ইমরান-১৬৯ নাম্বার আয়াত)
২.শহিদদের কে মৃত বলবে না (সূরা বাকারা-১৫৪ নাম্বার আয়াত)
৩.শহিদদের কে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রিযিক মিলে (সূরা আলে ইমরান-১৬৯ নাম্বার আয়াত)
৪.শহিদদের কে মৃত ধারনা করোনা (সূরা আলে ইমরান-১৬৯ নাম্বার আয়াত)
৫.শহীদের আমল জারি থাকে অর্থাৎ শহিদ হওয়ার পর ও প্রতিদান পায় ও মর্যাদা বাড়তে থাক (সূরা মুহাম্মাদ-৪ নাম্বার আয়াত)
৬.শহীদরা জান্নাতে প্রবেশ হয় (সূরা মুহাম্মাদ-৬ নাম্বার আয়াত)
৭.কবর ও হাশরের প্রতেক্য মাঞ্জিলে শহীদদেরকে পথ প্রদর্শন করা হবে (সূরা মুহাম্মাদ-৫ নাম্বার আয়াত)
৮.শহীদরা আনন্দে থাকে (সূরা আলে ইমরান-১৭০ নাম্বার আয়াত)
৯.শহীদরা তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আনন্দের অপেক্ষা করে থাকে (সূরা আলে ইমরান-১৭০ নাম্বার আয়াত)
১০.শহীদরা আল্লাহ তায়ালার নিকট সঠিক ও সত্য (সূরা আহজাব-২৩ নাম্বার আয়াত)
১১.শহীদরা ওয়াদা করেছে ও তা পুরা করেছে (সূরা আহজাব-২৩ নাম্বার আয়াত)
১২.শহীদের জন্য নূর রয়েছে (সূরা হাদীদ-১৯ নাম্বার আয়াত)
১৩.আল্লাহ তায়ালার শহীদের অবস্থা ভাল করে দিবেন (সূরা মুহাম্মাদ-৫ নাম্বার আয়াত)
১৪.শহীদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা (সূরা আলে ইমরান-১৫৭ নাম্বার আয়াত)
১৫.শহীদের জন্যে রয়েছে রহমত (সূরা আলে ইমরান-১৫৭ নাম্বার আয়াত)
১৬.শহীদের জন্যে আল্লাহ তায়ালার নিকট রয়েছে নেয়ামত সমূহ (সূরা আলে ইমরান-১৭১ নাম্বার আয়াত)
১৭.শহীদের জন্যে আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে দয়া রয়েছে (সূরা আলে ইমরান-১৭১ নাম্বার আয়াত)
১৮.শহীদরা ভয় ও চিন্তা থেকে মুক্ত (সূরা আলে ইমরান-১৭০ নাম্বার আয়াত)
রাসূল সাঃ আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে শহীদের জন্য যে সব ফজিলত ও পুরস্কার রয়েছে তা হাদিসে স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন সে সব হাদিস গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল
১.শহিদ্গণ যে সময় শহীদ হয় তখন এমন ইহসাস ও অনুভূতি হয় যে জান্নাতে যাওয়ার পর দুনিয়ায় ফিরে এসে আরো দশবার শহীদ হতে চাই (বুখারী.মুসলিম.তিরমীযী)
২.শহিদী মৃতূ সমস্ত দুনিয়ার বাদশাহ হওয়ার চেয়ে ও অধিক উত্তম (নাসায়ী.আহমদ)
৩.ফেরেস্তারা রাসূল সাঃ কে সাথে নিয়ে গেলেন এবং শহীদের ঘর দেখালেন। রাসূল সাঃ বলেন আমি এর থেকে উত্তম ও সুন্দর ঘর আগে কখন দেখিনি (বুখারী)
৪.শহীদের উপর ফেরেশতাদের ছায়া থাকে (বুখারী.মুসলিম)
৫.ঋণ ব্যতিত শহীদের সমস্ত গুণা সমূহ কে ক্ষমা করে দেওয়া হয় (মুসলিম)
৬.শহীদের মরণের কোন যন্ত্রনা হয় না শুধু পিঁপড়ার কামড়ের ন্যায় অনূভব হয় (তিরমিযি.নাসায়ী.ইবনে মাযাহ)
৭.শুহাদাদেরর রুহকে পাখীর মধ্যে দেওয়া হয় (তিরমিযী)
৮.শুহাদাগ্ণ তার পরিবারের ৭০জন ব্যক্তির জন্য শুপারিশ করবে (আবু দাউদ,ইবনে হাব্বান)
৯.শুহাদাগ্ণ জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে (ইবনে হাব্বান)
১০.শুহাদাগ্ণকে কবরের আজাব থেকে নিরাপদ ও মুক্ত (বাইহাকী)
১১.শুহাদাদের বিশেষ ধরণের পোশাক পরিধান করানো হয় (বাইহাকী)
১২.শুহাদেরকে বিশেষ ধরণের মুকুট পরিধান করানো হয় যা সর্বদা তার মাথায় থাকবে (বাইহাকী)
১৩.শুহাদাদের জন্য আরশের নিচে নুরের বিশেষ মিম্বার রয়েছে (বাইহাকী)
১৪.শুহাদাগ্ণ বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে (তিবরানী)
১৫.শুহাদাদের সাথে আল্লাহ তায়ালা হাসবেন।যে এই নিয়ামত পাবে তার কোন হিসাব হবেনা (আহমাদ,আবু ইয়াআ’লী)
১৬.শুহাদাদের জন্য জান্নাতের উঁচু উঁচু দালান ও বালাখানা রয়েছে (আহমদ)
১৭.শুহাদাদেরকে ফেরেশতাদের থেকে স্মমান দেওয়া হবে (আল-ইসবাহানী)
১৮.রক্তের প্রথম ফোটা পরতেই শুহাদাদের সকল গুণা ক্ষমা করে দেওয়া হয় (মাসনাদে আহমদ)
১৯.সব থেকে বেশি সু সুন্দরী হুরদের সাথে শুহাদাদের বিবাহ হবে (মাসনাদে আহমদ)
২০.শুহাদাগ্ণ মাটিতে পরার সাথে সাথে জান্নাতে তার অবস্থান তাকে দেখিয়ে দেওয়া হয় (মাস্নাদে আহ্মদ)
২১.শুহাদাদের রক্তের ফোটা আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক প্রিয় (তিরমিযী)
২২.শুহাদাদেরকে স্বাগতম জানানোর জন্য হুরেরা যমিনে অবতরণ করে (তিব্রানী)
২৩.শুহাদাদের উঁচু মর্যাদা কিয়ামতের দিন অন্য লোকেরা তাদের গর্দান সমূহ উঠিয়ে উঠিয়ে দেখবে(তিরমিযী)
২৪.শুহাদাদের জন্য জান্নাতের দরজার নিকটে সমুদ্রের পাড়ে একটি ঘর আছে যেখানে সকাল-সন্ধ্যা তারা বিশেষ ধরণের রিযিক পায় (আহমদ,ইবনে হাব্বান)
২৫.শুহাদাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাওসের উঁচু রয়েছে (বুখারী)
২৬.শুহাদাদের মাথার কাছে তরবারি চমকাইতে থাকে এটাই কবরের ফিতনার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় (নাসাঈ)
২৭.শুহাদাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ভালবাসেন (তিব্রানী)
২৮.শুহাদারা এমন খুশি হয় যে তারা আসা করে বলে হে আল্লাহ আমাদের অবস্থা সংবাদ পরবর্তী সকলদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েন (আবু দাউদ)
২৯.আল্লাহ তায়ালা শুহাদাদের উপর সন্তুষ্ট শুহাদারা ও আল্লাহ তায়ালার উপর সন্তুষ্ট (বুখারী)
৩০.যখন সিংগা ফুক দেওয়া হবে তখন শহীদরা বেহুঁশ হবেনা (মুস্তাদরেকে হাকেম)
আপনাদের নেক দুয়াই আমাদের শরিক রাখবেন।ইনশাআল্লাহ
https://archive.org/download/20220713_202207/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%20%E0%A6%B9%E 0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AB%E0% A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A4%20%E0%A6%B8%E0%A6 %AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%20%20.docx
Comment