অধম লেখাটির গত পর্বে কথা দিয়েছিলাম যে,
"মুহতারাম হুজুর'কে দেওয়া আমার সংক্ষিপ্ত উত্তরটির উপর -অন্য আরেকটি লেখায় কিছু (সংশয় নিরসন মূলক) বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করবো ইনশাআল্লাহ....
তাই এখন আমরা সেই বিষয়টি নিয়েই সারসংক্ষেপ বিশ্লেষণ মূলক আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।।
হুজুরের উজর/ইল্লতটি ছিল এরকম যে, "জিহাদ কি দিয়ে করবা, কিছু আছে নাকি???! বল! কি আছে...?
আসলে বলতে গেলে এই প্রশ্ন (সংশয়টি) শুধুই আমার মুহতারাম উস্তাদেরই নয় -বরং অসংখ্য অগণিত ওলামা-তালাবার এই একই প্রশ্ন -এমনকি উস্তাযুল আসাতিযাদের-ও, যারা হার হামেশা এই বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছেন যে, "কুফফারদের মুকাবেলায় তো আমরা একেবারে নিঃস্ব আমাদের কিছুই নেই" (তাই ফলাফল বের হলো; আমাদের উপর জিহাদ করা আবশ্যক নয়)
এরকম বহু নামধারী আকাবিররা তো আরো একধাপ এগিয়ে বহু গাইরে মা'কুলী শর্ত-ও জুড়ে দিচ্ছেন! এই লাগবে সেই লাগবে ইত্যাদি ইত্যাদি...
যাইহোক আমরা আজকে পর্যালোচনা করবো যে, আসলে জিহাদের জন্য কতটুকু শক্তি প্রয়োজন ও সেই কাংখিত শক্তি না থাকলে কি করণীয়!?
আমার মুহতারাম উস্তাদের প্রশ্নের উত্তরে আমি বলেছিলাম যে,
"হুজুর! আসলে এটাতো আমরা ভালো বলতে পারবোনা, -বরং যিনারা সমরবিদ রয়েছেন এবং সরাসরি ময়দানে লড়ছেন তারা-ইনা এব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন (আমাদের শক্তি আছে কি নেই বা কতটুকু শক্তির প্রয়োজন)!
হ্যাঁ... এটা আমার নিজস্ব উত্তর নয় -বরং আমাদের প্রাণপ্রিয় মুজাহিদ দায়ী ইলাল্লাহ শহিদ (ইনশাআল্লাহ) ওস্তাদ আহমাদ ফারুক (রহিঃ) এর উত্তর ছিল এটি!
হযরত একবার "সূরায়ে আনফাল" এর দারসে বলেছিলেন (যার সারমর্ম এরূপ ছিল) যে,
"অনেক ওলামা-তালাবা ভাই যারা বাস্তবিক জিহাদের ময়দান থেকে দূরে আছেন -তারা মনে করেন যে, কুফফারদের মুকাবিলা করার জন্য কমপক্ষে তাদের সমান বা কাছাকাছি শক্তির প্রয়োজন! নতুবা তাদের সাথে কুলিয়ে উঠা সম্ভব নয় ইত্যাদি... অথচ বিষয়টি কক্ষনো এরকম নয় -যারা ক্বিতালের ভূমিতে আছেন বা এই মুবারকময় কাজের সাথে জুড়ে আছেন তারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ভালোভাবে জানেন ও বুঝেন এর বাস্তবতা -আসলে কুফফারদের মুকাবেলা করতে আমাদের কতটুকু শক্তির প্রয়োজন"
"আফগান জিহাদে আমরা দেখি যে, কুফফার বাহিনীর (কোটি কোটি টাকার) বিশাল বড় বড় ট্যাংক ও সামরিক বহর গুলোকে মাত্র কয়েকটি প্রেশার কুকারের মাধ্যমে নেস্তনাবুদ করে দেওয়া হচ্ছে! সামান্য এই প্রেশার কুকারই তাদের অন্তরে কম্পন এবং আতংক সৃষ্টি করেছে বি-ইযবিল্লাহ! এরকম মুজাহিদ ভাইদের অগণিত কর্মকাণ্ড (কারামাত) আছে -যেগুলো আমাদের বিবেক'কে হয়রান করে করে দেয় এবং সেগুলো আমাদের নিকট অবিশ্বাস্য মনে হয়...
হযরত (রহিঃ) এর ছোট্ট একটি উদাহরণ থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, কুফ্ফারদের মুকাবেলায় আমাদের কি পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন! এমনকি বর্তমান তালেবানদের ইতিহাসও আমাদের নিকট স্পষ্ট, কি পরিমাণ শক্তি নিয়ে নেমেছিলেন তারা আর এখন...
(বলতে গেলে) এমনকি কিছু দিক থেকে তো আমাদের শক্তি কুফফারদের চেয়েও বেশি আছে আলহামদুলিল্লাহ, (এখানে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব নয়)! বর্তমান গেরিলা যুদ্ধ সম্পর্কে যাদের মুটামুটি গভীর ধারণা আছে -তাদের নিকট বিষয়টি অস্পষ্ট নয়!!
সবচেয়ে বড় কথা হলো; আমাদের প্রত্যেকটা যাররা পরিমাণ শক্তির সাথে রয়েছে মহান রাবের নুসরাত ও গায়েবী মদদ...
আর এই ক্ষুদ্র দল কতৃক বিশাল অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীর সাথে মুকাবেলার ইতিহাস আজকের নতুন নয় -বরং যুগ যুগ ধরে এই হাতি আর ক্ষুদ্র মশার লড়াইয়ের কাহিনী গুলোই আমরা ইতিহাসের কিতাবে পড়ে আসছি!!
তথা কথিত আকিবিররা জিহাদের জন্য যেই পরিমাণ শক্তির শর্ত জুড়িয়ে দিচ্ছেন বাস্তবতা এমন হলে রাসূল (সঃ) এর যুগ থেকে নিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত কখনোই জিহাদ ফরজ হবেনা...
আমার আশ্চর্য লাগে তাদের প্রতি যারা এত এত পরিমাণ শক্তির শর্ত জুড়িয়ে দিচ্ছেন... -তাহলে আমাদের মধ্যে আর বস্তুবাদীদের মাঝে পার্থক্য রইলো কোথায়?! তাঁরাও তো অপর পরাশক্তির সাথে লড়ার পূর্বে এমন হিসাবই করে যেহেতু তাদের এক আল্লাহ পাকের উপর বিশ্বাসও নেই তাওয়াক্কুলও নেই! -অথচ আমরা মুসলিম হয়ে আমাদের তাওয়াক্কুল গেলো কোথায়?!
হ্যাঁ দুনিয়া "দারুল আসবাব" হিসেবে অবশ্যই বাহ্যিক আসবাবপত্র প্রয়োজন -তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই... কিন্তু একেবারে তাদের সমান বা কাছাকাছি হলেও হতে হবে এটা তো জরুরী নয়, ইতিহাস থেকে তো তা-ই প্রমাণিত হয় -আল্লাহ পাকের উপর তাওয়াক্কুল করে যারাই (আল্লাহর হুকুম পালনার্থে) নিজেদের হাতে যা ছিল তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দুশমনের মুকাবেলায় -ব্যাস আল্লাহ পাকও তাদের'কে কুদরতি নুসরাতের মাধ্যমে বিজয় দান করেছেন...
كَم مِّن فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِين
‘‘আল্লাহর হুকুমে কতক ক্ষুদ্র দল অনেক বিরাট দলকে পরাজিত করেছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন’’। (সূরা বাকারাঃ ২৪৯)
আর সামন্য যেই শক্তি প্রয়োজন সেটাও যদি না থাকে তাহলে সেই শক্তি অর্জন করার তো চেষ্টা করতে হবে -এর থেকে তো আর কারো রেহাই নেই!!
অথচ এসব বাদ দিয়ে আমরা অন্য আরেকজনের তাহকিকের উপর এতটাই ইকতেফা/ভরসা করে ফেলি যে, (আমি মুহাদ্দিস ও মুহাক্কিক আলেম হয়েও) কোন তাহকিকেরই প্রয়োজন মনে করিনা...কেমন যেন এটাই চুড়ান্ত ফায়সালা... শুধু এতটুকুতেই ক্ষেম্ত নয় -বরং তা আবার হাজার হাজার তালাবাদের সামনে নির্ধিদায় বর্ণনা ও প্রচার-প্রসার করে বেড়াই....(ওয়া ইলাল্লাহিল মুশতাকা)
কিন্তু আবার দেখা যায় -যেই আকাবিরের তাহকিক'কে আমরা চুড়ান্ত মনে করি অন্য আরেকটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ওনার তাহকিকের সাথে (আদাবের সহিত) দ্বিমত করি! নির্বিঘ্নে বলে দেই যে, "এটা হযরতের তাফাররুদ তথা ব্যাক্তিগত মত" -কিন্তু এই (জিহাদের) বিষয়ে আসলে শুরু হয়ে যায় আমাদের অন্ধ অনুসরণ...
কথাগুলো হয়ত একটি বেশি তিতে হয়ে যাচ্ছে! কি করবো...আসল বাস্তবতা বলার জন্য এর চাইতে আর উত্তম ভাষা আমি অধম খুঁজে পাচ্ছিনা...আর তিতে না খাওয়ালে মুখে-ও রুচি আসেনা...
আসলে মূল কাহিনী হলো; কিতাবের অন্যান্য অধ্যায় গুলোর ব্যাপারে আমরা যতটা সচেষ্ট এবং অন্যান্য অধ্যায়গুলো যে পরিমাণে মুতা'লা-তাহকিক হয়... কিন্তু এই (জিহাদের) অধ্যায়গুলোর মুতা'লা ও তাহকিক একেবারে জিরু পারসেন্ট!!
যাইহোক বিক্ষপ্ত কিছু আলোচনা ও দিলের আর্তনাদ পেশ করলাম (যা স্বরণে এসেছে)
আল্লাহ পাক আমাদের'কে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং ইতিদাল ও ইনসাফের সহিত কিতাবের প্রত্যেকটি অধ্যায়'কে মুতা'লা করার এবং বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন।✒️
*স মা প্ত*
"মুহতারাম হুজুর'কে দেওয়া আমার সংক্ষিপ্ত উত্তরটির উপর -অন্য আরেকটি লেখায় কিছু (সংশয় নিরসন মূলক) বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করবো ইনশাআল্লাহ....
তাই এখন আমরা সেই বিষয়টি নিয়েই সারসংক্ষেপ বিশ্লেষণ মূলক আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।।
হুজুরের উজর/ইল্লতটি ছিল এরকম যে, "জিহাদ কি দিয়ে করবা, কিছু আছে নাকি???! বল! কি আছে...?
আসলে বলতে গেলে এই প্রশ্ন (সংশয়টি) শুধুই আমার মুহতারাম উস্তাদেরই নয় -বরং অসংখ্য অগণিত ওলামা-তালাবার এই একই প্রশ্ন -এমনকি উস্তাযুল আসাতিযাদের-ও, যারা হার হামেশা এই বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছেন যে, "কুফফারদের মুকাবেলায় তো আমরা একেবারে নিঃস্ব আমাদের কিছুই নেই" (তাই ফলাফল বের হলো; আমাদের উপর জিহাদ করা আবশ্যক নয়)
এরকম বহু নামধারী আকাবিররা তো আরো একধাপ এগিয়ে বহু গাইরে মা'কুলী শর্ত-ও জুড়ে দিচ্ছেন! এই লাগবে সেই লাগবে ইত্যাদি ইত্যাদি...
যাইহোক আমরা আজকে পর্যালোচনা করবো যে, আসলে জিহাদের জন্য কতটুকু শক্তি প্রয়োজন ও সেই কাংখিত শক্তি না থাকলে কি করণীয়!?
আমার মুহতারাম উস্তাদের প্রশ্নের উত্তরে আমি বলেছিলাম যে,
"হুজুর! আসলে এটাতো আমরা ভালো বলতে পারবোনা, -বরং যিনারা সমরবিদ রয়েছেন এবং সরাসরি ময়দানে লড়ছেন তারা-ইনা এব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন (আমাদের শক্তি আছে কি নেই বা কতটুকু শক্তির প্রয়োজন)!
হ্যাঁ... এটা আমার নিজস্ব উত্তর নয় -বরং আমাদের প্রাণপ্রিয় মুজাহিদ দায়ী ইলাল্লাহ শহিদ (ইনশাআল্লাহ) ওস্তাদ আহমাদ ফারুক (রহিঃ) এর উত্তর ছিল এটি!
হযরত একবার "সূরায়ে আনফাল" এর দারসে বলেছিলেন (যার সারমর্ম এরূপ ছিল) যে,
"অনেক ওলামা-তালাবা ভাই যারা বাস্তবিক জিহাদের ময়দান থেকে দূরে আছেন -তারা মনে করেন যে, কুফফারদের মুকাবিলা করার জন্য কমপক্ষে তাদের সমান বা কাছাকাছি শক্তির প্রয়োজন! নতুবা তাদের সাথে কুলিয়ে উঠা সম্ভব নয় ইত্যাদি... অথচ বিষয়টি কক্ষনো এরকম নয় -যারা ক্বিতালের ভূমিতে আছেন বা এই মুবারকময় কাজের সাথে জুড়ে আছেন তারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ভালোভাবে জানেন ও বুঝেন এর বাস্তবতা -আসলে কুফফারদের মুকাবেলা করতে আমাদের কতটুকু শক্তির প্রয়োজন"
"আফগান জিহাদে আমরা দেখি যে, কুফফার বাহিনীর (কোটি কোটি টাকার) বিশাল বড় বড় ট্যাংক ও সামরিক বহর গুলোকে মাত্র কয়েকটি প্রেশার কুকারের মাধ্যমে নেস্তনাবুদ করে দেওয়া হচ্ছে! সামান্য এই প্রেশার কুকারই তাদের অন্তরে কম্পন এবং আতংক সৃষ্টি করেছে বি-ইযবিল্লাহ! এরকম মুজাহিদ ভাইদের অগণিত কর্মকাণ্ড (কারামাত) আছে -যেগুলো আমাদের বিবেক'কে হয়রান করে করে দেয় এবং সেগুলো আমাদের নিকট অবিশ্বাস্য মনে হয়...
হযরত (রহিঃ) এর ছোট্ট একটি উদাহরণ থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, কুফ্ফারদের মুকাবেলায় আমাদের কি পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন! এমনকি বর্তমান তালেবানদের ইতিহাসও আমাদের নিকট স্পষ্ট, কি পরিমাণ শক্তি নিয়ে নেমেছিলেন তারা আর এখন...
(বলতে গেলে) এমনকি কিছু দিক থেকে তো আমাদের শক্তি কুফফারদের চেয়েও বেশি আছে আলহামদুলিল্লাহ, (এখানে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব নয়)! বর্তমান গেরিলা যুদ্ধ সম্পর্কে যাদের মুটামুটি গভীর ধারণা আছে -তাদের নিকট বিষয়টি অস্পষ্ট নয়!!
সবচেয়ে বড় কথা হলো; আমাদের প্রত্যেকটা যাররা পরিমাণ শক্তির সাথে রয়েছে মহান রাবের নুসরাত ও গায়েবী মদদ...
আর এই ক্ষুদ্র দল কতৃক বিশাল অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীর সাথে মুকাবেলার ইতিহাস আজকের নতুন নয় -বরং যুগ যুগ ধরে এই হাতি আর ক্ষুদ্র মশার লড়াইয়ের কাহিনী গুলোই আমরা ইতিহাসের কিতাবে পড়ে আসছি!!
তথা কথিত আকিবিররা জিহাদের জন্য যেই পরিমাণ শক্তির শর্ত জুড়িয়ে দিচ্ছেন বাস্তবতা এমন হলে রাসূল (সঃ) এর যুগ থেকে নিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত কখনোই জিহাদ ফরজ হবেনা...
আমার আশ্চর্য লাগে তাদের প্রতি যারা এত এত পরিমাণ শক্তির শর্ত জুড়িয়ে দিচ্ছেন... -তাহলে আমাদের মধ্যে আর বস্তুবাদীদের মাঝে পার্থক্য রইলো কোথায়?! তাঁরাও তো অপর পরাশক্তির সাথে লড়ার পূর্বে এমন হিসাবই করে যেহেতু তাদের এক আল্লাহ পাকের উপর বিশ্বাসও নেই তাওয়াক্কুলও নেই! -অথচ আমরা মুসলিম হয়ে আমাদের তাওয়াক্কুল গেলো কোথায়?!
হ্যাঁ দুনিয়া "দারুল আসবাব" হিসেবে অবশ্যই বাহ্যিক আসবাবপত্র প্রয়োজন -তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই... কিন্তু একেবারে তাদের সমান বা কাছাকাছি হলেও হতে হবে এটা তো জরুরী নয়, ইতিহাস থেকে তো তা-ই প্রমাণিত হয় -আল্লাহ পাকের উপর তাওয়াক্কুল করে যারাই (আল্লাহর হুকুম পালনার্থে) নিজেদের হাতে যা ছিল তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দুশমনের মুকাবেলায় -ব্যাস আল্লাহ পাকও তাদের'কে কুদরতি নুসরাতের মাধ্যমে বিজয় দান করেছেন...
كَم مِّن فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِين
‘‘আল্লাহর হুকুমে কতক ক্ষুদ্র দল অনেক বিরাট দলকে পরাজিত করেছে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন’’। (সূরা বাকারাঃ ২৪৯)
আর সামন্য যেই শক্তি প্রয়োজন সেটাও যদি না থাকে তাহলে সেই শক্তি অর্জন করার তো চেষ্টা করতে হবে -এর থেকে তো আর কারো রেহাই নেই!!
অথচ এসব বাদ দিয়ে আমরা অন্য আরেকজনের তাহকিকের উপর এতটাই ইকতেফা/ভরসা করে ফেলি যে, (আমি মুহাদ্দিস ও মুহাক্কিক আলেম হয়েও) কোন তাহকিকেরই প্রয়োজন মনে করিনা...কেমন যেন এটাই চুড়ান্ত ফায়সালা... শুধু এতটুকুতেই ক্ষেম্ত নয় -বরং তা আবার হাজার হাজার তালাবাদের সামনে নির্ধিদায় বর্ণনা ও প্রচার-প্রসার করে বেড়াই....(ওয়া ইলাল্লাহিল মুশতাকা)
কিন্তু আবার দেখা যায় -যেই আকাবিরের তাহকিক'কে আমরা চুড়ান্ত মনে করি অন্য আরেকটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ওনার তাহকিকের সাথে (আদাবের সহিত) দ্বিমত করি! নির্বিঘ্নে বলে দেই যে, "এটা হযরতের তাফাররুদ তথা ব্যাক্তিগত মত" -কিন্তু এই (জিহাদের) বিষয়ে আসলে শুরু হয়ে যায় আমাদের অন্ধ অনুসরণ...
কথাগুলো হয়ত একটি বেশি তিতে হয়ে যাচ্ছে! কি করবো...আসল বাস্তবতা বলার জন্য এর চাইতে আর উত্তম ভাষা আমি অধম খুঁজে পাচ্ছিনা...আর তিতে না খাওয়ালে মুখে-ও রুচি আসেনা...
আসলে মূল কাহিনী হলো; কিতাবের অন্যান্য অধ্যায় গুলোর ব্যাপারে আমরা যতটা সচেষ্ট এবং অন্যান্য অধ্যায়গুলো যে পরিমাণে মুতা'লা-তাহকিক হয়... কিন্তু এই (জিহাদের) অধ্যায়গুলোর মুতা'লা ও তাহকিক একেবারে জিরু পারসেন্ট!!
যাইহোক বিক্ষপ্ত কিছু আলোচনা ও দিলের আর্তনাদ পেশ করলাম (যা স্বরণে এসেছে)
আল্লাহ পাক আমাদের'কে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং ইতিদাল ও ইনসাফের সহিত কিতাবের প্রত্যেকটি অধ্যায়'কে মুতা'লা করার এবং বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন।✒️
*স মা প্ত*
Comment