নবী (সাঃ) এর কালিমা আর আমাদের কালিমা কি এক ?‘‘আল্লাহ তা’আলা ছাড়া আমরা দু চোখে যা দেখি বা না দেখি সব মাখলুক। মাখলুক কিছুই করতে পারে না আল্লাহ ছাড়া। আল্লাহ সব কিছু করতে পারেন মাখলুক ছাড়া।” – এই বক্তব্য যদি ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’’ – এই কালিমার মর্ম বা উদ্দেশ্য হত তাহলে আবু জাহেল বা তার সঙ্গীরা হুজুর পাক (সাঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের উপর কখনই হামলা করত না। কারণ তারাও সৃষ্টিকর্তা বা পালনকর্তা বা হায়াত-মওতের মালিক হিসাবে আল্লাহ তা’আলাকেই মানত। যার প্রমান পবিত্র কালামে হাকিমের নিম্নোক্ত আয়াত সমূহে পাওয়া যায় :
‘বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান, তবে বল। এখন তারা বলবেঃ সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?’ -সুরা মুমিনুন:৮৪,৮৫
‘বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে? এখন তারা বলবেঃ আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না? -সুরা মুমিনুন: ৮৬,৮৭
‘বলুনঃ তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কর্তৃত্ব, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না? এখন তারা বলবেঃ আল্লাহর। বলুনঃ তাহলে কোথা থেকে তোমাদেরকে জাদু করা হচ্ছে? -সুরা মুমিনুন: ৮৮,৮৯
‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তবে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ, অতঃপর তারা কোথায় ফিরে যাাচ্ছে?’ -সুরা ঝুখরুফ: ৮৭
‘আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ।’ -সুরা ঝুখরুফ:৯
‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে নিয়োজিত করেছে ? তবে তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে?’ -সুরা আনকাবুত: ১৬
‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করে, অতঃপর তা দ্বারা মৃত্তিকাকে তার মৃত হওয়ার পর সঞ্জীবিত করে ? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না।’ -সুরা আনকাবুত: ৬৩
তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে মক্কার তৎকালীন মুশরিকরা ত সবই বিশ্বাস করত কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’’ এর দাওয়াত পেয়ে কেন আল্লাহর পেয়ারা হাবিব (সাঃ) এর উপর সর্বশক্তি নিয়ে হামলে পড়েছিল ?
মূলত এর কারণ হচ্ছে – আবু জাহেল ও তার সঙ্গী মুশরিকরা জানত ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অর্থাৎ কালিমার এই অংশের মর্ম বা উদ্দেশ্য কি ? আসুন আমরাও একটু জেনে নিই কালিমা ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’’ এর মর্ম, উদ্দেশ্য, ব্যাখ্যা বা তাৎপর্য কি ?
কালিমার দুইটি রুকন : দুইটি
১. কুফর বিত্তাগূত (তাগূত বর্জন) : না বাচক বা বর্জন বা অস্বীকার ৷ অর্থাৎ, ( لا اله) নেই কোন ইলাহ ৷ আর ( لا اله) নেই কোন ইলাহ বলার মাধ্যমে আল্লাহ ব্যতীত যত কিছুর উপাসনা করা হয়, যত কিছুর আদেশ-নিষেধ/বিধান মান্য করা হয় তা বর্জন করা এবং সকল তাগুতকে অস্বীকার করা। আর তাগুত হচ্ছে ঐ খোদাদ্রোহী শক্তি শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তা’আলার পরিবর্তে যার বা যাদের উপাসনা করা হয়, মান্য করা হয়, অনুসরন করা হয়। আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত ঐশী বিধানের পরিবর্তে যার বা যাদের বিধান দ্বারা রাজ্য/রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার -ফায়সালা করা হয়।
আবু জাহেল ও তার সঙ্গীরা যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মতই আরবের বাসিন্দা ছিল তাই আমাদের মত তাদের লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ র তরজমা, তাফসির ও মর্ম বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি। তারা বুঝতে পেরেছিল যে, তারা যে আল্লাহ তা’আলাকে বিশ্বাস করে শুধু এতটুকু বিশ্বাসে কাজ হবে না। বরং এই বিশ্বাসের পাশাপাশি সমস্ত তাগুত শক্তিতে অস্বীকার করে, সকল মূর্তিপূজা বাদ দিয়ে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে এবং সকল জাহেলী বিধি-বিধানের পরিবর্তে আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত ঐশী বিধান মোতাবেক রাজ্য/রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার -ফায়সালা করতে হবে।
সম্মানিত পাঠক লক্ষ্য করুন মক্কার মুশরিকরা কিন্তু নাস্তিক বা কমিউনিষ্টদের মত পুরোপুরি আল্লাহ তা’আলাকে অস্বীকার করেনি। বরং তারা কালিমার একটি অংশ তথা ঈমান বিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ-তে বিশ্বাস করত। কিন্তু কালিমার ১ম অংশ কুফর বিত্তাগূত বা তাগূত বর্জন মানত না। অর্থাৎ তারা আংশিক শিরক করত। এখন আসুন আমরা যে পৃথিবীতে ২০০ কোটি মুসলিম রয়েছি এবং আমাদের যে ৫৭ বা তার অধিক রাষ্ট্র রয়েছে তার অবস্থা কি ? আমরা কি সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর মত কালিমার ১ম অংশ কুফর বিত্তাগূত বা তাগূত বর্জন করেছি না কি আবু জাহেল ও তার সঙ্গী মুশরিকদের মত কালিমার এই অংশ মানছি না ? আমরা আমাদের এই ৫৭ বা তার অধিক রাষ্ট্রগুলো কি আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত ঐশী বিধান মোতাবেক রাজ্য/রাষ্ট্র পরিচালনা করছি ? আমাদের বিচার -ফায়সালা কি আল্লাহর আইন অনুযায়ী হচ্ছে ? নাকি আমাদের রাজ্য/রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার –ফায়সালা আল্লাহর আইনের পরিবর্তে তাগুত তথা মানব রচিত আইন দ্বারা হচ্ছে ?
২. ঈমান বিল্লাহ (আল্লাহ-তে বিশ্বাস) : হা বাচক বা সাব্যস্তকরণ বা স্বীকার করা অর্থাৎ, إلا الله (আল্লাহ ভিন্ন কোন উপাস্য নেই/আল্লাহ-ই উপাস্য) বলার মাধ্যমে একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্য সমস্ত ইবাদত,উপাসনা সাব্যস্ত করা ৷ সকল সৃষ্টির বিধানদাতা হিসাবে একমাত্র মহান আল্লাহ তা’আলাকেই সাব্যস্ত করা।
পরিশেষে বলতে চাই আজকের দিনেও যে বা যারা কালিমার উপরোল্লিখিত নববী মর্ম বিশ্বাস করেন, ধারণ করেন তারাও নববী যুগের মতই প্রতি পদে পদে হামলার শিকার হন বা হচ্ছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত হতেই থাকবেন। কারণ আমার নবীর (সাঃ) এর চেয়ে উত্তম আখলাকওয়ালা এবং উত্তম দায়ী পৃথিবীতে আর কোনদিন আসবেননা। আর যেহেতু মানব জাতীর জন্য সবচেয়ে উত্তম ও দরদী দায়ীই কালিমার দাওয়াত দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন, জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন সেখানে কিয়ামত পর্যন্ত যারাই সঠিক তথা নবীওয়ালা অর্থে কালিমার দাওয়াত দিবে বা ইলায়ে কালিমাতুল্লাহর কাজ করবে তাদের সকলের সাথেই কাফের মুশরিকরা নববী যুগের কাফির মুশরিকদের মত বিরোধীতায় লিপ্ত হবে। আর যদি আমাদের কালিমার দাওয়াতে যামানার আইম্মতাল কুফফার আমেরিকা, রাশিয়া, বৃটেন, ফ্রান্স গং বাধা না দেয় তাহলে বুঝতে হবে নবী (সাঃ) এর কালিমা আর আমার কালিমা এক নয়।
মহান আরশের মালিক আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
‘বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান, তবে বল। এখন তারা বলবেঃ সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?’ -সুরা মুমিনুন:৮৪,৮৫
‘বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে? এখন তারা বলবেঃ আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না? -সুরা মুমিনুন: ৮৬,৮৭
‘বলুনঃ তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কর্তৃত্ব, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না? এখন তারা বলবেঃ আল্লাহর। বলুনঃ তাহলে কোথা থেকে তোমাদেরকে জাদু করা হচ্ছে? -সুরা মুমিনুন: ৮৮,৮৯
‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তবে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ, অতঃপর তারা কোথায় ফিরে যাাচ্ছে?’ -সুরা ঝুখরুফ: ৮৭
‘আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ।’ -সুরা ঝুখরুফ:৯
‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে নিয়োজিত করেছে ? তবে তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে?’ -সুরা আনকাবুত: ১৬
‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করে, অতঃপর তা দ্বারা মৃত্তিকাকে তার মৃত হওয়ার পর সঞ্জীবিত করে ? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না।’ -সুরা আনকাবুত: ৬৩
তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে মক্কার তৎকালীন মুশরিকরা ত সবই বিশ্বাস করত কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’’ এর দাওয়াত পেয়ে কেন আল্লাহর পেয়ারা হাবিব (সাঃ) এর উপর সর্বশক্তি নিয়ে হামলে পড়েছিল ?
মূলত এর কারণ হচ্ছে – আবু জাহেল ও তার সঙ্গী মুশরিকরা জানত ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অর্থাৎ কালিমার এই অংশের মর্ম বা উদ্দেশ্য কি ? আসুন আমরাও একটু জেনে নিই কালিমা ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’’ এর মর্ম, উদ্দেশ্য, ব্যাখ্যা বা তাৎপর্য কি ?
কালিমার দুইটি রুকন : দুইটি
১. কুফর বিত্তাগূত (তাগূত বর্জন) : না বাচক বা বর্জন বা অস্বীকার ৷ অর্থাৎ, ( لا اله) নেই কোন ইলাহ ৷ আর ( لا اله) নেই কোন ইলাহ বলার মাধ্যমে আল্লাহ ব্যতীত যত কিছুর উপাসনা করা হয়, যত কিছুর আদেশ-নিষেধ/বিধান মান্য করা হয় তা বর্জন করা এবং সকল তাগুতকে অস্বীকার করা। আর তাগুত হচ্ছে ঐ খোদাদ্রোহী শক্তি শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তা’আলার পরিবর্তে যার বা যাদের উপাসনা করা হয়, মান্য করা হয়, অনুসরন করা হয়। আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত ঐশী বিধানের পরিবর্তে যার বা যাদের বিধান দ্বারা রাজ্য/রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার -ফায়সালা করা হয়।
আবু জাহেল ও তার সঙ্গীরা যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মতই আরবের বাসিন্দা ছিল তাই আমাদের মত তাদের লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ র তরজমা, তাফসির ও মর্ম বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি। তারা বুঝতে পেরেছিল যে, তারা যে আল্লাহ তা’আলাকে বিশ্বাস করে শুধু এতটুকু বিশ্বাসে কাজ হবে না। বরং এই বিশ্বাসের পাশাপাশি সমস্ত তাগুত শক্তিতে অস্বীকার করে, সকল মূর্তিপূজা বাদ দিয়ে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে এবং সকল জাহেলী বিধি-বিধানের পরিবর্তে আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত ঐশী বিধান মোতাবেক রাজ্য/রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার -ফায়সালা করতে হবে।
সম্মানিত পাঠক লক্ষ্য করুন মক্কার মুশরিকরা কিন্তু নাস্তিক বা কমিউনিষ্টদের মত পুরোপুরি আল্লাহ তা’আলাকে অস্বীকার করেনি। বরং তারা কালিমার একটি অংশ তথা ঈমান বিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ-তে বিশ্বাস করত। কিন্তু কালিমার ১ম অংশ কুফর বিত্তাগূত বা তাগূত বর্জন মানত না। অর্থাৎ তারা আংশিক শিরক করত। এখন আসুন আমরা যে পৃথিবীতে ২০০ কোটি মুসলিম রয়েছি এবং আমাদের যে ৫৭ বা তার অধিক রাষ্ট্র রয়েছে তার অবস্থা কি ? আমরা কি সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর মত কালিমার ১ম অংশ কুফর বিত্তাগূত বা তাগূত বর্জন করেছি না কি আবু জাহেল ও তার সঙ্গী মুশরিকদের মত কালিমার এই অংশ মানছি না ? আমরা আমাদের এই ৫৭ বা তার অধিক রাষ্ট্রগুলো কি আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত ঐশী বিধান মোতাবেক রাজ্য/রাষ্ট্র পরিচালনা করছি ? আমাদের বিচার -ফায়সালা কি আল্লাহর আইন অনুযায়ী হচ্ছে ? নাকি আমাদের রাজ্য/রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার –ফায়সালা আল্লাহর আইনের পরিবর্তে তাগুত তথা মানব রচিত আইন দ্বারা হচ্ছে ?
২. ঈমান বিল্লাহ (আল্লাহ-তে বিশ্বাস) : হা বাচক বা সাব্যস্তকরণ বা স্বীকার করা অর্থাৎ, إلا الله (আল্লাহ ভিন্ন কোন উপাস্য নেই/আল্লাহ-ই উপাস্য) বলার মাধ্যমে একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্য সমস্ত ইবাদত,উপাসনা সাব্যস্ত করা ৷ সকল সৃষ্টির বিধানদাতা হিসাবে একমাত্র মহান আল্লাহ তা’আলাকেই সাব্যস্ত করা।
পরিশেষে বলতে চাই আজকের দিনেও যে বা যারা কালিমার উপরোল্লিখিত নববী মর্ম বিশ্বাস করেন, ধারণ করেন তারাও নববী যুগের মতই প্রতি পদে পদে হামলার শিকার হন বা হচ্ছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত হতেই থাকবেন। কারণ আমার নবীর (সাঃ) এর চেয়ে উত্তম আখলাকওয়ালা এবং উত্তম দায়ী পৃথিবীতে আর কোনদিন আসবেননা। আর যেহেতু মানব জাতীর জন্য সবচেয়ে উত্তম ও দরদী দায়ীই কালিমার দাওয়াত দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন, জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন সেখানে কিয়ামত পর্যন্ত যারাই সঠিক তথা নবীওয়ালা অর্থে কালিমার দাওয়াত দিবে বা ইলায়ে কালিমাতুল্লাহর কাজ করবে তাদের সকলের সাথেই কাফের মুশরিকরা নববী যুগের কাফির মুশরিকদের মত বিরোধীতায় লিপ্ত হবে। আর যদি আমাদের কালিমার দাওয়াতে যামানার আইম্মতাল কুফফার আমেরিকা, রাশিয়া, বৃটেন, ফ্রান্স গং বাধা না দেয় তাহলে বুঝতে হবে নবী (সাঃ) এর কালিমা আর আমার কালিমা এক নয়।
মহান আরশের মালিক আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
Comment