Announcement

Collapse
No announcement yet.

বেহাত চূড়া

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বেহাত চূড়া

    আজকাল আমাদের চিন্তা-চেতনায় যা অভাবনীয় পরিবর্তন চলছে, ভাষায় তা প্রকাশ করা দায়।

    দিগ্বিজয়ী, পৃথীবি শাসন কারী ইসলাম, আজ আমাদের কাছে যেনো কেবল পরাজিত লাঞ্চিত আর পুঁজি হারা নিঃস্বের ন্যায় অন্যের কাছে হাত পেতে সাহায্য প্রার্থনা করা এক জীবন দ্বারা, যা কিনা আবার থাকছে কেবল ব্যক্তি জীবনেই সীমাবদ্ধ, এর নেই কোনো স্বতন্ত্রতা, নেই কোনো স্বাধীনতা, সর্বদা থাকবে এটা পরাধীন ও তার অনুসারিরা হবে সমাজে- ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছা যেমন।

    কত পরিবর্তন কতনা ভিন্নতা!
    অথচ ইসলাম হলো পৃথীবির শ্রেষ্ট জীবন বিধান, যার নেই কোনো তোলনা ধরায়, যার শাসন বিস্তৃত পূর্ব থেকে পশ্চিম কোণায়, বিচার কার্যে ন্যায় ইনসাফ পৌছানো ছিলো দুরবল সবল নির্বিশেষে সব মানুষের দোরগোড়ায়।
    আর এটা সম্ভব হয়ে ছিলো, আমাদের দখলে থাকায় ইসলামের চূড়া, যে চূড়া থেকে আমরা শুত্রু-মিত্র সকলের গতিবিধি দেখতে পারতাম সফলতার চোখে, আর রহমানের এ ভুবনে তারই বিধান দিয়ে জাতীকে আমরা নিয়ন্ত্রন করতাম।
    ইসলামে জিহাদ নামের সে চূড়া আজ আমাদের হাতছাড়া, দোষ তো আমাদের! আমরা যে এতে চড়তে ভয় পাই খুব, তা'লীম তারবিয়্যাত আর দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ পুরোদমে আজ চলতে পারলে কেনো আমরা জিহাদের সে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির দিকে এগুবো। এতো এমন পথ, যার কারণে আমাদের বড় সম্পদ, অনন্য চাহনি জীবনটারই ঘটতে পারে ইতি, তাই এখনও আমরা এসব ক্ষতিকর বিষয়ে জড়াতে চাই না, ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে, মালের ক্ষতি, জানের ক্ষতি, ক্ষতি সন্তানসন্ততির।

    কিন্তু বলি ভাই- কাশ্মীর, আরাকান, ফিলিস্তিন, উইগুর সহ নানা প্রান্তের মুসলিমরা আজ যে পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন তা আমাদের এ সম্ভাব্য ক্ষতির অজনে অনেক কম নয় কি?

    তবে কেন আমরা দীন কায়েমের পথে আসল (মৌলিক কাজ) কে ছেড়ে দিয়ে ফরা তথা শাখাগত বিষয়াদি নিয়ে পড়ে থাকবো!
    হয়তো বলা হবে, শক্তি ও জনসংখ্যায় আমরা কম, শত্রুরা বেশি, তাই আপাতত হিকমাহ অবলম্বন করি, আর সাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত থাকি।
    তাহলে শুনেনিন ভাই, আহকামুল হাকিমীন আল্লাহ তা'আলা নবী সা. কে, এর চেয়েও কঠিন পরিস্থিতে কেমন হিকমাহ শিখাচ্ছেন, তিঁনি বলেন-

    یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَسۡبُکَ اللّٰہُ وَمَنِ اتَّبَعَکَ مِنَالۡمُؤۡمِنِیۡنَ 
    হে নবী! তোমার জন্য আল্লাহ এবং যে সকল মুমিন তোমার অনুসরণ করেছে তারাই যথেষ্ট।
    —আল আনফাল - ৬৪

    আর এটা তখন বলা হচ্ছে, যখন কিনা মুসলমান ছিলেন সর্বমোট ৪০ জন, যদিও আয়াতটি মক্কাবতীর্ণ কিন্তু সূরায় এয়ায়াতের পরের আয়াতেই আল্লাহ তা'আলা প্রিয়তম সা. কে বলে দিচ্ছেন সময়ের চাহিদা বুঝে কেমন হিকমাহ অবলম্বন করতে হয়, রব বলেন-

    یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ اِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ عِشۡرُوۡنَ صٰبِرُوۡنَ یَغۡلِبُوۡا مِائَتَیۡنِ ۚ وَاِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ مِّائَۃٌ یَّغۡلِبُوۡۤا اَلۡفًا مِّنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاَنَّہُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ
    হে নবী! মুমিনদেরকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে যদি বিশজন ধৈর্যশীল লোক থাকে, তবে তারা দু’শ জনের উপর জয়ী হবে। তোমাদের যদি একশ’ জন থাকে, তবে তারা এক হাজার কাফেরের উপর জয়ী হবে। কেননা তারা এমন এক সম্প্রদায়, যারা বুঝ-সমঝ রাখে না। —আল আনফাল - ৬৫

    তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের এ কেমন হিকমাহ অবলম্বন!
    তাইতো গোটা সমাজব্যবস্থা আজ ধ্বংসের পথে, রব আমাদের ক্ষমা না করেন তো কে আছে এমন, যে আমাদের এ মহা অপরাদ মার্জনা করবে। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তার চাহিদায় প্রদর্শিত করুন, আমীন।

  • #2
    জাযাকাল্লাহ।
    আল্লাহ পাক আমাদেরকে প্রথমে বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসার তাওফিক দান করুক,আমিন।
    Last edited by আব্দুল্লাহ আল গালিব; 11-14-2022, 10:30 AM.

    Comment

    Working...
    X