তিনটি প্রশ্ন ও তার উত্তর।
১.মহান আল্লাহ কওমে লুতকে ধ্বংস করার জন্য একজন ফেরেশতা পাঠালেন, অপরদিকে বদর যুদ্বের পাঁচ হাজার ফেরেশতা পাঠালেন। আল্লাহ চাইলে একজন ফেরেশতা দিয়েই এক হাজার কাফেরকে শেষ করে দিতে পারতেন, কিন্তু কেন তিনি পাঁচ হাজার পাঠালেন?
২.বদর প্রান্তরে একজন ফেরেশতাই সব কাফেরকে শেষ করে দিতে পারতো, কিন্তু দেখা গেলো পাঁচ হাজার ফেরেশতা ও তিনশ তেরো জন সাহাবী সহ মাত্র সত্তর জন কাফেরকে হত্যা করলো।কেন মাত্র সত্তর জনকেই হত্যা করা হলো?
৩.তেরো বছর রাসূর সাঃ দাওয়াত দেওয়ার ফলে মক্কাতে মাত্র একশ জনের কম বা বেশি সাহাবী ইসলাম গ্রহন করেছেন, অপরদিকে দুই আড়াই বছরের ব্যবধান গোটা মক্কার সবাই ইসলাম গ্রহন করলো কেন?
এক নং এর উত্তরঃ
হাদীসে রাসূল সাঃ বলেছেনঃআবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ্র দায়িত্বে: আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদকারী, এমন মুকাতাব দাস (মালিককে নিজের মূল্য পরিশোধ করে স্বাধীন হতে ইচ্ছুক) যে পরিশোধ করতে ইচ্ছুক এবং এমন বিবাহকারী যে চরিত্র রক্ষা করতে ইচ্ছুক।"( তিরমিজি) [আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
হাদিসে আল্লাহ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কারী। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَنۡصُرُوا اللّٰہَ یَنۡصُرۡکُمۡ وَ یُثَبِّتۡ اَقۡدَامَکُمۡ ﴿۷﴾
হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহর (দ্বীনের) সাহায্য কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়-প্রতিষ্ঠিত রাখবেন। ( সুরা মুহাম্মদ ৭)
যারা মহান আল্লাহকে সাহায্য করেন, মহান আল্লাহও তাদের সাহায্য করেন। এবার চিন্তা বদর যুদ্ব নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুন, যেখান একজন ফেরেশতা দিয়ে সব কাফেরকে শেষ করে দিতে পারতেন সেখানে পাঁচ হাজার ফেরেশতা পাঠালেন।একশ বা একহাজার গুন নয় বরং পাঁচ হাজার গুন বেশি সাহায্য করেছেন। সুবহানাল্লাহ। কিন্তু জিহাদের ময়দানে যাওয়ার আগে এরকম সাহায্য আসে নি।এটা জিহাদে অবতীর্ণ হওয়ার পরেই এসেছে। তাই এখনো রবের সাহায্য পেতে হলে জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হতে হবে।
২নং এর উত্তরঃ
বদর যুদ্বে মুজাহিদ ছিলেন তিনশো তেরো জন আর কাফের ছিলো একহাজার। আল্লাহ মুসলিমদের সাহায্য পাঁচ হাজার ফেরেশতা নাযিল করেন। আর পাঁচ হাজার ফেরেশতা ও তিনশো তেরো জন মিলে সত্তর জন কাফেরকে হত্যা করেন, যেই কাফেররা ছিলো কুফরের নেতা। যারা অন্য দের যুদ্বের ময়দানে আসতে বাধ্য করেছে। যারা দিনের পর দিন মানুষকে ইসলাম গ্রহন করতে বাঁধা দিতো। সমাজে দ্বীন প্রচার করতে দিতো না। সমাজে সব ফাহেশা কাজের মূল তারাই।বদর প্রান্তরে তাদের পতন নেমে আসে। মহান আল্লাহই বলেছেনঃ
فَقَاتِلُوۡۤا اَئِمَّۃَ الۡکُفۡرِ ۙ
তাহলে অবিশ্বাসীদের নেতৃবর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর।(সুরা তাওবা ১২)
মহান আল্লাহই বলেছেন কুফরের নেতাদের কিতাল করার জন্য।
আর বদরেاَئِمَّۃَ الۡکُفۡرِ কে ধরে ধরে হত্যা করা হয়েছে।
৩নং প্রশ্নের উত্তরঃ
রাসূল সাঃ যখন তেরোটি বছর দাওয়াত দিলেন তখন কুফরের নেতারা সমাজে ছিলো, যার ফলে সাধারন মানুষ দ্বিন সম্পর্কে জানতে বাঁধা প্রাপ্ত হতো। মানুষ নেতাদের ভয়ে দ্বীনের পথে আসতো না। কিন্তু আস্তে আস্তে কুফরের নেতারা যখন দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন, তাদের ক্ষমতা ধ্বংস হলো তখন মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যে মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করলো, রাসূল সাঃ মক্কা বিজয় করলেন, কিন্তু তিনি ইসলাম গ্রহন করতে কাউকে বাধ্য করেন নি। বরং মানুষই ইসলাম সম্পর্কে জেনেছে ও গ্রহন করেছে। কোন নেতা বাঁধা দেওয়ার ছিলো না। আল্লাহর সাহায্য নেমে আসলো।
১.মহান আল্লাহ কওমে লুতকে ধ্বংস করার জন্য একজন ফেরেশতা পাঠালেন, অপরদিকে বদর যুদ্বের পাঁচ হাজার ফেরেশতা পাঠালেন। আল্লাহ চাইলে একজন ফেরেশতা দিয়েই এক হাজার কাফেরকে শেষ করে দিতে পারতেন, কিন্তু কেন তিনি পাঁচ হাজার পাঠালেন?
২.বদর প্রান্তরে একজন ফেরেশতাই সব কাফেরকে শেষ করে দিতে পারতো, কিন্তু দেখা গেলো পাঁচ হাজার ফেরেশতা ও তিনশ তেরো জন সাহাবী সহ মাত্র সত্তর জন কাফেরকে হত্যা করলো।কেন মাত্র সত্তর জনকেই হত্যা করা হলো?
৩.তেরো বছর রাসূর সাঃ দাওয়াত দেওয়ার ফলে মক্কাতে মাত্র একশ জনের কম বা বেশি সাহাবী ইসলাম গ্রহন করেছেন, অপরদিকে দুই আড়াই বছরের ব্যবধান গোটা মক্কার সবাই ইসলাম গ্রহন করলো কেন?
এক নং এর উত্তরঃ
হাদীসে রাসূল সাঃ বলেছেনঃআবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ্র দায়িত্বে: আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদকারী, এমন মুকাতাব দাস (মালিককে নিজের মূল্য পরিশোধ করে স্বাধীন হতে ইচ্ছুক) যে পরিশোধ করতে ইচ্ছুক এবং এমন বিবাহকারী যে চরিত্র রক্ষা করতে ইচ্ছুক।"( তিরমিজি) [আলবানী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
হাদিসে আল্লাহ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কারী। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَنۡصُرُوا اللّٰہَ یَنۡصُرۡکُمۡ وَ یُثَبِّتۡ اَقۡدَامَکُمۡ ﴿۷﴾
হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহর (দ্বীনের) সাহায্য কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়-প্রতিষ্ঠিত রাখবেন। ( সুরা মুহাম্মদ ৭)
যারা মহান আল্লাহকে সাহায্য করেন, মহান আল্লাহও তাদের সাহায্য করেন। এবার চিন্তা বদর যুদ্ব নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুন, যেখান একজন ফেরেশতা দিয়ে সব কাফেরকে শেষ করে দিতে পারতেন সেখানে পাঁচ হাজার ফেরেশতা পাঠালেন।একশ বা একহাজার গুন নয় বরং পাঁচ হাজার গুন বেশি সাহায্য করেছেন। সুবহানাল্লাহ। কিন্তু জিহাদের ময়দানে যাওয়ার আগে এরকম সাহায্য আসে নি।এটা জিহাদে অবতীর্ণ হওয়ার পরেই এসেছে। তাই এখনো রবের সাহায্য পেতে হলে জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হতে হবে।
২নং এর উত্তরঃ
বদর যুদ্বে মুজাহিদ ছিলেন তিনশো তেরো জন আর কাফের ছিলো একহাজার। আল্লাহ মুসলিমদের সাহায্য পাঁচ হাজার ফেরেশতা নাযিল করেন। আর পাঁচ হাজার ফেরেশতা ও তিনশো তেরো জন মিলে সত্তর জন কাফেরকে হত্যা করেন, যেই কাফেররা ছিলো কুফরের নেতা। যারা অন্য দের যুদ্বের ময়দানে আসতে বাধ্য করেছে। যারা দিনের পর দিন মানুষকে ইসলাম গ্রহন করতে বাঁধা দিতো। সমাজে দ্বীন প্রচার করতে দিতো না। সমাজে সব ফাহেশা কাজের মূল তারাই।বদর প্রান্তরে তাদের পতন নেমে আসে। মহান আল্লাহই বলেছেনঃ
فَقَاتِلُوۡۤا اَئِمَّۃَ الۡکُفۡرِ ۙ
তাহলে অবিশ্বাসীদের নেতৃবর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর।(সুরা তাওবা ১২)
মহান আল্লাহই বলেছেন কুফরের নেতাদের কিতাল করার জন্য।
আর বদরেاَئِمَّۃَ الۡکُفۡرِ কে ধরে ধরে হত্যা করা হয়েছে।
৩নং প্রশ্নের উত্তরঃ
রাসূল সাঃ যখন তেরোটি বছর দাওয়াত দিলেন তখন কুফরের নেতারা সমাজে ছিলো, যার ফলে সাধারন মানুষ দ্বিন সম্পর্কে জানতে বাঁধা প্রাপ্ত হতো। মানুষ নেতাদের ভয়ে দ্বীনের পথে আসতো না। কিন্তু আস্তে আস্তে কুফরের নেতারা যখন দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন, তাদের ক্ষমতা ধ্বংস হলো তখন মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যে মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করলো, রাসূল সাঃ মক্কা বিজয় করলেন, কিন্তু তিনি ইসলাম গ্রহন করতে কাউকে বাধ্য করেন নি। বরং মানুষই ইসলাম সম্পর্কে জেনেছে ও গ্রহন করেছে। কোন নেতা বাঁধা দেওয়ার ছিলো না। আল্লাহর সাহায্য নেমে আসলো।
Comment