সকল প্রশংসা সেই একক সত্তার জন্য -যিনি সারা জাহানের প্রতিপালক। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক শেষ নবী প্রিয় নাবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর। হামদ ও সানার পর.....!!
ই'দাদ এর সংজ্ঞাঃ
ই'দাদ বলা হয়, শরীয়তের কাঙ্খিত গুরুত্বপূর্ণ স্তরে পৌঁছার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত বা দলগত প্রস্তুতি উন্নতিকরণ, চাই সেটা বিশেষ কোনো প্রস্তুতি হোক কিংবা সাধারণ, অতএব তাতে (উক্ত সংজ্ঞায়) ইদাদে মা'নাবী তথা নৈতিক প্রস্তুতি ও ইদাদে মাদ্দী তথা বৈষয়িক প্রস্তুতি উভয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে।
এবার প্রত্যেক প্রকারের আলাদা আলাদা বিবরণ আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
১। ই'দাদে মানবীঃ (নৈতিক প্রস্তুতি) তা হলো তিন ধরন/প্রকারের প্রস্তুতি; চাই ব্যক্তিগত হোক কিংবা দলগতঃ
১। ঈমানী (বিশ্বাস)
২। ফিক্বহী (তাত্ত্বিক)
৩। ফিকরী (বৌদ্ধিক)
এই তিন প্রকার প্রস্তুতি এমন -যেগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তি বা জামাত দ্বীনের সঠিক লক্ষ্যের দিকে অগ্রগতি হতে পারবে এবং তার চরিত্র মিশন সঠিক করতে পারবে -এমনকি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টিকারীদের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করা-ও (তার জন্য) সম্ভবপর হবে ইনশাআল্লাহ।
এই (তিন প্রকারের) ইদাদে মানবী পথিক'কে তার ভ্রমণের পরিণতি সহ্য করতে সাহায্য করে এমনকি রাস্তার কষ্ট ও দৈর্ঘ্যতাকে তার জন্য লাঘব করে দেয়।
এমন বহু লোক রয়েছেন যারা ই'দাদের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটিকে তুচ্ছ মনে করে -যার দরুন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, সেসব লোকেরা রাস্তার প্রথমাংশ বা মাঝের অংশেই ঝরে যায় এবং তারা (শত্রু কর্তৃক) খননকৃত ছোট ছোট গর্তেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।
সেসব লোক যখনই ছোটখাটো কোনো বিপদের সম্মুখীন হয় তখনই তাদেরকে দেখা যায় যে, তারা আত্মসমর্পণ ও অনুগত নামক লাঞ্চনার ঝান্ডা উঁচু করে বসে এবং পাপীষ্ঠ জালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ে, আর (নিজেদের চেহারা আবৃত কারার জন্য) তাদের সামনে আনুগত্য ও বন্ধুত্বের আয়াতসমূহ'কে ঢাল সরূপ পেশ করে থাকে।
ইসলামের পথ তো শুধু নির্দিষ্ট কিছু সময় চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও ত্যাগকে সমর্থন করে না! বিষয়টি তো এমন নয় যে, কিছু সময় চেষ্টা-সংগ্রাম করার পর আরাম-আয়েশ ও অবসাদ এর দিকে নিজেকে করা হবে! তারপর নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আত্মতৃপ্তির ঢেকুর ফেলবে যে, আমার কাঙ্ক্ষিত দায়িত্ব পালন করা হয়ে গেছে ব্যাস! এখন বাকিরা এসে আমার পথ ও ভ্রমণ পরিপূর্ণ করে দিবে!! যেরকম ধারণা কোন কোন ব্যাক্তিকে আত্মতৃপ্ত ও সুরভিত করে।
না...না!! দ্বীন-ইসলামের পথ কক্ষনো এমন নয়!! --বরং তা চেষ্টা-সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও জিহাদের নাম -যা চলবে দোলনা থেকে নিয়ে কবর পর্যন্ত তথা আজীবন।
মুসলিমরা তো প্রকৃত শান্তির খোঁজ একমাত্র জান্নাতে পাবে -এবিষয়টি উপলব্ধি করা যায় ঐ আয়াত থেকে যেই আয়াতে আল্লাহ তা'আলাতাঁর বান্দাদের সাথে ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা করেছেন।
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ
إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
অর্থাৎ আল্লাহ তায়া’লা মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহে অতঃপর তারা (শত্রুদের'কে) হত্যা করে ও (নিজেরা শত্রুর হাতে) নিহত হয়। তওরাত ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল, প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহর চাইতে শ্রেষ্ঠ আর কে আছে? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর -যা তোমরা করেছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহা সাফল্যতা। (সূরা তাওবা আঃ/১১১)
অতএব ক্রয়-বিক্রয় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে এবং চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে, তাই তাতে কোন ধরনের ক্রুটি করার সুযোগ নেই এবং নেই প্রত্যাহারের সুযোগ। আল্লাহ তা'আলা তো অবশ্যই নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেনই -তাতে কোন সন্দেহ নেই। অতএব এখন উচিত হলো বিক্রেতা তার দেওয়া স্বীয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। নতুবা ফলাফল আসবে জিরু...
উপরোক্ত বিষয়টি যদি আমরা ভালোভাবে অনুধাবন করে থাকি -তাহলে নিম্নোক্ত হাদীসের মর্মটি বুঝতে আমরা সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ হাদীসটি হলো;
রাসুল (সঃ) বলেনঃ
إنما الناس كالإبل المائة لا تكاد تجدُ فيها راحلة.
হাদিসের মর্ম হলো; নিশ্চয়ই মানুষ এমন একশোটি উটের ন্যায় যেগুলোর মধ্যে হতে আরোহন যোগ্য একটি উট পাওয়া যাওয়া ও দুষ্কর। (বুখারী হাঃ/৬৪৯৮ মুসলিম হাঃ/২৫৪৭)
অর্থাৎ এমন একটি বাহন যেটি সফরের কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করতে পারে এবং শেষ গন্তব্যে পৌছাতে পারে। তদ্রূপ মানুষের অবস্থাও এমন -শতে'র মধ্যে একজন পরিপূর্ণ গুণ বিশিষ্ট যোগ্য ব্যাক্তি পাওয়া যাওয়া-ও কষ্টকর।
ই'দাদের ২য় প্রকার নিয়ে পরবর্তী পর্বে লেখা হবে ইনশাআল্লাহ...
চলবে ইনশাআল্লাহ....
ই'দাদ এর সংজ্ঞাঃ
ই'দাদ বলা হয়, শরীয়তের কাঙ্খিত গুরুত্বপূর্ণ স্তরে পৌঁছার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত বা দলগত প্রস্তুতি উন্নতিকরণ, চাই সেটা বিশেষ কোনো প্রস্তুতি হোক কিংবা সাধারণ, অতএব তাতে (উক্ত সংজ্ঞায়) ইদাদে মা'নাবী তথা নৈতিক প্রস্তুতি ও ইদাদে মাদ্দী তথা বৈষয়িক প্রস্তুতি উভয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে।
এবার প্রত্যেক প্রকারের আলাদা আলাদা বিবরণ আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
১। ই'দাদে মানবীঃ (নৈতিক প্রস্তুতি) তা হলো তিন ধরন/প্রকারের প্রস্তুতি; চাই ব্যক্তিগত হোক কিংবা দলগতঃ
১। ঈমানী (বিশ্বাস)
২। ফিক্বহী (তাত্ত্বিক)
৩। ফিকরী (বৌদ্ধিক)
এই তিন প্রকার প্রস্তুতি এমন -যেগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তি বা জামাত দ্বীনের সঠিক লক্ষ্যের দিকে অগ্রগতি হতে পারবে এবং তার চরিত্র মিশন সঠিক করতে পারবে -এমনকি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টিকারীদের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করা-ও (তার জন্য) সম্ভবপর হবে ইনশাআল্লাহ।
এই (তিন প্রকারের) ইদাদে মানবী পথিক'কে তার ভ্রমণের পরিণতি সহ্য করতে সাহায্য করে এমনকি রাস্তার কষ্ট ও দৈর্ঘ্যতাকে তার জন্য লাঘব করে দেয়।
এমন বহু লোক রয়েছেন যারা ই'দাদের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটিকে তুচ্ছ মনে করে -যার দরুন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, সেসব লোকেরা রাস্তার প্রথমাংশ বা মাঝের অংশেই ঝরে যায় এবং তারা (শত্রু কর্তৃক) খননকৃত ছোট ছোট গর্তেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।
সেসব লোক যখনই ছোটখাটো কোনো বিপদের সম্মুখীন হয় তখনই তাদেরকে দেখা যায় যে, তারা আত্মসমর্পণ ও অনুগত নামক লাঞ্চনার ঝান্ডা উঁচু করে বসে এবং পাপীষ্ঠ জালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ে, আর (নিজেদের চেহারা আবৃত কারার জন্য) তাদের সামনে আনুগত্য ও বন্ধুত্বের আয়াতসমূহ'কে ঢাল সরূপ পেশ করে থাকে।
ইসলামের পথ তো শুধু নির্দিষ্ট কিছু সময় চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও ত্যাগকে সমর্থন করে না! বিষয়টি তো এমন নয় যে, কিছু সময় চেষ্টা-সংগ্রাম করার পর আরাম-আয়েশ ও অবসাদ এর দিকে নিজেকে করা হবে! তারপর নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আত্মতৃপ্তির ঢেকুর ফেলবে যে, আমার কাঙ্ক্ষিত দায়িত্ব পালন করা হয়ে গেছে ব্যাস! এখন বাকিরা এসে আমার পথ ও ভ্রমণ পরিপূর্ণ করে দিবে!! যেরকম ধারণা কোন কোন ব্যাক্তিকে আত্মতৃপ্ত ও সুরভিত করে।
না...না!! দ্বীন-ইসলামের পথ কক্ষনো এমন নয়!! --বরং তা চেষ্টা-সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও জিহাদের নাম -যা চলবে দোলনা থেকে নিয়ে কবর পর্যন্ত তথা আজীবন।
মুসলিমরা তো প্রকৃত শান্তির খোঁজ একমাত্র জান্নাতে পাবে -এবিষয়টি উপলব্ধি করা যায় ঐ আয়াত থেকে যেই আয়াতে আল্লাহ তা'আলাতাঁর বান্দাদের সাথে ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা করেছেন।
আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ
إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
অর্থাৎ আল্লাহ তায়া’লা মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহে অতঃপর তারা (শত্রুদের'কে) হত্যা করে ও (নিজেরা শত্রুর হাতে) নিহত হয়। তওরাত ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল, প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহর চাইতে শ্রেষ্ঠ আর কে আছে? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর -যা তোমরা করেছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহা সাফল্যতা। (সূরা তাওবা আঃ/১১১)
অতএব ক্রয়-বিক্রয় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে এবং চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে, তাই তাতে কোন ধরনের ক্রুটি করার সুযোগ নেই এবং নেই প্রত্যাহারের সুযোগ। আল্লাহ তা'আলা তো অবশ্যই নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেনই -তাতে কোন সন্দেহ নেই। অতএব এখন উচিত হলো বিক্রেতা তার দেওয়া স্বীয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। নতুবা ফলাফল আসবে জিরু...
উপরোক্ত বিষয়টি যদি আমরা ভালোভাবে অনুধাবন করে থাকি -তাহলে নিম্নোক্ত হাদীসের মর্মটি বুঝতে আমরা সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ হাদীসটি হলো;
রাসুল (সঃ) বলেনঃ
إنما الناس كالإبل المائة لا تكاد تجدُ فيها راحلة.
হাদিসের মর্ম হলো; নিশ্চয়ই মানুষ এমন একশোটি উটের ন্যায় যেগুলোর মধ্যে হতে আরোহন যোগ্য একটি উট পাওয়া যাওয়া ও দুষ্কর। (বুখারী হাঃ/৬৪৯৮ মুসলিম হাঃ/২৫৪৭)
অর্থাৎ এমন একটি বাহন যেটি সফরের কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করতে পারে এবং শেষ গন্তব্যে পৌছাতে পারে। তদ্রূপ মানুষের অবস্থাও এমন -শতে'র মধ্যে একজন পরিপূর্ণ গুণ বিশিষ্ট যোগ্য ব্যাক্তি পাওয়া যাওয়া-ও কষ্টকর।
ই'দাদের ২য় প্রকার নিয়ে পরবর্তী পর্বে লেখা হবে ইনশাআল্লাহ...
চলবে ইনশাআল্লাহ....
Comment