গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম ই'দাদের শরয়ী হুকুম ও ই'দাদের প্রকারভেদ নিয়ে। আর এই পর্বে আলোচনা করবো ই'দাদ কার উপর কি পরিমাণ অর্জন করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ। ওয়ামা তাওফিক্বি ইল্লা-বিল্লাহ।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে কার উপর "ই'দাদ" ফরজ বা আবশ্যক??
তার উত্তরে আমি বলবো; যে, প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির উপর ই'দাদ আবশ্যক যার ওপর জিহাদ করা আবশ্যক।
যদি বলা হয় কি পরিমাণ ইদাদ গ্রহণ করা আবশ্যক??
তার উত্তরে বলবো; কেউ যদি তার শক্তি ও সাধ্যের সর্বোচ্চ স্তরে গিয়ে পৌঁছে যার দ্বারা উপকৃত হতে পারে -তখন বলা হবে যে, তার উপর অর্পিত ই'দাদের দায়িত্ব পালন হয়েছে। তবে কাউকে সাধ্যের বাহিরে শক্তি অর্জনে বাধ্য করা হয়নি কেননা, আল্লাহ তালা কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না।
যেমনটা তিনি স্বয়ং ই'দাদের ব্যাপারে বলেছেনঃ
وأعدوا لهم ما استطعتم من قوة
অর্থাৎ তোমরা নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী জিহাদের জন্য শক্তি সঞ্চার করো।
এখানে সাধ্যানুযায়ী শক্তি অর্জনের ব্যাপারে বলা হয়েছে -সাধ্যের বাহিরে গিয়ে করতে বলা হয়নি...
অতএব প্রত্যেকের কর্তব্য হলো; নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
যদি কোন ব্যক্তির নিকট জিহাদের উদ্দেশ্যে একশত টাকা জমা করার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পঞ্চাশ টাকা জমা করলো -তাহলে বলা হবে সে বাকি পঞ্চাশ টাকার (কমতি করার কারনে) ক্ষেত্রে গুনাগার হবে। কারণ সে সাধ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি... আর এটাই পঞ্চাশ এবং একশত এর মধ্যে পার্থক্য।
তদ্রূপ কোন ব্যক্তি নিকট মেশিনগান বা ভারী অস্ত্র দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করার সক্ষমতা থাকা সত্বেও শুধু মাত্র সে পিস্তল দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করলো -তাহলে সে পিস্তল ও মিশনগান এর মাঝে পার্থক্য অনুযায়ী গোনাহগার হবে অর্থাৎ উভয়ের মাঝে যে পরিমাণের ব্যবধান সে পরিমাণ গুনাহগার হবে...
আর কোন ব্যক্তি যদি জান-মাল উভয়টি দিয়ে প্রস্তুতি অর্জনে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও শুধু মাত্র মাল দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করলো -তাহলে সে জান দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ না করে অবহেলা করার কারণে গুনাহগার হবে, ঠিক তদ্রুপ তার বিপরীত সুরতেও গুনাহগার হবে অর্থাৎ শুধু জান দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করলো মাল দ্বারা করলো না...
ইমামগণ তাদের কিতাবে এইরূপই উল্লেখ করেছেন।
সাইয়্যেদ কুতুব (রহঃ) তার স্বীয় তাফসীর গ্রন্থ "তাফসিরু ফি যিলালিল কোরআন" এর ৩/১৫৪৩ নং পৃষ্ঠায় বলেনঃ
"সক্ষমতা অনুযায়ী শক্তি অর্জন একটি আবশ্যকীয় বিষয় -যা জিহাদের ফরিজার সহিত ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এবং কোরআন সুন্নাহও বিভিন্ন উপায়-উপকরণের মাধ্যমে শক্তি অর্জনের আদেশ প্রদান করে নিজ নিজ সর্বোচ্চ ক্ষমতার সীমা পর্যন্ত।
-এমনকি মুসলমানদের একটি দলও শক্তি অর্জনের কোন একটা উপায়-উপকরণ থেকে পিছিয়ে থাকতে পারেনা যতটুকু তার সাধ্যের গন্ডিতে রয়েছে।"
এখন প্রশ্ন আসতে পারে কার উপর "ই'দাদ" ফরজ বা আবশ্যক??
তার উত্তরে আমি বলবো; যে, প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির উপর ই'দাদ আবশ্যক যার ওপর জিহাদ করা আবশ্যক।
যদি বলা হয় কি পরিমাণ ইদাদ গ্রহণ করা আবশ্যক??
তার উত্তরে বলবো; কেউ যদি তার শক্তি ও সাধ্যের সর্বোচ্চ স্তরে গিয়ে পৌঁছে যার দ্বারা উপকৃত হতে পারে -তখন বলা হবে যে, তার উপর অর্পিত ই'দাদের দায়িত্ব পালন হয়েছে। তবে কাউকে সাধ্যের বাহিরে শক্তি অর্জনে বাধ্য করা হয়নি কেননা, আল্লাহ তালা কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না।
যেমনটা তিনি স্বয়ং ই'দাদের ব্যাপারে বলেছেনঃ
وأعدوا لهم ما استطعتم من قوة
অর্থাৎ তোমরা নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী জিহাদের জন্য শক্তি সঞ্চার করো।
এখানে সাধ্যানুযায়ী শক্তি অর্জনের ব্যাপারে বলা হয়েছে -সাধ্যের বাহিরে গিয়ে করতে বলা হয়নি...
অতএব প্রত্যেকের কর্তব্য হলো; নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
যদি কোন ব্যক্তির নিকট জিহাদের উদ্দেশ্যে একশত টাকা জমা করার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পঞ্চাশ টাকা জমা করলো -তাহলে বলা হবে সে বাকি পঞ্চাশ টাকার (কমতি করার কারনে) ক্ষেত্রে গুনাগার হবে। কারণ সে সাধ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি... আর এটাই পঞ্চাশ এবং একশত এর মধ্যে পার্থক্য।
তদ্রূপ কোন ব্যক্তি নিকট মেশিনগান বা ভারী অস্ত্র দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করার সক্ষমতা থাকা সত্বেও শুধু মাত্র সে পিস্তল দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করলো -তাহলে সে পিস্তল ও মিশনগান এর মাঝে পার্থক্য অনুযায়ী গোনাহগার হবে অর্থাৎ উভয়ের মাঝে যে পরিমাণের ব্যবধান সে পরিমাণ গুনাহগার হবে...
আর কোন ব্যক্তি যদি জান-মাল উভয়টি দিয়ে প্রস্তুতি অর্জনে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও শুধু মাত্র মাল দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করলো -তাহলে সে জান দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ না করে অবহেলা করার কারণে গুনাহগার হবে, ঠিক তদ্রুপ তার বিপরীত সুরতেও গুনাহগার হবে অর্থাৎ শুধু জান দ্বারা প্রস্তুতি গ্রহণ করলো মাল দ্বারা করলো না...
ইমামগণ তাদের কিতাবে এইরূপই উল্লেখ করেছেন।
সাইয়্যেদ কুতুব (রহঃ) তার স্বীয় তাফসীর গ্রন্থ "তাফসিরু ফি যিলালিল কোরআন" এর ৩/১৫৪৩ নং পৃষ্ঠায় বলেনঃ
"সক্ষমতা অনুযায়ী শক্তি অর্জন একটি আবশ্যকীয় বিষয় -যা জিহাদের ফরিজার সহিত ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এবং কোরআন সুন্নাহও বিভিন্ন উপায়-উপকরণের মাধ্যমে শক্তি অর্জনের আদেশ প্রদান করে নিজ নিজ সর্বোচ্চ ক্ষমতার সীমা পর্যন্ত।
-এমনকি মুসলমানদের একটি দলও শক্তি অর্জনের কোন একটা উপায়-উপকরণ থেকে পিছিয়ে থাকতে পারেনা যতটুকু তার সাধ্যের গন্ডিতে রয়েছে।"