রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নবুওয়ত লাভ করেছিলেন তখন পৃথিবীতে কোন মুসলমান ছিলো না। তবে কিছু কিছু লোক শিরক থেকে বিরত ছিল।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমেই ইসলামের যাত্রা শুরু। মক্কায় তিনি দাওয়াত দিয়েছেন। কিছু লোক ইসলাম গ্রহন করেছে... মক্কায় জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে- ধৈর্য ধরেছে প্রতিবাদ করেনি কারন তখন প্রতিবাদ করার মত শক্তি অর্জন হয়নি । এছাড়া মক্কায় যতদিন আম্মাজান খাদিজা রা. ও নবীজী স. ওয়ে চাচা আবু তালেব বেচে ছিলেন তখন তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেন। এমনকি নবীজীর গোত্র তার জন্য তার জন্য তিন বছর পর্যন্ত অন্যান্য গোত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জেল বন্দি থেকেছেন।
কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মক্কায় প্রোটেকশন দেওয়ার মত লোক আর রইলো না। আম্মাজান খাদিজা রা ও আবু তালেব মারা গেলেন তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করলেন? সিরাতের এই পয়েন্ট টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ...
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বিভিন্ন গোত্রের কাছে কাছে প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য...গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টা নোট করুন- ঐ মুহূর্তে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিরাপত্তা দেয়া মানে কুরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা...
আপনারা সিরাত পড়ার সময় এই জায়গাটায় একটু মনযোগ দিয়ে পড়লে জানতে পারবেন তায়েফে রাসূল সা. তাকে নিরাপত্তা দেওয়া ও ইসলাম গ্রহনের জন্য আহবান করতে গিয়েছিলেন। তারা উলটা জুলুম করেছে। কিন্তু কিছু গোত্রের কাছে এই প্রস্তাব দেওয়ার পর তারা আসন্ন যুদ্ধের কথা বিবেচনা করে উল্টা প্রস্তাব দিয়েছে যে রাসূল সা এর মৃত্যুর পরে ক্ষমতা তাদের বংশের হাতে থাকবে... কিন্তু রাসূল সা এই প্রস্তাব মেনে নেননি।
ভালভাবে খেয়াল করলে দেখবেন রাসূল সা মক্কা থেকে মদিনার হিজরতের পূর্ব মুহূর্তে একটা আশ্রয়স্থল খুঁজেছেন! এমন কোন গোত্র ও বনশ খুজতেছিলেন যারা রাসূল সা কে নিরাপত্তা দিবে এবং কোরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে...
এই প্রস্তাবে একমাত্র মদিনার দুই গোত্র রাজি হয়েছিল। তারা প্রতিদান হিসেবে জান্নাত চেয়েছিল। দুনিয়াবি কোন ক্ষমতা নয়।
রাসূল সা যখন মদিনায় হিজরত করলেন তখন আসন্ন যুদ্ধের কথা বিবেচনা করে মদিনার অন্যান্য গোত্র ও আশেপাশের গোত্রগুলোর সাথে চুক্তি করে ফেললেন এবং কোরাইশদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করলেন...
অর্থাৎ কোরাইশদের সাথে যুদ্ধের সকল প্রস্তুতিই রাসূল সা হিজরতের পরে নিয়ে রেখেছিলেন এবং বদর যুদ্ধের পূর্বে কিছু অভিযানও তিনি পরিচালনা করেন...
এখান থেকে আমাদের জন্য শিক্ষনীয় অনেক বিষয় রয়েছে-
পূর্বে আক্রমণ করাই সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষাঃ
আপনি যদি কোন শত্রু থেকে আত্মরক্ষা করেতে চান তবে আগে আক্রমণ করা জানতে হবে। যাতে শত্রু প্রস্তুতি নিয়ে তার প্ল্যান মত যুদ্ধ করার সুযোগ না পায়। যুদ্ধে যারা আগে আক্রমণ করে সাধারনত যুদ্ধ তাদের নিয়ন্ত্রনেই থাকে।
মক্কী এবং মাদানি যুগ নিয়ে আমাদের এই কারনে বিশ্লেষন করা দরকার যাতে আমরা রাসূলের কৌশল বুঝতে পারি। কিন্তু ফিকহের বিধান বের করা আমজনতার কাজ না...এগুলো মুজতাহিদরা আগেই করে রেখে গিয়েছেন
রাসূল সা. দাওয়াতি কাজ করেছেন- ধৈর্য ধরেছেন। কিছু শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার পর যুদ্ধও শুরু করেছেন। শরিয়ত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
এখন আমাদের শুরু থেকে দাওয়াত দিতে হবেনা। কারন পৃথিবীতে অলরেডি দেড়শোকোটি মুসলমান রয়েছে...এমন অনেক ভূমি রয়েছে যা মুসলমানদের আত্মরক্ষার জন্য উপযোগী...
এই মুহূর্তে জিহাদ ফরযে আইন, এই বিধানের বিরুদ্ধে মক্কী মাদানী যুগ কপচানোর দরকার পরেনা। বরং এখন নামাজ রোজার মতই জিহাদের বিধানের উপর আমল করার সময়...
.
--সংগ্রহীত
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমেই ইসলামের যাত্রা শুরু। মক্কায় তিনি দাওয়াত দিয়েছেন। কিছু লোক ইসলাম গ্রহন করেছে... মক্কায় জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে- ধৈর্য ধরেছে প্রতিবাদ করেনি কারন তখন প্রতিবাদ করার মত শক্তি অর্জন হয়নি । এছাড়া মক্কায় যতদিন আম্মাজান খাদিজা রা. ও নবীজী স. ওয়ে চাচা আবু তালেব বেচে ছিলেন তখন তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেন। এমনকি নবীজীর গোত্র তার জন্য তার জন্য তিন বছর পর্যন্ত অন্যান্য গোত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জেল বন্দি থেকেছেন।
কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মক্কায় প্রোটেকশন দেওয়ার মত লোক আর রইলো না। আম্মাজান খাদিজা রা ও আবু তালেব মারা গেলেন তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করলেন? সিরাতের এই পয়েন্ট টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ...
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বিভিন্ন গোত্রের কাছে কাছে প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য...গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টা নোট করুন- ঐ মুহূর্তে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিরাপত্তা দেয়া মানে কুরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা...
আপনারা সিরাত পড়ার সময় এই জায়গাটায় একটু মনযোগ দিয়ে পড়লে জানতে পারবেন তায়েফে রাসূল সা. তাকে নিরাপত্তা দেওয়া ও ইসলাম গ্রহনের জন্য আহবান করতে গিয়েছিলেন। তারা উলটা জুলুম করেছে। কিন্তু কিছু গোত্রের কাছে এই প্রস্তাব দেওয়ার পর তারা আসন্ন যুদ্ধের কথা বিবেচনা করে উল্টা প্রস্তাব দিয়েছে যে রাসূল সা এর মৃত্যুর পরে ক্ষমতা তাদের বংশের হাতে থাকবে... কিন্তু রাসূল সা এই প্রস্তাব মেনে নেননি।
ভালভাবে খেয়াল করলে দেখবেন রাসূল সা মক্কা থেকে মদিনার হিজরতের পূর্ব মুহূর্তে একটা আশ্রয়স্থল খুঁজেছেন! এমন কোন গোত্র ও বনশ খুজতেছিলেন যারা রাসূল সা কে নিরাপত্তা দিবে এবং কোরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে...
এই প্রস্তাবে একমাত্র মদিনার দুই গোত্র রাজি হয়েছিল। তারা প্রতিদান হিসেবে জান্নাত চেয়েছিল। দুনিয়াবি কোন ক্ষমতা নয়।
রাসূল সা যখন মদিনায় হিজরত করলেন তখন আসন্ন যুদ্ধের কথা বিবেচনা করে মদিনার অন্যান্য গোত্র ও আশেপাশের গোত্রগুলোর সাথে চুক্তি করে ফেললেন এবং কোরাইশদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করলেন...
অর্থাৎ কোরাইশদের সাথে যুদ্ধের সকল প্রস্তুতিই রাসূল সা হিজরতের পরে নিয়ে রেখেছিলেন এবং বদর যুদ্ধের পূর্বে কিছু অভিযানও তিনি পরিচালনা করেন...
এখান থেকে আমাদের জন্য শিক্ষনীয় অনেক বিষয় রয়েছে-
পূর্বে আক্রমণ করাই সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষাঃ
আপনি যদি কোন শত্রু থেকে আত্মরক্ষা করেতে চান তবে আগে আক্রমণ করা জানতে হবে। যাতে শত্রু প্রস্তুতি নিয়ে তার প্ল্যান মত যুদ্ধ করার সুযোগ না পায়। যুদ্ধে যারা আগে আক্রমণ করে সাধারনত যুদ্ধ তাদের নিয়ন্ত্রনেই থাকে।
মক্কী এবং মাদানি যুগ নিয়ে আমাদের এই কারনে বিশ্লেষন করা দরকার যাতে আমরা রাসূলের কৌশল বুঝতে পারি। কিন্তু ফিকহের বিধান বের করা আমজনতার কাজ না...এগুলো মুজতাহিদরা আগেই করে রেখে গিয়েছেন
রাসূল সা. দাওয়াতি কাজ করেছেন- ধৈর্য ধরেছেন। কিছু শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার পর যুদ্ধও শুরু করেছেন। শরিয়ত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
এখন আমাদের শুরু থেকে দাওয়াত দিতে হবেনা। কারন পৃথিবীতে অলরেডি দেড়শোকোটি মুসলমান রয়েছে...এমন অনেক ভূমি রয়েছে যা মুসলমানদের আত্মরক্ষার জন্য উপযোগী...
এই মুহূর্তে জিহাদ ফরযে আইন, এই বিধানের বিরুদ্ধে মক্কী মাদানী যুগ কপচানোর দরকার পরেনা। বরং এখন নামাজ রোজার মতই জিহাদের বিধানের উপর আমল করার সময়...
.
--সংগ্রহীত
Comment