Announcement

Collapse
No announcement yet.

❝তাকফীরের ব্যাপারে সতর্ক হোন❞ || শাইখ আবু হামজা আল মিশরী হাফি: || ধারাবাহিক পর্ব || পর্ব-১ ||

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ❝তাকফীরের ব্যাপারে সতর্ক হোন❞ || শাইখ আবু হামজা আল মিশরী হাফি: || ধারাবাহিক পর্ব || পর্ব-১ ||

    ❝তাকফীরের ব্যাপারে সতর্ক হোন❞ || শাইখ আবু হামজা আল মিশরী হাফি: || ধারাবাহিক পর্ব || পর্ব-১ ||
    ইমাম দাহহাক (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "যে কেউ একজন মুমিনকে লানত করলো, সে যেন তাকে হত্যা করলো। আর যে কেউ কোন মুমিন এর উপর কুফর এর অভিযোগ আনলো, সে যেন তাকে হত্যা করলো।”
    (ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন)
    البخاري (6104) ومسلم (60) عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما أن ففي النبي صلى الله صح بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا ) وفي رواية : ( إن كَانَ كَمَا قَالَ ، وَإلا عليه وسلم قال : ( إِذَا كَفَّرَ الرَّجُلُ أَخَاهُ فَقَد ( رَجَعَتْ عَلَيهِ
    আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি তার ভাইকে কাফির বলে সম্বোধন করে, তবে সেটা তাদের যে কোন একজনের উপর বর্তাবে। অন্যত্র বলা হয়েছেঃ “যদি তার কথা ঠিক হয় (ঐ ব্যক্তি
    কাফির হয়, তাহলে তো হলো) আর তা না হলে এটা তার দিকে ফিরে আসবে”। (সহীহ বুখারী ৬১০৪ এবং সহীহ মুসলিম – ৬০)
    -

    কুফর কি এবং কাফের কে?

    তাকফীর কি এবং এর প্রকারভেদ।

    তাকফীরের প্রতিবন্ধকতা সমূহ কি কি?

    তাকফীর ও মুমিনদের প্রতি সন্দেহ।

    যে পার্লামেন্টে (সংসদে) যোগদান করে, তার
    ক্ষেত্রে হুকুম।

    যে ব্যক্তি ভোটদান কাজের সাথে জড়িত।

    কুফরী কাজ এবং যে ব্যক্তি কাজটি করছে - তাদের মাঝে পার্থক্য।

    তাকফীর বিষয়টির ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদ্ধতি।

    কাফের সৈনিক অথবা বর্তমান মুসলমান দেশের সেনাবাহিনী থেকে সাহায্য নেয়ার ক্ষেত্রে হুকুম।

    তাওয়ীল ও জুহুল এবং এগুলো তাকফীরের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হওয়ার কারণ।

    তাকফীর এর ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহ এর নীতি।

    এই ধারণা করা যে - বর্তমানে বেশীরভাগ মুসলমানই কাফের: অল্প কিছু মুসলমান আমলকারী আর ৯৫% মুসলমানই কাফের!!!

    মুখবন্ধ
    প্রিয় মুসলমান ভাই ও বোনেরা, এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হচ্ছে মুসলমানদেরকে ভবিষ্যত কিছু সমস্যার ব্যাপারে সতর্ক করার একটি ধাপ৷ যে সকল বিষয় এই উম্মাতের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সে সকল বিষয় সম্পর্কে এই উম্মাতকে সতর্ক করা সামর্থ্যবান সকল মুসলমানের জরুরি কর্তব্য৷
    বিগত কিছু বছর ধরে এই উম্মাতের মধ্যে আবার ‘তাকফীরী চিন্তাধারা' প্রসার লাভ করেছে৷ যার ফলাফল হলো: একে অন্যের উপর অযাচিত আক্রমণ করা, আহত করা, স্বামী-স্ত্রীর দু'জন বা যে কোন একজনের অনুমতি ছাড়া বাধ্যতামূলক বিবাহ-বিচ্ছেদ, প্রকৃত ওয়ালী (অভিভাবক) বাদ দিয়ে নিজে থেকে মুসলমান বোনদের জন্য ওয়ালী নিযুক্ত করা কিংবা হারাম কাজে অর্থ যোগান দেয়ার জন্য মাদক দ্রব্য কেনাবেচা করার মতো জঘন্য কর্মকান্ড৷
    কিন্তু সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হয়েছে তা হলো তাকফীর এর ক্ষেত্রে “আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহ” এর সুস্পষ্ট ও সুপ্রতিষ্ঠিত নীতিসমূহকে সাধারণ মুসলমানদের জন্য অস্পষ্ট করে ফেলা৷ আর ইহা করার কারণেই উপরে উল্লিখিত কাজগুলি করা সম্ভব হয়েছে৷ তাই মুসলমানদের কল্যাণ ও নিরাপত্তার জন্য এখন তাকফীরের ক্ষেত্রে ভুলগুলি সবার সামনে সুষ্পষ্ট করে তুলে ধরা জরুরি হয়ে পড়েছে।
    ***
    টীকা
    ১) শাইখ আবু হামজা আল মিশরী (আল্লাহ তাকে কাফেরদের হাত থেকে মুক্ত করুন) রচিত "Be Aware of Takfir" বইটির গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য ও কার্যকর অংশসমূহ নিয়ে এই পুস্তিকাটি সাজানো হয়েছে।
    লেখনিতে --- Salih Adnan

  • #2
    3544 - حدثنا محمد بن عبد الله بن عبد الحكم , قال : ثنا إسماعيل بن مرزوق , قال : ثني يحيى بن أيوب أن زيد بن أسلم كان يقول في قوله : { لا يؤاخذكم الله باللغو في أيمانكم } مثل قول الرجل : هو كافر وهو مشرك , قال : لا يؤاخذه حتى يكون ذلك من قلبه
    আমাদেরকে মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল হাকিম হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আমাদেরকে ইসমাইল বিন মারজুক হাদিস বর্ণনা করেছেন আমাদেরকে ইহাহইয়াহ বিন আইয়ুব হাদিস বর্ণনা করেছেন নিশ্চই জায়েদ ইবনে আসলাম আল্লাহ তায়ালার উক্ত কথার ব্যাখ্যায় বলে থাকেন ( আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে নিরর্থক শপথ সম্পর্কে পাকড়াও করবেন না) এটার উদাহরণ হল যেমন কেউ কাউকে বলল হে কাফের। হে মুশরিক। তিনি বলেন আল্লাহ তায়ালা কাউকে এর জন্য পাকড়াও করবেন না। যতক্ষন পর্যন্ত এটা অন্তর থেকে না হবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X