গণতান্ত্রিক নির্বাচণী পদ্ধতিতে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম কায়েম? একটি দুঃস্বপ্ন
نحمده و نصل علي رسوله الكريم
نحمده و نصل علي رسوله الكريم
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ فِي مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍ ۙ فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
(3:سورة المائدة)
(3:سورة المائدة)
(আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। -সুরা মায়েদা: ৩)
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। যুগ যুগ ধরে এটাই প্রমাণিত যখন সত্য আসে তখন মিথ্যা ধ্বংস হয়। আর এটাই প্রতিষ্ঠিত সত্য যেমনটা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছন।
وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ۚ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا (٨١)
বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।
আল্লাহর দ্বীন পূর্ণাঙ্গ। আর পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের সাথে নতুন করে কোন কিছু যোগ করার বা দ্বীন থেকে কোন কিছু বাদ দেওয়ার অবকাশ নেই। তাই দ্বীন কায়েমের পথ ও পন্থা কী হবে, সেটাও আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত।
কেউ যদি দ্বীন কায়েমের পথ ও পন্থা খুঁজে না পায়, সেটা দ্বীনের অপূর্ণতা নয় বরং তার ব্যর্থতা। সুতরাং যদি কেউ ইসলামী গণতন্ত্রের নাম দিয়ে দ্বীন কায়েমের নতুন কোন পথ আবিষ্কার করতে চায়, তবে তা হবে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও বর্জনীয় এবং তা দ্বীনের পূর্ণাঙ্গতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
আজ ইসলামী গণতান্ত্রিক দলগুলোর ব্যর্থতা সুস্পষ্ট। তারা বিভিন্ন ব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে দ্বীন কায়েমের যে নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতে চেয়েছিল তা আজ মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে। সত্য আজ স্পষ্ট আর মিথ্যা ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। দিকে দিকে উড়তে শুরু করেছে মুসলিমদের বিজয় নিশান। উম্মাহর সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে,এই গণতান্ত্রিক নির্বাচণী পদ্ধতিতে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম কায়েম তো অনেক দূরের বিষয়, ক্ষমতায় যাওয়াটাই দিবা স্বপ্ন। যার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত বর্তমান সময়ের মেয়র নির্বাচন। এমন হাজারো দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে আছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে, এগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া। দ্বীনের সহীহ মানহাজে ফিরে আসা।
এ ঘটনা শুধুমাত্র নির্বাচন কেন্দ্রিক কোন ঘটনা নয়, এ ঘটনা আমাদেরদকে আগামী দিনের ভয়াবহ পরিস্থিতির আগাম বার্তা দেয়। তাই এখনও সময় আছে গণতন্ত্রের মিথ্যা আশ্বাস থেকে বের হয়ে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে, আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে তাওহিদের কাফেলায় শরীক হওয়ার। অতীতের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার, পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের পরিপূর্ণ অনুসরণ করে নিজেকে ধন্য করার।
আল্লাহ আমাকে সহ সকলকে সঠিকভাবে বুঝার এবং মানার তাওফিক দান করুন। আমীন।
Comment