Announcement

Collapse
No announcement yet.

গাজওয়াতুল হিন্দের প্রস্তুতি !

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গাজওয়াতুল হিন্দের প্রস্তুতি !

    গাজওয়াতুল হিন্দের প্রস্তুতি !


    রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে গোটা হিন্দুস্তান বিজয় এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন

    এবং এই জি*হা*দে শরিক হওয়ার মর্যাদাও আমাদেরকে জানিয়েছেন ।

    রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোলাম ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

    রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইব্‌ন মারিয়াম (আঃ)-এর সঙ্গে থাকবে।

    সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৭৫
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

    সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখতে পারছি মুসলিমদের উপর কিভাবে কাফির হি*ন্দু*ত্ব*বাদিরা নির্যাতন চালাচ্ছে ।
    ইন শা আল্লাহ্ , খুব শীঘ্রই মু*জা*হি*দরা ওদের প্রতিরোধ করবে ।

    আসুন আমরাও প্রস্তুতি নেই । আল্লাহ আমাদেরকে গাজওয়াতুল হিন্দের বরকতময় জি*হা*দে শরীক হওয়ার তৌফিক দিন ,

    এক্ষুনিই জি/হাদের ময়দানে যাওয়া আপনার জন্য সম্ভব হচ্ছেনা??
    এটুকু কাজ তো করতে পারেন ভাই,
    অন্তত: মুজা/হিদদের নিউজ গুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিন।
    জনগনকে অবহিত করুন মুজা/হিদদের ব্যাপারে।
    পরাজিত হতে হতে মুসলমান আজ নিজেদের শক্তি সম্পর্কে ভুলতে বসেছে।
    আফগানের ইসলামি রাষ্ট্র, সোমালিয়া,মালি,নাইজেরিয়ায় মুজা/হিদদের বিজয়ের বার্তা গুলো পৌঁছে দিন।।
    মুজাহিদদের অডিও,ভিডিও লেকচার, বই পত্র গুলো পড়তে সহযোগিতা করুন।
    আপনার বাড়ি,আপনার এলাকা,আপনার,জেলার মানুষ হয়তো মুজাহিদদেরকে চিনেইনা,আল্লাহ আপনাকে চেনার তাওফিক দিয়েছেন এখন আপনি অন্যদের জানান।।
    গেরিলা যুদ্ধের জন্য জনসমর্থন হচ্ছে মাছের জন্য পানি যেমন।।

    গাজওয়াতুল হিন্দ শুরু হওয়ার আগেই আমাদের করণীয় :
    শায়খ আবূ উমামা হাফিজাহুল্লাহ।

    গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য প্রস্ততি নিন। বর্তমান সারা বিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতিত। অসহায়ের মতো মার খাচ্ছে সর্বত্র। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, আমরা খুব শীঘ্রই সে প্রতিশ্রুত মালহামা ও গাজওয়াতুল হিন্দের দিকেই যাচ্ছি। রাসুলুল্লাহ সা.-এর ভবিষ্যৎবাণী করা এই দুটি যুদ্ধে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বিলুপ্ত হবার আশংকা রয়েছে। তাই ধরে নিবেন আপনিও তাদের মধ্যে একজন হতে পারেন। আর যদি বেঁচেও যান, তবুও প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাহলে আশা করা যায়, কল্যাণের পথে ধাবিত হবেন। মনে রাখবেন, সবাই কিন্তু যুদ্ধে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে না। তাই বলে তারা কি বেঁচে থাকবে না? সুতরাং এই ফিতনাপূর্ণ যুদ্ধে বেঁচে থাকারও প্রয়োজন আছে। গত কয়েকদিন আগে আপনারা জেনেছেন রাশিয়া তার দেশের প্রায় চার কোটি নাগরিকদের ট্রেনিং করিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কিভাবে নিজেদের সেফ রাখবে এবং তাদের জন্য মাথাপিছু খাদ্যও বরাদ্দ করা আছে। তলে তলে পরাশক্তিগুলো ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, তাহলে আমরা অজ্ঞ থাকব কোন ভরসায়? আমাদের উচিত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যুদ্ধের অপেক্ষা করা।
    একদিকে সিরিয়ায় শুরু হয়ে যাওয়া যুদ্ধ, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়ে ক্রমান্বয়ে সারা পৃথিবীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। আবার ভৌগোলিকভাবে আমরা এমন একটি এলাকায় বসবাস করছি, যেখানে সংঘটিত হবে গাজওয়াতুল হিন্দ। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটাও হতে হবে এই উভয় সংকট মাথায় রেখে। প্রস্তুতিটাকে বিভিন্নভাগে ভাগ করে নিলে বুঝতে ও পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে।
    ক. আধ্মাতিক প্রস্তুতি
    খ. শারীরিক প্রস্তুতি
    গ. মানসিক প্রস্তুতি
    ঘ. অর্থনৈতিক ও খাদ্য প্রস্তুতি
    ঙ. মূল জিহাদের প্রস্তুতি

    # ক. আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি :
    ১। মুসলিম হওয়ার জন্য কুরআন-হাদিসে যেসব শর্ত বা বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি মেনে চলার চেষ্টা করুন।
    ২। সকল ফরজগুলোর ব্যাপারে কঠোর ও যত্নবান হোন।
    ৩। যতটুকু সম্ভব, কুরআন মুখস্থ করুন । ন্যূনতম নামাজের জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয়, সাথে সুরা কাহাফ এর প্রথম দশ আয়াত ও শেষ দশ আয়াত এবং জরুরি দোয়াসমূহ।
    ৪। সকলের সাথে পাওনা-দেনা মিটিয়ে ফেলুন।
    ৫। ভূলত্রুটি বা কারো সাথে ঝগড়া মনোমালিন্য থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন। বেশি করে তাওবা, ইস্তেগফার করুন।
    ৬। প্রতিদিন যতটুকু সম্ভব কুরআন-হাদিস অধ্যয়ন করুন।
    ৭। কুরআন-হাদিস, তাফসিরসহ গুরুত্বপূর্ন কিছু বইয়ের হার্ড কপি নিজের কাছে, বাড়ির সবচেয়ে নিরাপদ এবং গোপন জায়গায় সংরক্ষন করুন।
    ৮। অশ্লীল সিনেমা, গান, নাটক ও অসৎ সঙ্গ পরিহার করুন।
    ৯। আপনার পরিবার, নিকট আত্মীয়দের এসব ব্যাপারে সতর্ক করুন।

    # খ. শারীরিক প্রস্তুতি :
    ১। সব রকমের GMO food পরিত্যাগ করুন।
    ২। এলোপ্যাথিক ঔষধ বর্জন করুন।
    ৩। ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
    ৪। নিয়মিত শরিরচর্চা, বিশেষ করে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, ইত্যাদি ব্যায়াম শিখুন।

    ৫। কমন রোগ যেমন : গ্যাসট্রিক, ডায়াবেটিস, জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি এসবের জন্য গাছ-গাছড়া ও ভেষজ ঔষধগুলো বাড়িতে সংরক্ষন করুন।

    ৬। বাড়িতে টিউবওয়েল বা চাপকল বসান, সাপ্লাই পানির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি শেষ করে ফেলুন।

    ৭। কমপক্ষে দুই বছরের জন্য সাবান, ব্যান্ডেজ, স্যাভলন, ব্লেড, সুই, সুতা, দিয়াশলাই, মোমবাতি, ব্যাটারি চালিত টর্চ লাইট ও ব্যাটারি ক্রয় করে রাখুন।

    ৮। জ্বালানীবিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ব্যবস্থা করে রাখুন।

    ৯। পরিবারের সবার জন্য কমপক্ষে ২ টি করে রেইন কোট, পর্যাপ্ত শীতের ভারি জামা ও জরুরি জামাকাপড় ক্রয় করে রাখুন।
    শূন্য ডিগ্রি বা মাইনাস তাপমাত্রার উপযোগী পোশাকও সংগ্রহ করুন।

    ১০। পরিবারের সকলের জন্য ফিউম মাক্স বা গ্যাস মাক্স একটি করে এবং ডাষ্ট মাক্স পর্যাপ্ত পরিমানে সংগ্রহ করে রাখুন। বোম্বিং হলে যে গ্যাস নির্গত হবে তা থেকে রক্ষা পাবেন।

    ১১। বসবাস করার জন্য যেকোনো শহর, বন্দর ত্যাগ করুন। যত অঁজপাড়া গাঁ হবে ততই ভালো।
    উত্তম হবে পাহাড়ি এলাকা ও প্রাকৃতিক ঝর্না বা অধিক বৃষ্টি হয় এমন এলাকা। বেশি জনবসতিপূর্ণ এলাকা পরিহার করুন। [ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সকল বিভাগীয় শহরের ভাই-বোনদের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল।]

    ১২। যারা একত্রে বসবাস করবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তার জিনিস হাতের কাছেই কোথাও লুকিয়ে রাখুন।
    ১৩। সকল পুরুষ সদস্য একত্রে ঘুমাতে বা কোথাও সফরে যাবেন না। গ্রুপ করে পালাক্রমে পাহারা দিন, ঘুমাতে যাবেন এবং বাইরে যাবেন।
    ১৪। আশেপাশের জনপদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বাইসাইকেল সংগ্রহ করুন। দ্রুত যোগাযোগ করার পদ্ধতি আবিস্কার করার চেষ্টা করুন।
    ১৫। ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করার অভ্যাস করুন।
    ১৬। মাটির নিচে ঘর তৈরি করুন, বাড়ি থেকে সহজে বের হওয়ার পথ তৈরি করে রাখুন।

    ১৭। তাবু তৈরি করার সরঞ্জাম ব্যবস্থা করুন।
    ১৮। আপনার এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বা কর্তব্যরত ডিফেন্স বাহিনীর সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষন গ্রহন করার চেষ্টা করুন।
    ১৯। পাড়ায় পাড়ায় সেচ্ছাসেবক টিম গঠন করার চেষ্টা করুন।
    গ. মানসিক প্রস্তুতি :
    .
    ১। এ যুদ্ধের শুরুতেই সারা পৃথিবীর ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হতে পারে। ফলে দেশে বিদেশে থাকা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এমনকি পরিবারের কেউ যদি প্রবাসে বা এলাকার বাইরে থাকে, তবে তার সাথেও চিরদিনের মতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হোন।
    ২। বৈদেশিক বাণিজ্য ও লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকৃত পণ্য, বিদেশে উৎপাদিত জরুরি ঔষধ ও যন্ত্রপাতি আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আপনার কাছের মানুষজন যারা ঐসব ঔষধের ওপর ডিপেন্ডেন্ট, তারা চিকিৎসাহীনতায় ভুগবে এবং ইমারজেন্সি রোগীরা এক পর্যায় মারা যাবে। এর জন্যও মানসিকভাবে প্রস্তুত হোন।
    ৩। চারিদিকে মৃত্যু, লাশ আর নানা ধরনের অঘটন শুনতে পাবেন, যা এখন কল্পনাতেও আসে না। এমন পরিস্থিতির জন্য মনকে শক্ত করুন।
    ৪। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সংকট শুরু হবে। চাল, ডাল, তেল, লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দূর্লভ হয়ে যাবে। আপনার কাছে টাকা থাকবে হাজার হাজার, কিন্তু ঐ টাকার বিনিময়েও আপনি জিনিসপত্র কিনতে পারবেন না। ফলে পারিবারিক খাদ্যসংকট কিভাবে সামাল দিবেন সে চিন্তা করুন। মনকে শক্ত রাখুন। কারন, এ সময় ভেঙ্গে পড়লে বাকিরাও টিকতে পারবে না।
    ৫। হয়তো নিজ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য মারা যাবে, আহত হবে, অসুস্থ হয়ে পড়বে, নিখোঁজ হয়ে যাবে, এসবের জন্যও মনকে প্রস্তুত রাখুন।
    ৬। এ জাতীয় যেকোনো সমস্যাই আসুক না কেন, আল্লাহর ইবাদত থেকে গাফেল হওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে এই দুনিয়াটাই পরীক্ষা ক্ষেত্র। এ ধরনের বিপদ-আপদ দিয়ে আসলে আল্লাহ আমাদের যাচাই করছেন, আমরা জান্নাতের উপযুক্ত কিনা।
    ৭। প্রচণ্ড অভাবের তাড়নায় আপনার বাড়িতে লুটপাট হতে পারে, হিংস্র হয়ে উঠতে পারে আশেপাশের মানুষগুলো। তাই আসন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে আপনার প্রতিবেশীদের এখনি বোঝান। তাদের নিয়েই পরিকল্পনা করুন। যতটা সফল হবেন, পরবর্তীতে ততটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে আত্মীয়-স্বজনরাও গ্রুপ হয়ে বসবাস শুরু করতে পারেন।
    ৮। ভৌগোলিকভাবে আমরা বসবাস করছি গাজওয়াতুল হিন্দের মাঝামাঝি এলাকায়। সুতরাং শত্রুপক্ষ থেকে আক্রান্ত হওয়া প্রায় নিশ্চিত। আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ করা সকলের জন্য আবশ্যক হয়ে পড়বে। সুতরাং প্রতিরোধ করার মতো মানসিক প্রস্তুতি নিন। দেশীয় অস্ত্র সংগ্রহ করে রাখুন।
    ৯। জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষনিকভাবে বাসস্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে বা হিজরত করার দরকার পড়তে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে, অন্য এলাকা থেকে আপনার এলাকায় লোকজন নিরাপত্তা বা আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসতে পারে। সুতরাং মুহাজির বা আনসার দুটোর জন্যই আবু বকর রা.-এর মতো প্রস্তুত থাকুন।
    # ঘ. অর্থনৈতিক ও খাদ্যের প্রস্তুতি :
    ১। নিজের খাদ্য নিজেই উৎপাদন করুন। যেমন : ধান, গম, আলু, শাক-সবজি ইত্যাদি। কৃষিকাজের মাধ্যমে চাষাবাদ করুন।
    ২। বাড়ির আঙিনায় পুকুর কেটে সেখানে মাছ চাষ করুন।
    ৩। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবাদিপশু পালন করুন। যেমন : গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি। হাদিসে আলাদাভাবে এর নির্দেশনা রয়েছে।
    ৪। চাপকল বা টিউবওয়েল মাটির অনেক গভিরে স্থাপন করুন। সাধারনত যতটুকু নীচ থেকে পানি উঠে তার চাইতে ৫০-১০০ ফুট নীচে। এছাড়াও নদী, পুকুর, ঝর্নার পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করার পদ্ধতি জেনে নিন। চাপকলের যাবতীয় প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ সংগ্রহ করে রাখুন।
    ৫। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখুন। যেমন চিড়া, মুড়ি, সীম বা কুমড়ার বিচি, বাদাম, ছোলা, কিসমিস ইত্যাদি ।
    ৬। আপনার ব্যাংক একাউন্ট, ডিপোজিট বা এ জাতীয় খাতে যত টাকা আছে তা এক মুহূর্তও নিরাপদ নয়। দ্রুত তুলে ফেলুন। তা দিয়ে স্বর্ন ক্রয় করুন বা গবাদী পশুতে ক্রয় করুন। মনে রাখবেন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা ধ্বংস হলে ব্যাংকে টাকা থাকলেও তুলতে পারবেন না।
    ৭। বাসস্থানের আশেপাশে পর্যাপ্ত ফলগাছ রোপন করুন।

    ৮। বাচ্চাদেরকে এখন থেকেই চিপস, চকোলেট, আইসক্রীম জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখার অভ্যাস করুন।
    ৯। শুকনো লাকড়ির ব্যবস্থা করে রাখুন।
    # ঙ . মূল জিহাদের প্রস্তুতি :
    ১। ময়দানে দৈনিক/নিয়মিত গোসলের কোনো ব্যবস্থা থাকে না। তাই মাসে ১/২/৩ বার গোসলের অভ্যাস করুন। অন্যথায় ময়দান থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হবেন।
    ২। বেশী করে কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি। যাতে আপনার রক্ত খেয়ে ডেংগু মশা নিজেই মারা যায় এবং আপনি ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে পারেন। ময়দানে ম্যালেরিয়া রোগীর চিকিৎসা খুবই কষ্টকর।

    ৩। পায়ের পাতায় ভর করে বেশি বেশি হাঁটার অভ্যাস করুন। ময়দানে পায়ের গোড়ালির চাইতে পায়ের পাতায় বেশি ভর দিয়ে চলতে হয়। পায়ের গোড়ালির চেয়ে পায়ের পাতার ব্যবহার বেশি হয়। তাই ভারী কোনো জিনিসসহ প্রচুর দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করুন।
    ৪। সংক্ষিপ্ত ও শুকনো খাবার এবং পানি ছাড়া দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
    ৫। ঠাণ্ডা ও গরম, উভয় মৌসুমে মোটা কাপড় ও মোটা চামড়ার উঁচু জুতা ব্যবহারের অভ্যাস করুন এবং সেই মোটা/ময়লা (কিন্তু পবিত্র) কাপড়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
    ৬। আলো ও প্রচণ্ড আওয়াজের মাঝে জুতা পায়ে থাকাবস্থায় কম ঘুমের অভ্যাস করে সুস্থ্ থাকার অভ্যাস করুন।
    ৭। প্রত্যেক জিহাদপ্রিয় মুমিনদের মা-বাবাসহ পরিবারকে নির্যাতিত মুসলিম বিশ্বের অবস্থা, জিহাদে আল্লাহ তাআলার সরাসরি সাহায্যের কাহিনী এবং বিশ্বব্যাপী জিহাদী তৎপরতা-সফলতা তুলে ধরে কৌশলে জিহাদের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করা জরুরি। অন্যথায় পরবর্তীকালে আপনার পরিবার-পরিজনই হবে আপনার পথে প্রতিবন্ধক, হয়ে উঠবে আপনার শত্রু।
    ৮। জিহাদের জন্য অর্থ বা কাঁচা সোনা সংগ্রহ করে জমা রাখতে হবে। মুজাহিদদের অর্থ সংকট বেশি। কারণ, কুফরিবিশ্ব তাদের সকল লেনদেনের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে, যাতে মুজাহিদরা ইন্টারন্যাশনালভাবে টাকা সংগ্রহ করতে না পারে।
    এতক্ষন যেসব প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে, তা কেবল বেসিক ধারণা দেওয়ার জন্য। এলাকাভেদে তার থেকে কমবেশি প্রস্তুতি নিতে হতে পারে। তা নিজেই চিন্তা-গবেষনা করে বের করুন। সবশেষে যে কথাটি বলে রাখতে চাই, তা এখনি বলে রাখি, প্রযুক্তি ধ্বংস হবার ফলে হয়তো উপযুক্ত সময়ে তা জানাতে পারব না :
    মনে রাখবেন, মহাযুদ্ধের পরপরই দাজ্জাল বের হবে। বের হবার দুই, তিন বছর আগে পৃথিবীতে অনাবৃষ্টির ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে। শেষ বছর একেবারেই খাদ্য উৎপাদন হবে না। আর সে তখন রুটির পাহাড় বা ত্রাণ নিয়ে হাজির হবে। ঘরে ক্ষুধার্ত স্ত্রী-সন্তান রেখে সে ত্রাণ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা বড়ই কঠিন পরীক্ষা, বড়ই কঠিন। আর এ মুহূর্তে যদি ধৈর্য ধরতে পারেন, তাহলে ‘সুবহানআল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ও ‘আল্লাহু আকবার’ এর জিকির আপনার ক্ষুধা দূর করবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে তার রহমত ও বরকতে ঢেকে রাখুন। আমাদেরকে পৌছে দিন চিরস্থায়ী জান্নাতে। আমিন।
    বি. দ্র. : হয়তো জানা-অজানা আরো বহু ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তাই ধৈর্য্য হারাবেন না। অচিরেই সুদিন আসবে ইনশাআল্লাহ।

    এই সময়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আশা করি সকলেই ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং শেয়ার করবেন।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 07-18-2023, 11:07 AM.

  • #2
    জিহাদের জন্য অর্থ বা কাঁচা সোনা সংগ্রহ করে জমা রাখতে হবে
    যারা ঐ সময়ে জমিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। এখন স্বর্ণ কেনা ভয়ংকর অলাভজনক হয়ে দেখা দিতে পারে। ঐতিহাসিক ভাবে রুপা এবং সোনার অনুপাত ৭, ১ । কিন্তু এখন এইটা ভীষণ রকম ইনফ্লেটেড।
    দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যাক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

    Comment

    Working...
    X