আল ফিরদাউসের এক প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু অনুভূতি...

[ইয়াকুব ইবনে ওমর]

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা!!
আজকে একান্ত কিছু মনের কথা লিখবো
মনের ব্যাথাগুলো

আমরা যারা আলফিরদাউস ভিজিট করি নিয়মিত তাদের কারোরই ভারতে নাপাক কুকুর গুলোর মুসলিম ভাই বোনদের প্রতি চলমান নির্যাতন সম্পর্কে অজানা থাকার কথা নয়।
আচ্ছা এইগুলো দেখে কী আপনার রক্ত গরম হয় না?
চোখ ভিজে উঠে না?
হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় না?

আগ্রায় বাড়িতে ঢুকে মুসলিম যুবতীকে শ্লীলতাহানিঃ দুষ্কৃতিকারিরা বিশেষভাবে তার যুবতী মেয়েকে টার্গেট করেছিল। ওরা মেয়েটির উপর হামলে পড়ে এবং তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।

এটা একবার কল্পনা করুন তো.. আমার আপনার ই মেয়ে,বোন স্ত্রী এর সাথে এমন হচ্ছে!! তারা তো আমাদেরই বোন...............
মুসলমানরা আজ এতই কাপুরুষ হয়ে গেলো?

আমার-আপনার কী খালি হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়? শিরা উপশিরা ফেটে কী রক্ত টগবগ করে না?
হায় আজকে কোটি কোটি মুসলিম যুবক এর মাঝে কী একজনও নেই যে আমার এই বোনের ইজ্জতের রক্ষক হবে?
নাকি যুবকরা ফেসবুক,ইউটিউব,খেলা,প্রেম,নেশা,ক্যারিয়ার এসব নিয়েই পড়ে আছে?

ভাই তোমার কী ইচ্ছে করে না এগুলো দেখে তখনি হিন্দে হিজরত করে এদের উপযুক্ত পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার?

জিহাদের ফরজিয়াত আর কত লক্ষ কোটি অসহায়-মা -বোন-শিশুর হাহাকার শুনলে আমাদের বোধদয় হবে?

ইরাক,সিরিয়া,আরাকান,চেচনিয়া,আফগান,কাশ্মীর,ফিলিস্তিন এর কান্না কী এখনো আমাদের ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য যথেষ্ট হয় নি?


নাকি নিজেকে মেকি মুজাহিদ ভেবে কল্পনার রাজ্যেই শুধু জিহাদ করছো?

এক জন না দুইজন না; লক্ষ লক্ষ মাজলুম যদি হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে এই বিচার দেয়-"আয় আল্লাহ! এরা জিহাদ বুঝতো,সব বুঝতো এবং সামর্থ্যও ছিলো আমাদের বাচিয়ে জামানার সব চাইতে বড় ফরজ আদায় করার ।এরা এটা করেনি।অলসতা আর গাফলতিতে নিজের নফসকেই শুধু আরাম দিয়েছে।এখন তুমি এদের বিচার করো"

তখন তোমার উত্তর কী হবে?
আমার উত্তর কী হবে?

তোমার নিকট প্রশ্ন,সারা মুসলিম উম্মতের নিকট প্রশ্ন।

[Sohail]

ভাই,,সত্যিই বলছি,, ভারতের মুসলিমদের অবস্থা খুবই নাজুক। তারা কোন প্রতিরোধ করতে পারে না। ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা তো মাঝেমধ্যে দু'একটা কুকুরকে জাহান্নামে পাঠাতে পারে, কিন্তু ভারতের মুসলিমরা কিছুই করতে পারছে না। আফসোস।

[সাঈদ আব্দুল্লাহ]

আল্লাহ পাক সাড়া দুনিয়ায় নির্যাতিত উম্মাহকে সাহায্য করুন।আমাদের কে জাগিয়ে দিন।আমাদের যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দিন।আমীন

[Sabbir Ahmed]

আল্লাহ পাক সাড়া দুনিয়ায় নির্যাতিত উম্মাহকে সাহায্য করুন।আমাদের কে জাগিয়ে দিন।আমাদের যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দিন।আমীন

আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন

[ইয়াকুব ইবনে ওমর]

ভাই,,সত্যিই বলছি,, ভারতের মুসলিমদের অবস্থা খুবই নাজুক। তারা কোন প্রতিরোধ করতে পারে না। ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা তো মাঝেমধ্যে দু'একটা কুকুরকে জাহান্নামে পাঠাতে পারে, কিন্তু ভারতের মুসলিমরা কিছুই করতে পারছে না। আফসোস।

আমরা জাগ্রত হলেই তারাও জাগ্রত হবে ইন শা আল্লাহ।

[ইয়াকুব ইবনে ওমর]

আল্লাহ পাক সাড়া দুনিয়ায় নির্যাতিত উম্মাহকে সাহায্য করুন।আমাদের কে জাগিয়ে দিন।আমাদের যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দিন।আমীন

আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

[Ali bin saif]

প্রিয় ভাইয়েরা,
আসলে ব্যপারটা হচ্ছে কিছুটা এমন যে,

১। খুব সল্প সংখ্যক মুসলিম ব্যতিত অধিকাংশ মুসলিমরাই " দাওয়াহ্ইলাল্লাহ্, আল-ফিরদাউস, সহ এসব জিহাদী সাইট সম্পর্কে জানেনা।
যার কারণে মাজলুমদের সঠিক খবর জানা থেকে উম্মাহ বহু দুরে আছে।
সুতরাং এই দৃষ্টিকোন থেকে আমরা মনে করি যে, দাওয়াহ্ইলাল্লাহ্, আল-ফিরদাউস, গাজওয়া ইত্যাদি সাইটের মত, আরো হাজার হাজার সাইট প্রয়োজন যেগুলো থেকে একযোগে মুসলিম উম্মাহ্'র সঠিক খবর প্রচার করা হবে, এতে করে, কেউ এসব খবর শুনতে না চাইলেও ব্যপক প্রচারণার কারণে, অনেক গাফেল মুসলিমদেরও সাব-কনশাস মাইন্ড প্রভাবিত হবে।

২। অধিক পরিমাণে জিহাদী সাইট থাকলে একটা সময় ফেসবুকের মত এই সাইটগুলোতেও মানুষের আনাগোনা বাড়বে, অপরদিকে পরিকল্পিত ভাবে কুফ্ফারদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারণার কারণে আস্তে আস্তে মুসলিমদের অন্তর জেগে উঠবে।
তখন এমন হতে পারে যে, হাজারো গাফেল মুসলিমদের মধ্য থেকে কিছু কিছু সিংহ জেগে উঠবে, অতঃপর ধিরে ধিরে এই দল ভারী হতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

[mahmud123]

একাধিক প্লাটফর্ম থাকার থেকে একটি প্লাটফর্মকে অধিক প্রচার এবং তাকে শক্তিশালী করা সবচেয়ে ভালো হবে এতে করে সবাই এক প্লাটফর্মে থাকবে এবং সবদিক থেকেই এটা উম্মাহর জন্য কল্যাণকর হবে। কারণ একজন মানুষের জন্য একাধিক প্লাটফর্ম ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব । এবং মানুষ সব সময় সময়কে মেইন্টেনিং করে চলতে হয়। যেমন ফেইসবুক সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম। তাই মানুষ বেশীর ভাগ ফেইসবুক ব্যবহার করে।

[Ibn Daud]

ভাই, তাদের কথা কি বলবো, আমার চারপাশের অবস্থা তো আরো নাজুক, এদেশেও আমাদের মা-বোনরা নিরাপদ না। বিভিন্ন দল ও অমানুষদের দ্বারা বিভিন্নভাবে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতেও ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় কিছু মানুষ ছাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার সংবাদও পত্রপত্রিকায় এসেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারীরা ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। তাই এই অবস্থার পরিবর্তন আনার জন্য আমাদেরকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর পথ ধরতে হবে। জামাআতবদ্ধ হতে হবে। নিজেদেরকে প্রস্তুত হতে হবে। কুফুরী শাসনব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে ফিলাফাহ ফিরিয়ে আনতে প্রয়াস চালাতে হবে। আল্লাহ তাওফিকদাতা।

[ইয়াকুব ইবনে ওমর]

সুতরাং এই দৃষ্টিকোন থেকে আমরা মনে করি যে, দাওয়াহ্ইলাল্লাহ্, আল-ফিরদাউস, গাজওয়া ইত্যাদি সাইটের মত, আরো হাজার হাজার সাইট প্রয়োজন যেগুলো থেকে একযোগে মুসলিম উম্মাহ্'র সঠিক খবর প্রচার করা হবে, এতে করে, কেউ এসব খবর শুনতে না চাইলেও ব্যপক প্রচারণার কারণে, অনেক গাফেল মুসলিমদেরও সাব-কনশাস মাইন্ড প্রভাবিত হবে।
...অধিক পরিমাণে জিহাদী সাইট থাকলে একটা সময় ফেসবুকের মত এই সাইটগুলোতেও মানুষের আনাগোনা বাড়বে, অপরদিকে পরিকল্পিত ভাবে কুফ্ফারদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারণার কারণে আস্তে আস্তে মুসলিমদের অন্তর জেগে উঠবে।

জাঝাকাল্লাহ খইরন প্রিয় ভাই।
তবে এখানে কিছুটা আত্মসমালোচনা করব!!
ভাইজান সমাধান তো সবার মুখে মুখেই,চায়ের দোকানেও রাষ্ট্রের বড় বড় সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এক নিমিষেই!
কিন্তু তাই বলে কী তা আদৌ বাস্তবতাপূর্ণ??
যতক্ষন পর্যন্ত আমরা নিজেরা ময়দানে ঘাম না ঝরাব,টাকা খরচ না করব,নিজের প্রিয় জিনিস কুরবানি না করব ;ততক্ষণ পর্যন্ত কী উম্মাহ জালেমদের হাত থেকে রেহাই পাবে?
কেন, আমরা কী পারি না যারা ওয়েবসাইট বানাতে পারে তাদেরকে টার্গেট করে দাওয়াহ দিতে,তাদের ওপর মেহনত করতে??
তাই আসুন আমরা শুধু মুখরোচক বাক্যালাপেই সীমাবদ্ধ না থাকি।সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় নিজেদের মেধা,ক্ষমতা ,সামর্থ্য নিয়ে সর্বোচ্চটুকু নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি।নাহলে আল্লাহ অন্যদের নিয়েই কাজ তুলবেন-
اَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَنۡ یَّرۡتَدَّ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِهٖ فَسَوۡفَ یَاۡتِی اللّٰهُ بِقَوۡمٍ یُّحِبُّهُمۡ وَ یُحِبُّوۡنَهٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ۫ یُجَاهِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَۃَ لَآئِمٍ ؕ ذٰلِکَ فَضۡلُ اللّٰهِ یُؤۡتِیۡهِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার দ্বীন হতে ফিরে গেলে সত্বর আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসেন আর তারাও তাঁকে ভালবাসবে, তারা মু’মিনদের প্রতি কোমল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ- যাকে ইচ্ছে তিনি দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, সর্বজ্ঞ।

[ইয়াকুব ইবনে ওমর]

ভাই, তাদের কথা কি বলবো, আমার চারপাশের অবস্থা তো আরো নাজুক, এদেশেও আমাদের মা-বোনরা নিরাপদ না। বিভিন্ন দল ও অমানুষদের দ্বারা বিভিন্নভাবে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতেও ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় কিছু মানুষ ছাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার সংবাদও পত্রপত্রিকায় এসেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারীরা ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। তাই এই অবস্থার পরিবর্তন আনার জন্য আমাদেরকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর পথ ধরতে হবে। জামাআতবদ্ধ হতে হবে। নিজেদেরকে প্রস্তুত হতে হবে। কুফুরী শাসনব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে ফিলাফাহ ফিরিয়ে আনতে প্রয়াস চালাতে হবে। আল্লাহ তাওফিকদাতা।

ইন শা আল্লাহ। আমরা গাফলতি করলে এমনো হতে পারে আল্লাহ তা'লা এই গাফলতির শাস্তি হিসেবে দুনিয়াতেই আমাদের মা-বোন-মেয়েরাও এর শিকার হয়ে গেলো!!! আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।

[abu asadullah]

প্রিয় ভাইয়েরা,
আসলে ব্যপারটা হচ্ছে কিছুটা এমন যে,

১। খুব সল্প সংখ্যক মুসলিম ব্যতিত অধিকাংশ মুসলিমরাই " দাওয়াহ্ইলাল্লাহ্, আল-ফিরদাউস, সহ এসব জিহাদী সাইট সম্পর্কে জানেনা।
যার কারণে মাজলুমদের সঠিক খবর জানা থেকে উম্মাহ বহু দুরে আছে।
সুতরাং এই দৃষ্টিকোন থেকে আমরা মনে করি যে, দাওয়াহ্ইলাল্লাহ্, আল-ফিরদাউস, গাজওয়া ইত্যাদি সাইটের মত, আরো হাজার হাজার সাইট প্রয়োজন যেগুলো থেকে একযোগে মুসলিম উম্মাহ্'র সঠিক খবর প্রচার করা হবে, এতে করে, কেউ এসব খবর শুনতে না চাইলেও ব্যপক প্রচারণার কারণে, অনেক গাফেল মুসলিমদেরও সাব-কনশাস মাইন্ড প্রভাবিত হবে।

২। অধিক পরিমাণে জিহাদী সাইট থাকলে একটা সময় ফেসবুকের মত এই সাইটগুলোতেও মানুষের আনাগোনা বাড়বে, অপরদিকে পরিকল্পিত ভাবে কুফ্ফারদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারণার কারণে আস্তে আস্তে মুসলিমদের অন্তর জেগে উঠবে।
তখন এমন হতে পারে যে, হাজারো গাফেল মুসলিমদের মধ্য থেকে কিছু কিছু সিংহ জেগে উঠবে, অতঃপর ধিরে ধিরে এই দল ভারী হতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

আমরা যদি নিউজ গুলোকে বেশি বেশি প্রচার করি তবেই মানুষ জানতে পারবে,
সোশ্যাল মিডিয়ার যত সাইট আছে সব গুলোতেই শেয়ার করতেই থাকলে ইনশা আল্লাহ বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
আর যদি আলসেমি আমাদেরকে চাপা দিয়ে রাখে তাহলে অন্তত যারা নিউজ শেয়ার করে সেগুলো শেয়ার করলেই হয়।

[Qa'qaa']

আমরা যদি নিউজ গুলোকে বেশি বেশি প্রচার করি তবেই মানুষ জানতে পারবে,
সোশ্যাল মিডিয়ার যত সাইট আছে সব গুলোতেই শেয়ার করতেই থাকলে ইনশা আল্লাহ বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
আর যদি আলসেমি আমাদেরকে চাপা দিয়ে রাখে তাহলে অন্তত যারা নিউজ শেয়ার করে সেগুলো শেয়ার করলেই হয়।

এটাই সুন্দর সমাধান, নতুন নতুন প্লাটফর্ম তৈরি করলেতো একই অবস্থা হবে। নতুনটাতে মানুষদের আনতে হবে। বরং বুদ্ধির কথা হলো নতুন তৈরি করলেও সেখানে সোর্স সহ নিউজ প্রচার করা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিশিয়াল সোর্স সহই পোস্ট করা। এতে লাভ হবে আশানুরূপ।

জাযা-কুমুল্ল-হু খইরন আহসানাল জাযা

[নুরুল ইসলাম]

হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমদের অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে প্রকাশ্যে মুসলিম ভাই বোনদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে। কোথাও মুসলিম ভাইদেরকে ট্রেনে পচা-বাসি খাবার খাইয়ে 'জয় শ্রীরাম' বলতে বাধ্য করা হচ্ছে । তো কোথাও মুসলিম বোনদের কে বোরখা খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার কুরবানির দিনে মুসলিমদেরকে কুরবানি দিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। যেই হিন্দের ভূমিতে একদিন মুসলিম উম্মাহর শাসন কায়েম ছিল, সেখানেই আজ মুসলিম ভাই বোনদেরকে এই ভাবে নির্যাতিত হতে হচ্ছে। এই হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকারের আমলে এই অত্যাচার দিন দিন আরও বেড়েই চলেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় এসে গেছে। এই জালিম কাফেরদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। আমি সকল ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা কি গাযওয়ায়ে হিন্দের কথা ভুলতে বসেছি? আমরা কি এখনও ঘুমিয়ে থাকব? লড়াই করার সময় এসে গেছে।

[Ali bin saif]

জাঝাকাল্লাহ খইরন প্রিয় ভাই।
তবে এখানে কিছুটা আত্মসমালোচনা করব!!
ভাইজান সমাধান তো সবার মুখে মুখেই,চায়ের দোকানেও রাষ্ট্রের বড় বড় সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এক নিমিষেই!
কিন্তু তাই বলে কী তা আদৌ বাস্তবতাপূর্ণ??
যতক্ষন পর্যন্ত আমরা নিজেরা ময়দানে ঘাম না ঝরাব,টাকা খরচ না করব,নিজের প্রিয় জিনিস কুরবানি না করব ;ততক্ষণ পর্যন্ত কী উম্মাহ জালেমদের হাত থেকে রেহাই পাবে?
কেন, আমরা কী পারি না যারা ওয়েবসাইট বানাতে পারে তাদেরকে টার্গেট করে দাওয়াহ দিতে,তাদের ওপর মেহনত করতে??
তাই আসুন আমরা শুধু মুখরোচক বাক্যালাপেই সীমাবদ্ধ না থাকি।সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় নিজেদের মেধা,ক্ষমতা ,সামর্থ্য নিয়ে সর্বোচ্চটুকু নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি।নাহলে আল্লাহ অন্যদের নিয়েই কাজ তুলবেন-
اَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَنۡ یَّرۡتَدَّ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِهٖ فَسَوۡفَ یَاۡتِی اللّٰهُ بِقَوۡمٍ یُّحِبُّهُمۡ وَ یُحِبُّوۡنَهٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ۫ یُجَاهِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَۃَ لَآئِمٍ ؕ ذٰلِکَ فَضۡلُ اللّٰهِ یُؤۡتِیۡهِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার দ্বীন হতে ফিরে গেলে সত্বর আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসেন আর তারাও তাঁকে ভালবাসবে, তারা মু’মিনদের প্রতি কোমল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ- যাকে ইচ্ছে তিনি দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, সর্বজ্ঞ।

সম্মানিত ভাই,
দরদ মাখা আত্মসমালোচনা'র জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আসলে ভাই, আমরা জিহাদী মিডিয়ার আধিক্যতা'র যেই টার্গেট নিয়েছি, এই বিষয়ে আমরা এতটুকু বলতে পারি যে, অবশ্যই এটা নিছক চায়ের দোকানে বসে রাষ্ট্রের সমাধান করারমত অহেতুক কোন কাজ নয়, এবং আমরা এমন কোন লোক নই, যারা বাস্তবতা উপলব্ধি না করে শুধু আবেগ নিয়ে এই ফোরামে খামাখা একটি পোস্ট দিয়ে দিলাম।
বরং এই বিষয়ে দীর্ঘ চিন্তা-ভাবনা এবং গবেষণা করে
মিডিয়ার আধিক্যতা'র টার্গেট পুরা করতে যতগুলো সম্ভাব্য মাধ্যমে আগানো যায়, তার সবগুলোই আমরা লিস্ট করে সামনে আগাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।

উক্ত সম্ভাব্য মাধ্যমগুলোর মধ্যেই একটি হচ্ছে দাওয়াহ্ইলাল্লাহ ফোরামেও এই বিষয়ে আবেদন করা।

সুতরাং সাইট তৈরিতে যাঁরা ভালো টেকনিশিয়ান, এমন লোকদেরকে টার্গেট করে নিয়ম মাফিক দাওয়াহ্ দেওয়া'র কাজেও যে, আমরা অগ্রসর হচ্ছি এটি আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।

সবশেষে দোয়া চাই ভাই,
দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সকলের জন্য দ্বীনি কাজকে সহজ করে দেন আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।