Announcement

Collapse
No announcement yet.

শরয়ী জিহাদ ও অন্যদের লড়াইয়ের মধ্যে পার্থক্য

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শরয়ী জিহাদ ও অন্যদের লড়াইয়ের মধ্যে পার্থক্য

    . অন্যান্য যুদ্ধ তাগুতের পথে হয় পক্ষান্তরে জিহাদ হয় আল্লাহর পথে ।
    ২. অন্যান্য যুদ্ধ হয় মানুষের উপর নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালাবার জন্য এবং পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য পূর্বের ইতিহাসও আজকের বাস্তবতা এর জাজ্বল্যমান প্রমান। অপরদিকে জিহাদ হয়ে থাকে ন্যায়ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্যজিহাদ মুজাহিদগণের সোনালী ইতিহাস এরই সাক্ষ্য দেয়।
    ৩. জিহাদের উদ্দেশ্য-যা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে- তাহল- মানুষকে মুক্ত করা মানুষের দাসত্ব থেকে আল্লাহর দাসত্বের প্রতি, দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে এর প্রশস্ততার প্রতি, অন্ধকার সমূহ থেকে আলোর প্রতি এবং সকল মতধর্মের নিপীড়ন থেকে ইসলামের ইনসাফের প্রতি। অথচ অন্যান্য যুদ্ধের উদ্দেশ্যই হল, মানুষের উপর মানুষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা, অত্যাচার ও অনাচারের পুঞ্জিভূত অন্ধকারে পৃথিবীকে নিমজ্জিত করা।
    8. অন্যান্য যুদ্ধের উদ্দেশ্য হল, সম্রাজ্য বিস্তার করা। অপরদিকে জিহাদের উদ্দেশ্য হল, ভূমিকে তার হকদারের নিকট প্রত্যার্পণ করা। ভূমির মালিক আল্লাহ তা'আলা। তিনি নেককার মুমিনগণকেই এর হকদার সাব্যস্ত করেছেন। যারা এতে আদল ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে,
    যথাযথ ভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে।
    ৫. অন্যান্য যুদ্ধ হল, বিনা উদ্দেশ্যে বা হীন উদ্দেশ্যে নিরপরাধ মানুষের জান-মান, ইজ্জত আব্রূর উপর আঘাত হানার নাম। পক্ষান্তরে জিহাদে ইসলামী শুধু তাদের সাথেই হয়ে থাকে যারা নিজেদের অপরাধের কারণে হত্যাযোগ্য হয়ে গিয়েছে।
    ৬. অন্যান্য যুদ্ধ সমাজ রাষ্ট্রের জন্য মৃত্যু বিভীষিকার নামান্তর। পক্ষান্তরে জিহাদে ইসলামী সমাজকে দান করে নবজীবন, কিসাস যোগ্য ব্যক্তির উপর কিসাস কার্যকর করা সমাজকে নব জীবনদানেরই নামান্তর।
    ৭. অন্যান্য যুদ্ধ লাগামহীন হত্যাযজ্ঞের নাম, অপরদিকে জিহাদে ইসলামীর জন্য রয়েছে বহুশর্ত, বহুবিধি-নিষেধ এবং নির্ধারিত সীমা-রেখা। এজন্য জিহাদে ইসলামী কর্ম পন্থার দিক দিয়ে ও অন্যান্য যুদ্ধের চেয়ে ভিন্নতর। কেননা জিহাদে ইসলামীর উদ্দেশ্যই হল পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করা এবং অত্যাচার অনাচারের মূলোৎপাটন করা। মোট কথা শুধু এবং শুধু ইসলামী যুদ্ধকেই “জিহাদ” বলা হয়, যা উদ্দেশ্য ও কর্মপন্থা উভয় দিক দিয়ে অন্যান্য যুদ্ধ থেকে পুরোপুরি ভিন্নতর। এবং শুধু মুত্তাকী মুমিনই এ কাজের উপযুক্ত কেননা ইনসাফ ও ইসলাহের ঝান্ডা বহনের অধিকার একমাত্র তাদেরই আছে এবং একমাত্র তারাই পৃথিবীর উত্তরাধিকারীমানব সমাজের নেতৃত্ব দানের যোগ্যতা এবং মানবতার শিক্ষক হবার গৌরব ও শুধু তাদেরই প্রাপ্য।
    Last edited by Rakibul Hassan; 08-03-2023, 05:11 PM.

  • #2
    অন্যান্য যুদ্ধ হল শুধু মাত্র মতপার্থক্য কিংবা ব্যাক্তি স্বার্থে হানাহানি মারামারি করা। যেটা করা মানুষের মোটেও উচিত নয়। আর ইসলামী জিহাদ হল দ্বীন কায়েমের লড়াই যেটা সবার জন্যই দুনিয়া ও আখেরাতে মঙ্গল জনক ।
    حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، - وَاللَّفْظُ مُتَقَارِبٌ - أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ، عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ لَقِيتُ رَجُلاً مِنَ الْكُفَّارِ فَقَاتَلَنِي فَضَرَبَ إِحْدَى يَدَىَّ بِالسَّيْفِ فَقَطَعَهَا ‏.‏ ثُمَّ لاَذَ مِنِّي بِشَجَرَةٍ فَقَالَ أَسْلَمْتُ لِلَّهِ ‏.‏ أَفَأَقْتُلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَعْدَ أَنْ قَالَهَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تَقْتُلْهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَدْ قَطَعَ يَدِي ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ بَعْدَ أَنْ قَطَعَهَا أَفَأَقْتُلُهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تَقْتُلْهُ فَإِنْ قَتَلْتَهُ فَإِنَّهُ بِمَنْزِلَتِكَ قَبْلَ أَنْ تَقْتُلَهُ وَإِنَّكَ بِمَنْزِلَتِهِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ كَلِمَتَهُ الَّتِي قَالَ ‏"‏ ‏.‏
    কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ (রহঃ) ..... মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি মত? যদি আমি কোন কাফিরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হই, আর সে আমার উপর আক্রমণ করে তরবারি দ্বারা আমার এক হাত কেটে ফেলে, অতঃপর সে এক বৃক্ষের আড়ালে গিয়ে আমার আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করে এবং এ কথা বলে যে, আমি আল্লাহর জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছি। হে আল্লাহর রাসূল, সে এ কথা বলে যে, আমি আল্লাহর জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছি। হে আল্লাহর রাসূল! তার এ কথা বলার পর আমি কি তাকে হত্যা করবো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ না তাকে হত্যা করো না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তো আমার একটি হাত কেটে ফেলেছে আর এটা কাটার পরই ঐ কথা বলছে? এমতাবস্থায় আমি কি তাকে হত্যা করবো? এবারও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তাকে হত্যা করো না। কেননা যদি তুমি তাকে হত্যা করো তাহলে তাকে হত্যা করার পূর্বে তুমি যে অবস্থায় ছিলে, সে তোমার সে অবস্থায় এসে যাবে। আর ঐ কালিমা বলার পূর্বে সে যে অবস্থায় ছিল, তুমি সে অবস্থায় এসে যাবে*। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৮২)

    [সম্মানিত ভাই, গ্রন্থসূত্র উল্লেখ করা আবশ্যক। যেমন উক্ত হাদিস সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত। - মডারেটর]
    Last edited by Rakibul Hassan; 08-04-2023, 10:52 AM.
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, আল্লাহ তাআলা আপনার ইলম আরও বাড়িয়ে দিন

      Comment

      Working...
      X