জিহাদ পরিত্যাগকারীদের উদ্দেশ্যে দেয়া শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনী হাফিযাহুল্লাহ এর একটি সাক্ষাৎকার থেকে ইষৎ পরিমার্জিত।
প্রথম পর্ব
বিষয় : জিহাদের প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকারসমূহ
"نَحْمَدُهُ وَنُصَلِّي عَلَى رَسُولِهِ الْكَرِيمِ، أَمَّا بَعْدُ"
ইমাম মুসলিম রহ. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আছে, যদি কেউ জিহাদে যেতে চায় তখন শয়তান এসে বলে তুমি তোমার স্ত্রীকে ত্যাগ করবে, তোমার পরে সে আবার বিবাহ করবে,,,,,ইত্যাদি।
একজন ব্যক্তি এভাবে জিহাদের পথে সন্দেহাতীতভাবে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে। সে তার আকাঙ্ক্ষা এবং সংশয় এর কারণে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে।
আকাঙ্ক্ষা থেকে সে চিন্তা করবে, কে আমার স্ত্রীর দেখাশুনা করবে? কে আমার সম্পদের দেখাশুনা করবে? কে আমার সন্তানদের দেখাশুনা করবে?
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা এসবের উত্তর দিয়েছেন :
قُلۡ اِنۡ کَانَ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ وَ اِخۡوَانُکُمۡ وَ اَزۡوَاجُکُمۡ وَ عَشِیۡرَتُکُمۡ وَ اَمۡوَالُۨ اقۡتَرَفۡتُمُوۡهَا وَ تِجَارَۃٌ تَخۡشَوۡنَ کَسَادَهَا وَ مَسٰکِنُ تَرۡضَوۡنَهَاۤ اَحَبَّ اِلَیۡکُمۡ مِّنَ اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ وَ جِهَادٍ فِیۡ سَبِیۡلِهٖ فَتَرَبَّصُوۡا حَتّٰی یَاۡتِیَ اللّٰهُ بِاَمۡرِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ
الۡفٰسِقِیۡنَ.
বল, ‘তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ এবং সে বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ করছ, যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত’। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। (সূরা তওবা - ২৪)
যদি আকাঙ্ক্ষা তোমাকে থামিয়ে দেয়, তাহলে আল্লাহর প্রতি তোমার ভালোবাসাকে এই আকাঙ্ক্ষার সাথে তুলনা কর। কাজেই আল্লাহ তায়ালা আকাঙ্ক্ষার সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।
সংশয়ের ক্ষেত্রে অনেকে বলে, জিহাদ হচ্ছে ঝামেলা, হত্যাকাণ্ড, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে সম্পৃক্ততা,,,,ইত্যাদি।
আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ قَالُوْا لِاِخْوَانِهِمْ اِذَا ضَرَبُوْا فِی الْاَرْضِ اَوْ كَانُوْا غُزًّى لَّوْ كَانُوْا عِنْدَنَا مَا مَاتُوْا وَ مَا قُتِلُوْاۚ لِیَجْعَلَ اللّٰهُ ذٰلِكَ حَسْرَةً فِیْ قُلُوْبِهِمْؕ وَ اللّٰهُ یُحْیٖ وَ یُمِیْتُؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ
হে ঈমানদারগণ! কাফেরদের মতো কথা বলো না। তাদের আত্মীয়স্বজনরা কখনো সফরে গেলে অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে (এবং সেখানে কোন দুর্ঘটনায় পতিত হলে) তারা বলে, যদি তারা আমাদের কাছে থাকতো তাহলে মারা যেতোনা এবং নিহত হতো না। এ ধরনের কথাকে আল্লাহ তাদের মানসিক খেদ ও আক্ষেপের কারণে পরিণত করেন। নয়তো জীবন–মৃত্যু তো একমাত্র আল্লাহই দান করে থাকেন এবং তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপের ওপর তিনি দৃষ্টি রাখেন। (সূরা আলে-ইমরান - ১৫৬)
অনেকে বলেন, আমাকে অনুমতি দিন (বাড়ীতে থেকে যাওয়ার) এবং ফিতনায় ফেলবেন না। অথচ তারা ফিতনায় পড়ে গেছে প্রশ্নাতীতভাবে।
আল্লাহ তায়ালা আকাঙ্ক্ষা এবং সংশয়ের সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি বলি তাওহিদের পরে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ'র চেয়ে বড় কোনো আমল ইসলামে নেই।
وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ
প্রথম পর্ব
বিষয় : জিহাদের প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকারসমূহ
"نَحْمَدُهُ وَنُصَلِّي عَلَى رَسُولِهِ الْكَرِيمِ، أَمَّا بَعْدُ"
ইমাম মুসলিম রহ. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আছে, যদি কেউ জিহাদে যেতে চায় তখন শয়তান এসে বলে তুমি তোমার স্ত্রীকে ত্যাগ করবে, তোমার পরে সে আবার বিবাহ করবে,,,,,ইত্যাদি।
একজন ব্যক্তি এভাবে জিহাদের পথে সন্দেহাতীতভাবে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে। সে তার আকাঙ্ক্ষা এবং সংশয় এর কারণে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে।
আকাঙ্ক্ষা থেকে সে চিন্তা করবে, কে আমার স্ত্রীর দেখাশুনা করবে? কে আমার সম্পদের দেখাশুনা করবে? কে আমার সন্তানদের দেখাশুনা করবে?
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা এসবের উত্তর দিয়েছেন :
قُلۡ اِنۡ کَانَ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ وَ اِخۡوَانُکُمۡ وَ اَزۡوَاجُکُمۡ وَ عَشِیۡرَتُکُمۡ وَ اَمۡوَالُۨ اقۡتَرَفۡتُمُوۡهَا وَ تِجَارَۃٌ تَخۡشَوۡنَ کَسَادَهَا وَ مَسٰکِنُ تَرۡضَوۡنَهَاۤ اَحَبَّ اِلَیۡکُمۡ مِّنَ اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ وَ جِهَادٍ فِیۡ سَبِیۡلِهٖ فَتَرَبَّصُوۡا حَتّٰی یَاۡتِیَ اللّٰهُ بِاَمۡرِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ
الۡفٰسِقِیۡنَ.
বল, ‘তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ এবং সে বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ করছ, যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত’। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। (সূরা তওবা - ২৪)
যদি আকাঙ্ক্ষা তোমাকে থামিয়ে দেয়, তাহলে আল্লাহর প্রতি তোমার ভালোবাসাকে এই আকাঙ্ক্ষার সাথে তুলনা কর। কাজেই আল্লাহ তায়ালা আকাঙ্ক্ষার সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।
সংশয়ের ক্ষেত্রে অনেকে বলে, জিহাদ হচ্ছে ঝামেলা, হত্যাকাণ্ড, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে সম্পৃক্ততা,,,,ইত্যাদি।
আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ قَالُوْا لِاِخْوَانِهِمْ اِذَا ضَرَبُوْا فِی الْاَرْضِ اَوْ كَانُوْا غُزًّى لَّوْ كَانُوْا عِنْدَنَا مَا مَاتُوْا وَ مَا قُتِلُوْاۚ لِیَجْعَلَ اللّٰهُ ذٰلِكَ حَسْرَةً فِیْ قُلُوْبِهِمْؕ وَ اللّٰهُ یُحْیٖ وَ یُمِیْتُؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ
হে ঈমানদারগণ! কাফেরদের মতো কথা বলো না। তাদের আত্মীয়স্বজনরা কখনো সফরে গেলে অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে (এবং সেখানে কোন দুর্ঘটনায় পতিত হলে) তারা বলে, যদি তারা আমাদের কাছে থাকতো তাহলে মারা যেতোনা এবং নিহত হতো না। এ ধরনের কথাকে আল্লাহ তাদের মানসিক খেদ ও আক্ষেপের কারণে পরিণত করেন। নয়তো জীবন–মৃত্যু তো একমাত্র আল্লাহই দান করে থাকেন এবং তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপের ওপর তিনি দৃষ্টি রাখেন। (সূরা আলে-ইমরান - ১৫৬)
অনেকে বলেন, আমাকে অনুমতি দিন (বাড়ীতে থেকে যাওয়ার) এবং ফিতনায় ফেলবেন না। অথচ তারা ফিতনায় পড়ে গেছে প্রশ্নাতীতভাবে।
আল্লাহ তায়ালা আকাঙ্ক্ষা এবং সংশয়ের সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি বলি তাওহিদের পরে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ'র চেয়ে বড় কোনো আমল ইসলামে নেই।
وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ
Comment