Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ পরিত্যাগকারীদের উদ্দেশ্যে শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনী হাফিযাহুল্লাহ ২য় পর্ব

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ পরিত্যাগকারীদের উদ্দেশ্যে শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনী হাফিযাহুল্লাহ ২য় পর্ব

    জিহাদ পরিত্যাগকারীদের উদ্দেশ্যে দেয়া শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনী হাফিযাহুল্লাহ এর একটি সাক্ষাৎকার থেকে ইষৎ পরিমার্জিত।
    দ্বিতীয় পর্ব
    বিষয়: কেন আসবেন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ তে?


    "نَحْمَدُهُ وَنُصَلِّي عَلَى رَسُولِهِ الْكَرِيمِ، أَمَّا بَعْدُ"

    আল্লাহর রাসূল সা: জিহাদের অসংখ্য ফযীলত বর্ণনা করেছেন।

    তিনি বলেন, " জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ'য় এক ঘণ্টা কাটানো ৬০ বৎসর ইবাদত করার চেয়ে উত্তম। "

    আরো এসেছে,

    حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَغَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏"‏‏.‏

    আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্‌র রাস্তায় একটি সকাল কিংবা একটি বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে, তার চেয়ে উত্তম।

    (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৭৯২, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস, ird)

    আরেকটি হাদীসে এসেছে,

    حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ مُقَنَّعٌ بِالْحَدِيدِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُقَاتِلُ وَأُسْلِمُ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَسْلِمْ ثُمَّ قَاتِلْ ‏"‏‏.‏ فَأَسْلَمَ ثُمَّ قَاتَلَ، فَقُتِلَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عَمِلَ قَلِيلاً وَأُجِرَ كَثِيرًا ‏"‏‏.‏

    বারা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

    তিনি বলেন, লৌহ বর্মে আবৃত এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি যুদ্ধে শরীক হবো, না ইসলাম গ্রহণ করব?’ তিনি বললেন, ‘ইসলাম গ্রহন কর, অতঃপর যুদ্ধে যাও।’ অতঃপর সে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহন করে যুদ্ধে গেল এবং শাহাদাত লাভ করল। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘সে কম আমল করে অধিক পুরস্কার পেল।’

    (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৮০৮, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস, ird)

    এভাবে আরো অনেক হাদীসে জিহাদের ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। এভাবে জিহাদে অগণিত সওয়াবের কথা বার বার এসেছে। কিন্তু কেন?

    আপনি কি মনে করেন সওয়াব শুধু শুধুই দেওয়া হচ্ছে? অবশ্যই না।

    ইমাম মুসলিমের একটি হাদীসে উম্মুল মু'মিনীন মা আয়েশা রা: বলেন, যার কষ্ট যত বেশি হবে তার সওয়াব তত বেশি হবে।

    জিহাদের পথে আপনার কষ্ট যত বেশি হবে, আল্লাহ আপনাকে তত বেশি প্রতিদান দিবেন।

    যদি আপনি একজন শহীদকে আল্লাহ তায়ালা যে ছয়টি পুরস্কার দিবেন তা সম্পর্কে জানেন, তাহলে আপনি সবকিছু ভুলে যাবেন।


    لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ: يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ، وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الجَنَّةِ، وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَيَأْمَنُ مِنَ الفَزَعِ الأَكْبَرِ، وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الوَقَارِ، اليَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الحُورِ العِينِ، وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ

    শহীদ আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে বড় বড় ছয়টি পুরস্কার পাবে।

    এক. তাকে তৎক্ষণাৎ ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং তাকে তার জান্নাতী নিবাস দেখনো হবে।

    দুই. কবরের আযাব মাফ করে দেয়া হবে ।

    তিন. হাশরের ময়দানে যখন ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই সন্ত্রস্ত ও পেরেশান থাকবে, তখন আল্লাহ পাক তাকে সেই পেরেশানি ও বিভীষিকা থেকে মুক্ত রাখবেন।

    চার. সেদিন তার মাথায় এমন একটি সম্মাননা মুকুট পরানো হবে, যার একেকটি হীরা ও মুক্তা দুনিয়া ও তার সব কিছু থেকে দামী হবে।

    পাঁচ. স্ত্রী হিসাবে তাকে বাহাত্তরজন হুর দান করা হবে।

    ছয়. তার নিকটজনদের মধ্যে হতে সত্তরজনের ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।
    (সুনানে তিরমিযী)

    সাহাবা রা: আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, কবরের কঠিন ফিতনা থেকেও রক্ষা করা হবে? অনেক কঠিন এই কবরের ফিতনা। কবরের ফিতনার দুশ্চিন্তায় এবং ভয়ে উসমান রা: অজ্ঞান হয়ে যেতেন। কবরের ফিতনা খুবই ভয়ঙ্কর।

    সাহাবা রা: জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূল্লাল্লাহ সা: শহীদকে কেন অন্যান্যদের মত কবরের ফিতনার সম্মুখীন হতে হবে না?

    রাসূল সা: বলেন, শহীদের মাথার উপর তলোয়ারের ঝলকানিই তাঁর কবরের ফিতনার তুলনায় যথেষ্ট।

    এজন্য আলেমরা বলেন, " প্রতিদান আসে আমলের মতো"

    যখন আপনি আপনার মাথার উপর দিয়ে বিমান অতিক্রম করার শব্দ শুনতে পাবেন তখন আপনি আসলেই ভীত সন্ত্রস্ত হবেন। এই ভয়ের জন্যই আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবরের ফিতনার সম্মুখীন করবেন না।

    অন্যান্য হাদীসেও জিহাদ সম্পর্কে এরকমই বলা হয়েছে। এজন্য আমি প্রত্যেক যুবককে বলছি, জিহাদ আপনাদের জন্য বাধ্যতামূলক। আপনাদের অবশ্যই তা শুরু করা উচিত। এবং আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করা উচিত।

    আপনি যদি বলেন, সেখানে সংঘর্ষ হচ্ছে, এই হচ্ছে সেই হচ্ছে,,,ইত্যাদি।

    আপনি যেই অজুহাতই দেখান না কেন তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

    মনে রাখুন, " জিহাদ হচ্ছে আল্লাহর দ্বীন"


    وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ




  • #2
    সাহাবা রা: জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূল্লাল্লাহ সা: শহীদকে কেন অন্যান্যদের মত কবরের ফিতনার সম্মুখীন হতে হবে না?
    রাসূল সা: বলেন, শহীদের মাথার উপর তলোয়ারের ঝলকানিই তাঁর কবরের ফিতনার তুলনায় যথেষ্ট।
    আল্লাহ তাআলা আমাদের শহীদ ফি সাবিলিল্লাহ হিসেবে কবুল করুন, আমীন

    Comment


    • #3
      জিহাদ পরিত্যাগকারীদের উদ্দেশ্যে শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনী হাফিযাহুল্লাহ ১ম পর্ব

      জিহাদ পরিত্যাগকারীদের উদ্দেশ্যে শাইখ আব্দুল্লাহ আল মুহাইসিনী হাফিযাহুল্লাহ ৩য়শেষ পর্ব

      Comment

      Working...
      X