ই'দাদের শক্তি
ই'দাদের যে কি শক্তি, তা কল্পনা করা যায় না। ই'দাদের মাধ্যমে শত্রুর অন্তরে কম্পন ধরানো যায়। তাদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙ্গে দেওয়া যায়।
আল্লাহ তাআলা কোরআনের মধ্যে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন:
واعدوا لهم مااستطعتم من قوة ومن رباط الخيل ترهبون به عدو الله وعدوكم.
আর তোমরা সাধ্যমত শক্তি এবং অশ্ব বাহিনীর প্রস্তুত করো যা দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভয় দেখাবে।
সম্প্রতি তালেবান মুজাহিদগণ কাবুল বাহিনীর ওপর একটি ড্রোন হামলা চালিয়ে ছিলেন। এ সম্পর্কে কুফফার মিডিয়ার একটি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করছি। এই হামলার কারণে তারা যে আতঙ্কিত হয়ে আছে তা তাদের নিউজ এর শিরোনাম দেখেই বোঝা যায়।
এটা হলো শিরোনাম:
(ভয়াবহ হামলায় তালেবানের ড্রোনের ব্যবহার! উদ্বেগজনক পরিবর্তন)
নিউজ এর ভিতরের কয়েকটি লাইন কোট করে করে উল্লেখ করছি:
গত রোববার আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে এক তালেবান হামলায় অন্তত চারজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। খুব সম্ভবত ড্রোনের মাধ্যমে এই হামলাটি চালানো হয়েছিল। সিনিয়র ও স্থানীয় আফগান কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৯ বছর ধরে চলা যুদ্ধে তালেবান সম্ভবত এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ড্রোনের ব্যবহার করল।
কুন্দুজের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য গোলাম রাব্বানি রাব্বানি বলেন, কুন্দুজ গভর্নরের দেহরক্ষীরা গভর্নরের গেস্টহাউজে ভলিবল খেলার সময় তাদের ওপর ওই বিস্ফোরণটি ঘটে।
তিনি বলেন, এটি কোনো বিস্ফোরণ না ক্ষেপণাস্ত্র না ড্রোন হামলা, তা স্পষ্ট নয়।
কুন্দুজ থেকে আফগান পার্লামেন্টের সদস্য ফজল করিম আইমাক তার ফেসবুক পেইজে বলেন, এই ঘটনা নতুন ধরনের হামলা। তবে তা ড্রোনে পরিচালিত কিনা তা পরিষ্কার নয়।
মে মাসেও একই ধরনের হামলা হয়েছিল কুন্দুজের গভর্নরের কম্পাউন্ডে। তাতে একজন নিহত হয়েছিলেন। ওই সময় গভর্নরের মুখপাত্র বলেছিলেন, একটি বিদায়ী পার্টিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
রোববারের হামলাটি সশস্ত্র ড্রোনের হয়ে থাকলে তা আফগান, যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বাহিনীর জন্য ব্যাপক ও ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যের মনোবল ইতোমধ্যেই ধসে গেছে। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তির আলোকে মার্কিন সৈন্যরা চলে যেতে থাকায় তালেবানকে মোকাবেলা করার সক্ষমতাও আফগান বাহিনীর হ্রাস পেয়েছে।
তবে ওই চুক্তির পর তালেবান তেমনভাবে মার্কিন সৈন্যদের ওপর হামলা চালায়নি। তবে আফগানিস্তানের দক্ষিণে আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলাকে ব্যতিক্রমই বলা যায়।
এটা নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট।
কুফফাররা প্রতিদিন আমাদের উপর বিমান হামলা চালাচ্ছে। ড্রোন হামলার তো কোন সীমারেখা নেই। মুজাহিদরা কোনক্রমেই পিছু হটেনি। অথচ তাদের রয়েছে বিশাল ন্যাটো জোট। শত শত বিমান, ফাইটার, জেট, রণতরী, ট্যাংক, মিসাইল, পারমানবিক বোমা। এত সব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র থাকা সত্ত্বেও তারা মুজাহিদদের ছোট ড্রোন বলা যায় খেলনার আঘাতে কাবু হয়ে গেল। হামলার আশঙ্কায় থর থর করে কাঁপছে।
এটাই হলো ই'দাদের শক্তি। এজন্য আমাদের সাধ্যমত শক্তি অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদেরকে বলা হয়েছে সাধ্যমত অর্জন করতে। আমাদের বিমান কিংবা জাহাজ কিনার সামর্থ নেই। কিন্তু যতটুকু অর্জন করা সম্ভব ততটুকু অর্জন করা ফরজ। মুজাহিদ ভাইদের ও একটা বিমান কেনার মত অর্থ নেই। সুযোগও হয়তো নেই। কিন্তু তারা ড্রোন জোগাড় করে ফেলেছেন। এই যে তারা সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি অর্জন করেছেন এবং তা অর্জনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তার বরকতেই আল্লাহ তাআলা শত্রুদের অন্তরে তাদের প্রতি রুব(ভয়) ঢেলে দিয়েছেন।
আজকে আমাদের দেশে তাগুত এমপি মন্ত্রীরা একের পর এক উদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলে যাচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীরা চোখ রাঙাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে শাহবাগীরা নতুনভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে।
তারা আমাদেরকে ঘাড় মটকে দিতে চায়। বুড়ি গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে চায়। আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। আমাদের সাথে খেলতে চায়। আর বলে তাদের নাকি পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরোটা কলিজা। তারা এত বাহাদুর। তারা আমাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি তাদের সাথে লাগতে গেলে আমাদের পরিণতি ভালো হবে না।
আমার মনে হয় তাদের এত দাম্ভিকতার কারণ হলো তারা হয়তো চাপাতির কথা ভুলে গেছে। খুবই স্বাভাবিক। 2016 সালের পর থেকে তারা চাপাতির স্বাদ আস্বাদন করছে না।
একমাত্র ই'দাদই পারে তাদের এই ঔদ্ধত্যের উপযুক্ত জবাব দিতে। আমাদেরকে বলা হয়েছে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে। আমাদের যদি একটা ছুরি জোগাড় করার সামর্থ্য থাকে এবং আমরা তাই জোগাড় করি তাহলে হয়তো এটার মাধ্যমে তাদের অন্তরে ভীতি সৃষ্টি হবে।
ইতিহাস সাক্ষী, মরক্কোর আব্দুল করিম খাত্তাবি শুধুমাত্র কিছু লাঠিসোঠা আর বর্ষা নিয়ে তার ছোট্ট গেরিলা দল দিয়ে অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র সজ্জিত স্পেনিশ বাহিনীকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত নাস্তানাবুদ করেছিলেন। তারা এই সমস্ত সাধারণ অস্ত্র নিয়ে স্প্যানিশদের তাবুতে গিয়ে শুধু একটা হুংকার ছাড়তেন। আর তাতেই এই কাপুরুষরা ঘাঁটি ছেড়ে পালাতো এভাবেই তারা একের পর এক ঘাঁটি গুলো ছেড়ে দিত।
সর্বশেষ আমি শাইখ তামিম আদনানীর মুখ নিঃসৃত একটি কথা বলব:
ঈমানী ও আসকারী ই'দাদ চালিয়ে যান অব্যাহতভাবে।
নইলে আরাকান ও কাশ্মীরিদের পরিণত বরণ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না এদেশের মুসলিমদেরও।
ই'দাদের যে কি শক্তি, তা কল্পনা করা যায় না। ই'দাদের মাধ্যমে শত্রুর অন্তরে কম্পন ধরানো যায়। তাদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙ্গে দেওয়া যায়।
আল্লাহ তাআলা কোরআনের মধ্যে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন:
واعدوا لهم مااستطعتم من قوة ومن رباط الخيل ترهبون به عدو الله وعدوكم.
আর তোমরা সাধ্যমত শক্তি এবং অশ্ব বাহিনীর প্রস্তুত করো যা দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভয় দেখাবে।
সম্প্রতি তালেবান মুজাহিদগণ কাবুল বাহিনীর ওপর একটি ড্রোন হামলা চালিয়ে ছিলেন। এ সম্পর্কে কুফফার মিডিয়ার একটি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করছি। এই হামলার কারণে তারা যে আতঙ্কিত হয়ে আছে তা তাদের নিউজ এর শিরোনাম দেখেই বোঝা যায়।
এটা হলো শিরোনাম:
(ভয়াবহ হামলায় তালেবানের ড্রোনের ব্যবহার! উদ্বেগজনক পরিবর্তন)
নিউজ এর ভিতরের কয়েকটি লাইন কোট করে করে উল্লেখ করছি:
গত রোববার আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে এক তালেবান হামলায় অন্তত চারজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। খুব সম্ভবত ড্রোনের মাধ্যমে এই হামলাটি চালানো হয়েছিল। সিনিয়র ও স্থানীয় আফগান কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৯ বছর ধরে চলা যুদ্ধে তালেবান সম্ভবত এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ড্রোনের ব্যবহার করল।
কুন্দুজের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য গোলাম রাব্বানি রাব্বানি বলেন, কুন্দুজ গভর্নরের দেহরক্ষীরা গভর্নরের গেস্টহাউজে ভলিবল খেলার সময় তাদের ওপর ওই বিস্ফোরণটি ঘটে।
তিনি বলেন, এটি কোনো বিস্ফোরণ না ক্ষেপণাস্ত্র না ড্রোন হামলা, তা স্পষ্ট নয়।
কুন্দুজ থেকে আফগান পার্লামেন্টের সদস্য ফজল করিম আইমাক তার ফেসবুক পেইজে বলেন, এই ঘটনা নতুন ধরনের হামলা। তবে তা ড্রোনে পরিচালিত কিনা তা পরিষ্কার নয়।
মে মাসেও একই ধরনের হামলা হয়েছিল কুন্দুজের গভর্নরের কম্পাউন্ডে। তাতে একজন নিহত হয়েছিলেন। ওই সময় গভর্নরের মুখপাত্র বলেছিলেন, একটি বিদায়ী পার্টিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
রোববারের হামলাটি সশস্ত্র ড্রোনের হয়ে থাকলে তা আফগান, যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বাহিনীর জন্য ব্যাপক ও ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যের মনোবল ইতোমধ্যেই ধসে গেছে। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তির আলোকে মার্কিন সৈন্যরা চলে যেতে থাকায় তালেবানকে মোকাবেলা করার সক্ষমতাও আফগান বাহিনীর হ্রাস পেয়েছে।
তবে ওই চুক্তির পর তালেবান তেমনভাবে মার্কিন সৈন্যদের ওপর হামলা চালায়নি। তবে আফগানিস্তানের দক্ষিণে আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলাকে ব্যতিক্রমই বলা যায়।
এটা নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট।
কুফফাররা প্রতিদিন আমাদের উপর বিমান হামলা চালাচ্ছে। ড্রোন হামলার তো কোন সীমারেখা নেই। মুজাহিদরা কোনক্রমেই পিছু হটেনি। অথচ তাদের রয়েছে বিশাল ন্যাটো জোট। শত শত বিমান, ফাইটার, জেট, রণতরী, ট্যাংক, মিসাইল, পারমানবিক বোমা। এত সব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র থাকা সত্ত্বেও তারা মুজাহিদদের ছোট ড্রোন বলা যায় খেলনার আঘাতে কাবু হয়ে গেল। হামলার আশঙ্কায় থর থর করে কাঁপছে।
এটাই হলো ই'দাদের শক্তি। এজন্য আমাদের সাধ্যমত শক্তি অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদেরকে বলা হয়েছে সাধ্যমত অর্জন করতে। আমাদের বিমান কিংবা জাহাজ কিনার সামর্থ নেই। কিন্তু যতটুকু অর্জন করা সম্ভব ততটুকু অর্জন করা ফরজ। মুজাহিদ ভাইদের ও একটা বিমান কেনার মত অর্থ নেই। সুযোগও হয়তো নেই। কিন্তু তারা ড্রোন জোগাড় করে ফেলেছেন। এই যে তারা সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি অর্জন করেছেন এবং তা অর্জনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তার বরকতেই আল্লাহ তাআলা শত্রুদের অন্তরে তাদের প্রতি রুব(ভয়) ঢেলে দিয়েছেন।
আজকে আমাদের দেশে তাগুত এমপি মন্ত্রীরা একের পর এক উদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলে যাচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীরা চোখ রাঙাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে শাহবাগীরা নতুনভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে।
তারা আমাদেরকে ঘাড় মটকে দিতে চায়। বুড়ি গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে চায়। আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। আমাদের সাথে খেলতে চায়। আর বলে তাদের নাকি পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরোটা কলিজা। তারা এত বাহাদুর। তারা আমাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি তাদের সাথে লাগতে গেলে আমাদের পরিণতি ভালো হবে না।
আমার মনে হয় তাদের এত দাম্ভিকতার কারণ হলো তারা হয়তো চাপাতির কথা ভুলে গেছে। খুবই স্বাভাবিক। 2016 সালের পর থেকে তারা চাপাতির স্বাদ আস্বাদন করছে না।
একমাত্র ই'দাদই পারে তাদের এই ঔদ্ধত্যের উপযুক্ত জবাব দিতে। আমাদেরকে বলা হয়েছে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে। আমাদের যদি একটা ছুরি জোগাড় করার সামর্থ্য থাকে এবং আমরা তাই জোগাড় করি তাহলে হয়তো এটার মাধ্যমে তাদের অন্তরে ভীতি সৃষ্টি হবে।
ইতিহাস সাক্ষী, মরক্কোর আব্দুল করিম খাত্তাবি শুধুমাত্র কিছু লাঠিসোঠা আর বর্ষা নিয়ে তার ছোট্ট গেরিলা দল দিয়ে অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র সজ্জিত স্পেনিশ বাহিনীকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত নাস্তানাবুদ করেছিলেন। তারা এই সমস্ত সাধারণ অস্ত্র নিয়ে স্প্যানিশদের তাবুতে গিয়ে শুধু একটা হুংকার ছাড়তেন। আর তাতেই এই কাপুরুষরা ঘাঁটি ছেড়ে পালাতো এভাবেই তারা একের পর এক ঘাঁটি গুলো ছেড়ে দিত।
সর্বশেষ আমি শাইখ তামিম আদনানীর মুখ নিঃসৃত একটি কথা বলব:
ঈমানী ও আসকারী ই'দাদ চালিয়ে যান অব্যাহতভাবে।
নইলে আরাকান ও কাশ্মীরিদের পরিণত বরণ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না এদেশের মুসলিমদেরও।
Comment