Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১২ || জিহাদে অংশগ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায় ।। মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) || ১ম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১২ || জিহাদে অংশগ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায় ।। মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) || ১ম পর্ব

    আততিবইয়ান পাবলিকেসন্স পরিবেশিত
    জিহাদেঅংশগ্রহণ এবংসহায়তার৩৯টিউপায়।।
    মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) হাফিযাহুল্লাহ
    এরথেকে || ১ম পর্ব


    ==================================================
    =====
    ভূমিকা



    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি তাঁর বান্দাদের উপর জিহাদকে ফরজ করেছেন এবং তাদেরকে পৃথিবীর উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার এবং কাফিরদের উপর কর্তৃত্ব দানের ওয়াদা করেছেন। এবং দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর সর্বোত্তম বান্দার উপর, যিনি সত্যিকার অর্থেই আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছেন যতক্ষণ না নির্ধারিত বিষয় (মৃত্যু) এসে পরেছে। আল্লাহ যেন তাঁর উপর এবং তাঁর পরিবারের এবং তাঁর প্রকৃত ও খাঁটি সাহাবীগণের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করেন। আমীন।

    অতঃপর

    আমার সম্মানিত ভাইয়েরা! আমরা এক চরম দুর্দশার এবং বিশৃঙ্খলার সময় পার করছি, যা ইতিহাসে ইতিপূর্বে কখনও ঘটেনি, যেখানে ভেদাভেদ-মতানৈক্য হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক নিয়ম এবং দুর্দশা ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিকে এবং যেখানে পুরো পৃথিবী হয়ে পড়েছে এক সংঘাতের মঞ্চযারা দ্বীনের উপর সুদৃঢ় ও স্থির থাকতে চায় এবং যারা জিহ্বা ও অস্ত্র দিয়ে তাদের দ্বীনকে সুরক্ষা করতে চায় তাদেরকে দ্বীন থেকে বের করার জন্যে পায়তারা চালাচ্ছে,… সমগ্র পৃথিবী বিভিন্ন উপায়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে, প্রকৃতপক্ষে জিহাদের বিরুদ্ধে এবং এর বিরুদ্ধে মুসলিমদেরও ব্যবহারকরছে।

    আজ ইসলামকে আক্রমণ করা হচ্ছে সম্মিলিত ভাবে। কাফির জাতি এবং তাদের সাহায্যকারীরা (আউলিয়ারা) পৃথিবীর প্রত্যেক দিক থেকে এসে একত্রিত হয়েছে আত্-তা‘ইফাহ আল-মানসূরাহ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার, যারা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে কুফর ও কাফিরদের বিরুদ্ধে বিরামহীন ও কঠোর এক সুস্পষ্ট ও তীব্র জিহাদের দামামা – যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর আদেশ এসে যায়। আর তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না বিশ্বাসঘাতক দ্বারা বা পরাজিত মুসলিমদের দ্বারা অথবা তাদের দ্বারা যারা এই তুচ্ছ পার্থীব জগতের মোহে মত্ত। কাফির ও মুরতাদ অথবা পথভ্রষ্ট বিদ‘আতীদের মধ্য হতে যারা তাদের বিরোধিতা করে তাদের দ্বারা এরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এবং এ বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশই নেই যে, আজকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে জিহাদ। সত্যিকার অর্থে এটা একটি বাধ্যতামূলক কাজ যা আল্লাহ্ আমাদের উপর ফরজ করেছেন। মুসলিমদের জন্য আল্লাহর উপর ঈমান আনার পর জিহাদ করা এবং মুসলিম ভূমিতে প্রবেশকারী ও দখলদারদের উৎখাত করার চেয়ে আর বড় কোন বাধ্যবাধকতা নেই।


    যদি তুমি কোন ভূমিতে ইসলাম অনুসন্ধান কর
    তাহলে তুমি একে একটি পাখির ন্যায় দেখবে,
    যার ডানাগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।



    আজকে মুসলিম উম্মাহর জন্য জিহাদ ছাড়া আর কোন পথ নেই। কারণ একের পর এক মুসলিমদের ভূমি শত্রুরা দখল করে নিচ্ছে। মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ্ বলেছেনঃ
    وَلَن تَرْضٰى عَنكَ الْيَهُودُ وَلَا النَّصٰرٰى حَتّٰى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ ۗ قُلْ إِنَّ هُدَى اللَّهِ هُوَ الْهُدٰى ۗ وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَآءَهُم بَعْدَ الَّذِى جَآءَكَ مِنَ الْعِلْمِ ۙ مَا لَكَ مِنَ اللَّهِ مِن وَلِىٍّ وَلَا نَصِيرٍ



    “…তারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যে পর্যন্ত তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন হতে ফিরিয়ে না নেয়, যদি তারা সক্ষম হয়…।”


    সুতরাং মুসলিমদের জন্য আজ জিহাদ এবং অস্ত্রের ভাষা ছাড়া আর কোন উপায় নেই । আল্লাহর কসম করে আমাকে বলুন, আক্রমণকারী শত্রুদের ব্যাপারে, যারা মুসলিমদের ভূমিসমূহ দখল করেছে, সম্মান নষ্ট করেছে, শিশুদের ইয়াতীম ও মহিলাদের বিধবা করেছে এবং দেশে দেশে ইসলামের উপর আঘাত হেনেছে … এত সব কিছুর পরও, শত্রুদের ব্যাপারে কি কোন রূপ সন্দেহ আছে, যে তাদের সাথে সমঝোতা করার একমাত্র উপায় হলো শক্তি ও প্রতিশোধের ভাষা? সুতরাং লোহার মোকাবেলা করতে হবে লোহা দিয়ে এবং শক্তির মোকাবেলা করতে হবে শুধুমাত্র শক্তি দিয়ে। কোরআন ও সুন্নাহ্ থেকে আমাদের জন্য এটা প্রতিষ্ঠিত- এবং বাস্তবতাও এটার পক্ষে সাক্ষ্য ও সমর্থন করে যে, যারা সমঝোতা এবং শান্তি(চুক্তি) চায়- তারা সুষ্পষ্ট ক্ষতি, অপমানজনক পরাজয়, আল্লাহর পরিবর্তে অন্যের গোলামী করা এবং ত্বাগুতদের আনুগত্য ছাড়া কিছুই পায় না। আপনাদের সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে তাদের ব্যাপারে যারা মুসলিম নামধারী বিশ্বাসঘাতক শাসকদের কাছে এসব খোঁজে; তারা আমাদের মধ্য হতে নয় এবং আমরাও তাদের মধ্য হতে নই। বরং তারা আমাদের প্রধান শত্রু, কারণ তাদের মাধ্যমে কাফিররা আমাদের সাথে যুদ্ধ করছে এবং তাদের প্রতারণা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের অধিকার বলপূর্বক কেড়ে নিচ্ছে। কিভাবে এর ব্যতিক্রম হবে, যখন আল্লাহ তাঁর কিতাবে বলেছেন এবং আমাদের জানিয়েছেন যে, তারা আমাদের সাথে একটি নিদির্ষ্ট লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছে এবং তা হল, “…যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন হতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে যদি তারা সামর্থ্য হয়…।”
    সর্বোচ্চ জিহাদ ছাড়া কোন সমাধান নেই।
    বিশ্ব শান্তি আমাদেরকে আর সন্তুষ্ট করে না।
    শত্রুর জন্য কোন শান্তি নেই।”



    এটা একটি নীতিমালা এবং বিশ্বাস প্রত্যেক মুসলিমদের হৃদয়ে রয়েছে। যেহেতু জিহাদ উম্মাহর একমাত্র উপায়, প্রয়োজনীয় এবং আদেশকৃত ফরজ, এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমি আমার এক ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করেছি- কিছু উপায় সম্পর্কে লিখতে যাতে করে প্রত্যেকে জিহাদে অংশগ্রহন করতে পারে এবং মুজাহিদীনদেরকে সাহায্য করতে পারে এবং জিহাদের ট্রেনকে ক্ষমতাশালী করতে পারে যা দ্রুতবেগে ছুটে চলছে ত্বাগুতদের চরম দাম্ভিকতাকে চূর্নবিচূর্ণ করার জন্য।

    আমরা এই প্রবন্ধের শিরোনাম দিয়েছি, জিহাদের অংশগ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায়।”

    হে আল্লাহ! আমাদেরকে হিদায়াত, সাহায্য এবং সুদৃঢ়তা দান করুন এবং একে মানুষের কাছে গ্রহণীয় এবং উপকারী করে দিন।

    মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-’আশীন);
    ১৯/০৫/১৪২৪ হিজরী।

    ১.জিহাদের জন্য নিয়্যত করাঃ



    জিহাদের জন্য অন্তরে নিয়্যত থাকা; অন্তরের খাঁটি নিয়্যত একজনকে জিহাদের জন্য সাড়া দিতে উদ্বুদ্ধ করে। যখনই জিহাদের আহ্বানকারীরা আহ্বান করবে, “হে আল্লাহর সৈনিক! (ঘোড়ার পিঠে) জিন পরাও” তখনই সেই মানুষটি জিহাদে অংশগ্রহণ করার জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়বে, যখনই তাকে আহবান করা হয় তখনই সে বেরিয়ে পরে এবং যখনই ভাইদের জন্য সাহায্য চাওয়া হয় তখনই সাহয্যের জন্য এগিয়ে আসে। যেমনটি রসূল বলেছেন “… এবং যদি তোমাদেরকে সামনে অগ্রসর হতে বলা হয় তবে সামনে অগ্রসর হও।”

    যদি সেই ব্যক্তি নিয়্যত করে জিহাদে যাওয়ার জন্য এবং সে যেতে বা তা করতে ব্যর্থ হয় সে তখন এ কারণে ব্যথিত হয় যেরূপ আল্লাহ্ সাহাবীদের সম্পর্কে বলেছেন যারা যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হয়েছিলঃ

    ﴿ وَلَا عَلَى ٱلَّذِينَ إِذَا مَآ أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَآ أَجِدُ مَآ أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوا۟ وَّأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ ٱلدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا۟ مَا يُنفِقُونَ



    আর তাদেরও কোন অপরাধ নেই যারা আপনার কাছে এসেছিল যেন আপনি তাদের বাহন দেন। আপনি বলেছিলেন, আমার কাছে এমন কোন বাহন নেই যার উপর তোমাদের সওয়ার করাবোতখন তারা ফিরে গেল আর তাদের চোখ দিয়ে অশ্রু বিগলিত হচ্ছিল এ দুঃখে যে, তারা এমন কিছু পাচ্ছে না যা ব্যয় করতে পারে।”

    সুতরাং এটা তখনই হয় যখন জিহাদে অংশগ্রহন করার বিশুদ্ধ নিয়্যত অন্তরে থাকে। যে দুঃখ ও অনুতাপ সে অনুভব করে তা হলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে না পারার কারণে। পক্ষান্তরে যখন জিহাদে অংশগ্রহনের পথ বন্ধ হয়ে যায় অথবা সে জিহাদের যাওয়ার যোগ্য নয়, সে ব্যক্তি এরূপ বলে ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাকে জিহাদের আবশ্যকতা থেকে রক্ষা করেছেন।’ সে আসলে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে জিহাদকে ঘৃণা করে এবং সে তা চায় না; সে মুনাফিকদের মত যারা জিহাদকে ঘৃণা করে এবং তারা (জিহাদের জন্য) অগ্রসর হয় ঘৃণা নিয়ে। যদি তারা সম্মুখে অগ্রসরও হয়, তারা সেনাবাহিনীকে নিরুৎসাহিত করে এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে পলায়ন করে। আল্লাহর শপথ! উভয়ের মাঝে কি পরিষ্কার পার্থক্য যে, একদল জিহাদে অংশ গ্রহণ করতে এবং কিতাল করতে অপারগ হলে ব্যথিত হৃদয়ে কাঁদে এবং অপরজন যুদ্ধে না যাওয়ার অযুহাত বা কারণ খুঁজে পেলে নিজের আনন্দ ও খুশি লুকিয়ে রাখে; আল্লাহ্ তা’য়ালা গোপনীয় ও অন্তরে লুকায়িত সব কিছুর খবরই জানেন। জিহাদে যাওয়ার নিয়্যত মানুষের মুনাফিকীর বৈশিষ্ট্যকে মুছে ফেলে যেরূপসহীহ্ মুসলিম’-এ আবু হুরায়রা রাযি. হতে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ বলেছেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ না করে মৃত্যু বরণ করে অথবা জিহাদ করার নিয়্যত না রেখে মৃত্যু বরণ করে তখন সে মুনাফিকীর একটি শাখার উপর মৃত্যু বরণ করে।”

    শাইখুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়াহ্ (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) বলেছেন, “…ছোট মুনাফিকী (নিফাক) হলো কাজের মাধ্যমে মুনাফিকী। উদাহরণস্বরূপ, কোন ব্যক্তি যখন কথা বলে মিথ্যা বলে অথবা ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে অথবা আমানত রাখলে খিয়ানত করে অথবা যখন ঝগড়া করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে… আর জিহাদ ত্যাগ করা এর অন্তর্ভূক্ত কারণ এটা মুনাফিকদের একটি বৈশিষ্ট্য। রসূল বলেছেন, “যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ না করে মৃত্যু বরণ করে অথবা জিহাদ করার নিয়্যত না রেখে মৃত্যু বরণ করে তখন সে মুনাফিকীর একটি শাখার উপর মৃত্যু বরণ করে।” এবং আল্লাহ্ সূরা বারা’আ’(আত-তাওবা) নাযিল করেছেন যা ‘উম্মোচণকারী’ (আল-ফাদিহাহ) হিসাবেও পরিচিত, কারণ তা মুনাফিকদের মুখোশ উম্মোচন করে দেয়। সুতরাং আল্লাহ্ এ সূরায় মুনাফিকদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছেন, এবং তাদের কাপুরুষতা এবং জিহাদ পরিত্যাগের বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়ের ক্ষেত্রে তাদের কৃপণতা ও সম্পদের প্রতি তাদের মোহের বর্ণনা দিযেছেন। তাদের দু’টি মারাত্মক ব্যাধি হল কাপুরুষতা ও কৃপণতা। আল্লাহ্ বলেছেনঃ

    إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ ءَامَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجٰهَدُوا بِأَمْوٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِى سَبِيلِ اللَّهِ ۚ أُولٰٓئِكَ هُمُ الصّٰدِقُونَ



    প্রকৃত মু’মিন তো তারাই, যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি, অতঃপর কখনও সন্দেহ করেনি এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে জিহাদ করেছে, তারাই সত্যবাদী লোক।”

    সুতরাং তিনি ঈমানদারদের সংজ্ঞা তাঁর উপর ঈমান আনা ও জিহাদ করার মাঝে সীমাবদ্ধ রেখেছেন। আল্লাহ্ আরও বলেছেনঃ

    إِنَّمَا يَسْتَـْٔذِنُكَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْءَاخِرِ وَارْتَابَتْ قُلُوبُهُمْ فَهُمْ فِى رَيْبِهِمْ يَتَرَدَّدُونَ * إِنَّمَا يَسْتَـْٔذِنُكَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْءَاخِرِ وَارْتَابَتْ قُلُوبُهُمْ فَهُمْ فِى رَيْبِهِمْ يَتَرَدَّدُونَ



    যারা আল্লাহে ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে, তারানিজেদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করার ব্যাপারে আপনার কাছে অব্যহতি লাভেরঅনুমতি প্রার্থনা করে না। এবং আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সম্বন্ধে ভাল জানেন।আপনার কাছে অব্যহতির অনুমতি প্রার্থনা করে কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও শেষদিবসে ঈমান আনে না এবং যাদের চিত্ত সংশয়যুক্ত। ফলে তারা তো আপন সংশয়েদ্বিধাগ্রস্ত।”

    আল্লাহ্ আমাদের জানাচ্ছেন যে ঈমানদাররা কখনও রসূলের কাছে জিহাদ থেকে অব্যহতি লাভের জন্য অনুরোধ করেনি বরং যারা ঈমানদার নয় তারাই এরূপ প্রার্থণা করেছিল। সুতরাং তার ব্যাপারে কী হবে, যে এটা (জিহাদ) আল্লাহর রসূল -এর অনুমতি ছাড়াই বর্জন করে?”


    অতএব, হে আমার মুসলিম ভাইয়েরা! সাবধান হও! সাবধান হও! মুনাফিক হওয়া থেকে অথবা নিফাকী নিয়ে মৃত্যু বরণ করা থেকে। যারা নিজেরা জিহাদ করেনা অথবা মুজাহিদীনদের ভৎর্সনা করে অথবা তাদের উপর বিভিন্ন রকম নিন্দা করে; যেমনঃ তারা খুবই অসহিষ্ণু, উপদেশ গ্রহণ করে না, তাদেরকে আমরা বলবঃ


    হে তুমি যে আমাদের যুবকদের জিহাদের বিরুদ্ধে ভৎর্সনা কর, তোমার অপবাদ এবং বর্জনকে ফিরিয়ে রাখ

    যে জান্নাতের বাগান ও এর উপাদান সমূহ কামনা করে এবং নিরবচ্ছিন্ন সাহাবাদের পথে চলছে সে কি অপবাদ যোগ্য?

    যে এ জীবন এবং এর সারশূন্যতা পরিত্যাগ করেছে এবং উত্তপ্ত দৃঢ় সংকল্প নিয়ে গিয়েছে এবং সামনে এগিয়ে গিয়েছে সেকি অপবাদ যোগ্য?

    যে তার জীবন আল্লাহর জন্য সোপর্দ করেছে, যার মাধ্যমে খুঁজেছে ফিরদাউস-সর্বোত্তম গন্তব্যস্থল, সে কি অপবাদ যোগ্য?

    সুতরাং তোমার ভৎর্সনা হতে জিহাদ ও মুজাহিদীনদের রেহাই দাও

    সাবধান হও! মুনাফিকীর বর্ণনার ব্যাপারে, সাবধান হও!

    যে যুদ্ধ করে না অথবা যুদ্ধের ইচ্ছা পোষণ করে না এবং মৃত্যু বরণ করে, বরন করল এক শোচনীয় মৃত্যু।

    নিশ্চয়ই আমাদের সম্মান রয়েছে জিহাদের রাস্তায় এবং এটা পরিত্যাগ করে আমরা আজ লাঞ্চিত এবং যাপন করেছি এক হীন জীবন



    আরও পড়ুন

    Last edited by tahsin muhammad; 01-14-2024, 07:35 PM.

  • #2
    জিহাদের অংশগ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায়।”
    ইয়া আল্লাহ! সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সবগুলো উপায় আমাদের ভালোভাবে কাজে লাগানোর তাওফীক দান করুন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
      জিহাদের অংশগ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায়।”
      ইয়া আল্লাহ! সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সবগুলো উপায় আমাদের ভালোভাবে কাজে লাগানোর তাওফীক দান করুন।
      আমিন ইয়া রব্ব

      Comment

      Working...
      X