Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমরা সেই জাতি হতাশা নয়...(হতাশা কাটিয়ে উঠার সহায়ক)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমরা সেই জাতি হতাশা নয়...(হতাশা কাটিয়ে উঠার সহায়ক)

    أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ


    إِنَّ الْحَمْدَ لِلّٰهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ،

    । وَنَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنْ شُرُوْرِ أنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا مَنْ يَّهْدِهِ اللّٰهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ،

    وَمَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَه وَنَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ، وَنَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُه।

    اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ،

    رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْرُ।

    اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُه, আজকের আলোচনার বিষয় : আমরা তো সেই জাতি……. হতাশা নয় !

    বর্তমান বিশ্বে মুসলিম দেশ ও মুসলমানদের অবস্থা দেখে অনেক মুসলিম-হৃদয়ই হতাশায় আক্রান্ত।

    মুসলিম জাতি আবার নতুনভাবে জেগে উঠতে পারে-সেক্ষেত্রেও তারা হতাশ। একারণে অনেকেই মনে করেন, মুসলমানদের বিশ্বের নেতৃত্ব প্রদান- তা শুধু অতীত ইতিহাসের বিষয়।


    ভবিষ্যতের নেতৃত্বের আসনে উঠে আসা সম্বভ নয়।

    ।এমনই কি ভাইয়েরা.... ?

    ।তাহলে দেখুন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা পবিত্র কুরআনের সুরা আল ইমরান-এ কি ইরশাদ করছেন : وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ “(হে মুসলিমগণ!) তোমরা হীনবল হয়ো না এবং চিন্তিত হয়ো না। তোমরা প্রকৃত মুমিন হলে তোমরাই বিজয়ী হবে।”


    হয়তো বহু বিপদ, নারীদের চিৎকার-ক্রন্দন। সন্তানহারা আর্তনাদ। সকাল-সন্ধ্যায় শিশু-কিশোদের হত্যা। ধসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-ঘর। জমিন উজাড় করা হচ্ছে, ক্ষেত-খামার ফসল পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে… রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে।


    ক্ষতবিক্ষত দেহগুলো ছড়িয়ে পড়ছে, মৃতরা দাফন কাফন বা কবর পর্যন্ত পাচ্ছে না…..।

    । টিকতে পারছে না কোনো প্রতিরোধ প্রতিবাদ কিংবা কিছুই হচ্ছে না…. কিংবা অবস্থা এর চেয়েও আরও ভয়ানক।

    তারপরও বলি আমাদের জন্য নয় হতাশা, নয় নিরুদ্যম , নয় পিছু হটা …..

    ।কাফের সম্প্রদায়ই শুধু আল্লাহর রহম ও কুদরত থেকে নিরশা হয়…..।।

    ।ঠিক কিনা ভাইয়েরা??

    দিন ফিরবেই।


    এটাই আল্লাহর নিয়ম।

    এই নিয়মের কথা তিনি নির্দেশ করে কুরআনুল কারিমের সুরা আল ইমরানে 140 নম্বর আয়াতে ইরশাদ করছেন : إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُهُ وَتِلْكَ الأيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ ‘তোমাদের যদি কোনো আঘাত লেগে থাকে, তবে তাদেরও অনরূপ আঘাত (ইতঃপূর্বে) লেগেছিল। এ তো দিন-পরিক্রমা, যা আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে বদলাতে থাকি।

    বড়ই আশ্চর্য ! মহানগ্রন্থ আল-কুরআনের মতো কিতাবের অধিকারী যেই জাতি, সেই জাতি আজ নিরাশ!।


    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লামের হাদিসের মতো মহান বাণীর উত্তরাধিকারী যেই জাতি, সেই জাতি আজ হতাশ!

    আশ্চর্যের বিষয় !

    মুসলমানদের ইতিহাসের মতো রয়েছে যার একটি বীরত্বপূর্ণ সমৃদ্ধ ইতিহাস, রয়েছে কিংবদন্তীতুল্য মহান সকল পুরুষ, তাদের একটি প্রজন্ম আজ হতোদ্যম!


    বড়ই আফসোসের বিষয় !


    মুসলমানদের ক্ষমতার মতো যারা ক্ষমতা রাখে, মুসলমানদের ধনভান্ডারের মতো যারা ধনভান্ডার রাখে, সেই জাতিই আবার ভোগে নিরাশায় !


    কীভাবে !!!

    সেই জাতি নিরাশ হয় কীভাবে, যে জাতির প্রভু তাঁর কিতাবের মধ্যে ঘোষণা করেছে –বিভ্রান্তরাই শুধু আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়!


    মুসলিমের অন্তরের মধ্যে যে জিনিস এই হতাশার বীজ বপণ করেছে, নিশ্চয় তা দুর্বল হৃদয়ের মধ্যে আরও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।


    দুর্বল অন্তর সেগুলো আরও ভয়াবহ ভেবে নিয়েছে- তাই যখন জাগ্রত হয়ে উঠার কথা, সে তখন আরও লাঞ্জনার অবসন্নে ঢলে পড়েছে। অবশ্যই এর একটি বিহিত হওয়া দরকার….।


    দরকার কি না ভাইয়েরা … ?

    আমাদের ভাবা দরকার, আমাদের যা হয়েছে – এটা আমাদের কেন হলো ?


    আমাদের জেগে উঠার পথ কী হবে ?

    কর্তৃত্ব লাভের পন্থা কী হবে ?


    কী হবে আমাদের নের্তত্ব ও মর্যদা ফিরে পাওয়া কৌশল ও মাধ্যম ?

    আমাদের একটু ভাবা দরকার।,,,


    ভাববার সময় হয়েছে…. কিংবা সময় পেরিয়ে যাচ্ছে…… তাই নয় কি ভায়েরা .. . ?।


    ।তাই বলতে চাই, হে আমার সহযাত্রী ভাইয়েরা, আল্লাহর রাস্তার সাথি, বাতাসের দিকে কান পেতে শোনো, ভবিষ্যতের আলামতগুলো দেখো বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে মুসলামনদের জাগরণগুলো লক্ষ করো. …..


    প্রভুর প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিগুলোর কথা স্মরণ করো………


    এরপর………


    এরপর চোখ থেকে অশ্রু মুছে ফেলো…….

    তোমার শোককে শক্তিতে পরিণত করো……….


    এবার তোমার মাথা উঁচু করো…….

    এবং জেনে রেখো, ভবিষ্যতের সময়গুলো তোমার জন্যই …….


    তোমার অনুকুলে …….তোমার বিপক্ষে নয়, ইনশাআল্লাহ।


    আর এটাও জেনে রাখা উচিত, ধৈর্যশীলতার সঙ্গেই রয়েছে সাহায্য …….


    .কষ্টের পরেই আছে আনন্দ ও সুখ…..


    আমরা যতক্ষণ আল্লাহর রাস্তায় চেষ্টা-প্রচেষ্টা করব, ততদিন আল্লাহ তাআলা আমাদের পথ দেখাবেন।

    এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টা চালায়, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা আনকাবুত : 69)



    কে-ই বা না জানে ! রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত এগিয়ে আসে। আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা এখানেই শেষ করছি।

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সকল প্রকার হতাশা, নিরুদ্যম কাটিয়ে , দীনের পথে অটল-অবিচল থাকা ও দীন ইসলামের হিফাজত করার তৌফিক দান করুন। আমিন।।
    সময়-অর্থ-শ্রম বিনষ্টকারী নীচের বিষয়সমূহ থেকে দূরে থাকুন, যেন আল্লাহর দ্বীন ক্বায়েমের কাজে আরও বেশী আঞ্জাম দিতে পারেন। যেমন- অপ্রয়োজনীয় গল্প-গুজব, অযথা তর্ক করা, আড্ডা দেয়া, খেলা-ধুলা, অতরিক্তি ঘুম, কাজে অলসতা, ইন্টারনেটে সময় নষ্ট করা, বিলাসিতায় নিমজ্জিত থাকা ইত্যাদি।

  • #2
    মাশাআল্লাহ, সুন্দর আলোচনা। জাযাকাল্লাহ
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      সময়-অর্থ-শ্রম বিনষ্টকারী নীচের বিষয়সমূহ থেকে দূরে থাকুন, যেন আল্লাহর দ্বীন ক্বায়েমের কাজে আরও বেশী আঞ্জাম দিতে পারেন। যেমন- অপ্রয়োজনীয় গল্প-গুজব, অযথা তর্ক করা, আড্ডা দেয়া, খেলা-ধুলা, অতরিক্তি ঘুম, কাজে অলসতা, ইন্টারনেটে সময় নষ্ট করা, বিলাসিতায় নিমজ্জিত থাকা ইত্যাদি।
      জাযাকাল্লাহু খাইরান!অন্যতম সেরা উপদেশমূলক সিগনেচার!!
      ইয়া আল্লাহ!
      আমাদেরকে এই উপদেশাবলিকে আমলে পরিণত করা তাওফিক দান করুন!!
      আমীন! ইয়া রাব্বাল আলামীন!!
      দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

      Comment


      • #4
        Originally posted by ফোরামের সাথি View Post
        [COLOR="#FFA07A"][B] /COLOR]
        জাযাকাল্লাহু খাইরান!অন্যতম সেরা উপদেশমূলক সিগনেচার!!
        ইয়া আল্লাহ!
        আমাদেরকে এই উপদেশাবলিকে আমলে পরিণত করা তাওফিক দান করুন!!
        আমীন! ইয়া রাব্বাল আলামীন!!
        =ওয়াআনতুম ফা জাযাকাল্লাহু খাইরান।আমিন ইয়া রাব্ব।
        সময়-অর্থ-শ্রম বিনষ্টকারী নীচের বিষয়সমূহ থেকে দূরে থাকুন, যেন আল্লাহর দ্বীন ক্বায়েমের কাজে আরও বেশী আঞ্জাম দিতে পারেন। যেমন- অপ্রয়োজনীয় গল্প-গুজব, অযথা তর্ক করা, আড্ডা দেয়া, খেলা-ধুলা, অতরিক্তি ঘুম, কাজে অলসতা, ইন্টারনেটে সময় নষ্ট করা, বিলাসিতায় নিমজ্জিত থাকা ইত্যাদি।

        Comment

        Working...
        X